Ajker Patrika

ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র

ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র

ভারতের কিছু কর্মকর্তার হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বৃদ্ধির বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মনিয়ম জয়শঙ্কর এবং ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় এ কথা বলেন।

ভারতের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে ওয়াশিংটনের এমন প্রতিক্রিয়া খুবই বিরল। 

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত আমাদের ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে সাধারণ মূল্যবোধের (মানবাধিকারের) বিষয়ে যোগাযোগ রাখি। সে হিসেবে, আমরা কিছু সরকারি, পুলিশ এবং জেলা কর্মকর্তার মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন বৃদ্ধিসহ ভারতে সাম্প্রতিক কিছু পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।’ 

ব্লিঙ্কেন এ বিষয়টি নিয়ে আর বিস্তারিত বলেননি। ব্রিফিংয়ে ব্লিঙ্কেনের পরে কথা বলেন রাজনাথ সিং এবং জয়শঙ্কর। তাঁরা মানবাধিকার ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করেননি। 

মার্কিন কংগ্রেস ম্যান ইলহান ওমর মানবাধিকার বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের সমালোচনা করতে মার্কিন সরকারের কথিত অনিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কয়েক দিন পর ব্লিঙ্কেনের এমন মন্তব্য এল। 

ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য ইলহান গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘আমরা তাঁদের শান্তির অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করা বন্ধ করার আগে ভারতের মুসলিম জনগণের জন্য মোদির কী করা উচিত?’ 

নরেন্দ্র মোদির সমালোচকেরা বলেন, তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী শাসক দল ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধর্মীয় মেরুকরণকে উৎসাহিত করে যাচ্ছে। 

মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে, ডানপন্থী হিন্দু গোষ্ঠী সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ শুরু করেছে। ধর্মান্তরিতকরণ প্রতিরোধের কথা বলে তাঁরা সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করছেন। বেশ কয়েকটি রাজ্য ধর্মান্তর বিরোধী আইন পাস করেছে, কেউ কেউ এমন আইন করার কথা বিবেচনা করছে। এটি বিশ্বাসের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকেরা। 

২০১৯ সালে বিজেপি সরকার বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন পাস করে। এটি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে ক্ষুণ্ন করেছে। একই বছর পুনর্নির্বাচনে জয়লাভের পরপরই মোদির সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে। মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটিকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে একীভূত করার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেয় সরকার। এর প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রশাসন কাশ্মীরের অনেক রাজনৈতিক নেতাকে আটক করে এবং বিপুলসংখ্যক আধাসামরিক পুলিশ এবং সেনা পাঠায়। 

মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সম্প্রতি কর্ণাটক রাজ্যে ক্লাসরুমে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করেছে। কট্টরপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীগুলো পরে ভারতের আরও রাজ্যে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে আসছে। সর্বশেষ সোমবার (১২ এপ্রিল) রামনবমীর দিনে কয়েকটি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। অন্তত চারটি রাজ্যে ব্যাপক সহিংসতার খবর পাওয়া যায়। সংঘাতে অন্তত একজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। মুসলিমদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

পারভেজ হত্যায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাং সদস্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত