Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্রের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো ভেড়ার চারণভূমি, উল্টো টাকা পাচ্ছেন কৃষকেরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
যুক্তরাষ্ট্রে সোলার প্যানেলে ভেড়া চরিয়ে অর্থ আয়ের বিকল্প উৎস তৈরি করেছেন কৃষকেরা। ছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্রে সোলার প্যানেলে ভেড়া চরিয়ে অর্থ আয়ের বিকল্প উৎস তৈরি করেছেন কৃষকেরা। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের কৃষক চ্যাড রেইনস এবং তাঁর পরিবার ৪ প্রজন্ম ধরে তুলা চাষ করে আসছিলেন। কিন্তু গত বছর তারা প্রথমবারের মতো তুলা চাষ করেননি। রেইনস তাঁর ট্রাক্টর বন্ধ রেখে বেশির ভাগ কৃষিজমি এক প্রতিবেশীকে লিজ দেন। তিনি বছরটি কাটান ভেড়ার পাল চরিয়ে। তিনি ভেড়াগুলোকে একটি সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে এমন একটি এলাকায় নিয়ে যান। যেখানে ভেড়াগুলো সোলার প্যানেলের চারপাশে গজিয়ে ওঠা ঘাস খেয়ে ফেলে। চ্যাড রেইনস পাঁচটি সোলার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন, তাদের খামারে গজিয়ে ওঠা ঘাস পরিষ্কারের জন্য। এই চুক্তিগুলো চ্যাডের কাছে তুলা চাষের চেয়ে বেশি লাভজনক বলে প্রমাণিত হয়।

৫২ বছর বয়সী চাষি চ্যাড রেইনস বলেন, ‘তুলার দাম অনেক দিন ধরেই খুব খারাপ, তাই আমাকে ভিন্ন কিছু করতেই হতো।’

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকেরা ক্রমবর্ধমান ঋণ ও আয় সংকটের মুখে পড়ায় বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছেন। এসব পথের মধ্যে একটি হলো সোলার গ্রেজিং অর্থাৎ সোলার প্যানেল স্থাপন করা কৃষি জমিতে গবাদিপশু চরিয়ে ঘাস শেষ করা। কৃষি অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি মন্দার কারণে, চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং এই পরিস্থিতিতে আয়ের উৎস বৈচিত্র্যময় করার প্রবণতা বাড়ছে।

রেইনস গত বছর তুলা চাষ করলে, তাঁর আনুমানিক ২ লাখ ডলার ক্ষতি হতো। শুধু ভেড়ার মাংস বিক্রি করেও পর্যাপ্ত লাভ করা কঠিন হতো। কিন্তু সোলার গ্রেজিং থেকে আয় এবং রেস্তোরাঁ সরবরাহকারীদের কাছে ভেড়ার মাংস বিক্রির মাধ্যমে তিনি ৩ লাখ ডলার লাভ করেছেন।

রেইনস বলেন, ‘আমার সব খরচ, শ্রমিকদের বেতন থেকে শুরু করে রক্ষী কুকুরগুলোর জন্য মাসে ২ হাজার ডলার খরচ—সব সৌর প্রকল্প থেকেই আসে।’ তিনি জানান, তাঁর ছেলেও নতুন এই উদ্যোগে সাহায্য করছেন।

তবে মার্কিন সরকারি নীতিতে পরিবর্তনের কারণে এমন সুযোগ কমে যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি সম্পর্কিত তহবিল বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছেন। এর ফলে, ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্টের অধীনে সবুজ জ্বালানি প্রকল্পের জন্য দেওয়া প্রণোদনা প্রভাবিত হতে পারে।

ট্রাম্প প্রশাসন সরকারি অনুদান ও ঋণের পর্যালোচনার অংশ হিসেবে ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্টের অর্থায়ন স্থগিত করেছে। যদিও আদালতের আদেশের ফলে কিছু তহবিল মুক্ত করা গেছে, কিন্তু অনেক গোষ্ঠীই এই তহবিল পেতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।

গত দুই বছরে বিশ্বব্যাপী অতিরিক্ত মজুত এবং কম চাহিদার কারণে মার্কিন তুলার দাম প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গেছে। মার্কিন তুলা রপ্তানিও হ্রাস পেয়েছে, কারণ সস্তা ব্রাজিলের তুলা এবং দুর্বল চীনা চাহিদার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে দেশটির হিস্যা কমে গেছে। তুলার বাজারে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ভিএলএম কমোডিটিজের ম্যানেজিং পার্টনার লুই বারবেরা বলেন, ‘গত তিন বছর টেক্সাসের তুলা চাষিদের জন্য ভয়াবহ ছিল।’

কানসাস স্টেট ইউনিভার্সিটির কৃষি অর্থনীতিবিদ জেনিফার ইফট জানান, যদিও এ বছর সামগ্রিকভাবে মার্কিন কৃষি আয় উন্নতি করবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে এটি মূলত উচ্চ পশুখাদ্য মূল্যের কারণে এবং ২০২৫ সালের আমেরিকান রিলিফ অ্যাক্টের অধীনে প্রত্যাশিত সরকারি সহায়তার ফলে হবে। তবে মুদ্রাস্ফীতির সমন্বয়ে হিসাব করলে, ভুট্টা ও সয়াবিন চাষিদের প্রকৃত আয় ২০১০ সালের পর সর্বনিম্ন থাকবে।

যেসব কৃষক ঋণের ওপর বেশি নির্ভরশীল, তারা ২০২৪ সালে ঋণ পরিশোধে ধীর গতি দেখিয়েছেন এবং অনেকেই টিকে থাকার জন্য সম্পদ বিক্রি করছেন—এমন তথ্য দিয়েছে কানসাস সিটি ও মিনিয়াপোলিসের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। মিনিয়াপোলিস ফেডারেল রিজার্ভের সিনিয়র পরীক্ষক ও কৃষি ঝুঁকি বিশেষজ্ঞ টেইট বার্গ বলেন, ‘কৃষি মন্দার সময় আয় বৈচিত্র্যময় করার বিষয়টি খামারগুলোকে বাঁচিয়ে দিতে পারে।’

অনেক কৃষক ব্যয়বহুল বীজ ও যন্ত্রপাতি মেরামতের খরচ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাদের কাছে সোলার গ্রেজিং চুক্তি সহায়ক পথ। এই চুক্তিগুলো তাদের মুনাফার পথ দেখাচ্ছে।

আমেরিকান সোলার গ্রেজিং অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের সৌর খামারগুলোতে ১ লাখ ২৯ হাজার একর জমিতে ভেড়া চরানো হয়েছে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫ হাজার একর। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে সোলার গ্রেজিংয়ে ব্যবহৃত ভেড়ার সংখ্যা ৮০ হাজার থেকে বেড়ে ১ লাখ ১৩ হাজারে দাঁড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে সোলার প্যানেলে ভেড়া চরিয়ে অর্থ আয়ের বিকল্প উৎস তৈরি করেছেন কৃষকেরা। ছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্রে সোলার প্যানেলে ভেড়া চরিয়ে অর্থ আয়ের বিকল্প উৎস তৈরি করেছেন কৃষকেরা। ছবি: এএফপি

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সৌর শিল্প বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং ২০২২ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রণীত একটি আইন সবুজ জ্বালানি প্রকল্পগুলোর জন্য ভর্তুকি দেওয়ার ফলে শিল্পটি আরও প্রসার লাভ করে। সৌর শক্তি শিল্পের শীর্ষ সংস্থা সোলার এনার্জি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও আবিগেল রস হপার জানান, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদেও এই খাতের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকার আশা করা হচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আন্না কেলি রয়টার্সকে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন প্রকল্পগুলো বাদ দেবেন যা আমেরিকান জনগণের স্বার্থে নয় এবং এমন প্রকল্প রেখে দেবেন যা আমেরিকা ফার্স্ট নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

ইন্ডিয়ানা ও ইলিনয় রাজ্যের মতো এলাকায় সৌর শিল্পের প্রসার তরুণ কৃষকদের আকৃষ্ট করেছে। কারণ, তারা বিশাল ঋণের বোঝা না নিয়েই কৃষিতে প্রবেশ করতে চান। ভার্জিনিয়ার মার্কাস ও জেস গ্রে তাদের চাষাবাদের পরিকল্পনা পিছিয়ে দিয়ে ডমিনিয়ন এনার্জি ও আরবান গ্রিডের সঙ্গে লাভজনক চুক্তি করেছেন। বর্তমানে তারা ৪ হাজার একর সৌর খামারে ৯০০টি ভেড়া চরাচ্ছেন।

৩৯ বছর বয়সী জেস গ্রে বলেন, ‘এটি একটি নিশ্চিত আয়ের উৎস, যেখানে আমরা নিজেরাই দরদাম করতে পারি। ফসল ঘরে তোলার পর স্থানীয় বাজারে নিয়ে গিয়ে তাদের নির্ধারিত দামে বিক্রি করার চেয়ে এটি অনেক ভালো।’

সৌর প্রকল্পে ঘাস ব্যবস্থাপনার জন্য ভেড়া ব্যবহার করলে ব্যয় সাশ্রয় হয়। টেনেসিভিত্তিক সৌর কোম্পানি সিলিকন র‍্যাঞ্চের সিইও রেগান ফার জানান, শুরুতে অবকাঠামোগত ব্যয় বেশি হলেও দীর্ঘ মেয়াদে এটি লাভজনক। তিনি বলেন, ‘যদি ভেড়ার পাল স্থানান্তর করতে না হয় বা বাইরে থেকে পানি সরবরাহ করতে না হয়, তাহলে এটি আরও লাভজনক হয়। একজন মালিকে প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা ঘাস কাটানোর জন্য নিয়োগ দেওয়ার চেয়ে মেষপালকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়াই আমাদের জন্য সহজ ও কম ব্যয়বহুল।’

সোলার গ্রেজিংয়ের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে সিলিকন র‍্যাঞ্চ জর্জিয়ায় একটি ভেড়া প্রজনন কর্মসূচি চালু করেছে, যা স্থানীয় কৃষকদের সহায়তা করবে।

রেইনস এবং তাঁর পরিবারের জন্য তুলা চাষ ছেড়ে সোলার গ্রেজিংয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি ছিল পুরোপুরি আর্থিক। রেইনস বলেন, ‘যদি আমি ফসল চাষ চালিয়ে যেতাম, তাহলে আমাদের পারিবারিক খামার এখন বন্ধ হয়ে যেত।’

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৫৯০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর এবার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে বৈঠক হবে ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের প্রাথমিক ঘোষণা আসে। তবে আজ ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শশ বেদ্রোসিয়ান অনলাইন ব্রিফিংয়ে বৈঠকের প্রধান আলোচ্যসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।

বৈঠকে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প গাজার যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনের বিষয়টি নিয়েও কথা হবে।

গতকাল রোববার নেতানিয়াহু বলেছিলেন, বৈঠকের মূল লক্ষ্য হবে গাজায় হামাসের শাসনের অবসান করা এবং হামাস যেন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় দেওয়া ‘প্রতিশ্রুতি’ (নিরস্ত্রীকরণ) পূরণ করে, তা নিশ্চিত করা। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ ‘আরও কঠিন’ হবে।

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে প্রধানত ইসরায়েলি বন্দী ও ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনিদের বিনিময় এবং গাজার কিছু অংশ থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপের চুক্তিতে যুদ্ধপরবর্তী গাজা প্রশাসন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা, যা একটি অত্যন্ত জটিল ও বহুলাংশে অমীমাংসিত বিষয়। এই ধাপে নেতৃত্ব, ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং আইএসএফ বাহিনীর ভূমিকা নির্ধারণ করা বাকি রয়েছে।

গত ১০ অক্টোবর থেকে মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী ৫৯০ বারের বেশি এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে জানা গেছে। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অন্তত ৩৬০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে, বৈঠকটি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে ইসরায়েলকে একটি নতুন নিরাপত্তা চুক্তি করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। গত সপ্তাহে তিনি সামাজিক মাধ্যমে ইসরায়েলকে সিরিয়ার সঙ্গে ‘শক্তিশালী ও ফলপ্রসূ সংলাপের’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে সিরিয়ায় ইসরায়েলের বারবার অনুপ্রবেশ এবং বিমান হামলা সেই আলোচনাকে বহুলাংশে ব্যাহত করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অস্ট্রেলিয়ায় তরুণীকে হত্যার পর ৪ বছর ভারতে লুকিয়ে ছিলেন ঘাতক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ঘাতক রাজবিন্দর সিং ও হত্যার শিকার টোইয়া কর্ডিঙ্গলি। ছবি: সংগৃহীত
ঘাতক রাজবিন্দর সিং ও হত্যার শিকার টোইয়া কর্ডিঙ্গলি। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। সোমবার জুরি বোর্ডের সদস্যরা তাঁকে দোষী ঘোষণা করলে আদালতে উপস্থিত মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন।

বিবিসি জানিয়েছে, টোইয়া কর্ডিঙ্গলিকে অন্তত ২৬ বার ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। সেদিন বিকেলে তিনি তাঁর কুকুর নিয়ে সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। পরদিন সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে অর্ধেক ঢেকে থাকা অবস্থায় মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন তাঁর বাবা। কুইন্সল্যান্ডের কেয়ার্নস ও পোর্ট ডগলাস—এই দুই জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ওই সৈকতটি।

মামলার শুনানিতে আদালত জানান, কর্ডিঙ্গলিকে বারবার ছুরিকাঘাত করা হয় এবং তাঁর দেহ অগভীর বালুকাময় গর্তে ফেলে রাখা হয়—যেখানে তার বেঁচে থাকার কোনো আশাই ছিল না।

অভিযুক্ত রাজবিন্দর সেই সময়টিতে কুইন্সল্যান্ডের ইনিসফেইল এলাকায় বসবাস করতেন, যা হত্যার স্থান থেকে প্রায় দুই ঘণ্টার দূরত্বে। তদন্ত শুরু হওয়ার পরপরই পুলিশের সন্দেহ তাঁর ওপর গিয়ে পড়ে। তবে সেই সময়ই তিনি হঠাৎ অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। ফেলে রেখে যান তাঁর স্ত্রী, তিন সন্তান এবং বাবা-মাকে।

চার বছর ভারতে লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ায়। গত মার্চে এই মামলাটির প্রথম বিচার প্রক্রিয়া জুরি বোর্ডের অমতজনিত কারণে স্থগিত হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার বিচার শেষে এবার তাঁকে দোষী ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রসিকিউটররা মত দিয়েছেন, রাজবিন্দরের হঠাৎ দেশত্যাগই তাঁর অপরাধবোধের প্রমাণ। ফরেনসিক প্রমাণও তাঁকেই দোষী সাব্যস্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা একটি কাঠির ওপর পাওয়া ডিএনএ নমুনা অন্য কারও নয়, বরং রাজবিন্দরের হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ৩.৮ বিলিয়ন গুণ বেশি। এ ছাড়া কর্ডিঙ্গলির মোবাইল ফোনের গতিবিধি এবং সিংয়ের গাড়ির অবস্থান হত্যাকাণ্ডের সময়ের সঙ্গে মিলে যায়।

টোইয়া কর্ডিঙ্গলি স্থানীয় স্বাস্থ্য পণ্যের দোকানে কাজ করতেন এবং পশু উদ্ধারকারী সংগঠনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর কুইন্সল্যান্ড জুড়ে ব্যাপক শোক দেখা দেয়।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রাজবিন্দর সিংকে আগামী মঙ্গলবার সাজা ঘোষণার জন্য আবার আদালতে হাজির করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তান আর গণতন্ত্র একসঙ্গে যায় না—ইমরান খানকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় মুখপাত্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রণধীর জয়সওয়াল। ফাইল ছবি
রণধীর জয়সওয়াল। ফাইল ছবি

পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ সোমবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না।’ প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সেখানে চলমান প্রতিবাদ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে জয়সওয়াল এই মন্তব্য করেন।

ইমরান খানের বর্তমান অবস্থা ও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে নিয়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরীর মন্তব্য, নানান আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিককাঠামো দুর্বল হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, ভারত সেখানকার সব ঘটনার ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।

জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের প্রতিটি ঘটনার ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখি। আপনি জানতে চেয়েছেন, পাকিস্তানের গণতন্ত্র দুর্বল হচ্ছে কি না। আসলে গণতন্ত্র আর পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না। এ বিষয়ে আমরা যত কম কথা বলব, ততই ভালো।’

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল আফগান বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে সংঘর্ষের খবর আমরা দেখেছি। এতে বহু আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আমরা নিরপরাধ আফগান জনগণের ওপর এই ধরনের হামলার নিন্দা জানাই।’ ভারত আফগানিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে তাদের সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেন, এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

গত শুক্রবার কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।

জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেন, ‘ইমরান খান সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রচার চালাচ্ছেন, বিদেশি শক্তির সঙ্গে সমন্বয় করছেন এবং নানা ভুল তথ্য ছড়িয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছেন।’ তাঁর ভাষ্য, পাকিস্তানের ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতেই’ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তিনি। এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘রাষ্ট্রের ওপরে কেউ নয়।’

ইমরান খানের নাম উল্লেখ না করে আইএসপিআর মহাপরিচালক বলেন, একজন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব—যাঁর নাম না নিলেও সবার জানা—নিজের অহংকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছেন যে তিনি মনে করেন, ‘আমিই কিছু।’ এই বিভ্রান্তিকর মানসিকতার কারণেই তাঁর বয়ান ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে’ পরিণত হয়েছে।

এর আগে কারাগারে থাকা ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন তাঁর তিন বোন। এরপরই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কারাগারে মারা গেছেন—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামি সতর্কতা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ০৯
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সমুদ্রের ৩২ মাইল গভীরে। ছবি: জাপান টাইমস
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সমুদ্রের ৩২ মাইল গভীরে। ছবি: জাপান টাইমস

জাপানের উত্তর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে হোক্কাইডো অঞ্চলের উপকূল থেকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) প্রাথমিক তথ্যে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সমুদ্রের ৩২ মাইল গভীরে, ৪১° উত্তর অক্ষাংশ ও ১৪২.৩° পূর্ব দ্রাঘিমাংশের কাছাকাছি।

‘জাপান টাইমস’ সহ জাপানের অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সুনামির কারণে সমুদ্রতটে ঢেউয়ের উচ্চতা সর্বোচ্চ ১ মিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে প্রাথমিক পূর্বাভাসে ৩ মিটার উচ্চতার ঢেউয়ের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছিল।

তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। একইভাবে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা কাছাকাছি থাকা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ৯ নভেম্বর উত্তর জাপানে আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সেই সময় উপকূলীয় এলাকায় স্বল্প সময়ের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। ৬.৯ মাত্রার সেই ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩ মিনিটে ইওয়াতে উপকূলে আঘাত হানে এবং প্রায় ২০ কিলোমিটার গভীর থেকে এর উৎপত্তি হয়। ওই ঘটনার পর বেশ কয়েকটি পরাঘাতও অনুভূত হয়েছিল।

নভেম্বরের ওই ভূমিকম্পে ওফুনাতো, মিয়াকো, কামাইশি, ওমিনাতো ও কুজিসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার উচ্চতার ক্ষুদ্র সুনামি ঢেউ রেকর্ড করা হয়েছিল। সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছিল প্রায় তিন ঘণ্টা পর। তবে বিশেষজ্ঞরা আগেই জানান, ওই অঞ্চলে পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত শক্তিশালী পরাঘাত অনুভূত হতে পারে।

জাপান প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত হওয়ায় ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রায়ই দেশটিতে ছোট-বড় ভূমিকম্প অনুভূত হয় এবং বড় ধরনের কম্পনের ক্ষেত্রে সেখানে প্রায় সময়ই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।

সর্বশেষ ভূমিকম্পের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জনগণকে সতর্ক থাকতে, প্রয়োজন হলে উঁচু স্থানে সরে যেতে এবং সরকারি ঘোষণার প্রতি নজর রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত