Ajker Patrika

জিম্মি দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের দাবি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের

অনলাইন ডেস্ক
জুডি ওয়েস্টিন এবং গাদি হ্যাগাই। ছবি: হস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম
জুডি ওয়েস্টিন এবং গাদি হ্যাগাই। ছবি: হস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস থেকে দুই জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের দাবি করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী—আইডিএফ। মরদেহ দুটি এক দম্পতির বলে জানিয়েছে তারা। আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা আরও জানিয়েছে, মরদেহ দুটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ইসরায়েলে নেওয়া হয়েছে।

বার্তাসংস্থা এপির তথ্যমতে, মরদেহ দুটি ৭০ বছর বয়সী জুডি ওয়েস্টিন এবং তাঁর স্বামী ৭২ বছর বয়সী গাদি হ্যাগাইর। জুডি ইসরায়েলের পাশাপাশি কানাডার নাগরিক বলেও জানা গেছে। তাঁদের দুজনেরই মার্কিন নাগরিকত্ব ছিল বলেও জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

আইডিএফ দাবি করছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসেরর হামলার দিনই ওই দম্পতিকে হত্যা করা হয়। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সমর্থক মুজাহিদ ব্রিগ্রেডস নামের ছোট একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর গুলিতে নিহত হন তাঁরা। পরে, তাঁদের মরদেহ গাজায় নিয়ে আসা হয়। ওই গোষ্ঠীই এর আগে শিরি বিবাস ও তাঁর দুই ছোট সন্তানকে অপহরণ ও হত্যা করেছিল বলে দাবি করেছে আইডিএফ।

এই দম্পতির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার স্ত্রী নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তাঁদের জন্য আমরা গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করি।’

এ সময় আইডিএফের সেনাদের ধন্যবাদ জানান তিনি। তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই সফল ও সাহসী অভিযান পরিচালনার জন্য যোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত সব জিম্মিকে—জীবিত বা মৃত ঘরে ফেরাতে না পারছি, ততক্ষণ আমাদের অভিযান চলবে।’

মরদেহ ফেরত পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে জুডি ও গাদির পরিবার। তাঁরা বলেন, ‘ওইদিন সকালে হাঁটতে বের হয়েছিলেন জুডি ও গাদি। এরপর হামাস হামলা চালায়। এরপর থেকেই তাঁরা নিখোঁজ। অবশেষে তাঁদের মরদেহ আমরা ফেরত পাচ্ছি। রীতি অনুযায়ী সৎকার করা সম্ভব হবে। আমরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছি।’

‘হস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন হামাসের সঙ্গে নতুন একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি করতে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বাকি জিম্মিদের জীবিত ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দিচ্ছে তারা। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, ‘আরও শত শত দিন যন্ত্রণার মধ্যে থাকার কোনো অর্থ নেই। এই মিশন আগামীকাল সকালেই শেষ করা সম্ভব। এটাই অধিকাংশ ইসরায়েলির ইচ্ছা।’

এ ইস্যুতে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি হামাস।

প্রায় ২০ মাস আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাসের ওই অভিযানে প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় যোদ্ধারা। এর পর থেকেই ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। গাজার হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞে গাজায় এ পর্যন্ত ৫৪ হাজার ৬০৭ জন নিহত হয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত