Ajker Patrika

পাকিস্তানে বন্যা-ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১৭

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আকস্মিক বণ্যায় ভেঙে পড়েছে খাইবার পাখতুন খাওয়ার আলপুরি-ভিশাম মহাসড়কের একাংশ। ছবি: এএফপি
আকস্মিক বণ্যায় ভেঙে পড়েছে খাইবার পাখতুন খাওয়ার আলপুরি-ভিশাম মহাসড়কের একাংশ। ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে বন্যা, ভূমিধস এবং অন্যান্য বৃষ্টিপাতজনিত ঘটনার কারণে মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছে। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে গত ৪৮ ঘণ্টায় ৩০৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২৭৯ পুরুষ, ১৫ নারী এবং ১৩ শিশু।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বন্যায় ৭৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৬৩টি আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে এবং ১১টি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে। পিডিএমএ সতর্ক করে বলেছে যে, এই বৃষ্টিপাত ২১ আগস্ট পর্যন্ত চলতে পারে।

খাইবার পাখতুনখাওয়ার বুনের জেলায় সবচেয়ে বেশি, ১৮৪ জনে মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বাজাউর, টরগার, মানসেরা, শাংলা ও অন্যান্য এলাকাতেও বৃষ্টিপাতজনিত বিপর্যয়কর ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত জেলার জন্য মোট ৫০০ মিলিয়ন রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে।

খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক সরকার বুনের স্বাত-সহ এসব জেলাতে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করেছে। প্রায় ২ হাজার জন উদ্ধারকর্মী ধ্বংসাবশেষ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার এবং নয়টি প্রভাবিত জেলায় ত্রাণ কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন। উদ্ধারকর্মীদের পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন কারণ বেশির ভাগ সড়ক বন্ধ। তারা বেঁচে যাওয়া মানুষদের সরানোর চেষ্টা করছেন, তবে অনেকেই স্থানান্তরিত হচ্ছেন না, কারণ আত্মীয় বা প্রিয়জন ধ্বংসাবশেষে আটকে মারা গেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেনাবাহিনীও এক দিনের রেশন—৬০০ টনের বেশি খাদ্য—দুর্গতদের জন্য বরাদ্দ করেছে এবং সেতু মেরামত ও অস্থায়ী সেতু স্থাপনের জন্য বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে।

খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রদেশের তথ্য উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সাইফ জানিয়েছেন, প্রদেশের ১১টি জেলা বন্যার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৩ম হাজার ৮১৭ জন মানুষ বন্যাকবলিত এবং এখনো ৩২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে ৫৪৫ জন উদ্ধারকর্মী এবং ৯০টি যানবাহন ও নৌকা অংশ নিচ্ছে।

পাকিস্তানের উত্তরাংশের অন্য অঞ্চলগুলোও বন্যার কবলে পড়েছে। আজাদ কাশ্মীর অঞ্চলে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। গিলগিট বালতিস্তানে মৃতের সংখ্যা ১২। আজাদ কাশ্মীরে ৪১৭টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ১০৪টি সম্পূর্ণ ধ্বংস। নিলাম ভ্যালি, ঝিলাম ও ভাগ জেলা থেকে পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং নিলাম হাইওয়েতে পুনরায় সব ধরনের যান চলাচল শুরু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

যুবককে আটক করা নিয়ে বিজিবি ও এলাকাবাসীর পাল্টাপাল্টি দাবি

বরিশাল-৩ আসনে বিএনপির দুই হেভিওয়েট নেতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

‘তেলের ক্রেতা’ হিসেবে ভারতকে আর পাবে না রাশিয়া, জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

বরখাস্ত সৈনিককে অস্ত্র দিয়েছেন বিএনপি নেতা, অডিও নিয়ে তোলপাড়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত