ঘটনার শুরু গত মার্চে। ওই মাসের এক সাদামাটা সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সান জোসের এয়ারবিএনবিতে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। বৈঠকটি টুইটারের জন্য ছিল বিশেষ কিছু। কারণ তার অল্প কয়েক দিন আগেই তিনি টুইটারের অন্যতম শেয়ারহোল্ডার হয়েছেন। তবে তখনো টুইটারের চেয়ারম্যান ব্রেট টেলর জানতেন না বৈঠকটি কেন ডাকা হয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, টুইটারের অংশীদার (শেয়ারহোল্ডার) হওয়ার পর কোম্পানিটির বোর্ডেরও অংশ হওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল ইলনের। সেই উদ্দেশ্য সফল করতেই তিনি বৈঠকটি ডেকেছিলেন।
যাই হোক। যথাসময়ে বৈঠকটি শুরু হয় এবং এর কয়েক দিন পর ইলন মাস্ক ঘোষণা করেন, তিনি টুইটারের বোর্ডে যোগ দিয়েছেন।
সেই ঘোষণা ছিল একটি টান টান উত্তেজনাময় পরবর্তী ছয় মাসের ঘটনাবহুল এক টুইটার-কাণ্ডের শুরু। সত্যিকার অর্থেই মার্চ মাসের পর এ পর্যন্ত টুইটার ও ইলন মাস্ককে ঘিরে যা ঘটেছে, তা সিলিকন ভ্যালির ইতিহাসে কেউ দেখেনি।
এপ্রিলের শুরুর দিকে মাস্ক টুইটার নিয়ে নিয়মিত টুইট করতে শুরু করেন এবং কীভাবে টুইটারে আরও পরিবর্তন আনা যায়, সেসব নিয়ে পোস্ট করতে থাকেন। তাঁকে তখন টুইটার বোর্ডের সদস্য হিসেবে বেশ উৎফুল্লই মনে হচ্ছিল।
তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বের হতে শুরু করে, টুইটারের প্রধান নির্বাহী (সিইও) পরাগ আগরওয়ালের সঙ্গে ইলন মাস্কের বৈঠকগুলো হৃদ্যতাপূর্ণ হচ্ছে না। টুইটার প্ল্যাটফর্মে পরিবর্তন আনার বিষয়ে তাঁরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারছেন না। এ নিয়ে তাঁদের মতবিরোধ একসময় চরমে ওঠে। গুঞ্জন ওঠে, টুইটার কিনতে চান ইলন মাস্ক।
এরপর এপ্রিলের ১৪ তারিখে ইলন মাস্ক প্রকাশ্যে বোমাটি ফাটান এবং ঘোষণা দেন, তিনি টুইটার কিনতে চান।
তখন বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন। টুইটার বোর্ড প্রাথমিকভাবে তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং জোর করে মাস্ক যাতে টুইটার কিনতে না পারেন, সে জন্য ‘পয়জন পিল’ নামে একটি কোম্পানি বিধিমালাও তৈরি করেছিল।
পরে টুইটার বোর্ড অবশ্য তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং টুইটার বেচাকেনা বিষয়ে মাস্কের সঙ্গে চুক্তি করে। এপ্রিলের ২৫ তারিখে টুইটার ঘোষণা করে, তারা ইলন মাস্কের টুইটার ক্রয়বিষয়ক প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে।
ওই দিনই মাস্ক খুশিতে টুইট করেন—‘ইয়েসসসসস’ লিখে।
এরপর হঠাৎ করেই ইলন টুইটারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করতে শুরু করেন। যেমন—টুইটার তার পথ হারিয়েছে, এটি মানুষের বাকস্বাধীনতা খর্ব করে ইত্যাদি। এরপর তিনি সবচেয়ে গুরুতর যে অভিযোগটি তোলেন সেটি হচ্ছে, ভুয়া অ্যাকাউন্ট দিয়ে টুইটার ভরা।
এরপর থেকে তিনি টুইটার কর্তৃপক্ষকে বারবার প্রকৃত ব্যবহারকারীর তথ্য সরবরাহ করতে চাপ দিতে থাকেন। টুইটারের নির্বাহীরা বলেন, টুইটারে ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৫ শতাংশের কম। কিন্তু ইলন তা বিশ্বাস করতে নারাজ। তিনি বারবার প্রকৃত ব্যবহারকারীর তথ্য চাইতে থাকেন টুইটারের কাছে। ইলনের দাবি, টুইটার কর্তৃপক্ষের দাবি করা অ্যাকাউন্টের চেয়ে অনেক বেশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট আছে।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে টুইটারের চুক্তিটি হুমকির মুখে পড়ে। ৪ জুলাই মাস্ক ঘোষণা দেন, তিনি আর টুইটার কিনতে চান না। চুক্তি থেকে বের হয়ে আসতে চান। কিন্তু বেঁকে বসে টুইটার কর্তৃপক্ষ। তারা বলে, টুইটার কিনতে ইলন আইনত বাধ্য। চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
শেষমেশ বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ইলনের বিরুদ্ধে মামলা করে টুইটার। এরপর ইলন মাস্ক টুইটার কিনতে বাধ্য কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে উভয় পক্ষের আইনজীবীকে ১৭ অক্টোবর ডেলাওয়্যারে একটি আদালতে উপস্থিত হতে বলা হয়।
এরপর হঠাৎ করেই ঘটনার মোড় অন্য দিকে ঘুরে যায়। মাস্ক বলেন, ‘তিনি টুইটার কিনবেন। চুক্তিটি সচল থাকবে।’ ইলন মাস্কের এই ঘোষণার পর টুইটার কর্তৃপক্ষ মামলাটি স্থগিত করে।
দীর্ঘ ছয় মাস ধরে জল ঘোলা করার পর আজ শুক্রবার টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নেন ইলন মাস্ক। টুইটারের অন্যতম বিনিয়োগকারী রস গারবারের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলার দিয়ে টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
রস গারবার বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, আদালত মাস্ককে চুক্তি মেনে চলতে চাপ দিয়েছে। বলতে বাধা নেই, শুরুতে এ নিয়ে বেশ জটিলতা দেখা দিয়েছিল।’
বিবিসি আরও জানিয়েছে, টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরপরই মাস্ক তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রধান নির্বাহী পরাগ আগরওয়াল ও প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা নেদ সেগালকে বরখাস্ত করেছেন।
ঘটনার শুরু গত মার্চে। ওই মাসের এক সাদামাটা সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সান জোসের এয়ারবিএনবিতে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। বৈঠকটি টুইটারের জন্য ছিল বিশেষ কিছু। কারণ তার অল্প কয়েক দিন আগেই তিনি টুইটারের অন্যতম শেয়ারহোল্ডার হয়েছেন। তবে তখনো টুইটারের চেয়ারম্যান ব্রেট টেলর জানতেন না বৈঠকটি কেন ডাকা হয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, টুইটারের অংশীদার (শেয়ারহোল্ডার) হওয়ার পর কোম্পানিটির বোর্ডেরও অংশ হওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল ইলনের। সেই উদ্দেশ্য সফল করতেই তিনি বৈঠকটি ডেকেছিলেন।
যাই হোক। যথাসময়ে বৈঠকটি শুরু হয় এবং এর কয়েক দিন পর ইলন মাস্ক ঘোষণা করেন, তিনি টুইটারের বোর্ডে যোগ দিয়েছেন।
সেই ঘোষণা ছিল একটি টান টান উত্তেজনাময় পরবর্তী ছয় মাসের ঘটনাবহুল এক টুইটার-কাণ্ডের শুরু। সত্যিকার অর্থেই মার্চ মাসের পর এ পর্যন্ত টুইটার ও ইলন মাস্ককে ঘিরে যা ঘটেছে, তা সিলিকন ভ্যালির ইতিহাসে কেউ দেখেনি।
এপ্রিলের শুরুর দিকে মাস্ক টুইটার নিয়ে নিয়মিত টুইট করতে শুরু করেন এবং কীভাবে টুইটারে আরও পরিবর্তন আনা যায়, সেসব নিয়ে পোস্ট করতে থাকেন। তাঁকে তখন টুইটার বোর্ডের সদস্য হিসেবে বেশ উৎফুল্লই মনে হচ্ছিল।
তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বের হতে শুরু করে, টুইটারের প্রধান নির্বাহী (সিইও) পরাগ আগরওয়ালের সঙ্গে ইলন মাস্কের বৈঠকগুলো হৃদ্যতাপূর্ণ হচ্ছে না। টুইটার প্ল্যাটফর্মে পরিবর্তন আনার বিষয়ে তাঁরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারছেন না। এ নিয়ে তাঁদের মতবিরোধ একসময় চরমে ওঠে। গুঞ্জন ওঠে, টুইটার কিনতে চান ইলন মাস্ক।
এরপর এপ্রিলের ১৪ তারিখে ইলন মাস্ক প্রকাশ্যে বোমাটি ফাটান এবং ঘোষণা দেন, তিনি টুইটার কিনতে চান।
তখন বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন। টুইটার বোর্ড প্রাথমিকভাবে তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং জোর করে মাস্ক যাতে টুইটার কিনতে না পারেন, সে জন্য ‘পয়জন পিল’ নামে একটি কোম্পানি বিধিমালাও তৈরি করেছিল।
পরে টুইটার বোর্ড অবশ্য তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং টুইটার বেচাকেনা বিষয়ে মাস্কের সঙ্গে চুক্তি করে। এপ্রিলের ২৫ তারিখে টুইটার ঘোষণা করে, তারা ইলন মাস্কের টুইটার ক্রয়বিষয়ক প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে।
ওই দিনই মাস্ক খুশিতে টুইট করেন—‘ইয়েসসসসস’ লিখে।
এরপর হঠাৎ করেই ইলন টুইটারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করতে শুরু করেন। যেমন—টুইটার তার পথ হারিয়েছে, এটি মানুষের বাকস্বাধীনতা খর্ব করে ইত্যাদি। এরপর তিনি সবচেয়ে গুরুতর যে অভিযোগটি তোলেন সেটি হচ্ছে, ভুয়া অ্যাকাউন্ট দিয়ে টুইটার ভরা।
এরপর থেকে তিনি টুইটার কর্তৃপক্ষকে বারবার প্রকৃত ব্যবহারকারীর তথ্য সরবরাহ করতে চাপ দিতে থাকেন। টুইটারের নির্বাহীরা বলেন, টুইটারে ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৫ শতাংশের কম। কিন্তু ইলন তা বিশ্বাস করতে নারাজ। তিনি বারবার প্রকৃত ব্যবহারকারীর তথ্য চাইতে থাকেন টুইটারের কাছে। ইলনের দাবি, টুইটার কর্তৃপক্ষের দাবি করা অ্যাকাউন্টের চেয়ে অনেক বেশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট আছে।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে টুইটারের চুক্তিটি হুমকির মুখে পড়ে। ৪ জুলাই মাস্ক ঘোষণা দেন, তিনি আর টুইটার কিনতে চান না। চুক্তি থেকে বের হয়ে আসতে চান। কিন্তু বেঁকে বসে টুইটার কর্তৃপক্ষ। তারা বলে, টুইটার কিনতে ইলন আইনত বাধ্য। চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
শেষমেশ বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ইলনের বিরুদ্ধে মামলা করে টুইটার। এরপর ইলন মাস্ক টুইটার কিনতে বাধ্য কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে উভয় পক্ষের আইনজীবীকে ১৭ অক্টোবর ডেলাওয়্যারে একটি আদালতে উপস্থিত হতে বলা হয়।
এরপর হঠাৎ করেই ঘটনার মোড় অন্য দিকে ঘুরে যায়। মাস্ক বলেন, ‘তিনি টুইটার কিনবেন। চুক্তিটি সচল থাকবে।’ ইলন মাস্কের এই ঘোষণার পর টুইটার কর্তৃপক্ষ মামলাটি স্থগিত করে।
দীর্ঘ ছয় মাস ধরে জল ঘোলা করার পর আজ শুক্রবার টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নেন ইলন মাস্ক। টুইটারের অন্যতম বিনিয়োগকারী রস গারবারের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলার দিয়ে টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
রস গারবার বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, আদালত মাস্ককে চুক্তি মেনে চলতে চাপ দিয়েছে। বলতে বাধা নেই, শুরুতে এ নিয়ে বেশ জটিলতা দেখা দিয়েছিল।’
বিবিসি আরও জানিয়েছে, টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরপরই মাস্ক তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রধান নির্বাহী পরাগ আগরওয়াল ও প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা নেদ সেগালকে বরখাস্ত করেছেন।
যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকম একটি নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। তারা রাজনীতিকদের সংবাদ উপস্থাপক হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে। হাইকোর্টের সঙ্গে জিবি নিউজের আইনি লড়াইয়ের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি তাদের নিয়ম আরও কঠোর করতে চাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেযুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর সেই আহ্বানে এক প্রকার সরাসরিই সাড়া দিয়েছেন ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। উভয় দেশই আশাবাদী, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে হতে যাওয়া সরাসরি আলোচনা ফলপ্রসূ হবে। এদিকে, এই আলোচনায় উপস্থিত থাকার আগ্রহ
১ ঘণ্টা আগেলিবিয়ার সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাতের আন্দোলনে যেসব সশস্ত্র গোষ্ঠী অংশ নিয়েছিল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম সাপোর্ট ফোর্স অ্যাপারেটাস বা এসএসএ। গতকাল সোমবার গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা আব্দুল গনি কিকলি নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর পর রাজধানী ত্রিপোলিসহ লিবিয়াজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেগত ২০১৮ সালের পর থেকে মাসে অন্তত একবার গির্জায় যাওয়া লোকের সংখ্যা বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। এবং তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি, বিশেষ করে তরুণ পুরুষদের মধ্যে। ২০১৮ সালে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে মাত্র ৪ শতাংশ নিয়মিত গির্জায় যেতেন। তবে ২০২৪ সালে এই সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৬ শতাংশ হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে