অনলাইন ডেস্ক
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসনবিরোধী নীতির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় ১১৯ ভারতীয়কে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে পাঞ্জাবের অমৃতসর বিমানবন্দরে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে অবতরণ করবে একটি মার্কিন সামরিক বিমান।
এদের মধ্যে ৬৭ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার, ৮ জন গুজরাটের, ৩ জন উত্তর প্রদেশের, ২ জন করে গোয়া, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের এবং ১ জন করে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক। এ ছাড়া আগামীকাল আরও একটি ফ্লাইটে তৃতীয় দফার অবৈধ ভারতীয়দের দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর এই প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহগুলোতেও চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রত্যেক ১৫ দিন পর সামরিক বিমানের ফ্লাইটে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হবে, যত দিন পর্যন্ত না সবাই দেশে ফিরে আসে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তাই আরও অনেককে ফেরত পাঠানো হতে পারে।
এর আগে, ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান ১০৪ ভারতীয়কে নিয়ে অবতরণ করে। তাঁদের মধ্যে ৩৩ জন করে ছিলেন হরিয়ানা ও গুজরাটের, ৩০ জন পাঞ্জাবের, ৩ জন করে মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশের এবং ২ জন চণ্ডীগড়ের।
তবে দেশে ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করা হয়েছে, তা নিয়ে দেশটিতে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্ডার প্যাট্রল কর্মকর্তারা ভারতীয়দের হাতকড়া পরিয়ে এবং পা শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। প্লেন থেকে নামানোর সময় দেখে মনে হচ্ছিল, কোনো কুখ্যাত অপরাধীকে আনা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর ভারতের বিরোধী দলগুলো কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে। তারা প্রশ্ন তুলছে, কেন ভারত সরকার নিজস্ব উদ্যোগে একটি ফ্লাইট পাঠিয়ে নিজের নাগরিকদের সম্মানের সঙ্গে দেশে ফেরত আনতে পারেনি।
কংগ্রেস নেতা পি. চিদাম্বরম বলেন, ‘আজ রাতে অমৃতসরে অবতরণ করা মার্কিন সামরিক বিমানের দিকে সবার দৃষ্টি থাকবে। এবারও কি তাঁরা হাতকড়া পরানো অবস্থায় থাকবেন? ভারতীয় কূটনীতির জন্য এটি একটি বড় পরীক্ষা।’
বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থা (আইসিই) এই প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে এবং এই সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তার জন্য বন্দীদের হাতকড়া পরানো হয়। তবে, নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তাদের খাবার, চিকিৎসা ও টয়লেট ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হয়।’
জয়শঙ্কর আরও জানান, এমন ঘটনা নতুন নয়। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭৫৬ ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪২ জন এবং ২০২০ সালে ১ হাজার ৮৮৯ জন।
এদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পিতভাবে পাঞ্জাবের ‘বদনাম’ করতে অমৃতসরকে অবতরণের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে।
ভগবন্ত মান বলেন, ‘দ্বিতীয় দফায় ফেরত আসা ভারতীয়দের বহনকারী বিমানটি আবারও অমৃতসরে নামানো হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যাখ্যা করতে হবে, কেন এই শহরকে বেছে নেওয়া হলো? এটি পাঞ্জাবকে অসম্মান করার একটি ষড়যন্ত্র। যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ট্রাম্প বৈঠক করছিলেন, তখনই কি আমাদের লোকদের হাতকড়া পরানো হচ্ছিল?’
তবে বিজেপি ভগবন্ত মানের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, ‘অমৃতসর যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ফ্লাইটগুলোর জন্য সবচেয়ে কাছের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটা কোনো ষড়যন্ত্র নয়, বরং ভৌগোলিক বাস্তবতা।’
বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র আরপি সিং বলেন, ‘এই বিষয়ে অহেতুক রাজনীতি না করাই ভালো।’
যদিও কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির কঠোর বাস্তবতা মেনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তবুও বিরোধী দলগুলো এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকারকে চাপে রাখতে চাইছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসনবিরোধী নীতির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় ১১৯ ভারতীয়কে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে পাঞ্জাবের অমৃতসর বিমানবন্দরে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে অবতরণ করবে একটি মার্কিন সামরিক বিমান।
এদের মধ্যে ৬৭ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার, ৮ জন গুজরাটের, ৩ জন উত্তর প্রদেশের, ২ জন করে গোয়া, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের এবং ১ জন করে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক। এ ছাড়া আগামীকাল আরও একটি ফ্লাইটে তৃতীয় দফার অবৈধ ভারতীয়দের দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর এই প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহগুলোতেও চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রত্যেক ১৫ দিন পর সামরিক বিমানের ফ্লাইটে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হবে, যত দিন পর্যন্ত না সবাই দেশে ফিরে আসে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তাই আরও অনেককে ফেরত পাঠানো হতে পারে।
এর আগে, ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান ১০৪ ভারতীয়কে নিয়ে অবতরণ করে। তাঁদের মধ্যে ৩৩ জন করে ছিলেন হরিয়ানা ও গুজরাটের, ৩০ জন পাঞ্জাবের, ৩ জন করে মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশের এবং ২ জন চণ্ডীগড়ের।
তবে দেশে ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করা হয়েছে, তা নিয়ে দেশটিতে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্ডার প্যাট্রল কর্মকর্তারা ভারতীয়দের হাতকড়া পরিয়ে এবং পা শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। প্লেন থেকে নামানোর সময় দেখে মনে হচ্ছিল, কোনো কুখ্যাত অপরাধীকে আনা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর ভারতের বিরোধী দলগুলো কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে। তারা প্রশ্ন তুলছে, কেন ভারত সরকার নিজস্ব উদ্যোগে একটি ফ্লাইট পাঠিয়ে নিজের নাগরিকদের সম্মানের সঙ্গে দেশে ফেরত আনতে পারেনি।
কংগ্রেস নেতা পি. চিদাম্বরম বলেন, ‘আজ রাতে অমৃতসরে অবতরণ করা মার্কিন সামরিক বিমানের দিকে সবার দৃষ্টি থাকবে। এবারও কি তাঁরা হাতকড়া পরানো অবস্থায় থাকবেন? ভারতীয় কূটনীতির জন্য এটি একটি বড় পরীক্ষা।’
বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থা (আইসিই) এই প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে এবং এই সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তার জন্য বন্দীদের হাতকড়া পরানো হয়। তবে, নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তাদের খাবার, চিকিৎসা ও টয়লেট ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হয়।’
জয়শঙ্কর আরও জানান, এমন ঘটনা নতুন নয়। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭৫৬ ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪২ জন এবং ২০২০ সালে ১ হাজার ৮৮৯ জন।
এদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পিতভাবে পাঞ্জাবের ‘বদনাম’ করতে অমৃতসরকে অবতরণের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে।
ভগবন্ত মান বলেন, ‘দ্বিতীয় দফায় ফেরত আসা ভারতীয়দের বহনকারী বিমানটি আবারও অমৃতসরে নামানো হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যাখ্যা করতে হবে, কেন এই শহরকে বেছে নেওয়া হলো? এটি পাঞ্জাবকে অসম্মান করার একটি ষড়যন্ত্র। যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ট্রাম্প বৈঠক করছিলেন, তখনই কি আমাদের লোকদের হাতকড়া পরানো হচ্ছিল?’
তবে বিজেপি ভগবন্ত মানের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, ‘অমৃতসর যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ফ্লাইটগুলোর জন্য সবচেয়ে কাছের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটা কোনো ষড়যন্ত্র নয়, বরং ভৌগোলিক বাস্তবতা।’
বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র আরপি সিং বলেন, ‘এই বিষয়ে অহেতুক রাজনীতি না করাই ভালো।’
যদিও কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির কঠোর বাস্তবতা মেনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তবুও বিরোধী দলগুলো এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকারকে চাপে রাখতে চাইছে।
আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে কাজ করা এক অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে তালেবান বাহিনী। পরিবারের বরাত দিয়ে আজ সোমবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ২৫ বছর বয়সী ওয়াজির খানকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানী কাবুলের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেনগ্নতাকে উদ্যাপন করতেও শৃঙ্খলা প্রয়োজন। তাই নগ্ন সৈকতে অনুপযুক্ত আচরণ রোধে নতুন আইন চালু করেছে জার্মানির রস্টক শহর। এখন থেকে এই শহরের নগ্ন সৈকতে পোশাক পরা কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের নিষিদ্ধ করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেইউক্রেনকে এই সময়ের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। বাংলাদেশের সময় আজ রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।’
৪ ঘণ্টা আগেক্রিপটো রিজার্ভ গঠন করবে যুক্তরাষ্ট্র—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পর ক্রিপটোকারেন্সির বাজারে বড় ধরনের উত্থান দেখা গেছে। মার্কিন ক্রিপটো রিজার্ভের প্রথম ধাপে পাঁচটি ডিজিটাল টোকেন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে