Ajker Patrika

বহু সংস্কৃতি ও কমিউনিজমকে ‘ধ্বংসাত্মক’ বলতেন ফ্লোরিডার বন্দুকধারী

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১: ৪৪
কট্টর রক্ষণশীল এক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। ছবি: সিএনএনের সৌজন্যে
কট্টর রক্ষণশীল এক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। ছবি: সিএনএনের সৌজন্যে

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো তরুণ কট্টর রক্ষণশীল বলে জানিয়েছেন তাঁর সহপাঠীরা। ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র রিড সেবোল্ড সিএনএনকে বলেছেন, তিনি সন্দেহভাজন বন্দুকধারী ফিনিক্স ইকনারকে চিনতেন। কয়েক বছর আগে একটি অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক রাজনৈতিক ক্লাবে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল।

সেবোল্ড বলেন, ইকনারকে সংগঠন থেকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। সংগঠনটি সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করত। কিন্তু তাঁর আচরণ অন্যদের ভয়ানক অস্বস্তিতে ফেলেছিল।

সেবোল্ড সিএনএনের ওমর জিমেনেজকে বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী ক্রমাগত এত বেশিসংখ্যক লোককে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন যে, কিছু লোক ক্লাবে আসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তখনই আমরা ফিনিক্সের সঙ্গে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলাম এবং তাঁকে চলে যেতে বলেছিলাম।’

সেবোল্ড বলেন, ইকনারের মন্তব্য ‘রক্ষণশীলতার ঊর্ধ্বে’ চলে গিয়েছিল।

‘ওই ঘটনার কয়েক বছর পার হয়ে গেছে। আমি সঠিক উদ্ধৃতি দিতে পারব না, তবে যতটুকু মনে পড়ে, ফিনিক্স বলেছিলেন, ‘তিনি বহু সংস্কৃতিবাদ এবং কমিউনিজমের ধ্বংসাত্মক প্রকৃতি এবং কীভাবে এটি আমেরিকাকে ধ্বংস করছে’ সে সম্পর্কে কথা বলতেন। যোগ করেন সহপাঠী সেবোল্ড।

সিএনএন সন্দেহভাজনের আদর্শ ও বিশ্বাস সম্পর্কে করা দাবিগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত গুলির ঘটনার পেছনের কোনো সম্ভাব্য উদ্দেশ্য প্রকাশ করেনি।

সেবোল্ড সিএনএনকে সেই ভয়াবহ মুহূর্তগুলোর কথা বর্ণনা করেন, যখন তাঁর ক্লাসরুমের কাছে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। তিনি বলেন, তিনি এবং তাঁর সহপাঠীরা হাই স্কুলে যা করতে শেখানো হয়েছিল তা-ই করেছিলেন: আলো নিভিয়ে দেওয়া, দরজা বন্ধ করা এবং ডেস্কের নিচে লুকিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা। আমার মনে আছে, কেউ আমাদের দরজা খোলার চেষ্টা করছিল...প্রথমবার, সবাই ভেবেছিল ওটাই বন্দুকধারী।

সেই উত্তেজনাকর মুহূর্তে সেবোল্ড ও তাঁর সহপাঠীরা একে অপরকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পরস্পরের দিকে তাকাচ্ছিলেন।

সেবোল্ড বলেন, ‘আমরা সেখানে আমাদের পাশের জনকে জড়িয়ে ধরেছিলাম—সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। আমরা তাদের অনেককেই চিনতাম না। আমি যাদের ভালোবাসি তাদের টেক্সট করছিলাম। বলছিলাম...“এই, আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি তোমাকে আর নাও দেখতে পারি। আমি মারা যেতে পারি”!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত