Ajker Patrika

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা নিরসনে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ চায় ইসলামাবাদ

অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাসের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাসের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাত নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও পিপিপি (পাকিস্তান পিপলস পার্টি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। একই সঙ্গে, তাঁরা দুই পারমাণবিক ক্ষমতাধর প্রতিবেশীর মধ্যে একটি আলোচনার সুযোগ করে দিতেও ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাসের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, মে মাসে চার দিনের সংঘাত প্রমাণ করেছে, ‘পেহেলগামের ঘটনাটি সাজানো ছিল। আমরা এই ঘটনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রস্তাব দিলেও ভারত এর বদলে আগ্রাসন চালিয়েছে। তারা যদি সত্যিই এমন কোনো হামলার প্রমাণ পেত, তাহলে তারা তা আন্তর্জাতিক মহলের সামনে তুলে ধরত।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। গত ৬-৭ মে ভারতের হামলায় ৩৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এরপর কেবল আত্মরক্ষার জন্য ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছিল।’ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তিপ্রেমী ও যুদ্ধবিরোধী মানুষ।’

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সফররত পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ওয়াশিংটনে প্রবাসী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর উদ্যোগেই পরিস্থিতি শান্ত হয়।’ তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প অন্তত ১০ বার এই কথা বলেছেন। আমি মনে করি, এই কৃতিত্ব সত্যিই তাঁর।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু, যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তাই আমি মনে করি, দুই দেশের মধ্যে সংলাপ বা আলোচনা শুরু করার ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা বাস্তবতা বুঝি, ওয়াশিংটনের ভূরাজনীতি কী, তা-ও জানি। আমাদের বার্তা, সত্যের বার্তা। এটি আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব গুলির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেন, ‘ভারত দাবি করে, তারা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তা স্তম্ভ। কিন্তু যে দেশ নিজেই নিজের যুদ্ধবিমান রক্ষা করতে পারে না, তারা অন্যদের কীভাবে সুরক্ষা দেবে? চীনকে মোকাবিলায় ভারতের যে কৌশলগত গুরুত্ব ছিল, সেটি এখন পেপারওয়েটের চেয়েও মূল্যহীন।’

এদিকে, ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশহাক দার জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ সব সময় সংলাপের জন্য প্রস্তুত। তবে ভারতীয় নেতাদের উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপ্রিয় জাতি, অর্থনৈতিক উন্নয়নে মনোযোগী। কিন্তু মর্যাদা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও পানি বণ্টন ও অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় ইস্যু অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। শুধু সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে আলোচনা হবে—এমন একপক্ষীয় ধারণা চলবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত