Ajker Patrika

সেলফি তুলে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্বের মাঝখানে এবার শহীদ আফ্রিদি

সেলফি তুলে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্বের মাঝখানে এবার শহীদ আফ্রিদি

শুরুটা হয়েছে ইসরায়েলপন্থী একটি সংগঠনের দাবিকে কেন্দ্র করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংগঠনটি হঠাৎ দাবি করে বসেছে, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব সংঘাতের মধ্যে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি ইসরায়েলকেই সমর্থন করেছেন। তবে আফ্রিদি অবশ্য এমন দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে এক পোস্টে তিনি উল্টো ফিলিস্তিনের পক্ষেই নিজের অবস্থান বোঝাতে চেয়েছেন। 

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের জের ধরে সারা পৃথিবীই এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এদের একদল ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করছেন, অন্যদিকে আরেক দল ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন দেখাচ্ছেন। তাঁদের কেউ কেউ আবার ইসরায়েলি পণ্য বয়কটেরও ডাক দিচ্ছেন। মুসলিমপ্রধান দেশ হিসেবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি এবং দেশটির সাধারণ মানুষ ঘোর ইসরায়েলবিরোধী। এর মধ্যে পাকিস্তানের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে শহীদ আফ্রিদির ইসরায়েলকে সমর্থন অনেকেই মেনে নিতে পারছিলেন না। আফ্রিদিকে নিয়ে ইসরায়েলি সংগঠনটির দাবিকে কেন্দ্র করে তাই শোরগোল পড়ে যায়। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নর্থ-ওয়েস্ট ফ্রেন্ডস নামে ইসরায়েলপন্থী ওই সংগঠনটি তাদের দাবির পক্ষে সংগঠনটির কর্মীদের সঙ্গে আফ্রিদির একটি ছবিও পোস্ট করেছে। আর বলেছে—হামাসের কাছ থেকে জিম্মিদের ছাড়িয়ে আনতে তাদের দাবির সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন আফ্রিদি। এমনকি তিনি একটি সমর্থনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। 

এ বিষয় নিয়ে পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তেজনা শুরু হলে ওই সংগঠনের দাবিকে অস্বীকার করেন আফ্রিদি। তিনি জানান, সংগঠনটির কর্মীরা তাঁকে দেখে সেলফি তোলার জন্য তাঁর কাছে গিয়েছিলেন। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ভক্তদের এমন আবদারে তিনি প্রায় সময়ই সাড়া দেন। ঘটনাটি ঠিক সেভাবে ঘটলেও এখন মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। 

এ বিষয়ে আফ্রিদি লিখেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করা সবকিছুকে বিশ্বাস করবেন না। আমি ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। সেই সময় ভক্ত সেজে কিছু লোক আমার সঙ্গে ছবি তুলেছে। পরে তারা ইহুদিদের আমি সমর্থন করেছি দাবি করে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছে।’ 

নিজের পোস্টে ফিলিস্তিনের নিরপরাধ মানুষের ওপর ইসরায়েল হামলা চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন সাবেক ক্রিকেটার। তিনি লিখেন, ‘গাজার পরিস্থিতি সত্যিই হৃদয়বিদারক। আমি শান্তির জন্য প্রার্থনা করি। এই যুদ্ধের অবসানের জন্য প্রার্থনা করি। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য প্রার্থনা করি।’ 

কিন্তু পালটা আরেক টুইট করে ইসরায়েলপন্থী সংগঠনটি বলেছে, ‘আমরা তাঁর কাছে যাইনি। আফ্রিদি নিজেই আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমরা লিফলেট বিলি করছিলাম। উনি লিফলেট নেন। লিফলেট নিয়ে আমাদের সঙ্গে ছবি তোলেন। উনি আসলে একটা মুখোশ পরেছিলেন। সেই মুখোশ এবার খুলে গেছে।’ 

ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতের সূত্রপাত হয়েছে গত বছরের ৭ অক্টোবর। সেদিন ইসরায়েলে প্রবেশ করে সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করে গাজা নিয়ন্ত্রণ করা হামাস যোদ্ধারা। পাশাপাশি অপহরণ করে গাজায় নিয়ে জিম্মি করা হয় আরও দুই শতাধিক মানুষকে। এ ঘটনার জের ধরে সেদিন থেকে গাজার সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার বোমাবর্ষণ ও হামলা করে যাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু বলে দাবি করে আসছে শহরটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ৩ গর্ত, শাস্তি চান সাজিদের মা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোদি-ট্রাম্প ফোনালাপ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়ে টেলিফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ফোনালাপে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্বের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন এবং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।

এনডিটিভি ভারত সরকারের দেওয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মোদি ও ট্রাম্প ভারত-মার্কিন সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। দুই নেতা ‘দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে চলমান প্রচেষ্টার গতি বজায় রাখার’ প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

ফোনালাপে দুই নেতা প্রযুক্তি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণ নিয়েও মতবিনিময় করেন। আলোচনায় উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কমপ্যাক্ট (ক্যাটালাইজিং মিলিটারি পার্টনারশিপ, অ্যাকসেলারেটেড কমার্স অ্যান্ড টেকনোলজি) কাঠামোর বাস্তবায়নের বিষয়টি। এটি দুই দেশের সামরিক অংশীদারত্ব, বাণিজ্য ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার একটি যৌথ উদ্যোগ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মোদি ও ট্রাম্প দুই দেশকে স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও পারস্পরিক অগ্রাধিকার বাস্তবায়নে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।

ফোনালাপের পর এক্সে একটি বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে খুবই উষ্ণ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেছি। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাবে।’

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার শাস্তি হিসেবে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর আগে চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়া ২৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে এই নতুন শুল্ক যোগ হয়। এর ফলে ভারত থেকে আমদানি করা বহু পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের মোট শুল্কহার দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ৩ গর্ত, শাস্তি চান সাজিদের মা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এবার ভারতের ওপর মেক্সিকোর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ, বিলিয়ন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এএফপি
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এএফপি

ভারতসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেক্সিকো। নতুন এই শুল্কে ভারতের প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের গাড়ি রপ্তানি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। চার মাস আগেই যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। এবার মেক্সিকোর এমন পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির ওপর নতুন চাপ তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর এই শুল্ক ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

কোন কোন পণ্যে শুল্ক

ম্যাক্সিকান দৈনিক এল ইউনিভার্সালের তথ্য অনুযায়ী, শুল্ক আরোপ করা হয়েছে অনেকগুলো পণ্যের ওপর। এর মধ্যে রয়েছে—অটো পার্টস, ছোট গাড়ি, পোশাক, প্লাস্টিক, স্টিল, গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি, খেলনা, টেক্সটাইল, আসবাব, জুতা, চামড়াজাত পণ্য, কাগজ ও কার্ডবোর্ড, মোটরসাইকেল, অ্যালুমিনিয়াম, কাচ, সাবান, সুগন্ধি ও কসমেটিকস।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার মতো যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই, তারা এই শুল্কে প্রভাবিত হবে।

মেক্সিকো কেন শুল্ক বাড়াচ্ছে

মেক্সিকো সরকারের দাবি, দেশের স্থানীয় শিল্পকে রক্ষা এবং এশিয়া বিশেষ করে চীন থেকে অতিরিক্ত আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতেই এই পদক্ষেপ। চীনের সঙ্গে মেক্সিকোর বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে—শুধু ২০২৪ সালেই দেশটি চীন থেকে ১৩০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। সেই রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম।

মেক্সিকো বলছে, নতুন শুল্ক আরোপে সরকারের অতিরিক্ত ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব পাওয়া যাবে। প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমের প্রশাসন স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানো এবং দেশের শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়াকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

মেক্সিকোর ক্ষমতাসীন মোরেনা দলের ডেপুটি রিকার্ডো মনরিয়াল বলেন, ‘ম্যাক্সিকান শিল্পকে সমর্থন দেওয়া মানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি।’ তবে বিশ্লেষকদের অনেকের মত, আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা (ইউএসএমসিএ) চুক্তি মাথায় রেখে ওয়াশিংটনকে খুশি করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভারতের ওপর প্রভাব কতটা

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর সিদ্ধান্তে ভারতের প্রায় এক বিলিয়ন ডলার রপ্তানি ধাক্কা খাবে। শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতের প্রধান গাড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে রয়েছে—মারুতি সুজুকি, হুন্দাই, নিসান ও ভক্সওয়াগন।

গাড়ির আমদানি শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করায় ভারতীয় অটোমোবাইল কোম্পানিগুলো তাদের অন্যতম বড় বাজারে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা ও সৌদি আরবের পর মেক্সিকো বর্তমানে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি রপ্তানি বাজার।

ভারতীয় গাড়ি নির্মাতাদের সংগঠনগুলো বলেছে, শুল্ক বৃদ্ধি সরাসরি রপ্তানি হ্রাস করবে। তারা শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে মেক্সিকোর সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছেন।

এদিকে চীন বলেছে, তারা সব ধরনের একতরফা শুল্ক বৃদ্ধির বিরোধী। তারা মেক্সিকোকে ‘ভুল সিদ্ধান্ত সংশোধন’ করার আহ্বান জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ৩ গর্ত, শাস্তি চান সাজিদের মা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমরাই রাশিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য—বার্লিনে ন্যাটো মহাসচিবের সতর্কবার্তা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান
ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

ইউরোপের দেশগুলোর সামরিক জোট ‘ন্যাটো’ এর মহাসচিব মার্ক রুটে জার্মানির বার্লিনে দেওয়া এক ভাষণে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি এখানে এসেছি এটা বলার জন্য যে, ন্যাটো আজ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে এবং যুদ্ধ শুরুর আগেই সেটি কীভাবে থামানো যায়। আমরাই রাশিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য এবং আমরা ইতিমধ্যেই ঝুঁকির মধ্যে আছি—আর সেই জন্যই হুমকিটা স্পষ্ট করে জানা জরুরি।’

রুটে দাবি করেন, এই বছরের শুরুর দিকে নেদারল্যান্ডসের হেগে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। তিনি বলেন, ‘এটি আত্মতুষ্টির সময় নয়।’ তাঁর মতে, অনেক দেশ এখনো এই হুমকিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে না।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘অনেকেই মনে করছেন সময় আমাদের পক্ষে। তা কিন্তু নয়। এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। মিত্র দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যয় ও সামরিক উৎপাদন দ্রুত বাড়াতে হবে। নিরাপদ থাকতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা দিতে হবে।’

রাশিয়া সম্পর্কে রুটে বলেন, দেশটি ন্যাটো ও ইউক্রেনের প্রতি আরও ধৃষ্ট, বেপরোয়া ও নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছে। তিনি স্নায়ু যুদ্ধের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের ‘এভিল এম্পায়ার’ বা ‘শয়তান সাম্রাজ্য’-এর মন্তব্য স্মরণ করে বলেন, ‘আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন আবার সাম্রাজ্য গঠনের কাজে নেমেছেন।’

রুটের ভাষ্যমতে—পুতিন ইতিহাসকে বিকৃত দৃষ্টিতে দেখেন এবং মনে করেন পশ্চিমাদের স্বাধীনতা তার ক্ষমতার ওপর হুমকি সৃষ্টি করে। রাশিয়ার আক্রমণাত্মক নীতির জন্য চীনকেও দায়ী করেন তিনি।

রুটে বলেন, চীন এখন রাশিয়ার ‘জীবনরেখা’, যা তাকে আক্রমণাত্মক নীতি চালিয়ে যেতে সহায়তা করছে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া ও ইরানও মস্কোকে সমর্থন দিচ্ছে।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন রুটে। তাঁর মতে, পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনতে সক্ষম একমাত্র ব্যক্তি হলেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, ‘চলুন পুতিনকে পরীক্ষা করি—তিনি সত্যিই শান্তি চান, নাকি হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যেতে চান।’ এ সময় তিনি রাশিয়ার ওপর অব্যাহত চাপ বজায় রাখারও তাগিদ দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ৩ গর্ত, শাস্তি চান সাজিদের মা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুলগেরিয়ায় গণবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ছাড়ল জেলিয়াজকভের সরকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২৮
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী রোসেন জেলিয়াজকভ তাঁর সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পার্লামেন্টে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের ঠিক কয়েক মিনিট আগে টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলিয়াজকভ তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা দেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থবিরোধী অর্থনৈতিক নীতি ও দুর্নীতি দমনে ব্যর্থতার অভিযোগে সপ্তাহ ধরে এ বিক্ষোভ চলছিল।

টেলিভিশনে দেওয়া বিবৃতিতে ঝেলিয়াজকভ বলেন, ‘আমরা জোটের বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতি, চ্যালেঞ্জ এবং আমাদের করণীয় সিদ্ধান্তগুলো আলোচনা করেছি। জনগণ আমাদের কাছ থেকে যে দায়িত্বশীলতার প্রত্যাশা করে, আমরা সে উচ্চতায় থাকতে চাই। ক্ষমতা আসে জনগণের কণ্ঠ থেকে।’

কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানী সোফিয়া ছাড়াও দেশজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকারের অর্থনৈতিক নীতি জনস্বার্থবিরোধী, উচ্চকর ও সামাজিক নিরাপত্তা অবদানের প্রস্তাব জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে এবং বছরের পর বছর চলা দুর্নীতি দমনে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ।

গত সপ্তাহে সরকার তাদের ২০২৬ সালের বাজেট প্রস্তাব করে, যেখানে প্রথমবারের মতো ইউরো মুদ্রায় খসড়া করা হয়েছিল। তবে বিক্ষোভের কারণে সরকার তা প্রত্যাহার করে নেয়। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তায় নাগরিক ব্যয় বাড়ানো এবং লভ্যাংশের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপের পরিকল্পনা ছিল।

তবে বাজেট প্রত্যাহারের পরও বিক্ষোভ থামেনি। গত চার বছরে দেশটিতে সাতটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সর্বশেষ ২০২৪ সালের অক্টোবরে। রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজন বুলগেরিয়ার সংকট আরও গভীর করেছে।

এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট রুমেন রাদেভ সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। আজ বৃহস্পতিবার সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘জনগণের কণ্ঠ আর মাফিয়ার ভয়ের মাঝে—জনগণের কণ্ঠই শুনুন। রাস্তায় যে স্লোগান উঠছে, তার প্রতিধ্বনি শুনুন।’

বুলগেরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সীমিত। এখন তিনি সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নতুন সরকার গঠনের চেষ্টা করবেন। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে নতুন সরকার গঠন কঠিন হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। আর যদি দলগুলো নতুন সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করবেন এবং দেশে আবারও নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ৩ গর্ত, শাস্তি চান সাজিদের মা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত