আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মারিয়া কোরিনা মাচাদো নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর নোবেল কমিটিকে নিন্দা জানায় মার্কিন প্রশাসন। সে সময় কোনো মন্তব্য করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে মাচাদো ও ট্রাম্প দুজনেই জানান, গতকাল শুক্রবার তাঁদের ফোনালাপ হয়েছে।
বহুবার প্রকাশ্যে এই পুরস্কার জেতার আকাঙ্ক্ষা জানিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই পুরস্কার পাওয়া উচিত বলে সম্প্রতি বিশ্বনেতাদের অনেকে মতও দিয়েছেন। বিশেষ করে তাঁর গাজা শান্তি পরিকল্পনা গতিশীল হওয়ায় সেই দাবিগুলো আরও জোরালো হয়েছে। তবে নোবেল পুরস্কারের নিয়ম অনুযায়ী, বছরের জন্য মনোনয়নের সময়সীমা জানুয়ারি পর্যন্ত।
গতকাল শুক্রবার ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় কাজ এবং ‘একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণে সংগ্রামের জন্য’ ২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।
স্প্যানিশ সংবাদপত্র এল পাইসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মারিয়া কোরিনা মাচাদো জানান, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন, তবে তাঁদের কথোপকথনের বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান। পুরস্কার পাওয়া নিয়ে বক্তব্যের মতোই তিনি ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প নিজেই মাচাদোর সঙ্গে কথা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘যিনি আসলে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তিনি আজ আমাকে ফোন করে বললেন, আমি এ পুরস্কারটি আপনার সম্মানে গ্রহণ করছি। কারণ, আসলে আপনিই এটি পাওয়ার যোগ্য।’
ট্রাম্প মজার ছলে যোগ করেন, ‘এটা খুবই সুন্দর একটা ব্যাপার। আমি কিন্তু বলিনি তাহলে আমাকেই দাও। যদিও আমার মনে হয়, উনি হয়তো দিতেও পারতেন। উনি খুবই ভালো।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি ওকে অনেকভাবে সাহায্য করে আসছি। ভেনেজুয়েলায় এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি। সম্পূর্ণ বিপর্যয় বলা যায়। তাই আপনি এটাও বলতে পারেন, পুরস্কারটি ২০২৪ সালের জন্য দেওয়া হয়েছে। আর আমি ২০২৪ সালে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলাম।’
নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা আসার পরপরই ট্রাম্প প্রশাসন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চুং লেখেন, ‘নোবেল কমিটি প্রমাণ করল, তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।’
মাচাদো বহু বছর ধরে ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে আসছেন এবং নিজের আজীবন লক্ষ্যকে বর্ণনা করেছেন ‘গুলির চেয়ে ব্যালটের জয়’ হিসেবে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ভিন্নমতের ওপর কঠোর দমননীতির সময় তিনি আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হন।
অতীতে ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক সদস্য মাচাদোর কাজের প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে প্রশাসন বারবার মাদুরোর সরকারকে নিন্দা করেছে এবং ‘মাদকবিরোধী অভিযান’ চালানোর অজুহাতে ওই অঞ্চলে শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি গড়ে তুলেছে, যা অনেকের মতে মাদুরোকে দুর্বল করে ক্ষমতা থেকে সরানোর কৌশলেরই অংশ।
২০২৪ সালে মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া আইনপ্রণেতাদের একটি দলের মধ্যে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং বর্তমান জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ।
২০২৪ সালের নভেম্বরে তাঁরা এক চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আমরা যাঁরা পশ্চিমাসহ বিশ্বের বিভিন্ন একনায়কতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে নীতি নির্ধারণে কাজ করি, মারিয়া কোরিনা মাচাদোর মতো এমন সাহস, নিঃস্বার্থতা ও নৈতিক দৃঢ়তা আমরা খুব কমই দেখেছি।’
তাঁরা আরও লিখেছিলেন, ‘আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস মারিয়া কোরিনা মাচাদোর সাহসী ও নিঃস্বার্থ নেতৃত্ব এবং শান্তি ও গণতান্ত্রিক আদর্শের প্রতি তাঁর অটল নিষ্ঠা, তাঁকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী করে তুলেছে।’
গত এপ্রিল মাসে মার্কো রুবিও ‘অদম্য সাহস, দৃঢ়তা ও দেশপ্রেমের প্রতীক’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন, যিনি ‘একটি স্বাধীন, ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক ভেনেজুয়েলার জন্য লড়াই থেকে কখনো পিছপা হননি’।
গত জানুয়ারিতে নিজের অভিষেকের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘মাচাদো একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁর অবশ্যই নিরাপদে ও জীবিত থাকতে হবে!’
গত শুক্রবার মাচাদো তাঁর নোবেল পুরস্কারটি ‘ভেনেজুয়েলার ভুক্তভোগী জনগণের এবং আমাদের লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় সমর্থনের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে’ উৎসর্গ করেছেন।
তবে তাঁর বিজয়ের পর ট্রাম্পকে যেন উপেক্ষা করা হয়েছে এমন ধারণা তৈরি হওয়ায় প্রেসিডেন্টের মিত্রদের কোনো উষ্ণ মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভেনেজুয়েলার জন্য ট্রাম্পের দূত রিচার্ড গ্রেনেল ঘোষণা করেন, ‘নোবেল পুরস্কার বহু বছর আগেই মরে গেছে।’
ওবামা প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ভেনেজুয়েলাবিষয়ক পরিচালক বেনিয়ামিন গেডান বলেছেন, মাচাদোকে পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে নোবেল কমিটি যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার বিরোধী পক্ষ উভয়ের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা পাঠাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
গেডান সিএনএনকে বলেন, ‘হোয়াইট হাউস এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা সামরিক শক্তি ব্যবহার করে এই সরকারকে উৎখাত করতে পারে এবং মারিয়া কোরিনার সমর্থনও রয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, নোবেল কমিটি চায় যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার বিরোধী পক্ষ উভয়েই শান্তিপূর্ণভাবে পরিবর্তনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাক।’
যদিও ট্রাম্প মাচাদোর বিজয় সম্পর্কে শুক্রবার সন্ধ্যার আগপর্যন্ত প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে কয়েক ঘণ্টা আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক বক্তব্যের পর তাঁকে ধন্যবাদ জানান।
শুক্রবার তাজিকিস্তানে দেওয়া বক্তব্যে পুতিন বলেন, ‘এ রকম উদাহরণ রয়েছে যেখানে কমিটি এমন ব্যক্তিদের নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়েছে যারা শান্তির জন্য কিছু করেনি। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই পুরস্কারের যোগ্য কি না, তা জানি না। কিন্তু তিনি বছরের পর বছর এমনকি দশক ধরে চলা জটিল সংকট সমাধানে অনেক কাজ করছেন।’
ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ধন্যবাদ!’
আরও খবর পড়ুন:

মারিয়া কোরিনা মাচাদো নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর নোবেল কমিটিকে নিন্দা জানায় মার্কিন প্রশাসন। সে সময় কোনো মন্তব্য করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে মাচাদো ও ট্রাম্প দুজনেই জানান, গতকাল শুক্রবার তাঁদের ফোনালাপ হয়েছে।
বহুবার প্রকাশ্যে এই পুরস্কার জেতার আকাঙ্ক্ষা জানিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই পুরস্কার পাওয়া উচিত বলে সম্প্রতি বিশ্বনেতাদের অনেকে মতও দিয়েছেন। বিশেষ করে তাঁর গাজা শান্তি পরিকল্পনা গতিশীল হওয়ায় সেই দাবিগুলো আরও জোরালো হয়েছে। তবে নোবেল পুরস্কারের নিয়ম অনুযায়ী, বছরের জন্য মনোনয়নের সময়সীমা জানুয়ারি পর্যন্ত।
গতকাল শুক্রবার ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় কাজ এবং ‘একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণে সংগ্রামের জন্য’ ২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।
স্প্যানিশ সংবাদপত্র এল পাইসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মারিয়া কোরিনা মাচাদো জানান, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন, তবে তাঁদের কথোপকথনের বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান। পুরস্কার পাওয়া নিয়ে বক্তব্যের মতোই তিনি ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প নিজেই মাচাদোর সঙ্গে কথা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘যিনি আসলে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তিনি আজ আমাকে ফোন করে বললেন, আমি এ পুরস্কারটি আপনার সম্মানে গ্রহণ করছি। কারণ, আসলে আপনিই এটি পাওয়ার যোগ্য।’
ট্রাম্প মজার ছলে যোগ করেন, ‘এটা খুবই সুন্দর একটা ব্যাপার। আমি কিন্তু বলিনি তাহলে আমাকেই দাও। যদিও আমার মনে হয়, উনি হয়তো দিতেও পারতেন। উনি খুবই ভালো।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি ওকে অনেকভাবে সাহায্য করে আসছি। ভেনেজুয়েলায় এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি। সম্পূর্ণ বিপর্যয় বলা যায়। তাই আপনি এটাও বলতে পারেন, পুরস্কারটি ২০২৪ সালের জন্য দেওয়া হয়েছে। আর আমি ২০২৪ সালে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলাম।’
নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা আসার পরপরই ট্রাম্প প্রশাসন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চুং লেখেন, ‘নোবেল কমিটি প্রমাণ করল, তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।’
মাচাদো বহু বছর ধরে ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে আসছেন এবং নিজের আজীবন লক্ষ্যকে বর্ণনা করেছেন ‘গুলির চেয়ে ব্যালটের জয়’ হিসেবে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ভিন্নমতের ওপর কঠোর দমননীতির সময় তিনি আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হন।
অতীতে ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক সদস্য মাচাদোর কাজের প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে প্রশাসন বারবার মাদুরোর সরকারকে নিন্দা করেছে এবং ‘মাদকবিরোধী অভিযান’ চালানোর অজুহাতে ওই অঞ্চলে শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি গড়ে তুলেছে, যা অনেকের মতে মাদুরোকে দুর্বল করে ক্ষমতা থেকে সরানোর কৌশলেরই অংশ।
২০২৪ সালে মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া আইনপ্রণেতাদের একটি দলের মধ্যে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং বর্তমান জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ।
২০২৪ সালের নভেম্বরে তাঁরা এক চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আমরা যাঁরা পশ্চিমাসহ বিশ্বের বিভিন্ন একনায়কতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে নীতি নির্ধারণে কাজ করি, মারিয়া কোরিনা মাচাদোর মতো এমন সাহস, নিঃস্বার্থতা ও নৈতিক দৃঢ়তা আমরা খুব কমই দেখেছি।’
তাঁরা আরও লিখেছিলেন, ‘আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস মারিয়া কোরিনা মাচাদোর সাহসী ও নিঃস্বার্থ নেতৃত্ব এবং শান্তি ও গণতান্ত্রিক আদর্শের প্রতি তাঁর অটল নিষ্ঠা, তাঁকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী করে তুলেছে।’
গত এপ্রিল মাসে মার্কো রুবিও ‘অদম্য সাহস, দৃঢ়তা ও দেশপ্রেমের প্রতীক’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন, যিনি ‘একটি স্বাধীন, ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক ভেনেজুয়েলার জন্য লড়াই থেকে কখনো পিছপা হননি’।
গত জানুয়ারিতে নিজের অভিষেকের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘মাচাদো একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁর অবশ্যই নিরাপদে ও জীবিত থাকতে হবে!’
গত শুক্রবার মাচাদো তাঁর নোবেল পুরস্কারটি ‘ভেনেজুয়েলার ভুক্তভোগী জনগণের এবং আমাদের লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় সমর্থনের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে’ উৎসর্গ করেছেন।
তবে তাঁর বিজয়ের পর ট্রাম্পকে যেন উপেক্ষা করা হয়েছে এমন ধারণা তৈরি হওয়ায় প্রেসিডেন্টের মিত্রদের কোনো উষ্ণ মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভেনেজুয়েলার জন্য ট্রাম্পের দূত রিচার্ড গ্রেনেল ঘোষণা করেন, ‘নোবেল পুরস্কার বহু বছর আগেই মরে গেছে।’
ওবামা প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ভেনেজুয়েলাবিষয়ক পরিচালক বেনিয়ামিন গেডান বলেছেন, মাচাদোকে পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে নোবেল কমিটি যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার বিরোধী পক্ষ উভয়ের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা পাঠাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
গেডান সিএনএনকে বলেন, ‘হোয়াইট হাউস এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা সামরিক শক্তি ব্যবহার করে এই সরকারকে উৎখাত করতে পারে এবং মারিয়া কোরিনার সমর্থনও রয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, নোবেল কমিটি চায় যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার বিরোধী পক্ষ উভয়েই শান্তিপূর্ণভাবে পরিবর্তনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাক।’
যদিও ট্রাম্প মাচাদোর বিজয় সম্পর্কে শুক্রবার সন্ধ্যার আগপর্যন্ত প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে কয়েক ঘণ্টা আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক বক্তব্যের পর তাঁকে ধন্যবাদ জানান।
শুক্রবার তাজিকিস্তানে দেওয়া বক্তব্যে পুতিন বলেন, ‘এ রকম উদাহরণ রয়েছে যেখানে কমিটি এমন ব্যক্তিদের নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়েছে যারা শান্তির জন্য কিছু করেনি। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই পুরস্কারের যোগ্য কি না, তা জানি না। কিন্তু তিনি বছরের পর বছর এমনকি দশক ধরে চলা জটিল সংকট সমাধানে অনেক কাজ করছেন।’
ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ধন্যবাদ!’
আরও খবর পড়ুন:
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মারিয়া কোরিনা মাচাদো নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর নোবেল কমিটিকে নিন্দা জানায় মার্কিন প্রশাসন। সে সময় কোনো মন্তব্য করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে মাচাদো ও ট্রাম্প দুজনেই জানান, গতকাল শুক্রবার তাঁদের ফোনালাপ হয়েছে।
বহুবার প্রকাশ্যে এই পুরস্কার জেতার আকাঙ্ক্ষা জানিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই পুরস্কার পাওয়া উচিত বলে সম্প্রতি বিশ্বনেতাদের অনেকে মতও দিয়েছেন। বিশেষ করে তাঁর গাজা শান্তি পরিকল্পনা গতিশীল হওয়ায় সেই দাবিগুলো আরও জোরালো হয়েছে। তবে নোবেল পুরস্কারের নিয়ম অনুযায়ী, বছরের জন্য মনোনয়নের সময়সীমা জানুয়ারি পর্যন্ত।
গতকাল শুক্রবার ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় কাজ এবং ‘একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণে সংগ্রামের জন্য’ ২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।
স্প্যানিশ সংবাদপত্র এল পাইসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মারিয়া কোরিনা মাচাদো জানান, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন, তবে তাঁদের কথোপকথনের বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান। পুরস্কার পাওয়া নিয়ে বক্তব্যের মতোই তিনি ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প নিজেই মাচাদোর সঙ্গে কথা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘যিনি আসলে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তিনি আজ আমাকে ফোন করে বললেন, আমি এ পুরস্কারটি আপনার সম্মানে গ্রহণ করছি। কারণ, আসলে আপনিই এটি পাওয়ার যোগ্য।’
ট্রাম্প মজার ছলে যোগ করেন, ‘এটা খুবই সুন্দর একটা ব্যাপার। আমি কিন্তু বলিনি তাহলে আমাকেই দাও। যদিও আমার মনে হয়, উনি হয়তো দিতেও পারতেন। উনি খুবই ভালো।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি ওকে অনেকভাবে সাহায্য করে আসছি। ভেনেজুয়েলায় এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি। সম্পূর্ণ বিপর্যয় বলা যায়। তাই আপনি এটাও বলতে পারেন, পুরস্কারটি ২০২৪ সালের জন্য দেওয়া হয়েছে। আর আমি ২০২৪ সালে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলাম।’
নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা আসার পরপরই ট্রাম্প প্রশাসন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চুং লেখেন, ‘নোবেল কমিটি প্রমাণ করল, তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।’
মাচাদো বহু বছর ধরে ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে আসছেন এবং নিজের আজীবন লক্ষ্যকে বর্ণনা করেছেন ‘গুলির চেয়ে ব্যালটের জয়’ হিসেবে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ভিন্নমতের ওপর কঠোর দমননীতির সময় তিনি আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হন।
অতীতে ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক সদস্য মাচাদোর কাজের প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে প্রশাসন বারবার মাদুরোর সরকারকে নিন্দা করেছে এবং ‘মাদকবিরোধী অভিযান’ চালানোর অজুহাতে ওই অঞ্চলে শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি গড়ে তুলেছে, যা অনেকের মতে মাদুরোকে দুর্বল করে ক্ষমতা থেকে সরানোর কৌশলেরই অংশ।
২০২৪ সালে মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া আইনপ্রণেতাদের একটি দলের মধ্যে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং বর্তমান জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ।
২০২৪ সালের নভেম্বরে তাঁরা এক চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আমরা যাঁরা পশ্চিমাসহ বিশ্বের বিভিন্ন একনায়কতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে নীতি নির্ধারণে কাজ করি, মারিয়া কোরিনা মাচাদোর মতো এমন সাহস, নিঃস্বার্থতা ও নৈতিক দৃঢ়তা আমরা খুব কমই দেখেছি।’
তাঁরা আরও লিখেছিলেন, ‘আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস মারিয়া কোরিনা মাচাদোর সাহসী ও নিঃস্বার্থ নেতৃত্ব এবং শান্তি ও গণতান্ত্রিক আদর্শের প্রতি তাঁর অটল নিষ্ঠা, তাঁকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী করে তুলেছে।’
গত এপ্রিল মাসে মার্কো রুবিও ‘অদম্য সাহস, দৃঢ়তা ও দেশপ্রেমের প্রতীক’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন, যিনি ‘একটি স্বাধীন, ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক ভেনেজুয়েলার জন্য লড়াই থেকে কখনো পিছপা হননি’।
গত জানুয়ারিতে নিজের অভিষেকের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘মাচাদো একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁর অবশ্যই নিরাপদে ও জীবিত থাকতে হবে!’
গত শুক্রবার মাচাদো তাঁর নোবেল পুরস্কারটি ‘ভেনেজুয়েলার ভুক্তভোগী জনগণের এবং আমাদের লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় সমর্থনের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে’ উৎসর্গ করেছেন।
তবে তাঁর বিজয়ের পর ট্রাম্পকে যেন উপেক্ষা করা হয়েছে এমন ধারণা তৈরি হওয়ায় প্রেসিডেন্টের মিত্রদের কোনো উষ্ণ মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভেনেজুয়েলার জন্য ট্রাম্পের দূত রিচার্ড গ্রেনেল ঘোষণা করেন, ‘নোবেল পুরস্কার বহু বছর আগেই মরে গেছে।’
ওবামা প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ভেনেজুয়েলাবিষয়ক পরিচালক বেনিয়ামিন গেডান বলেছেন, মাচাদোকে পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে নোবেল কমিটি যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার বিরোধী পক্ষ উভয়ের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা পাঠাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
গেডান সিএনএনকে বলেন, ‘হোয়াইট হাউস এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা সামরিক শক্তি ব্যবহার করে এই সরকারকে উৎখাত করতে পারে এবং মারিয়া কোরিনার সমর্থনও রয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, নোবেল কমিটি চায় যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার বিরোধী পক্ষ উভয়েই শান্তিপূর্ণভাবে পরিবর্তনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাক।’
যদিও ট্রাম্প মাচাদোর বিজয় সম্পর্কে শুক্রবার সন্ধ্যার আগপর্যন্ত প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে কয়েক ঘণ্টা আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক বক্তব্যের পর তাঁকে ধন্যবাদ জানান।
শুক্রবার তাজিকিস্তানে দেওয়া বক্তব্যে পুতিন বলেন, ‘এ রকম উদাহরণ রয়েছে যেখানে কমিটি এমন ব্যক্তিদের নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়েছে যারা শান্তির জন্য কিছু করেনি। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই পুরস্কারের যোগ্য কি না, তা জানি না। কিন্তু তিনি বছরের পর বছর এমনকি দশক ধরে চলা জটিল সংকট সমাধানে অনেক কাজ করছেন।’
ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ধন্যবাদ!’
আরও খবর পড়ুন:

মারিয়া কোরিনা মাচাদো নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর নোবেল কমিটিকে নিন্দা জানায় মার্কিন প্রশাসন। সে সময় কোনো মন্তব্য করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে মাচাদো ও ট্রাম্প দুজনেই জানান, গতকাল শুক্রবার তাঁদের ফোনালাপ হয়েছে।
বহুবার প্রকাশ্যে এই পুরস্কার জেতার আকাঙ্ক্ষা জানিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই পুরস্কার পাওয়া উচিত বলে সম্প্রতি বিশ্বনেতাদের অনেকে মতও দিয়েছেন। বিশেষ করে তাঁর গাজা শান্তি পরিকল্পনা গতিশীল হওয়ায় সেই দাবিগুলো আরও জোরালো হয়েছে। তবে নোবেল পুরস্কারের নিয়ম অনুযায়ী, বছরের জন্য মনোনয়নের সময়সীমা জানুয়ারি পর্যন্ত।
গতকাল শুক্রবার ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় কাজ এবং ‘একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণে সংগ্রামের জন্য’ ২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।
স্প্যানিশ সংবাদপত্র এল পাইসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মারিয়া কোরিনা মাচাদো জানান, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন, তবে তাঁদের কথোপকথনের বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান। পুরস্কার পাওয়া নিয়ে বক্তব্যের মতোই তিনি ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প নিজেই মাচাদোর সঙ্গে কথা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘যিনি আসলে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তিনি আজ আমাকে ফোন করে বললেন, আমি এ পুরস্কারটি আপনার সম্মানে গ্রহণ করছি। কারণ, আসলে আপনিই এটি পাওয়ার যোগ্য।’
ট্রাম্প মজার ছলে যোগ করেন, ‘এটা খুবই সুন্দর একটা ব্যাপার। আমি কিন্তু বলিনি তাহলে আমাকেই দাও। যদিও আমার মনে হয়, উনি হয়তো দিতেও পারতেন। উনি খুবই ভালো।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি ওকে অনেকভাবে সাহায্য করে আসছি। ভেনেজুয়েলায় এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি। সম্পূর্ণ বিপর্যয় বলা যায়। তাই আপনি এটাও বলতে পারেন, পুরস্কারটি ২০২৪ সালের জন্য দেওয়া হয়েছে। আর আমি ২০২৪ সালে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলাম।’
নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা আসার পরপরই ট্রাম্প প্রশাসন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চুং লেখেন, ‘নোবেল কমিটি প্রমাণ করল, তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।’
মাচাদো বহু বছর ধরে ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে আসছেন এবং নিজের আজীবন লক্ষ্যকে বর্ণনা করেছেন ‘গুলির চেয়ে ব্যালটের জয়’ হিসেবে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ভিন্নমতের ওপর কঠোর দমননীতির সময় তিনি আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হন।
অতীতে ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক সদস্য মাচাদোর কাজের প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে প্রশাসন বারবার মাদুরোর সরকারকে নিন্দা করেছে এবং ‘মাদকবিরোধী অভিযান’ চালানোর অজুহাতে ওই অঞ্চলে শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি গড়ে তুলেছে, যা অনেকের মতে মাদুরোকে দুর্বল করে ক্ষমতা থেকে সরানোর কৌশলেরই অংশ।
২০২৪ সালে মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া আইনপ্রণেতাদের একটি দলের মধ্যে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং বর্তমান জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ।
২০২৪ সালের নভেম্বরে তাঁরা এক চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আমরা যাঁরা পশ্চিমাসহ বিশ্বের বিভিন্ন একনায়কতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে নীতি নির্ধারণে কাজ করি, মারিয়া কোরিনা মাচাদোর মতো এমন সাহস, নিঃস্বার্থতা ও নৈতিক দৃঢ়তা আমরা খুব কমই দেখেছি।’
তাঁরা আরও লিখেছিলেন, ‘আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস মারিয়া কোরিনা মাচাদোর সাহসী ও নিঃস্বার্থ নেতৃত্ব এবং শান্তি ও গণতান্ত্রিক আদর্শের প্রতি তাঁর অটল নিষ্ঠা, তাঁকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী করে তুলেছে।’
গত এপ্রিল মাসে মার্কো রুবিও ‘অদম্য সাহস, দৃঢ়তা ও দেশপ্রেমের প্রতীক’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন, যিনি ‘একটি স্বাধীন, ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক ভেনেজুয়েলার জন্য লড়াই থেকে কখনো পিছপা হননি’।
গত জানুয়ারিতে নিজের অভিষেকের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘মাচাদো একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁর অবশ্যই নিরাপদে ও জীবিত থাকতে হবে!’
গত শুক্রবার মাচাদো তাঁর নোবেল পুরস্কারটি ‘ভেনেজুয়েলার ভুক্তভোগী জনগণের এবং আমাদের লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় সমর্থনের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে’ উৎসর্গ করেছেন।
তবে তাঁর বিজয়ের পর ট্রাম্পকে যেন উপেক্ষা করা হয়েছে এমন ধারণা তৈরি হওয়ায় প্রেসিডেন্টের মিত্রদের কোনো উষ্ণ মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভেনেজুয়েলার জন্য ট্রাম্পের দূত রিচার্ড গ্রেনেল ঘোষণা করেন, ‘নোবেল পুরস্কার বহু বছর আগেই মরে গেছে।’
ওবামা প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ভেনেজুয়েলাবিষয়ক পরিচালক বেনিয়ামিন গেডান বলেছেন, মাচাদোকে পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে নোবেল কমিটি যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার বিরোধী পক্ষ উভয়ের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা পাঠাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
গেডান সিএনএনকে বলেন, ‘হোয়াইট হাউস এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা সামরিক শক্তি ব্যবহার করে এই সরকারকে উৎখাত করতে পারে এবং মারিয়া কোরিনার সমর্থনও রয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, নোবেল কমিটি চায় যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার বিরোধী পক্ষ উভয়েই শান্তিপূর্ণভাবে পরিবর্তনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাক।’
যদিও ট্রাম্প মাচাদোর বিজয় সম্পর্কে শুক্রবার সন্ধ্যার আগপর্যন্ত প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে কয়েক ঘণ্টা আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক বক্তব্যের পর তাঁকে ধন্যবাদ জানান।
শুক্রবার তাজিকিস্তানে দেওয়া বক্তব্যে পুতিন বলেন, ‘এ রকম উদাহরণ রয়েছে যেখানে কমিটি এমন ব্যক্তিদের নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়েছে যারা শান্তির জন্য কিছু করেনি। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই পুরস্কারের যোগ্য কি না, তা জানি না। কিন্তু তিনি বছরের পর বছর এমনকি দশক ধরে চলা জটিল সংকট সমাধানে অনেক কাজ করছেন।’
ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ধন্যবাদ!’
আরও খবর পড়ুন:

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক। এবং সংখ্যা ক্রম
২ ঘণ্টা আগে
জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক; এবং সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
তিমোফ। ইউক্রেনের ৩৬ বছর বয়সী এক অফিস সহায়ক। তাঁর হাতে ও আঙুলে এখনো বেগুনি রঙের ছোট ছোট বেশ কিছু ক্ষত রয়ে গেছে। ছয় মাস আগে সে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে আসে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে। সে সময়ই হাতে এই ক্ষত তৈরি হয়। কিয়েভের এই যুবক জানান, গত এপ্রিলে তাকে জোর করে সেনাবাহিনীতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি পরপর দুবার পালিয়ে এসেছেন।
তিমোফ বলেন, সত্যিকারের লড়াইয়ের জন্য তাঁর প্রশিক্ষণ কতখানি অকার্যকর, তা বুঝেই তিনি পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বুঝতে পারেন, অনিবার্যভাবে তাঁকে ফ্রন্টলাইনের সৈন্য হতে হবে, যেখানে বেঁচে থাকার কোনো সুযোগ থাকবে না। তিমোফ বলেন, ‘কোনো প্রশিক্ষণই দেওয়া হয় না। আমি প্রথম আক্রমণেই মারা যাব, তাতে তাদের কিছু যায়-আসে না।’
তিনি দাবি করেন, তাঁর প্রশিক্ষকেরা বেশির ভাগ সময় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে যাতে কেউ পালাতে না পারে, সেই চিন্তায় মগ্ন থাকতেন। কেন্দ্রটি ছিল কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা একটি তিন মিটার প্রায় ১০ ফুট উঁচু কংক্রিটের দেয়াল দিয়ে সুরক্ষিত। তিমোফ বলেন, ‘একজন সৈনিক গুলি চালানো শিখল কি না, তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। তারা আমাকে একটি বন্দুক দিল, আমি লক্ষ্যের দিকে একটি গুলি ছুড়লাম, আর তারা আমার নামের পাশে একটি টিক চিহ্ন দিয়ে দিল।’ ব্যস প্রশিক্ষণ শেষ।
কর্তৃপক্ষের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকায় তিমোফে তাঁর পদবি এবং ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখতে অনুরোধ করে। তিনি দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো পলাতক বা অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ আনা হয়নি। তাঁর ব্যাখ্যা খুব সহজ, ‘দেশের অর্ধেক মানুষ এখন পালাচ্ছে’, আর সামরিক ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে এত সংখ্যক পলাতককে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা নেই।
অক্টোবরে ইউক্রেনীয় কৌঁসুলিরা জানান, রাশিয়া ২০২২ সালে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন এবং প্রায় ৫৪ হাজার সেনা পলায়ন করেছেন। গত বছর থেকে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি ১ লাখ ৭৬ হাজার এবং পলায়নের ২৫ হাজার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
ইউক্রেনীয় কমান্ডার ভ্যালেন্তিন মাঙ্কো শনিবার ইউক্রেনীয় প্রাভদাকে বলেন, ‘এমনকি রাশিয়ায়ও এত বেশি সৈন্য অনুমতি ছাড়া পালিয়ে যায়।’ পলায়নের এই সংকট ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ক্রমেই চলে যাওয়ার মধ্যে সেনাকর্মীর মারাত্মক অভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
নভেম্বরে রাশিয়ার বাহিনী প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নেয়, যার বেশির ভাগই পূর্ব ইউক্রেনে, আর ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা আবারও থমকে যায়। মাঙ্কো জানান, প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার পুরুষকে সেনাবাহিনীতে নেওয়া হয়, কিন্তু সব সামরিক ইউনিটকে ‘পুনরায় সচল’ করতে দরকার ৭০ হাজার সেনা।
যুদ্ধে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে, একজন সেনা সামরিক ইউনিট ছেড়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে পলায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন এবং তার ৫ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। আর অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতির শাস্তি ১০ বছর পর্যন্ত জেল। অনেকেই জেলকে বেছে নিচ্ছেন।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের সাবেক উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর রোমানেনকো বলেন, ‘আমাদের পলাতক সৈন্য এবং অনুমতি ছাড়া চলে যাওয়া সেনার সংখ্যা খুবই বেশি।’ তিনি বলেন, ‘তারা ভাবে—আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে ফ্রন্টলাইনে যাওয়ার চেয়ে জেলে যাওয়া সহজ।’ রোমানেনকো দীর্ঘদিন ধরে কঠোর যুদ্ধকালীন আইন চালু করার এবং পলাতক ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের জন্য কঠোর শাস্তির পক্ষে সওয়াল করছেন। তাঁর বিশ্বাস, তাদের জেলে না পাঠিয়ে ফ্রন্টলাইনে পাঠানো উচিত।
পলায়ন এবং অনুমতি ছাড়া চলে যাওয়ার মধ্যে আইনি পার্থক্য হলো ‘চিরতরে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য।’ তবে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার প্রথমবার পলায়নকারীদের জন্য ক্ষমা ঘোষণা করেছে। যার ফলে তারা কোনো শাস্তি ছাড়াই তাদের ইউনিটে ফিরে আসতে পারে। সামরিক কর্তৃপক্ষ এবং তাদের কমান্ডিং অফিসারদের দয়ার ওপর ভরসা করে প্রায় ৩০ হাজার সেনা ফিরে এসেছেন।
দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি সামরিক ইউনিটের এক মনোবিজ্ঞানী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘তাদের প্রতি এখন আরও বেশি সহানুভূতি দেখানো হচ্ছে।’ তিনি বলেন, পলায়ন সব সময় মৃত্যুর ভয়ের কারণে হয় না, বরং বেশির ভাগ সময়েই মনোযোগহীন কমান্ডিং অফিসারদের কারণে হয়, যারা তাদের সেনাদের সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করেন। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলে, তাদের কমান্ডার তাদের ছুটিতে যেতে দেননি, তাদের অসুস্থ আত্মীয়দের দেখতে যেতে দেননি, এমনকি বিয়ে করতেও দেননি।’
এদিকে সামরিক পুলিশ বাহিনীতে লোকবলের মারাত্মক অভাব রয়েছে এবং আদালতের আদেশ ছাড়া তারা কোনো সেনাকে আটক করতে পারে না। ফলে অনুমতি ছাড়া সেনাবাহিনী ছেড়ে যাওয়া কিংবা পালিয়ে যাওয়া সেনারা খুব বেশি ধরাও পড়ছে না।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক; এবং সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
তিমোফ। ইউক্রেনের ৩৬ বছর বয়সী এক অফিস সহায়ক। তাঁর হাতে ও আঙুলে এখনো বেগুনি রঙের ছোট ছোট বেশ কিছু ক্ষত রয়ে গেছে। ছয় মাস আগে সে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে আসে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে। সে সময়ই হাতে এই ক্ষত তৈরি হয়। কিয়েভের এই যুবক জানান, গত এপ্রিলে তাকে জোর করে সেনাবাহিনীতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি পরপর দুবার পালিয়ে এসেছেন।
তিমোফ বলেন, সত্যিকারের লড়াইয়ের জন্য তাঁর প্রশিক্ষণ কতখানি অকার্যকর, তা বুঝেই তিনি পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বুঝতে পারেন, অনিবার্যভাবে তাঁকে ফ্রন্টলাইনের সৈন্য হতে হবে, যেখানে বেঁচে থাকার কোনো সুযোগ থাকবে না। তিমোফ বলেন, ‘কোনো প্রশিক্ষণই দেওয়া হয় না। আমি প্রথম আক্রমণেই মারা যাব, তাতে তাদের কিছু যায়-আসে না।’
তিনি দাবি করেন, তাঁর প্রশিক্ষকেরা বেশির ভাগ সময় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে যাতে কেউ পালাতে না পারে, সেই চিন্তায় মগ্ন থাকতেন। কেন্দ্রটি ছিল কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা একটি তিন মিটার প্রায় ১০ ফুট উঁচু কংক্রিটের দেয়াল দিয়ে সুরক্ষিত। তিমোফ বলেন, ‘একজন সৈনিক গুলি চালানো শিখল কি না, তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। তারা আমাকে একটি বন্দুক দিল, আমি লক্ষ্যের দিকে একটি গুলি ছুড়লাম, আর তারা আমার নামের পাশে একটি টিক চিহ্ন দিয়ে দিল।’ ব্যস প্রশিক্ষণ শেষ।
কর্তৃপক্ষের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকায় তিমোফে তাঁর পদবি এবং ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখতে অনুরোধ করে। তিনি দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো পলাতক বা অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ আনা হয়নি। তাঁর ব্যাখ্যা খুব সহজ, ‘দেশের অর্ধেক মানুষ এখন পালাচ্ছে’, আর সামরিক ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে এত সংখ্যক পলাতককে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা নেই।
অক্টোবরে ইউক্রেনীয় কৌঁসুলিরা জানান, রাশিয়া ২০২২ সালে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন এবং প্রায় ৫৪ হাজার সেনা পলায়ন করেছেন। গত বছর থেকে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি ১ লাখ ৭৬ হাজার এবং পলায়নের ২৫ হাজার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
ইউক্রেনীয় কমান্ডার ভ্যালেন্তিন মাঙ্কো শনিবার ইউক্রেনীয় প্রাভদাকে বলেন, ‘এমনকি রাশিয়ায়ও এত বেশি সৈন্য অনুমতি ছাড়া পালিয়ে যায়।’ পলায়নের এই সংকট ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ক্রমেই চলে যাওয়ার মধ্যে সেনাকর্মীর মারাত্মক অভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
নভেম্বরে রাশিয়ার বাহিনী প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নেয়, যার বেশির ভাগই পূর্ব ইউক্রেনে, আর ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা আবারও থমকে যায়। মাঙ্কো জানান, প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার পুরুষকে সেনাবাহিনীতে নেওয়া হয়, কিন্তু সব সামরিক ইউনিটকে ‘পুনরায় সচল’ করতে দরকার ৭০ হাজার সেনা।
যুদ্ধে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে, একজন সেনা সামরিক ইউনিট ছেড়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে পলায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন এবং তার ৫ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। আর অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতির শাস্তি ১০ বছর পর্যন্ত জেল। অনেকেই জেলকে বেছে নিচ্ছেন।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের সাবেক উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর রোমানেনকো বলেন, ‘আমাদের পলাতক সৈন্য এবং অনুমতি ছাড়া চলে যাওয়া সেনার সংখ্যা খুবই বেশি।’ তিনি বলেন, ‘তারা ভাবে—আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে ফ্রন্টলাইনে যাওয়ার চেয়ে জেলে যাওয়া সহজ।’ রোমানেনকো দীর্ঘদিন ধরে কঠোর যুদ্ধকালীন আইন চালু করার এবং পলাতক ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের জন্য কঠোর শাস্তির পক্ষে সওয়াল করছেন। তাঁর বিশ্বাস, তাদের জেলে না পাঠিয়ে ফ্রন্টলাইনে পাঠানো উচিত।
পলায়ন এবং অনুমতি ছাড়া চলে যাওয়ার মধ্যে আইনি পার্থক্য হলো ‘চিরতরে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য।’ তবে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার প্রথমবার পলায়নকারীদের জন্য ক্ষমা ঘোষণা করেছে। যার ফলে তারা কোনো শাস্তি ছাড়াই তাদের ইউনিটে ফিরে আসতে পারে। সামরিক কর্তৃপক্ষ এবং তাদের কমান্ডিং অফিসারদের দয়ার ওপর ভরসা করে প্রায় ৩০ হাজার সেনা ফিরে এসেছেন।
দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি সামরিক ইউনিটের এক মনোবিজ্ঞানী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘তাদের প্রতি এখন আরও বেশি সহানুভূতি দেখানো হচ্ছে।’ তিনি বলেন, পলায়ন সব সময় মৃত্যুর ভয়ের কারণে হয় না, বরং বেশির ভাগ সময়েই মনোযোগহীন কমান্ডিং অফিসারদের কারণে হয়, যারা তাদের সেনাদের সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করেন। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলে, তাদের কমান্ডার তাদের ছুটিতে যেতে দেননি, তাদের অসুস্থ আত্মীয়দের দেখতে যেতে দেননি, এমনকি বিয়ে করতেও দেননি।’
এদিকে সামরিক পুলিশ বাহিনীতে লোকবলের মারাত্মক অভাব রয়েছে এবং আদালতের আদেশ ছাড়া তারা কোনো সেনাকে আটক করতে পারে না। ফলে অনুমতি ছাড়া সেনাবাহিনী ছেড়ে যাওয়া কিংবা পালিয়ে যাওয়া সেনারা খুব বেশি ধরাও পড়ছে না।

গতকাল শুক্রবার ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় কাজ এবং ‘একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণে সংগ্রামের জন্য’ ২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। মাচাদো জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন...
১১ অক্টোবর ২০২৫
জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। টোকিও এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আবহে এই ঘটনা ঘটল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুটি পারমাণবিক বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম টুপোলভ-৯৫ কৌশলগত বোমারু বিমান জাপান সাগর থেকে পূর্ব চীন সাগরের দিকে উড়ে যায় এবং সেখানে দুটি চীনা এইচ-৬ বোমারু বিমানের সঙ্গে মিলিত হয়। এরপর তারা প্রশান্ত মহাসাগরে একটি ‘দীর্ঘ দূরত্বের যৌথ উড্ডয়ন’ সম্পন্ন করে।
টোকিও আরও জানিয়েছে, বোমারু বিমানগুলো যখন জাপানের ওকিনাওয়া এবং মিয়াকো দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে দিয়ে চক্কর কেটে যাচ্ছিল, তখন চারটি চীনা জে-১৬ যুদ্ধবিমান তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এই দুটি দ্বীপের মধ্যবর্তী মিয়াকো প্রণালি আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে বিবেচিত। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, জাপান সাগরে একই সময়ে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর আরও কার্যকলাপ শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি আর্লি-ওয়ার্নিং বিমান এ-৫০ এবং দুটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান ছিল।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বুধবার এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘রাশিয়া ও চীনের যৌথ অভিযানগুলো স্পষ্টতই আমাদের জাতির বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।’ ইজুমি যোগ করেন, জাপানের যুদ্ধবিমানগুলো ‘আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ ব্যবস্থা কঠোরভাবে কার্যকর করেছে।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, জাপানের কাছে রাশিয়া-চীনের যৌথ এই উড্ডয়ন আট ঘণ্টা ধরে চলেছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীও মঙ্গলবার জানিয়েছে, সাতটি রুশ বিমান ও দুটি চীনা বিমান তাদের বিমান প্রতিরক্ষা সীমায় প্রবেশ করেছিল।
জাপান রোববার জানায়, এর আগের দিন চীনা বিমানবাহী জাহাজ থেকে উৎক্ষেপিত যুদ্ধবিমান জাপানি সামরিক বিমান লক্ষ্য করে রাডার তাক করেছিল; যদিও বেইজিং সেই দাবি অস্বীকার করেছে। গত মাসে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যের পর জাপানের কাছাকাছি বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেল। সানায়ে বলেছিলেন, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনা সামরিক পদক্ষেপ যদি জাপানের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে, তবে টোকিও তার প্রত্যুত্তর দিতে পারে।
চীন ও রাশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্যান্য স্থানে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করছে। এর মধ্যে রুশ ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী প্রশিক্ষণ এবং দক্ষিণ চীন সাগরে লাইভ ফায়ার নৌ মহড়ার মতো যৌথ অভিযান অন্তর্ভুক্ত।

জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। টোকিও এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আবহে এই ঘটনা ঘটল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুটি পারমাণবিক বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম টুপোলভ-৯৫ কৌশলগত বোমারু বিমান জাপান সাগর থেকে পূর্ব চীন সাগরের দিকে উড়ে যায় এবং সেখানে দুটি চীনা এইচ-৬ বোমারু বিমানের সঙ্গে মিলিত হয়। এরপর তারা প্রশান্ত মহাসাগরে একটি ‘দীর্ঘ দূরত্বের যৌথ উড্ডয়ন’ সম্পন্ন করে।
টোকিও আরও জানিয়েছে, বোমারু বিমানগুলো যখন জাপানের ওকিনাওয়া এবং মিয়াকো দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে দিয়ে চক্কর কেটে যাচ্ছিল, তখন চারটি চীনা জে-১৬ যুদ্ধবিমান তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এই দুটি দ্বীপের মধ্যবর্তী মিয়াকো প্রণালি আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে বিবেচিত। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, জাপান সাগরে একই সময়ে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর আরও কার্যকলাপ শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি আর্লি-ওয়ার্নিং বিমান এ-৫০ এবং দুটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান ছিল।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বুধবার এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘রাশিয়া ও চীনের যৌথ অভিযানগুলো স্পষ্টতই আমাদের জাতির বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।’ ইজুমি যোগ করেন, জাপানের যুদ্ধবিমানগুলো ‘আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ ব্যবস্থা কঠোরভাবে কার্যকর করেছে।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, জাপানের কাছে রাশিয়া-চীনের যৌথ এই উড্ডয়ন আট ঘণ্টা ধরে চলেছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীও মঙ্গলবার জানিয়েছে, সাতটি রুশ বিমান ও দুটি চীনা বিমান তাদের বিমান প্রতিরক্ষা সীমায় প্রবেশ করেছিল।
জাপান রোববার জানায়, এর আগের দিন চীনা বিমানবাহী জাহাজ থেকে উৎক্ষেপিত যুদ্ধবিমান জাপানি সামরিক বিমান লক্ষ্য করে রাডার তাক করেছিল; যদিও বেইজিং সেই দাবি অস্বীকার করেছে। গত মাসে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যের পর জাপানের কাছাকাছি বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেল। সানায়ে বলেছিলেন, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনা সামরিক পদক্ষেপ যদি জাপানের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে, তবে টোকিও তার প্রত্যুত্তর দিতে পারে।
চীন ও রাশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্যান্য স্থানে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করছে। এর মধ্যে রুশ ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী প্রশিক্ষণ এবং দক্ষিণ চীন সাগরে লাইভ ফায়ার নৌ মহড়ার মতো যৌথ অভিযান অন্তর্ভুক্ত।

গতকাল শুক্রবার ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় কাজ এবং ‘একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণে সংগ্রামের জন্য’ ২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। মাচাদো জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন...
১১ অক্টোবর ২০২৫
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক। এবং সংখ্যা ক্রম
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে ট্রাম্প প্রশাসন এই ভিসাগুলো বাতিল করেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রায় অর্ধেক ভিসা বাতিলের অভিযোগ মাদক বা অন্য নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, আক্রমণ, এবং চুরির মতো অপরাধের কারণে হয়েছে। কর্মকর্তাটি আরও জানান, ভিসা বাতিলের এই সংখ্যাটি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের অধীনে গত বছরের সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি।
সাম্প্রতিককালে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে যে—তারা ডানপন্থী মার্কিন রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্কের মৃত্যু উদযাপনকারী কয়েকজনের ভিসা বাতিল করেছে।
বাতিল হওয়া ভিসাগুলোর প্রায় ১০ শতাংশ ছিল শিক্ষার্থীদের, যা সংখ্যায় ৮ হাজারের বেশি।
যাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের মতো বিষয়ে ক্যাম্পাসে তাদের সক্রিয়তার কারণে লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।
২৯ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, এই ধরনের ‘বহিরাগত শিক্ষার্থীদের’ ইহুদি-বিরোধী হিসেবে দেখা হচ্ছে, এবং প্রয়োজন হলে, ‘এই বহিরাগতদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য’ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ফিলিস্তিনপন্থী কাজকর্মের জন্য যাদের বহিষ্কারের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন রঞ্জনি শ্রীনিবাসন এবং রুমেইসা ওজতুর্ক, সেইসাথে মাহমুদ খলিলের মতো শিক্ষার্থীরা, যারা স্থায়ী বৈধ বাসিন্দা ছিলেন।
সমালোচকরা বলেছেন, নিজের মতামত প্রকাশের জন্য বহিষ্কার করাটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সংশোধনীর লঙ্ঘন, এবং ফিলিস্তিন-পন্থী সক্রিয়তার জন্য লক্ষ্যবস্তু হওয়া অনেক শিক্ষার্থীই এর বিরুদ্ধে লড়াই করে সফল হয়েছেন।
আগস্ট মাসে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছিল, তারা ৬ হাজার ভিসা বাতিল করেছে, এবং বাতিল হওয়া ভিসাগুলোর দুই-তৃতীয়াংশ নাকি শিক্ষার্থীদের মার্কিন আইন লঙ্ঘনের কারণে হয়েছে, যার অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পরেও অবস্থান, চুরি, আক্রমণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, এবং সন্ত্রাসবাদে সমর্থন।
তবে, কেবল দেশের অভ্যন্তরের বিদেশী নাগরিকরাই লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন না। জুন মাস থেকে, সম্ভাব্য ছাত্র ভিসার আবেদনকারীরা তাদের রাজনৈতিক মতামত যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান কঠোরতার সম্মুখীন হচ্ছেন।
মার্কিন সরকার এইচ১-বি ভিসা ধারীদের আরও বেশি করে যাচাই করার, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে শরণার্থী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাওয়া ব্যক্তিদের পুনঃসাক্ষাৎকার নেওয়ার, এবং সম্পূর্ণ বা আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হওয়া দেশগুলোর তালিকা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
প্রশাসন এইচ১-বি ভিসার খরচও বাড়িয়েছে যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে চাওয়া বিদেশী নাগরিকদের কাছে এটি কম আকর্ষণীয় হয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ এবং বর্তমান প্রেসিডেন্সির সময় তাঁর প্রধান এজেন্ডাগুলোর একটি ছিল অভিবাসীদের লক্ষ্য করা। ট্রাম্প তথাকথিত মুসলিম নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয়, আরও পরিমার্জিত সংস্করণ কার্যকর করেছিলেন এবং দেশে শরণার্থীদের প্রবেশাধিকারকে ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছেন।
মার্কিন সীমান্তে প্রবেশকারী মানুষের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমে গেছে এবং দেশের অভ্যন্তরে থাকা ‘অবৈধ’ অভিবাসীদের বহিষ্কার প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার চেষ্টা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন আফগান এবং সিরিয়ান নাগরিকদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু করে অস্থায়ী সুরক্ষিত মর্যাদা (টিপিএস) অপসারণের চেষ্টাও করেছে, যা গৃহযুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অস্থায়ীভাবে দেশে থাকার অনুমতিপ্রাপ্ত বিদেশী নাগরিকদের দেওয়া হয়েছিল।
মিডল ইস্ট আই স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত কোনো উত্তর পায়নি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে ট্রাম্প প্রশাসন এই ভিসাগুলো বাতিল করেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রায় অর্ধেক ভিসা বাতিলের অভিযোগ মাদক বা অন্য নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, আক্রমণ, এবং চুরির মতো অপরাধের কারণে হয়েছে। কর্মকর্তাটি আরও জানান, ভিসা বাতিলের এই সংখ্যাটি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের অধীনে গত বছরের সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি।
সাম্প্রতিককালে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে যে—তারা ডানপন্থী মার্কিন রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্কের মৃত্যু উদযাপনকারী কয়েকজনের ভিসা বাতিল করেছে।
বাতিল হওয়া ভিসাগুলোর প্রায় ১০ শতাংশ ছিল শিক্ষার্থীদের, যা সংখ্যায় ৮ হাজারের বেশি।
যাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের মতো বিষয়ে ক্যাম্পাসে তাদের সক্রিয়তার কারণে লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।
২৯ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, এই ধরনের ‘বহিরাগত শিক্ষার্থীদের’ ইহুদি-বিরোধী হিসেবে দেখা হচ্ছে, এবং প্রয়োজন হলে, ‘এই বহিরাগতদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য’ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ফিলিস্তিনপন্থী কাজকর্মের জন্য যাদের বহিষ্কারের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন রঞ্জনি শ্রীনিবাসন এবং রুমেইসা ওজতুর্ক, সেইসাথে মাহমুদ খলিলের মতো শিক্ষার্থীরা, যারা স্থায়ী বৈধ বাসিন্দা ছিলেন।
সমালোচকরা বলেছেন, নিজের মতামত প্রকাশের জন্য বহিষ্কার করাটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সংশোধনীর লঙ্ঘন, এবং ফিলিস্তিন-পন্থী সক্রিয়তার জন্য লক্ষ্যবস্তু হওয়া অনেক শিক্ষার্থীই এর বিরুদ্ধে লড়াই করে সফল হয়েছেন।
আগস্ট মাসে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছিল, তারা ৬ হাজার ভিসা বাতিল করেছে, এবং বাতিল হওয়া ভিসাগুলোর দুই-তৃতীয়াংশ নাকি শিক্ষার্থীদের মার্কিন আইন লঙ্ঘনের কারণে হয়েছে, যার অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পরেও অবস্থান, চুরি, আক্রমণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, এবং সন্ত্রাসবাদে সমর্থন।
তবে, কেবল দেশের অভ্যন্তরের বিদেশী নাগরিকরাই লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন না। জুন মাস থেকে, সম্ভাব্য ছাত্র ভিসার আবেদনকারীরা তাদের রাজনৈতিক মতামত যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান কঠোরতার সম্মুখীন হচ্ছেন।
মার্কিন সরকার এইচ১-বি ভিসা ধারীদের আরও বেশি করে যাচাই করার, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে শরণার্থী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাওয়া ব্যক্তিদের পুনঃসাক্ষাৎকার নেওয়ার, এবং সম্পূর্ণ বা আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হওয়া দেশগুলোর তালিকা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
প্রশাসন এইচ১-বি ভিসার খরচও বাড়িয়েছে যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে চাওয়া বিদেশী নাগরিকদের কাছে এটি কম আকর্ষণীয় হয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ এবং বর্তমান প্রেসিডেন্সির সময় তাঁর প্রধান এজেন্ডাগুলোর একটি ছিল অভিবাসীদের লক্ষ্য করা। ট্রাম্প তথাকথিত মুসলিম নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয়, আরও পরিমার্জিত সংস্করণ কার্যকর করেছিলেন এবং দেশে শরণার্থীদের প্রবেশাধিকারকে ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছেন।
মার্কিন সীমান্তে প্রবেশকারী মানুষের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমে গেছে এবং দেশের অভ্যন্তরে থাকা ‘অবৈধ’ অভিবাসীদের বহিষ্কার প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার চেষ্টা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন আফগান এবং সিরিয়ান নাগরিকদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু করে অস্থায়ী সুরক্ষিত মর্যাদা (টিপিএস) অপসারণের চেষ্টাও করেছে, যা গৃহযুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অস্থায়ীভাবে দেশে থাকার অনুমতিপ্রাপ্ত বিদেশী নাগরিকদের দেওয়া হয়েছিল।
মিডল ইস্ট আই স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত কোনো উত্তর পায়নি।

গতকাল শুক্রবার ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় কাজ এবং ‘একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণে সংগ্রামের জন্য’ ২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। মাচাদো জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন...
১১ অক্টোবর ২০২৫
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক। এবং সংখ্যা ক্রম
২ ঘণ্টা আগে
জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচনার সঙ্গে পরিচিত এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আলোচনার সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে কায়রোতে মিসরীয়, কাতারি এবং তুর্কি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে এই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবটিকে তিনি হামাসের পক্ষ থেকে একটি সারগর্ভ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যার লক্ষ্য হলো—যুদ্ধবিরতি আলোচনার পরবর্তী ধাপে গতি আনা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রস্তাবটি পরিষ্কার। এর মাধ্যমে হামাস এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে কোনো অস্ত্র ছোড়া হবে না, এবং তারা অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলার মাধ্যমে তা করবে। তারা গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত থেকে দশ বছরের জন্য একটি হুদনা (ইসলামিক ঐতিহ্যে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দ) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে, এবং হামাস এই অস্ত্র ব্যবহার করবে না।’
ওই কর্মকর্তার মতে, মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রগুলো এই হুদনার গ্যারান্টার হিসেবে কাজ করবে এবং এর সম্মতি নিশ্চিত করবে। তিনি জানান, অস্ত্রগুলো গোপন করা হবে এবং মধ্যস্থতাকারীরা সরাসরি হামাসের প্রতিশ্রুতিগুলো তত্ত্বাবধান করবেন। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে গাজা নিজেই নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবে।’ তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বিধ্বংসী যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি এবং অবরোধের পর পুনর্গঠন এবং অভ্যন্তরীণ শাসনের দিকে ইঙ্গিত করেন।
হামাস এখন পর্যন্ত একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্বের কর্তৃত্ব ছাড়া তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে অস্বীকার করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই আন্দোলন বারবার বলেছে যে, ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে দখলদারিত্ব শেষ হলেই কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের সশস্ত্র অভিযান বন্ধ হবে।
তবে, এই নতুন প্রস্তাবটি নির্দিষ্টভাবে গাজা নিয়ে, এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামাসের সামরিক সক্ষমতা বা রাজনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়ে এতে কিছু বলা হয়নি, যেখানে গাজা যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, আঞ্চলিক কূটনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণেও এই প্রস্তাবটি তৈরি হয়েছে। তিনি মিসরকে বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, কায়রোর অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে এবং তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, মিসর সম্প্রতি জোর দিয়েছে যে, রাফা ক্রসিংয়ে উভয় দিকেই চলাচল অনুমোদন করতে হবে, যার মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তনও অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ইসরায়েল কেবল গাজা থেকে প্রস্থান করার অনুমতি দিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে গাজার উত্তর ও মধ্যভাগের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়ন করেছে। হামাসও মধ্যস্থতায় অগ্রগতি খুঁজে পেয়েছে এবং অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। আন্দোলনটি সাধারণ অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য একটি বাস্তববাদী উপায়ে বিশ্বাস করে।’

গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচনার সঙ্গে পরিচিত এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আলোচনার সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে কায়রোতে মিসরীয়, কাতারি এবং তুর্কি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে এই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবটিকে তিনি হামাসের পক্ষ থেকে একটি সারগর্ভ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যার লক্ষ্য হলো—যুদ্ধবিরতি আলোচনার পরবর্তী ধাপে গতি আনা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রস্তাবটি পরিষ্কার। এর মাধ্যমে হামাস এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে কোনো অস্ত্র ছোড়া হবে না, এবং তারা অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলার মাধ্যমে তা করবে। তারা গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত থেকে দশ বছরের জন্য একটি হুদনা (ইসলামিক ঐতিহ্যে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দ) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে, এবং হামাস এই অস্ত্র ব্যবহার করবে না।’
ওই কর্মকর্তার মতে, মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রগুলো এই হুদনার গ্যারান্টার হিসেবে কাজ করবে এবং এর সম্মতি নিশ্চিত করবে। তিনি জানান, অস্ত্রগুলো গোপন করা হবে এবং মধ্যস্থতাকারীরা সরাসরি হামাসের প্রতিশ্রুতিগুলো তত্ত্বাবধান করবেন। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে গাজা নিজেই নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবে।’ তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বিধ্বংসী যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি এবং অবরোধের পর পুনর্গঠন এবং অভ্যন্তরীণ শাসনের দিকে ইঙ্গিত করেন।
হামাস এখন পর্যন্ত একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্বের কর্তৃত্ব ছাড়া তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে অস্বীকার করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই আন্দোলন বারবার বলেছে যে, ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে দখলদারিত্ব শেষ হলেই কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের সশস্ত্র অভিযান বন্ধ হবে।
তবে, এই নতুন প্রস্তাবটি নির্দিষ্টভাবে গাজা নিয়ে, এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামাসের সামরিক সক্ষমতা বা রাজনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়ে এতে কিছু বলা হয়নি, যেখানে গাজা যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, আঞ্চলিক কূটনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণেও এই প্রস্তাবটি তৈরি হয়েছে। তিনি মিসরকে বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, কায়রোর অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে এবং তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, মিসর সম্প্রতি জোর দিয়েছে যে, রাফা ক্রসিংয়ে উভয় দিকেই চলাচল অনুমোদন করতে হবে, যার মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তনও অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ইসরায়েল কেবল গাজা থেকে প্রস্থান করার অনুমতি দিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে গাজার উত্তর ও মধ্যভাগের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়ন করেছে। হামাসও মধ্যস্থতায় অগ্রগতি খুঁজে পেয়েছে এবং অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। আন্দোলনটি সাধারণ অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য একটি বাস্তববাদী উপায়ে বিশ্বাস করে।’

গতকাল শুক্রবার ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় কাজ এবং ‘একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণে সংগ্রামের জন্য’ ২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। মাচাদো জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন...
১১ অক্টোবর ২০২৫
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক। এবং সংখ্যা ক্রম
২ ঘণ্টা আগে
জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে