
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ গতকাল সোমবার বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরবর্তী পর্যায়ের বন্দিবিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা দরকার। তিনি আরও বলেছেন, যদি সংগঠনটি অস্ত্র ছেড়ে দিয়ে এবং গাজা ত্যাগ করার শর্ত মেনে নেয়, তাহলে ‘সবকিছুই আলোচনার টেবিলে থাকবে।’
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েল-হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য কাতারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার এক দিন আগে উইটকফ বলেন, ‘অস্ত্র ত্যাগ করে গাজা ছেড়ে যাওয়া ছাড়া হামাসের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই।’
উইটকফ আরও বলেন, ‘যদি তারা (হামাস) চলে যায়, তাহলে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিচুক্তির সব সম্ভাবনা উন্মুক্ত থাকবে এবং এটাই তাদের করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চুক্তির পরবর্তী ধাপের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা দরকার, কারণ বন্দীদের যে অবস্থায় রাখা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য ও শোচনীয়।’
এই প্রক্রিয়ায় কাতারের ‘অসাধারণ’ মধ্যস্থতাকারী ভূমিকার প্রশংসা করে উইটকফ বলেন, মিসর, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
এর আগে ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানায়, বৈঠকে এই সপ্তাহে তথাকথিত ‘উইটকফ রূপরেখা’ নিয়ে আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এর কৃতিত্ব দাবি করেনি। ওই রূপরেখার আওতায় মার্কিন-ইসরায়েলি নাগরিক ইদান আলেকজান্ডারসহ ১০ জীবিত বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে, বিনিময়ে ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে।
আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, দেশটির আলোচক দল গতকাল সোমবার দোহায় গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলটি ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের এক শীর্ষ কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে।
প্রতিনিধিদল দোহার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে, ‘বন্দী ও নিখোঁজ পরিবার ফোরাম’ সরকারকে আহ্বান জানায়, যেন তারা আলোচকদের ‘সম্পূর্ণ ক্ষমতা’ দেয় যাতে বাকি ৫৯ জন বন্দীকে এক ধাপেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। এক বিবৃতিতে ফোরাম জানায়, ‘সব বন্দীকে ফিরিয়ে আনার একটি চুক্তি সম্ভব এবং এটি ইসরায়েল সরকারের দায়িত্ব, কারণ তারা এখনো হামাসের সুড়ঙ্গে বন্দী হয়ে আছে।’
এদিকে, হামাস সোমবার জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় ‘নমনীয়তা’ দেখাচ্ছে এবং মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে। হামাস বলেছে, ‘আমরা মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টার সঙ্গে নমনীয় আচরণ করেছি এবং (মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড) ট্রাম্পের দূতের প্রচেষ্টার দিকেও নজর রাখছি। আমরা আসন্ন আলোচনার ফলাফলের অপেক্ষায় আছি এবং (ইসরায়েলকে) বাধ্য করতে চাই, যেন তারা সম্মত হয় এবং চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে অগ্রসর হয়।
সংগঠনটি জানায়, আলোচনার মূল বিষয় হলো—যুদ্ধের সমাপ্তি, ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা থেকে প্রত্যাহার এবং গাজার পুনর্গঠন।
তিন ধাপের বন্দিবিনিময় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্ব ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১ মার্চ শেষ হয়। তবে পরবর্তী ধাপে কোনো চুক্তি না হওয়ায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়নি। তবে উভয় পক্ষই পূর্ণমাত্রার সংঘর্ষে ফিরে যায়নি। সম্ভাব্য দ্বিতীয় ধাপের শর্ত নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি আলোচনা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েল মূলত এ বিষয়ে আলোচনায় যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি ব্যবস্থা চাইছে, যাতে যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ না করেও প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো যায় এবং আরও বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ গতকাল সোমবার বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরবর্তী পর্যায়ের বন্দিবিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা দরকার। তিনি আরও বলেছেন, যদি সংগঠনটি অস্ত্র ছেড়ে দিয়ে এবং গাজা ত্যাগ করার শর্ত মেনে নেয়, তাহলে ‘সবকিছুই আলোচনার টেবিলে থাকবে।’
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েল-হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য কাতারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার এক দিন আগে উইটকফ বলেন, ‘অস্ত্র ত্যাগ করে গাজা ছেড়ে যাওয়া ছাড়া হামাসের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই।’
উইটকফ আরও বলেন, ‘যদি তারা (হামাস) চলে যায়, তাহলে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিচুক্তির সব সম্ভাবনা উন্মুক্ত থাকবে এবং এটাই তাদের করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চুক্তির পরবর্তী ধাপের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা দরকার, কারণ বন্দীদের যে অবস্থায় রাখা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য ও শোচনীয়।’
এই প্রক্রিয়ায় কাতারের ‘অসাধারণ’ মধ্যস্থতাকারী ভূমিকার প্রশংসা করে উইটকফ বলেন, মিসর, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
এর আগে ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানায়, বৈঠকে এই সপ্তাহে তথাকথিত ‘উইটকফ রূপরেখা’ নিয়ে আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এর কৃতিত্ব দাবি করেনি। ওই রূপরেখার আওতায় মার্কিন-ইসরায়েলি নাগরিক ইদান আলেকজান্ডারসহ ১০ জীবিত বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে, বিনিময়ে ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে।
আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, দেশটির আলোচক দল গতকাল সোমবার দোহায় গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলটি ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের এক শীর্ষ কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে।
প্রতিনিধিদল দোহার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে, ‘বন্দী ও নিখোঁজ পরিবার ফোরাম’ সরকারকে আহ্বান জানায়, যেন তারা আলোচকদের ‘সম্পূর্ণ ক্ষমতা’ দেয় যাতে বাকি ৫৯ জন বন্দীকে এক ধাপেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। এক বিবৃতিতে ফোরাম জানায়, ‘সব বন্দীকে ফিরিয়ে আনার একটি চুক্তি সম্ভব এবং এটি ইসরায়েল সরকারের দায়িত্ব, কারণ তারা এখনো হামাসের সুড়ঙ্গে বন্দী হয়ে আছে।’
এদিকে, হামাস সোমবার জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় ‘নমনীয়তা’ দেখাচ্ছে এবং মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে। হামাস বলেছে, ‘আমরা মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টার সঙ্গে নমনীয় আচরণ করেছি এবং (মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড) ট্রাম্পের দূতের প্রচেষ্টার দিকেও নজর রাখছি। আমরা আসন্ন আলোচনার ফলাফলের অপেক্ষায় আছি এবং (ইসরায়েলকে) বাধ্য করতে চাই, যেন তারা সম্মত হয় এবং চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে অগ্রসর হয়।
সংগঠনটি জানায়, আলোচনার মূল বিষয় হলো—যুদ্ধের সমাপ্তি, ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা থেকে প্রত্যাহার এবং গাজার পুনর্গঠন।
তিন ধাপের বন্দিবিনিময় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্ব ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১ মার্চ শেষ হয়। তবে পরবর্তী ধাপে কোনো চুক্তি না হওয়ায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়নি। তবে উভয় পক্ষই পূর্ণমাত্রার সংঘর্ষে ফিরে যায়নি। সম্ভাব্য দ্বিতীয় ধাপের শর্ত নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি আলোচনা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েল মূলত এ বিষয়ে আলোচনায় যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি ব্যবস্থা চাইছে, যাতে যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ না করেও প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো যায় এবং আরও বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ গতকাল সোমবার বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরবর্তী পর্যায়ের বন্দিবিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা দরকার। তিনি আরও বলেছেন, যদি সংগঠনটি অস্ত্র ছেড়ে দিয়ে এবং গাজা ত্যাগ করার শর্ত মেনে নেয়, তাহলে ‘সবকিছুই আলোচনার টেবিলে থাকবে।’
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েল-হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য কাতারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার এক দিন আগে উইটকফ বলেন, ‘অস্ত্র ত্যাগ করে গাজা ছেড়ে যাওয়া ছাড়া হামাসের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই।’
উইটকফ আরও বলেন, ‘যদি তারা (হামাস) চলে যায়, তাহলে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিচুক্তির সব সম্ভাবনা উন্মুক্ত থাকবে এবং এটাই তাদের করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চুক্তির পরবর্তী ধাপের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা দরকার, কারণ বন্দীদের যে অবস্থায় রাখা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য ও শোচনীয়।’
এই প্রক্রিয়ায় কাতারের ‘অসাধারণ’ মধ্যস্থতাকারী ভূমিকার প্রশংসা করে উইটকফ বলেন, মিসর, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
এর আগে ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানায়, বৈঠকে এই সপ্তাহে তথাকথিত ‘উইটকফ রূপরেখা’ নিয়ে আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এর কৃতিত্ব দাবি করেনি। ওই রূপরেখার আওতায় মার্কিন-ইসরায়েলি নাগরিক ইদান আলেকজান্ডারসহ ১০ জীবিত বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে, বিনিময়ে ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে।
আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, দেশটির আলোচক দল গতকাল সোমবার দোহায় গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলটি ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের এক শীর্ষ কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে।
প্রতিনিধিদল দোহার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে, ‘বন্দী ও নিখোঁজ পরিবার ফোরাম’ সরকারকে আহ্বান জানায়, যেন তারা আলোচকদের ‘সম্পূর্ণ ক্ষমতা’ দেয় যাতে বাকি ৫৯ জন বন্দীকে এক ধাপেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। এক বিবৃতিতে ফোরাম জানায়, ‘সব বন্দীকে ফিরিয়ে আনার একটি চুক্তি সম্ভব এবং এটি ইসরায়েল সরকারের দায়িত্ব, কারণ তারা এখনো হামাসের সুড়ঙ্গে বন্দী হয়ে আছে।’
এদিকে, হামাস সোমবার জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় ‘নমনীয়তা’ দেখাচ্ছে এবং মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে। হামাস বলেছে, ‘আমরা মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টার সঙ্গে নমনীয় আচরণ করেছি এবং (মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড) ট্রাম্পের দূতের প্রচেষ্টার দিকেও নজর রাখছি। আমরা আসন্ন আলোচনার ফলাফলের অপেক্ষায় আছি এবং (ইসরায়েলকে) বাধ্য করতে চাই, যেন তারা সম্মত হয় এবং চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে অগ্রসর হয়।
সংগঠনটি জানায়, আলোচনার মূল বিষয় হলো—যুদ্ধের সমাপ্তি, ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা থেকে প্রত্যাহার এবং গাজার পুনর্গঠন।
তিন ধাপের বন্দিবিনিময় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্ব ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১ মার্চ শেষ হয়। তবে পরবর্তী ধাপে কোনো চুক্তি না হওয়ায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়নি। তবে উভয় পক্ষই পূর্ণমাত্রার সংঘর্ষে ফিরে যায়নি। সম্ভাব্য দ্বিতীয় ধাপের শর্ত নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি আলোচনা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েল মূলত এ বিষয়ে আলোচনায় যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি ব্যবস্থা চাইছে, যাতে যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ না করেও প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো যায় এবং আরও বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ গতকাল সোমবার বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরবর্তী পর্যায়ের বন্দিবিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা দরকার। তিনি আরও বলেছেন, যদি সংগঠনটি অস্ত্র ছেড়ে দিয়ে এবং গাজা ত্যাগ করার শর্ত মেনে নেয়, তাহলে ‘সবকিছুই আলোচনার টেবিলে থাকবে।’
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েল-হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য কাতারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার এক দিন আগে উইটকফ বলেন, ‘অস্ত্র ত্যাগ করে গাজা ছেড়ে যাওয়া ছাড়া হামাসের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই।’
উইটকফ আরও বলেন, ‘যদি তারা (হামাস) চলে যায়, তাহলে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিচুক্তির সব সম্ভাবনা উন্মুক্ত থাকবে এবং এটাই তাদের করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চুক্তির পরবর্তী ধাপের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা দরকার, কারণ বন্দীদের যে অবস্থায় রাখা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য ও শোচনীয়।’
এই প্রক্রিয়ায় কাতারের ‘অসাধারণ’ মধ্যস্থতাকারী ভূমিকার প্রশংসা করে উইটকফ বলেন, মিসর, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
এর আগে ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানায়, বৈঠকে এই সপ্তাহে তথাকথিত ‘উইটকফ রূপরেখা’ নিয়ে আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এর কৃতিত্ব দাবি করেনি। ওই রূপরেখার আওতায় মার্কিন-ইসরায়েলি নাগরিক ইদান আলেকজান্ডারসহ ১০ জীবিত বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে, বিনিময়ে ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে।
আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, দেশটির আলোচক দল গতকাল সোমবার দোহায় গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলটি ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের এক শীর্ষ কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে।
প্রতিনিধিদল দোহার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে, ‘বন্দী ও নিখোঁজ পরিবার ফোরাম’ সরকারকে আহ্বান জানায়, যেন তারা আলোচকদের ‘সম্পূর্ণ ক্ষমতা’ দেয় যাতে বাকি ৫৯ জন বন্দীকে এক ধাপেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। এক বিবৃতিতে ফোরাম জানায়, ‘সব বন্দীকে ফিরিয়ে আনার একটি চুক্তি সম্ভব এবং এটি ইসরায়েল সরকারের দায়িত্ব, কারণ তারা এখনো হামাসের সুড়ঙ্গে বন্দী হয়ে আছে।’
এদিকে, হামাস সোমবার জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় ‘নমনীয়তা’ দেখাচ্ছে এবং মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে। হামাস বলেছে, ‘আমরা মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টার সঙ্গে নমনীয় আচরণ করেছি এবং (মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড) ট্রাম্পের দূতের প্রচেষ্টার দিকেও নজর রাখছি। আমরা আসন্ন আলোচনার ফলাফলের অপেক্ষায় আছি এবং (ইসরায়েলকে) বাধ্য করতে চাই, যেন তারা সম্মত হয় এবং চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে অগ্রসর হয়।
সংগঠনটি জানায়, আলোচনার মূল বিষয় হলো—যুদ্ধের সমাপ্তি, ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা থেকে প্রত্যাহার এবং গাজার পুনর্গঠন।
তিন ধাপের বন্দিবিনিময় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্ব ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১ মার্চ শেষ হয়। তবে পরবর্তী ধাপে কোনো চুক্তি না হওয়ায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়নি। তবে উভয় পক্ষই পূর্ণমাত্রার সংঘর্ষে ফিরে যায়নি। সম্ভাব্য দ্বিতীয় ধাপের শর্ত নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি আলোচনা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েল মূলত এ বিষয়ে আলোচনায় যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি ব্যবস্থা চাইছে, যাতে যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ না করেও প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো যায় এবং আরও বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
৪০ মিনিট আগে
শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ক্রমেই জোরদার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরি ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’ ক্যারিবীয় সাগরে মোতায়েন করছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সমুদ্রে একের পর এক সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকার ওপর হামলা করছে মার্কিন বাহিনী। গত এক সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত তিনটি সন্দেহভাজন নৌকায় আঘাত করেছে তারা। এর মধ্যে একটি ক্যারিবিয়ান সাগর ও অন্তত দুটি হামলা হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ট্রাম্পকে সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে উত্তর কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তিনি মানতে প্রস্তুত কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেন: ‘আমি মনে করি তারা একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি। যখন আপনারা বলেন তাদের পারমাণবিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, আমি বলব—তাদের প্রচুর পারমাণবিক অস্ত্র আছে।’
ট্রাম্পের এ মন্তব্যটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, কিম জং-উন গত মাসেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের ‘বিভ্রান্তিকর’ দাবি ত্যাগ করে, তবে তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। উত্তর কোরিয়া এর আগে একাধিকবার নিজেদের একটি ‘পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ট্রাম্প আগামী বুধবার এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) ফোরামে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন অভ্যন্তরীণভাবে কিম জং-উনের সঙ্গে একটি বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করছে। ট্রাম্প নিজেও আশা প্রকাশ করেছেন, তিনি সম্ভবত এ বছরই কিমের সঙ্গে আবারও দেখা করবেন।
গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রকরণ মন্ত্রী চুং ডং-ইয়ং বলেন, আগামী সপ্তাহে কোরিয়া উপদ্বীপে সফরের সময় কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, এই সফরসূচিতে কোনো বৈঠক ‘তালিকায় নেই’।
দুই নেতার বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাতিসংঘ কমান্ড জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়ায় (জেএসএ) চলতি অক্টোবরের শেষ নাগাদ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।
মন্ত্রী চুং জানিয়েছেন, গত বছর প্রথমবার জেএসএ-এর কাছাকাছি এলাকায় উত্তর কোরিয়ার কর্মীদের ‘সাজসজ্জা’ করতে দেখা গেছে। তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আগাছা পরিষ্কার করা এবং ফুলের টব গোছানোর কাজ করেছে। এটি সাধারণত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আগে দেখা যায়।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে কিমের সঙ্গে তিনবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন। তাঁদের শেষ বৈঠকটি ২০১৯ সালে দুই কোরিয়ার সীমান্ত বিভাজনকারী পানমুনজমে (জেএসএ) হয়েছিল। সেই সময় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার মাটিতে কয়েক কদম হেঁটেছিলেন। উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি।
তবে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রাগারের কতটা ত্যাগ করতে ইচ্ছুক এবং বিনিময়ে কী পাবে—এ বিষয় নিয়ে মতানৈক্যের কারণে সেই আলোচনা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ট্রাম্পকে সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে উত্তর কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তিনি মানতে প্রস্তুত কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেন: ‘আমি মনে করি তারা একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি। যখন আপনারা বলেন তাদের পারমাণবিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, আমি বলব—তাদের প্রচুর পারমাণবিক অস্ত্র আছে।’
ট্রাম্পের এ মন্তব্যটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, কিম জং-উন গত মাসেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের ‘বিভ্রান্তিকর’ দাবি ত্যাগ করে, তবে তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। উত্তর কোরিয়া এর আগে একাধিকবার নিজেদের একটি ‘পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ট্রাম্প আগামী বুধবার এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) ফোরামে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন অভ্যন্তরীণভাবে কিম জং-উনের সঙ্গে একটি বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করছে। ট্রাম্প নিজেও আশা প্রকাশ করেছেন, তিনি সম্ভবত এ বছরই কিমের সঙ্গে আবারও দেখা করবেন।
গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রকরণ মন্ত্রী চুং ডং-ইয়ং বলেন, আগামী সপ্তাহে কোরিয়া উপদ্বীপে সফরের সময় কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, এই সফরসূচিতে কোনো বৈঠক ‘তালিকায় নেই’।
দুই নেতার বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাতিসংঘ কমান্ড জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়ায় (জেএসএ) চলতি অক্টোবরের শেষ নাগাদ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।
মন্ত্রী চুং জানিয়েছেন, গত বছর প্রথমবার জেএসএ-এর কাছাকাছি এলাকায় উত্তর কোরিয়ার কর্মীদের ‘সাজসজ্জা’ করতে দেখা গেছে। তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আগাছা পরিষ্কার করা এবং ফুলের টব গোছানোর কাজ করেছে। এটি সাধারণত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আগে দেখা যায়।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে কিমের সঙ্গে তিনবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন। তাঁদের শেষ বৈঠকটি ২০১৯ সালে দুই কোরিয়ার সীমান্ত বিভাজনকারী পানমুনজমে (জেএসএ) হয়েছিল। সেই সময় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার মাটিতে কয়েক কদম হেঁটেছিলেন। উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি।
তবে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রাগারের কতটা ত্যাগ করতে ইচ্ছুক এবং বিনিময়ে কী পাবে—এ বিষয় নিয়ে মতানৈক্যের কারণে সেই আলোচনা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ গতকাল সোমবার বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরবর্তী পর্যায়ের বন্দী বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা দরকার। তিনি আরও বলেছেন, যদি সংগঠনটি অস্ত্র ছেড়ে দিয়ে ও গাজা ত্যাগ করার শর্ত মেনে নেয়, তাহলে
১১ মার্চ ২০২৫
শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ক্রমেই জোরদার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরি ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’ ক্যারিবীয় সাগরে মোতায়েন করছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সমুদ্রে একের পর এক সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকার ওপর হামলা করছে মার্কিন বাহিনী। গত এক সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত তিনটি সন্দেহভাজন নৌকায় আঘাত করেছে তারা। এর মধ্যে একটি ক্যারিবিয়ান সাগর ও অন্তত দুটি হামলা হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, তাঁর ওই বন্ধু প্রচার বা পরিচয় প্রকাশ হোক চান না। সেনাবাহিনীর প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি এই অনুদান দিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘একেই বলে দেশপ্রেম।’
গতকাল শুক্রবার বিজনেস ইনসাইডারকে দেওয়া এক বিবৃতিতে পেন্টাগন অনুদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক বিভাগ ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের ক্ষমতা’ (general gift acceptance authority) অনুযায়ী এক নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দাতার কাছ থেকে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান পেয়েছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানান, সেনাসদস্যদের বেতন ও সুবিধার পেছনে ব্যয় করার শর্তে এই অনুদান দেওয়া হয়েছে।
এই অনুদান নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই পেন্টাগনের এই অর্থ রাখা এবং ব্যয় করা আইনত বৈধ কি না।
কর্নেল ল’ স্কুলের তথ্যানুযায়ী, কোনো সংস্থা বা দপ্তর যদি কোনো উৎস থেকে এ ধরনের অনুদান পায়, তবে ‘যত দ্রুত সম্ভব কোনো কর্তন বা দাবি ছাড়া সেই অর্থ কোষাগারে জমা দিতে হবে।’
মার্কিন সংবিধানের অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন ক্লজ (Appropriations Clause)-এও বলা আছে, ‘আইন অনুযায়ী বরাদ্দ করা না হলে কোনো অর্থ কোষাগার থেকে তোলা যাবে না।’ অর্থাৎ, পেন্টাগনকে এই ১৩০ মিলিয়ন ডলার কোষাগারে জমা দিতে হবে এবং অর্থ ব্যবহারের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন বা বরাদ্দ প্রয়োজন হবে।
সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা আইন (Affordable Care Act)-এর জন্য ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে কিনা, এই বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে কংগ্রেস একটি অর্থায়ন বিল পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১ অক্টোবর সরকার শাটডাউন হয়ে যায়। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ট্রাম্প চলতি অর্থবছরের অবশিষ্ট তহবিল ব্যবহারের অনুমোদন দিলে সেনাসদস্যরা বেতন পেতে শুরু করেন।

শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, তাঁর ওই বন্ধু প্রচার বা পরিচয় প্রকাশ হোক চান না। সেনাবাহিনীর প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি এই অনুদান দিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘একেই বলে দেশপ্রেম।’
গতকাল শুক্রবার বিজনেস ইনসাইডারকে দেওয়া এক বিবৃতিতে পেন্টাগন অনুদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক বিভাগ ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের ক্ষমতা’ (general gift acceptance authority) অনুযায়ী এক নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দাতার কাছ থেকে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান পেয়েছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানান, সেনাসদস্যদের বেতন ও সুবিধার পেছনে ব্যয় করার শর্তে এই অনুদান দেওয়া হয়েছে।
এই অনুদান নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই পেন্টাগনের এই অর্থ রাখা এবং ব্যয় করা আইনত বৈধ কি না।
কর্নেল ল’ স্কুলের তথ্যানুযায়ী, কোনো সংস্থা বা দপ্তর যদি কোনো উৎস থেকে এ ধরনের অনুদান পায়, তবে ‘যত দ্রুত সম্ভব কোনো কর্তন বা দাবি ছাড়া সেই অর্থ কোষাগারে জমা দিতে হবে।’
মার্কিন সংবিধানের অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন ক্লজ (Appropriations Clause)-এও বলা আছে, ‘আইন অনুযায়ী বরাদ্দ করা না হলে কোনো অর্থ কোষাগার থেকে তোলা যাবে না।’ অর্থাৎ, পেন্টাগনকে এই ১৩০ মিলিয়ন ডলার কোষাগারে জমা দিতে হবে এবং অর্থ ব্যবহারের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন বা বরাদ্দ প্রয়োজন হবে।
সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা আইন (Affordable Care Act)-এর জন্য ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে কিনা, এই বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে কংগ্রেস একটি অর্থায়ন বিল পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১ অক্টোবর সরকার শাটডাউন হয়ে যায়। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ট্রাম্প চলতি অর্থবছরের অবশিষ্ট তহবিল ব্যবহারের অনুমোদন দিলে সেনাসদস্যরা বেতন পেতে শুরু করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ গতকাল সোমবার বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরবর্তী পর্যায়ের বন্দী বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা দরকার। তিনি আরও বলেছেন, যদি সংগঠনটি অস্ত্র ছেড়ে দিয়ে ও গাজা ত্যাগ করার শর্ত মেনে নেয়, তাহলে
১১ মার্চ ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
৪০ মিনিট আগে
মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ক্রমেই জোরদার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরি ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’ ক্যারিবীয় সাগরে মোতায়েন করছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সমুদ্রে একের পর এক সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকার ওপর হামলা করছে মার্কিন বাহিনী। গত এক সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত তিনটি সন্দেহভাজন নৌকায় আঘাত করেছে তারা। এর মধ্যে একটি ক্যারিবিয়ান সাগর ও অন্তত দুটি হামলা হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ক্রমেই জোরদার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরি ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’ ক্যারিবীয় সাগরে মোতায়েন করছে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরে চলমান সামরিক যান মোতায়েন শেষ করার কাছাকাছি সময়ে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ডকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে, বিশেষ করে ভেনেজুয়েলার উপকূলের দিকে আনা হচ্ছে। সুপারক্যারিয়ারটির সঙ্গে রয়েছে কয়েক ডজন স্টিলথ ফাইটার জেট ও নজরদারি বিমান, সেই সঙ্গে অন্যান্য সহগামী যুদ্ধজাহাজ তো থাকছেই।
ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে ক্যারিবীয় সাগরে পাঠানোর ঘটনাটি প্রশাসনের সামরিক অভিযানের পরিধি বাড়ানোর সবচেয়ে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত। এর আগে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আসা সন্দেহভাজন ছোট মাদকবাহী নৌকায় আঘাত হানা হচ্ছিল, কিন্তু এখন স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তুতেও হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এই সুপারক্যারিয়ারে থাকা ডজনখানেক এফ-১৮ সুপার হর্নেট জেট বিমান যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণ সক্ষমতা বাড়াবে এবং ভেনেজুয়েলার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোতে আঘাত হানার সক্ষমতা দেবে। বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, এর ফলে মার্কিন বিশেষ আভিযানিক দল বা ড্রোনগুলোর জন্য স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার পথ প্রশস্ত হবে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই বর্ধিত নৌ উপস্থিতি অবৈধ কার্যকলাপ এবং অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত, পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিহত করার মার্কিন সক্ষমতাকে জোরদার করবে। এসব অপতৎপরতা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং পশ্চিম গোলার্ধে মার্কিন উপস্থিতিকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।’
এই বর্ধিত মার্কিন সামরিক উপস্থিতির তীব্র সমালোচনা করেছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। শুক্রবার দিনের শেষে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তারা আর কখনো কোনো যুদ্ধে জড়াবে না, আর এখন তারা একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করছে।’
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন কয়েক সপ্তাহ ধরে মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। ইতিমধ্যে কমপক্ষে ৯টি সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারী নৌকায় হামলা চালানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার বলেন, তাঁর সামরিক অভিযানের পরবর্তী পর্যায় হবে স্থল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা। ট্রাম্প বলেন, ‘স্থলই হবে পরবর্তী (লক্ষ্য)।’
তবে কোন দেশের কোন লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্র আঘাত হানতে চায়, সে বিষয়ে ট্রাম্প কিছু বলেননি। যদিও তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে প্রশাসনের পরিকল্পনা সম্পর্কে কংগ্রেসকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মাদক কার্টেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন কি না জানতে চাইলে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, তিনি হামলা চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যারা আমাদের দেশে মাদক আনছে, আমরা শুধু তাদের মেরে ফেলব, ঠিক আছে? আমরা তাদের মেরে ফেলব।’
গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি নৌকায় প্রথম হামলার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে আরও হামলার কথা জানানো হলেও নিহতের সংখ্যা এবং নৌকাগুলোতে মাদক ছিল—এই দাবি ছাড়া আর কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে প্রশাসন হামলার আইনি ন্যায্যতা দিয়েছে। দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা দাবি করছে, এই নৌকাগুলো চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এই গোষ্ঠীর সঙ্গে ‘সশস্ত্র সংঘাতে’ জড়িত।
তবে প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেয়নি যে নৌকায় হামলায় নিহত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার করছিলেন। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সূত্রগুলো জানিয়েছে, কংগ্রেসের কাছে ব্রিফিংয়ে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ট্রাম্প যেহেতু নৌকাগুলোকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে দেখা কার্টেলগুলোর সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করছেন, তাই সেগুলোতে হামলা বৈধ।
এই সামরিক অভিযানে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও (সিআইএ) জড়িত। ট্রাম্প ১৫ অক্টোবর নিশ্চিত করেছেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএর তথাকথিত ‘গোপন কার্যক্রমের’ অনুমোদন দিয়েছেন। দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিমান হামলায় ব্যবহৃত গোয়েন্দা তথ্যের একটি বড় অংশ সিআইএ সরবরাহ করেছে।

মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ক্রমেই জোরদার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরি ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’ ক্যারিবীয় সাগরে মোতায়েন করছে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরে চলমান সামরিক যান মোতায়েন শেষ করার কাছাকাছি সময়ে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ডকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে, বিশেষ করে ভেনেজুয়েলার উপকূলের দিকে আনা হচ্ছে। সুপারক্যারিয়ারটির সঙ্গে রয়েছে কয়েক ডজন স্টিলথ ফাইটার জেট ও নজরদারি বিমান, সেই সঙ্গে অন্যান্য সহগামী যুদ্ধজাহাজ তো থাকছেই।
ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে ক্যারিবীয় সাগরে পাঠানোর ঘটনাটি প্রশাসনের সামরিক অভিযানের পরিধি বাড়ানোর সবচেয়ে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত। এর আগে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আসা সন্দেহভাজন ছোট মাদকবাহী নৌকায় আঘাত হানা হচ্ছিল, কিন্তু এখন স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তুতেও হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এই সুপারক্যারিয়ারে থাকা ডজনখানেক এফ-১৮ সুপার হর্নেট জেট বিমান যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণ সক্ষমতা বাড়াবে এবং ভেনেজুয়েলার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোতে আঘাত হানার সক্ষমতা দেবে। বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, এর ফলে মার্কিন বিশেষ আভিযানিক দল বা ড্রোনগুলোর জন্য স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার পথ প্রশস্ত হবে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই বর্ধিত নৌ উপস্থিতি অবৈধ কার্যকলাপ এবং অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত, পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিহত করার মার্কিন সক্ষমতাকে জোরদার করবে। এসব অপতৎপরতা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং পশ্চিম গোলার্ধে মার্কিন উপস্থিতিকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।’
এই বর্ধিত মার্কিন সামরিক উপস্থিতির তীব্র সমালোচনা করেছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। শুক্রবার দিনের শেষে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তারা আর কখনো কোনো যুদ্ধে জড়াবে না, আর এখন তারা একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করছে।’
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন কয়েক সপ্তাহ ধরে মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। ইতিমধ্যে কমপক্ষে ৯টি সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারী নৌকায় হামলা চালানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার বলেন, তাঁর সামরিক অভিযানের পরবর্তী পর্যায় হবে স্থল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা। ট্রাম্প বলেন, ‘স্থলই হবে পরবর্তী (লক্ষ্য)।’
তবে কোন দেশের কোন লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্র আঘাত হানতে চায়, সে বিষয়ে ট্রাম্প কিছু বলেননি। যদিও তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে প্রশাসনের পরিকল্পনা সম্পর্কে কংগ্রেসকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মাদক কার্টেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন কি না জানতে চাইলে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, তিনি হামলা চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যারা আমাদের দেশে মাদক আনছে, আমরা শুধু তাদের মেরে ফেলব, ঠিক আছে? আমরা তাদের মেরে ফেলব।’
গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি নৌকায় প্রথম হামলার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে আরও হামলার কথা জানানো হলেও নিহতের সংখ্যা এবং নৌকাগুলোতে মাদক ছিল—এই দাবি ছাড়া আর কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে প্রশাসন হামলার আইনি ন্যায্যতা দিয়েছে। দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা দাবি করছে, এই নৌকাগুলো চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এই গোষ্ঠীর সঙ্গে ‘সশস্ত্র সংঘাতে’ জড়িত।
তবে প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেয়নি যে নৌকায় হামলায় নিহত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার করছিলেন। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সূত্রগুলো জানিয়েছে, কংগ্রেসের কাছে ব্রিফিংয়ে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ট্রাম্প যেহেতু নৌকাগুলোকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে দেখা কার্টেলগুলোর সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করছেন, তাই সেগুলোতে হামলা বৈধ।
এই সামরিক অভিযানে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও (সিআইএ) জড়িত। ট্রাম্প ১৫ অক্টোবর নিশ্চিত করেছেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএর তথাকথিত ‘গোপন কার্যক্রমের’ অনুমোদন দিয়েছেন। দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিমান হামলায় ব্যবহৃত গোয়েন্দা তথ্যের একটি বড় অংশ সিআইএ সরবরাহ করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ গতকাল সোমবার বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরবর্তী পর্যায়ের বন্দী বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা দরকার। তিনি আরও বলেছেন, যদি সংগঠনটি অস্ত্র ছেড়ে দিয়ে ও গাজা ত্যাগ করার শর্ত মেনে নেয়, তাহলে
১১ মার্চ ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
৪০ মিনিট আগে
শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সমুদ্রে একের পর এক সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকার ওপর হামলা করছে মার্কিন বাহিনী। গত এক সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত তিনটি সন্দেহভাজন নৌকায় আঘাত করেছে তারা। এর মধ্যে একটি ক্যারিবিয়ান সাগর ও অন্তত দুটি হামলা হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সমুদ্রে একের পর এক সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকার ওপর হামলা করছে মার্কিন বাহিনী। গত এক সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত তিনটি সন্দেহভাজন নৌকায় আঘাত করেছে তারা। এর মধ্যে একটি ক্যারিবিয়ান সাগর ও অন্তত দুটি হামলা হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে।
গত ২২ অক্টোবর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের একটি এক্স পোস্টে দেখা গেছে—নীল রঙের একটি নৌকা দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে। পরে সেটি আঘাতপ্রাপ্ত ও বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের গোলায় পরিণত হয়। ভিডিওতে হেগসেথ মন্তব্য করেছেন, ‘আল-কায়েদার মতোই কার্টেলগুলো আমাদের সীমান্ত ও জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কোনো প্রশ্রয় বা ক্ষমা হবে না—শুধুই ন্যায়বিচার।’
এখন পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরের ওই দুটি হামলায় আক্রান্ত নৌকা দুটিকে যথাক্রমে ৮ নম্বর ও ৯ নম্বর হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ক্যারিবিয়ান সাগরে আরও একটি হামলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এসব হামলায় মৃতের সংখ্যা এখন ৪৩-এ পৌঁছেছে।
তবে মার্কিন প্রশাসন এখনো জনসমক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি যে, নৌকাগুলোতে যারা ছিলেন, তাঁরা আসলে কোনো মাদক কার্টেলের সদস্য ছিলেন বা নৌকাগুলো মাদক বহন করছিল। এর ফলে বিষয়টি আইনি বৈধতা ও হোয়াইট হাউসের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) এনপিআর-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার আগে থেকেই মার্কিন বাহিনী ভেনেজুয়েলার উপকূলে শক্তি বাড়িয়েছে। নৌবহর ও সৈন্যদল এমনভাবে মোতায়েন করেছে যে, আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা এটিকে নজিরবিহীন বলছেন। এ অবস্থায় ছোট ছোট নৌকাকে লক্ষ্য করে এত সামরিক শক্তি প্রয়োগকে একটি অতিরঞ্জিত পদক্ষেপ বলে মনে করছেন তাঁরা। কিছু বিশ্লেষকের মতে, এটি ভেনেজুয়েলার নেতৃত্বকে উৎখাতের উদ্দেশ্য প্রকাশ কিংবা তাঁর বিরুদ্ধে সেনা উত্থানকে উসকে দেওয়ার কৌশলও হতে পারে।
ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় এই ধরনের হামলা করার আইনি ক্ষমতা তাঁর প্রশাসনের আছে। এটিকে তিনি জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলছেন, এই হামলাগুলো আমেরিকানদের জীবন বাঁচাচ্ছে। কিন্তু আইনগতভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা মার্কিন কংগ্রেসের হাতে এবং কংগ্রেস মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা করেনি। ডেমোক্র্যাট, এমনকি রিপাবলিকান কয়েকজন নেতাও এই হামলাগুলোকে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে সমালোচনা করেছেন। কেন্টাকি সিনেটর র্যান্ড পল বলেছেন, ‘প্রমাণ ছাড়াই, মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া অনৈতিক।’
এদিকে জাতিসংঘের স্বাধীন বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—আন্তর্জাতিক জলসীমায় আইনগত ভিত্তি ছাড়া মারণাস্ত্র প্রয়োগ আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের লঙ্ঘন এবং নির্বিচারে হত্যার সমান হতে পারে। প্রতিবেশী কলম্বিয়াও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট কিছু হামলায় তাঁর দেশের নাগরিক নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। পরিসংখ্যান ও প্রমাণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখন ক্রমেই বাড়ছে।
এই পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যাবে, তা জানতে সারা বিশ্ব এখন সমুদ্রে তাকিয়ে আছে।

সমুদ্রে একের পর এক সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকার ওপর হামলা করছে মার্কিন বাহিনী। গত এক সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত তিনটি সন্দেহভাজন নৌকায় আঘাত করেছে তারা। এর মধ্যে একটি ক্যারিবিয়ান সাগর ও অন্তত দুটি হামলা হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে।
গত ২২ অক্টোবর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের একটি এক্স পোস্টে দেখা গেছে—নীল রঙের একটি নৌকা দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে। পরে সেটি আঘাতপ্রাপ্ত ও বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের গোলায় পরিণত হয়। ভিডিওতে হেগসেথ মন্তব্য করেছেন, ‘আল-কায়েদার মতোই কার্টেলগুলো আমাদের সীমান্ত ও জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কোনো প্রশ্রয় বা ক্ষমা হবে না—শুধুই ন্যায়বিচার।’
এখন পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরের ওই দুটি হামলায় আক্রান্ত নৌকা দুটিকে যথাক্রমে ৮ নম্বর ও ৯ নম্বর হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ক্যারিবিয়ান সাগরে আরও একটি হামলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এসব হামলায় মৃতের সংখ্যা এখন ৪৩-এ পৌঁছেছে।
তবে মার্কিন প্রশাসন এখনো জনসমক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি যে, নৌকাগুলোতে যারা ছিলেন, তাঁরা আসলে কোনো মাদক কার্টেলের সদস্য ছিলেন বা নৌকাগুলো মাদক বহন করছিল। এর ফলে বিষয়টি আইনি বৈধতা ও হোয়াইট হাউসের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) এনপিআর-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার আগে থেকেই মার্কিন বাহিনী ভেনেজুয়েলার উপকূলে শক্তি বাড়িয়েছে। নৌবহর ও সৈন্যদল এমনভাবে মোতায়েন করেছে যে, আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা এটিকে নজিরবিহীন বলছেন। এ অবস্থায় ছোট ছোট নৌকাকে লক্ষ্য করে এত সামরিক শক্তি প্রয়োগকে একটি অতিরঞ্জিত পদক্ষেপ বলে মনে করছেন তাঁরা। কিছু বিশ্লেষকের মতে, এটি ভেনেজুয়েলার নেতৃত্বকে উৎখাতের উদ্দেশ্য প্রকাশ কিংবা তাঁর বিরুদ্ধে সেনা উত্থানকে উসকে দেওয়ার কৌশলও হতে পারে।
ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় এই ধরনের হামলা করার আইনি ক্ষমতা তাঁর প্রশাসনের আছে। এটিকে তিনি জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলছেন, এই হামলাগুলো আমেরিকানদের জীবন বাঁচাচ্ছে। কিন্তু আইনগতভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা মার্কিন কংগ্রেসের হাতে এবং কংগ্রেস মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা করেনি। ডেমোক্র্যাট, এমনকি রিপাবলিকান কয়েকজন নেতাও এই হামলাগুলোকে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে সমালোচনা করেছেন। কেন্টাকি সিনেটর র্যান্ড পল বলেছেন, ‘প্রমাণ ছাড়াই, মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া অনৈতিক।’
এদিকে জাতিসংঘের স্বাধীন বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—আন্তর্জাতিক জলসীমায় আইনগত ভিত্তি ছাড়া মারণাস্ত্র প্রয়োগ আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের লঙ্ঘন এবং নির্বিচারে হত্যার সমান হতে পারে। প্রতিবেশী কলম্বিয়াও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট কিছু হামলায় তাঁর দেশের নাগরিক নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। পরিসংখ্যান ও প্রমাণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখন ক্রমেই বাড়ছে।
এই পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যাবে, তা জানতে সারা বিশ্ব এখন সমুদ্রে তাকিয়ে আছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ গতকাল সোমবার বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরবর্তী পর্যায়ের বন্দী বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা দরকার। তিনি আরও বলেছেন, যদি সংগঠনটি অস্ত্র ছেড়ে দিয়ে ও গাজা ত্যাগ করার শর্ত মেনে নেয়, তাহলে
১১ মার্চ ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
৪০ মিনিট আগে
শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ক্রমেই জোরদার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরি ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’ ক্যারিবীয় সাগরে মোতায়েন করছে।
৪ ঘণ্টা আগে