Ajker Patrika

ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ অব্যাহত, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯: ৪৬
Thumbnail image

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এই প্রতিবাদ ঠেকানোর অংশ হিসেবে ‘নতুন নিরাপত্তাব্যবস্থার’ কথা বলে সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল করেছে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া (ইউএসসি)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে শত শত বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ক্যাম্পাসগুলো থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সরে যেতে বাধ্য করার জন্য পুলিশ ডেকে এনেছিল কর্তৃপক্ষ।

তবে কিছু ক্যাম্পাসে আলোচনাও হচ্ছে। নিউইয়র্ক সিটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গত সপ্তাহে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ কর্মসূচি। বিতর্কের জন্য স্থাপন করা হয়েছিল শিবির। তবে এই কর্মসূচি শেষ করার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার রাতকে সময়সীমা হিসেবে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়সীমাও বাতিল করা হয়েছে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, আলোচনায় অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে এবং আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

অন্যদিকে, আটলান্টার ইমোরি ইউনিভার্সিটিতে গতকাল ২৮ জন বিক্ষোভকারীকে ক্যাম্পাসে ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা এই নির্দেশ না মানলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ইমোরির পুলিশ বাহিনীর দাবি, গতকাল সকালে এলাকাটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের দিকে বিভিন্ন জিনিস ছুড়ছিলেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে পুলিশ।

আটলান্টা পুলিশও রাসায়নিক জ্বালানি ব্যবহার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তারা বিক্ষোভকারীদের ওপর রাবার বুলেট ছোড়ার খবর অস্বীকার করেছে।

সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশের হাতে আটক এক বিক্ষোভকারী নিজেকে ইমোরি ইউনিভার্সিটির দর্শন বিভাগের চেয়ার নোয়েল ম্যাকাফি বলে পরিচয় দেন। বিক্ষোভ কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিসেবে বর্ণনা করে ম্যাকাফি বলেন, ‘এটি একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ থেকে এক মিনিটের ব্যবধানে মারপিটে পরিণত হয়েছে।’

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের সরাতে পুলিশ ডাকলে গ্রেপ্তার হন শতাধিক বিক্ষোভকারী। এরপরই ক্যাম্পাসটিতে শুরু হয় সর্বশেষ বিক্ষোভ।

গণহত্যা থেকে দূরে থাকা এবং গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধকে সমর্থনকারী অস্ত্র উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্থ বিনিয়োগ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন বিক্ষোভকারীরা।

কানেকটিকাটের ইয়েল ইউনিভার্সিটির আইনের ছাত্র এবং প্রতিবাদী নেতা চিসাতো মিমুরা বিবিসিকে বলেছেন, গণহত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো ইসরায়েলকে দেওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওপরও বেশ বিরক্ত তাঁরা। তিনি বলেন, ‘বাইডেন প্রশাসন গাজার গণহত্যায় নিজেদের সম্পূর্ণ সক্ষমতা ঢেলে দিয়েছে। তারা যে ভূমিকা পালন করছে, সে সম্পর্কে আমরা ভালোভাবেই সচেতন।’

মার্কিন ক্যাম্পাসে বেশ কিছু বিক্ষোভের বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ আনা হয়েছে। বেশ কিছু ইহুদি ছাত্র বলেছেন, তাঁরা কলম্বিয়া এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিরাপদ বোধ করছেন। তবে অন্য অনেক ইহুদি শিক্ষার্থী গণহত্যাবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত