আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গাজায় থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই সেই মিছিলে বাড়ছে মানুষের সংখ্যা। গতকাল সোমবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় গাজাজুড়ে নিহত হয়েছে আরও প্রায় এক শ ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ইসরায়েলের হামলায় গাজাজুড়ে নিহত হয়েছে অন্তত ৯৫ জন। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, ক্যাফে, স্কুলের মতো বেসামরিক স্থাপনাগুলোয় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। হামলা চালিয়েছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোত, যা আইডিএফ নিয়মিতই করছে। নিহতদের মধ্যে ৬২ জনই গাজা সিটি এবং উত্তর গাজার বাসিন্দা। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, গাজা সিটির উত্তরাংশে সমুদ্রের কাছে অবস্থিত আল-বাকা নামক একটি ক্যাফেতে হামলা চালিয়ে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক গণমাধ্যমকর্মীও। নিহত ওই গণমাধ্যমকর্মীর নাম ইসমাইল আবু হাতাব। ওই হামলায় নিহত হয়েছে তার স্ত্রী ও সন্তানও।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ক্যাফেটিতে মূলত এক শিশুর জন্মদিনের আয়োজন চলছিল। যেকারণে সেখানে অনেক ভিড় ছিল। হঠাৎ ইসরায়েলি বোমা এসে উড়িয়ে দেয় সবকিছু। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘এখানে তো কোনো রাজনৈতিক বা সামরিক কার্যকলাপ চলছিল না। জন্মদিনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে সেসবের কোনো সম্পর্ক নেই। তাহলে কেন এখানে হামলা চালানো হলো?’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে ক্যাফেটি। গাজা শহর থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ক্যাফেটিতে এই হামলা চালানো হয়। তার তথ্যমতে, বিস্ফোরণে অনেকের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের তীব্রতা এত ভয়াবহ ছিল যে মানুষের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রক্তের দাগ। মৃতদেহ এবং মাংসের টুকরো সরিয়েছে উদ্ধারকর্মীরা।’
গতকাল ওই ক্যাফে ছাড়াও গাজা শহরের ইয়াফা স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন শত শত বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ—এক ঘোষণায় ওই স্কুলটি ছাড়তে মাত্র ৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল তাদের। কোনোমতে জীবন নিয়ে পালিয়েছেন তারা।
হামলা হয়েছে আল-আকসা হাসপাতাল প্রাঙ্গণেও। হামলার স্থান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজ্জুম জানান, ভয়াবহ বিস্ফোরণে আগে ন্যূনতম কোনো সতর্কতা জারি করেনি ইসরায়েলি বাহিনী। তিনি বলেন, ‘হামলার স্থানটি আমাদের সম্প্রচারের পয়েন্ট থেকে মাত্র ১০ মিটার দূরে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ১০ বার আল-আকসায় সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।’
গাজায় থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই সেই মিছিলে বাড়ছে মানুষের সংখ্যা। গতকাল সোমবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় গাজাজুড়ে নিহত হয়েছে আরও প্রায় এক শ ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ইসরায়েলের হামলায় গাজাজুড়ে নিহত হয়েছে অন্তত ৯৫ জন। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, ক্যাফে, স্কুলের মতো বেসামরিক স্থাপনাগুলোয় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। হামলা চালিয়েছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোত, যা আইডিএফ নিয়মিতই করছে। নিহতদের মধ্যে ৬২ জনই গাজা সিটি এবং উত্তর গাজার বাসিন্দা। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, গাজা সিটির উত্তরাংশে সমুদ্রের কাছে অবস্থিত আল-বাকা নামক একটি ক্যাফেতে হামলা চালিয়ে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক গণমাধ্যমকর্মীও। নিহত ওই গণমাধ্যমকর্মীর নাম ইসমাইল আবু হাতাব। ওই হামলায় নিহত হয়েছে তার স্ত্রী ও সন্তানও।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ক্যাফেটিতে মূলত এক শিশুর জন্মদিনের আয়োজন চলছিল। যেকারণে সেখানে অনেক ভিড় ছিল। হঠাৎ ইসরায়েলি বোমা এসে উড়িয়ে দেয় সবকিছু। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘এখানে তো কোনো রাজনৈতিক বা সামরিক কার্যকলাপ চলছিল না। জন্মদিনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে সেসবের কোনো সম্পর্ক নেই। তাহলে কেন এখানে হামলা চালানো হলো?’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে ক্যাফেটি। গাজা শহর থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ক্যাফেটিতে এই হামলা চালানো হয়। তার তথ্যমতে, বিস্ফোরণে অনেকের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের তীব্রতা এত ভয়াবহ ছিল যে মানুষের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রক্তের দাগ। মৃতদেহ এবং মাংসের টুকরো সরিয়েছে উদ্ধারকর্মীরা।’
গতকাল ওই ক্যাফে ছাড়াও গাজা শহরের ইয়াফা স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন শত শত বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ—এক ঘোষণায় ওই স্কুলটি ছাড়তে মাত্র ৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল তাদের। কোনোমতে জীবন নিয়ে পালিয়েছেন তারা।
হামলা হয়েছে আল-আকসা হাসপাতাল প্রাঙ্গণেও। হামলার স্থান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজ্জুম জানান, ভয়াবহ বিস্ফোরণে আগে ন্যূনতম কোনো সতর্কতা জারি করেনি ইসরায়েলি বাহিনী। তিনি বলেন, ‘হামলার স্থানটি আমাদের সম্প্রচারের পয়েন্ট থেকে মাত্র ১০ মিটার দূরে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ১০ বার আল-আকসায় সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।’
কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩০ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরিতে। বৈঠকের আয়োজক হাঙ্গেরির রুশপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার...
৪১ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনায় নতুন বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব দিকের অংশ (ইস্ট উইং) ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাবেক এক মার্কিন আইনপ্রণেতা তো এটিকে ‘স্রেফ ধ্বংসযজ্ঞ’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেবিরল মৃত্তিকা ধাতু ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ বাড়াতে নতুন এক চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। বিরল খনিজের বাজারে চীনের একক নিয়ন্ত্রণ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তাদের কৌশলের অংশ হিসেবেই এই চুক্তি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ও প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের গুণমুগ্ধ তাকাইচি আজ মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোটে ৪৬৫ আসনের মধ্যে ২৩৭টি ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পরে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমতি দেয়।
তাকাইচির এই বিজয় জাপানের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যেখানে এখনো দেশটির রাজনীতির সব ক্ষেত্রেই পুরুষদের প্রভাব বেশি। তবে তাঁর নেতৃত্বে দেশটি অভিবাসন ও সামাজিক ইস্যুতে আরও কঠোর ডানপন্থী অবস্থানে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তাঁর জয় নিশ্চিত হয় সোমবার। কারণ, গতকালই দ্বিতীয় বৃহত্তম জোটসঙ্গী ডানপন্থী জাপান ইনোভেশন পার্টি বা ইশিনের সঙ্গে শাসক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) জোট গড়ার চুক্তি সম্পন্ন করে। এলডিপি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের বেশির ভাগ সময়ই দেশটি শাসন করেছে।
বছরের পর বছর অর্থিকবাজারে দরপতনের পর এখন জাপান ভুগছে মূল্যস্ফীতির চাপে। এতে জনঅসন্তোষ বেড়েছে, যা নতুন করে উসকে দিয়েছে ডানপন্থী ও চরম দক্ষিণপন্থী দলগুলোর প্রতি সমর্থন।
শিনজো আবের মতো তাকাইচিও অর্থনীতিকে চাঙা করতে সরকারি ব্যয় বাড়ানোর পক্ষপাতী। এই নীতির জেরে শেয়ারবাজারে ‘তাকাইচি ট্রেড’ নামে নতুন প্রবণতা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার নিক্কেই সূচক ইতিহাসের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। তবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে। কারণ, ঋণে জর্জরিত জাপান অতিরিক্ত সরকারি ব্যয়ের ভার বহন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
আয়চি গাকুইন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক তাদাশি মোরি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো ভোট পেলেও কার্যকরভাবে সরকার চালাতে তাকাইচির আরও কিছু বিরোধী দলের সমর্থন প্রয়োজন হবে। দুই দলই কোনো কক্ষেই পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। স্থিতিশীল সরকার গঠনে এবং গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটির নিয়ন্ত্রণ পেতে তাদের অর্ধেকের বেশি আসন নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবের আমলে চালু হওয়া আবেনোমিক্স নীতি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা এখন বিপাকে ফেলতে পারে। কারণ, সেই নীতি মূলত দরপতন ঠেকানোর জন্য তৈরি হয়েছিল। বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির সময়ে অতিরিক্ত প্রণোদনা দিলে ইয়েনের মান আরও দুর্বল হতে পারে। একইভাবে ভোগ্যপণ্যে কর কমানো চাহিদা বাড়াতে পারে, কিন্তু তা মূল্যবৃদ্ধি রোধ করবে না।’
জাপানের অপেক্ষাকৃত দুর্বল উচ্চকক্ষও তাকাইচির নিয়োগ অনুমোদন দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির ১০৪ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হবেন। ইশিবা গত মাসে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর দায় নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ও প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের গুণমুগ্ধ তাকাইচি আজ মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোটে ৪৬৫ আসনের মধ্যে ২৩৭টি ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পরে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমতি দেয়।
তাকাইচির এই বিজয় জাপানের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যেখানে এখনো দেশটির রাজনীতির সব ক্ষেত্রেই পুরুষদের প্রভাব বেশি। তবে তাঁর নেতৃত্বে দেশটি অভিবাসন ও সামাজিক ইস্যুতে আরও কঠোর ডানপন্থী অবস্থানে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তাঁর জয় নিশ্চিত হয় সোমবার। কারণ, গতকালই দ্বিতীয় বৃহত্তম জোটসঙ্গী ডানপন্থী জাপান ইনোভেশন পার্টি বা ইশিনের সঙ্গে শাসক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) জোট গড়ার চুক্তি সম্পন্ন করে। এলডিপি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের বেশির ভাগ সময়ই দেশটি শাসন করেছে।
বছরের পর বছর অর্থিকবাজারে দরপতনের পর এখন জাপান ভুগছে মূল্যস্ফীতির চাপে। এতে জনঅসন্তোষ বেড়েছে, যা নতুন করে উসকে দিয়েছে ডানপন্থী ও চরম দক্ষিণপন্থী দলগুলোর প্রতি সমর্থন।
শিনজো আবের মতো তাকাইচিও অর্থনীতিকে চাঙা করতে সরকারি ব্যয় বাড়ানোর পক্ষপাতী। এই নীতির জেরে শেয়ারবাজারে ‘তাকাইচি ট্রেড’ নামে নতুন প্রবণতা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার নিক্কেই সূচক ইতিহাসের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। তবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে। কারণ, ঋণে জর্জরিত জাপান অতিরিক্ত সরকারি ব্যয়ের ভার বহন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
আয়চি গাকুইন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক তাদাশি মোরি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো ভোট পেলেও কার্যকরভাবে সরকার চালাতে তাকাইচির আরও কিছু বিরোধী দলের সমর্থন প্রয়োজন হবে। দুই দলই কোনো কক্ষেই পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। স্থিতিশীল সরকার গঠনে এবং গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটির নিয়ন্ত্রণ পেতে তাদের অর্ধেকের বেশি আসন নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবের আমলে চালু হওয়া আবেনোমিক্স নীতি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা এখন বিপাকে ফেলতে পারে। কারণ, সেই নীতি মূলত দরপতন ঠেকানোর জন্য তৈরি হয়েছিল। বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির সময়ে অতিরিক্ত প্রণোদনা দিলে ইয়েনের মান আরও দুর্বল হতে পারে। একইভাবে ভোগ্যপণ্যে কর কমানো চাহিদা বাড়াতে পারে, কিন্তু তা মূল্যবৃদ্ধি রোধ করবে না।’
জাপানের অপেক্ষাকৃত দুর্বল উচ্চকক্ষও তাকাইচির নিয়োগ অনুমোদন দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির ১০৪ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হবেন। ইশিবা গত মাসে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর দায় নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
গাজায় থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই সেই মিছিলে বাড়ছে মানুষের সংখ্যা। গতকাল সোমবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় গাজাজুড়ে নিহত হয়েছে আরও প্রায় এক শ ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ইসরায়েলের হামলায় গাজাজুড়ে নিহত হয়েছে অন্তত ৯৫ জন।
০১ জুলাই ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরিতে। বৈঠকের আয়োজক হাঙ্গেরির রুশপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার...
৪১ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনায় নতুন বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব দিকের অংশ (ইস্ট উইং) ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাবেক এক মার্কিন আইনপ্রণেতা তো এটিকে ‘স্রেফ ধ্বংসযজ্ঞ’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেবিরল মৃত্তিকা ধাতু ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ বাড়াতে নতুন এক চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। বিরল খনিজের বাজারে চীনের একক নিয়ন্ত্রণ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তাদের কৌশলের অংশ হিসেবেই এই চুক্তি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরিতে। বৈঠকের আয়োজক হাঙ্গেরির রুশপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার ব্যাপারে মস্কোর অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানানোয় এই উদ্বেগ।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে এক বন্ধুত্বপূর্ণ ফোনালাপে বুদাপেস্টে বৈঠকের বিষয়টি নির্ধারিত হয়। এর পরদিনই ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে মস্কোর দাবির কাছে নতি স্বীকারে চাপ দেন। বৈঠকের স্থান হিসেবে হাঙ্গেরি নির্বাচিত হওয়ায় ‘ক্ষুব্ধ’ হয়েছে কিয়েভসহ ইউরোপের বহু দেশ। কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ন্যাটোর সদস্য হয়েও অরবান দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইউরোপের সমালোচক।
এক ইইউ কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইউরোপীয় নেতাদের ‘কেউই খুশি নন। সবাই কেবল জোর করে মুখে হাসি ধরে আছেন, যেন সব ঠিক আছে।’ জার্মানির ইইউ বিষয়কমন্ত্রী গুন্থার ক্রিশবাউম সোমবার বলেন, ‘এখনই আমাদের আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন, কীভাবে এই যুদ্ধ থামানো যায়।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেনকে অবশ্যই আলোচনার টেবিলে রাখতে হবে, না হলে এটি ব্যর্থ চুক্তি হবে।’
এই বৈঠকের সমালোচনা করে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি মনে করি না, বুদাপেস্ট এই বৈঠকের উপযুক্ত স্থান।’ কারণ, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নরম করার চেষ্টা করেছেন এবং ইউক্রেনের সামরিক সহায়তারও বিরোধিতা করেছেন। জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘যে প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনকে সব জায়গায় বাধা দেন, তিনি ইউক্রেনের পক্ষে কোনো ইতিবাচক কিছু করতে পারবেন না বা নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে পারবেন না।’ তবে তিনি জানান, চাইলে বুদাপেস্টে ট্রাম্পের সঙ্গে একটি পৃথক বৈঠকে অংশ নিতে রাজি আছেন।
বুদাপেস্টে ট্রাম্প–পুতিনের বৈঠক আয়োজনের ক্ষেত্রে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আংশিকভাবে দায় দেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে। কারণ, তিনিই হাঙ্গেরিকে বৈঠকের স্থান হিসেবে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ভ্যাটিকান, সৌদি আরব, কাতার, তুরস্ক—এর মতো আরও অনেক ভালো বিকল্প ছিল।’
পুতিনকে আতিথ্য দেওয়া হাঙ্গেরির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমস্যাজনক হতে পারে। কারণ, রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। হাঙ্গেরি ঘোষণা দিয়েছে, তারা আইসিসি থেকে বেরিয়ে যাবে, তবে আগামী গ্রীষ্ম পর্যন্ত আদালতের নিয়ম মানতে বাধ্য। এর আগে অরবান গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকেও আতিথ্য দিয়েছেন।
ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কাইয়া ক্যালাস বলেন, ‘আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত একজন ব্যক্তিকে ইউরোপে স্বাগত জানানো ভালো বিষয় নয়।’ লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেস্তুতিস বুদ্রিস বলেন, ‘পুতিনের ইউরোপে একমাত্র জায়গা হলো দ্য হেগের আদালতের সামনে, আমাদের কোনো রাজধানীতে নয়।’
ট্রাম্প গত সপ্তাহে অরবানকে ফোনে প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি এমন একজন নেতা যাকে আমরা পছন্দ করি। পুতিনও তাঁকে পছন্দ করে, আমিও করি। হাঙ্গেরি নিরাপদ দেশ, তিনি খুব ভালো আয়োজক হবেন।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার বলেন, বৈঠকের প্রস্তুতি এখনো শুরু হয়নি, তবে অরবান ট্রাম্প ও পুতিন—দুজনের সঙ্গেই উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। রাশিয়া আশা করছে, এই বৈঠক ইউক্রেন ইস্যুতে শান্তির পথ তৈরিতে সহায়ক হবে এবং একই সঙ্গে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হবে।
এক জার্মান কর্মকর্তা জানান, আশা করা হচ্ছে—অরবান ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে তাঁর পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করবেন, যার মধ্যে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের একটি বৈঠকও থাকতে পারে। তবে এখনো কিছু নিশ্চিত হয়নি। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ৩০ অক্টোবর বুদাপেস্টে আসবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইইউ নেতারা বৈঠকে বসবেন। সেখানে রাশিয়ার স্থগিত সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে ১৪০ বিলিয়ন ইউরোর ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব এবং নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। নেতারা আশা করছেন, জাতীয় দিবস উদ্যাপন শেষে অরবান দেরিতে বৈঠকে যোগ দিলে সমঝোতায় পৌঁছানো সহজ হবে।
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে অরবান বলেন, ‘আমরা শুধু আয়োজক নই। এটা রাজনৈতিক সাফল্য যে এখনো বুদাপেস্ট শান্তি বৈঠক আয়োজনের যোগ্য স্থান।’ তিনি ইউরোপীয় নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপের পথ বন্ধ করেছে অথচ ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক ডিফেন্স প্রায়োরিটিজের বিশ্লেষক জেনিফার কেভানাহ বলেন, ‘এটা অরবানের জন্য বড় জয়। এত দিন তাঁকে ইইউ-তে একঘরে করা হয়েছিল, এবার তিনি সেটার পাল্টা জবাব দিলেন।’ তিনি মনে করেন, এই বৈঠক হাঙ্গেরির রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ আগামী বসন্তে নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা অরবান এবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে।
হাঙ্গেরির ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক বোতন্ড ফেলেদি বলেন, ‘এটি অরবান ধাঁচের সাফল্য। কিন্তু এতে ইউরোপীয় ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা শুরু থেকেই ইউরোপ এড়াতে চেয়েছিল।’ তাঁর ভাষায়, ‘এ ধরনের বৈঠক ব্যক্তিগত সম্পর্ককে রাজনীতির ওপরে তুলে ধরে, যা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার হয়ে ওঠে। কোনো ইউরোপীয় দেশেরই এতে সহায়তার আগ্রহ থাকা উচিত নয়।’
বুদাপেস্টের প্রতীকী তাৎপর্য ইউক্রেনের কাছে গভীর। কারণ, ১৯৯৪ সালে এখানেই রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ইউক্রেন, যেখানে তারা পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের বিনিময়ে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে পুতিন ক্রিমিয়া দখল করেন এবং ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ হামলা চালিয়ে সেই চুক্তি ভঙ্গ করেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘আরেকটি বুদাপেস্ট চুক্তি ইউক্রেনের জন্য শুভ হবে না। তবে যদি সত্যিকারের শান্তি আসে, তাহলে স্থান ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
সোমবার লুক্সেমবার্গে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে কয়েকজন কূটনীতিক বলেন, ‘ইতিহাস নিজেকে পুনরাবৃত্তি করতে চায়। একবার বুদাপেস্টে একটি চুক্তি হয়েছিল, যার ফল ইউক্রেনের জন্য ভালো হয়নি।’
তথ্যসূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরিতে। বৈঠকের আয়োজক হাঙ্গেরির রুশপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার ব্যাপারে মস্কোর অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানানোয় এই উদ্বেগ।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে এক বন্ধুত্বপূর্ণ ফোনালাপে বুদাপেস্টে বৈঠকের বিষয়টি নির্ধারিত হয়। এর পরদিনই ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে মস্কোর দাবির কাছে নতি স্বীকারে চাপ দেন। বৈঠকের স্থান হিসেবে হাঙ্গেরি নির্বাচিত হওয়ায় ‘ক্ষুব্ধ’ হয়েছে কিয়েভসহ ইউরোপের বহু দেশ। কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ন্যাটোর সদস্য হয়েও অরবান দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইউরোপের সমালোচক।
এক ইইউ কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইউরোপীয় নেতাদের ‘কেউই খুশি নন। সবাই কেবল জোর করে মুখে হাসি ধরে আছেন, যেন সব ঠিক আছে।’ জার্মানির ইইউ বিষয়কমন্ত্রী গুন্থার ক্রিশবাউম সোমবার বলেন, ‘এখনই আমাদের আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন, কীভাবে এই যুদ্ধ থামানো যায়।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেনকে অবশ্যই আলোচনার টেবিলে রাখতে হবে, না হলে এটি ব্যর্থ চুক্তি হবে।’
এই বৈঠকের সমালোচনা করে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি মনে করি না, বুদাপেস্ট এই বৈঠকের উপযুক্ত স্থান।’ কারণ, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নরম করার চেষ্টা করেছেন এবং ইউক্রেনের সামরিক সহায়তারও বিরোধিতা করেছেন। জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘যে প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনকে সব জায়গায় বাধা দেন, তিনি ইউক্রেনের পক্ষে কোনো ইতিবাচক কিছু করতে পারবেন না বা নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে পারবেন না।’ তবে তিনি জানান, চাইলে বুদাপেস্টে ট্রাম্পের সঙ্গে একটি পৃথক বৈঠকে অংশ নিতে রাজি আছেন।
বুদাপেস্টে ট্রাম্প–পুতিনের বৈঠক আয়োজনের ক্ষেত্রে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আংশিকভাবে দায় দেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে। কারণ, তিনিই হাঙ্গেরিকে বৈঠকের স্থান হিসেবে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ভ্যাটিকান, সৌদি আরব, কাতার, তুরস্ক—এর মতো আরও অনেক ভালো বিকল্প ছিল।’
পুতিনকে আতিথ্য দেওয়া হাঙ্গেরির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমস্যাজনক হতে পারে। কারণ, রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। হাঙ্গেরি ঘোষণা দিয়েছে, তারা আইসিসি থেকে বেরিয়ে যাবে, তবে আগামী গ্রীষ্ম পর্যন্ত আদালতের নিয়ম মানতে বাধ্য। এর আগে অরবান গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকেও আতিথ্য দিয়েছেন।
ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কাইয়া ক্যালাস বলেন, ‘আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত একজন ব্যক্তিকে ইউরোপে স্বাগত জানানো ভালো বিষয় নয়।’ লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেস্তুতিস বুদ্রিস বলেন, ‘পুতিনের ইউরোপে একমাত্র জায়গা হলো দ্য হেগের আদালতের সামনে, আমাদের কোনো রাজধানীতে নয়।’
ট্রাম্প গত সপ্তাহে অরবানকে ফোনে প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি এমন একজন নেতা যাকে আমরা পছন্দ করি। পুতিনও তাঁকে পছন্দ করে, আমিও করি। হাঙ্গেরি নিরাপদ দেশ, তিনি খুব ভালো আয়োজক হবেন।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার বলেন, বৈঠকের প্রস্তুতি এখনো শুরু হয়নি, তবে অরবান ট্রাম্প ও পুতিন—দুজনের সঙ্গেই উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। রাশিয়া আশা করছে, এই বৈঠক ইউক্রেন ইস্যুতে শান্তির পথ তৈরিতে সহায়ক হবে এবং একই সঙ্গে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হবে।
এক জার্মান কর্মকর্তা জানান, আশা করা হচ্ছে—অরবান ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে তাঁর পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করবেন, যার মধ্যে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের একটি বৈঠকও থাকতে পারে। তবে এখনো কিছু নিশ্চিত হয়নি। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ৩০ অক্টোবর বুদাপেস্টে আসবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইইউ নেতারা বৈঠকে বসবেন। সেখানে রাশিয়ার স্থগিত সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে ১৪০ বিলিয়ন ইউরোর ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব এবং নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। নেতারা আশা করছেন, জাতীয় দিবস উদ্যাপন শেষে অরবান দেরিতে বৈঠকে যোগ দিলে সমঝোতায় পৌঁছানো সহজ হবে।
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে অরবান বলেন, ‘আমরা শুধু আয়োজক নই। এটা রাজনৈতিক সাফল্য যে এখনো বুদাপেস্ট শান্তি বৈঠক আয়োজনের যোগ্য স্থান।’ তিনি ইউরোপীয় নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপের পথ বন্ধ করেছে অথচ ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক ডিফেন্স প্রায়োরিটিজের বিশ্লেষক জেনিফার কেভানাহ বলেন, ‘এটা অরবানের জন্য বড় জয়। এত দিন তাঁকে ইইউ-তে একঘরে করা হয়েছিল, এবার তিনি সেটার পাল্টা জবাব দিলেন।’ তিনি মনে করেন, এই বৈঠক হাঙ্গেরির রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ আগামী বসন্তে নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা অরবান এবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে।
হাঙ্গেরির ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক বোতন্ড ফেলেদি বলেন, ‘এটি অরবান ধাঁচের সাফল্য। কিন্তু এতে ইউরোপীয় ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা শুরু থেকেই ইউরোপ এড়াতে চেয়েছিল।’ তাঁর ভাষায়, ‘এ ধরনের বৈঠক ব্যক্তিগত সম্পর্ককে রাজনীতির ওপরে তুলে ধরে, যা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার হয়ে ওঠে। কোনো ইউরোপীয় দেশেরই এতে সহায়তার আগ্রহ থাকা উচিত নয়।’
বুদাপেস্টের প্রতীকী তাৎপর্য ইউক্রেনের কাছে গভীর। কারণ, ১৯৯৪ সালে এখানেই রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ইউক্রেন, যেখানে তারা পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের বিনিময়ে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে পুতিন ক্রিমিয়া দখল করেন এবং ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ হামলা চালিয়ে সেই চুক্তি ভঙ্গ করেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘আরেকটি বুদাপেস্ট চুক্তি ইউক্রেনের জন্য শুভ হবে না। তবে যদি সত্যিকারের শান্তি আসে, তাহলে স্থান ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
সোমবার লুক্সেমবার্গে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে কয়েকজন কূটনীতিক বলেন, ‘ইতিহাস নিজেকে পুনরাবৃত্তি করতে চায়। একবার বুদাপেস্টে একটি চুক্তি হয়েছিল, যার ফল ইউক্রেনের জন্য ভালো হয়নি।’
তথ্যসূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস
গাজায় থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই সেই মিছিলে বাড়ছে মানুষের সংখ্যা। গতকাল সোমবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় গাজাজুড়ে নিহত হয়েছে আরও প্রায় এক শ ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ইসরায়েলের হামলায় গাজাজুড়ে নিহত হয়েছে অন্তত ৯৫ জন।
০১ জুলাই ২০২৫কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩০ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনায় নতুন বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব দিকের অংশ (ইস্ট উইং) ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাবেক এক মার্কিন আইনপ্রণেতা তো এটিকে ‘স্রেফ ধ্বংসযজ্ঞ’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেবিরল মৃত্তিকা ধাতু ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ বাড়াতে নতুন এক চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। বিরল খনিজের বাজারে চীনের একক নিয়ন্ত্রণ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তাদের কৌশলের অংশ হিসেবেই এই চুক্তি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনায় নতুন বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব দিকের অংশ (ইস্ট উইং) ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাবেক এক মার্কিন আইনপ্রণেতা তো এটিকে ‘স্রেফ ধ্বংসযজ্ঞ’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসের ইস্ট উইংয়ের একটি অংশ ভাঙার কাজ শুরু হয়। পত্রিকাটি ভাঙচুরের কিছু ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে ভবনের বাইরের অংশে নির্মাণকাজের চিহ্ন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। নিউইয়র্ক পোস্টেও অনুরূপ কিছু ছবি প্রকাশিত হয়েছে।
সোমবার নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেন, ‘হোয়াইট হাউসে নতুন বলরুম নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আমি গর্বিত যে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বহু প্রতীক্ষিত এ প্রকল্পটি শুরু করতে পারলাম—করদাতাদের একটা পয়সা অপচয় ছাড়াই! এটি সম্পূর্ণভাবে অর্থায়ন করছে কিছু দেশপ্রেমিক, বড় আমেরিকান কোম্পানি এবং আমিও।’
সেদিনই ওয়াশিংটন ডিসিতে এনসিএএ চ্যাম্পিয়ন লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির বেসবল দলকে সংবর্ধনা দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সুন্দর বলরুম তৈরি করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানতাম না যে এখন আমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকব। কারণ, ঠিক পাশেই নির্মাণকাজ চলছে—আপনারা হয়তো মাঝেমধ্যে শব্দ শুনতে পাবেন।’
হোয়াইট হাউসে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারের বিশাল বলরুম তৈরির পরিকল্পনা গত জুলাইয়ে সামনে। এটি হবে শতাব্দীর মধ্যে হোয়াইট হাউসের অন্যতম বৃহৎ প্রকল্প। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছিলেন, ৯০ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই বলরুমে একসঙ্গে ৬৫০ জন অতিথি বসতে পারবেন। কর্মকর্তারা বলেন, প্রকল্পটির অর্থায়ন করবেন ট্রাম্প ও কিছু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দাতা।
তখন ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘গত ১৫০ বছর ধরে হোয়াইট হাউসে বলরুম চাওয়া হয়েছে। কোনো প্রেসিডেন্টই বলরুম তৈরিতে ভালো ছিলেন না। আমি নির্মাণে পারদর্শী। সুন্দর, সময়মতো ও মানসম্মতভাবে কাজটি শেষ করব।’
ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, ট্রাম্প দাবি করেছেন, নতুন কাঠামোটি বর্তমান ভবনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে না। তিনি বলেন, ‘এটি কাছেই থাকবে, কিন্তু ছুঁয়ে যাবে না। বর্তমান ভবনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই নির্মাণ করা হবে। এটি আমার প্রিয় জায়গা, সবচেয়ে ভালো লাগে হোয়াইট হাউসকেই।’ ২০২৯ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কাজটি শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে নতুন বলরুমের দাতাদের জন্য এক ডিনার আয়োজন করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি অতিথিদের জানান, নতুন বলরুমে থাকবে বুলেটপ্রুফ কাচ, ১ হাজার অতিথির ধারণক্ষমতা এবং প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠান আয়োজনের উপযোগী অবকাঠামো। সেই ডিনারে আমাজন, অ্যাপল, মেটা, গুগল, মাইক্রোসফট, প্যালান্টির ও লকহিড মার্টিনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ট্রাম্পের এই উদ্যোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং রাজনৈতিক মহলে সমালোচনা চলছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান মার্ক তাকানো একটি বিল প্রস্তাব করেছেন, যাতে বলা হয়েছে—সরকারি কার্যক্রম বন্ধ থাকলে (শাটডাউন পরিস্থিতিতে) হোয়াইট হাউসে কোনো নির্মাণ বা সংস্কারকাজে ফেডারেল তহবিল ব্যবহার করা যাবে না, যদি না তা স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত হয়। সোমবার ছিল সরকার শাটডাউনে থাকার ২০তম দিন।
সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান জো ওয়ালশ এক্সে লিখেছেন, ‘এটি জনগণের বাড়ির এক ভয়াবহ বিকৃতি। আমি যদি ২০২৮ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হই, প্রথম প্রতিশ্রুতিই হবে ওই বলরুম বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমেরিকানদের আমন্ত্রণ জানাব, যেন তারা সাপ্তাহিক ছুটিতে নিজ নিজ হাতুড়ি আর ক্রোবার নিয়ে এসে এই বিকৃত স্থাপনাটি ভেঙে ফেলেন।’
মানবাধিকার আইনজীবী কাসিম রশিদ এক্সে লিখেছেন, ‘আমেরিকায় আয় ও সম্পদের বৈষম্য এখন রেকর্ড পর্যায়ে, কিন্তু আমরা ২৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ করছি একটি অহংকারমূলক প্রকল্পে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনায় নতুন বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব দিকের অংশ (ইস্ট উইং) ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাবেক এক মার্কিন আইনপ্রণেতা তো এটিকে ‘স্রেফ ধ্বংসযজ্ঞ’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসের ইস্ট উইংয়ের একটি অংশ ভাঙার কাজ শুরু হয়। পত্রিকাটি ভাঙচুরের কিছু ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে ভবনের বাইরের অংশে নির্মাণকাজের চিহ্ন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। নিউইয়র্ক পোস্টেও অনুরূপ কিছু ছবি প্রকাশিত হয়েছে।
সোমবার নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেন, ‘হোয়াইট হাউসে নতুন বলরুম নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আমি গর্বিত যে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বহু প্রতীক্ষিত এ প্রকল্পটি শুরু করতে পারলাম—করদাতাদের একটা পয়সা অপচয় ছাড়াই! এটি সম্পূর্ণভাবে অর্থায়ন করছে কিছু দেশপ্রেমিক, বড় আমেরিকান কোম্পানি এবং আমিও।’
সেদিনই ওয়াশিংটন ডিসিতে এনসিএএ চ্যাম্পিয়ন লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির বেসবল দলকে সংবর্ধনা দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সুন্দর বলরুম তৈরি করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানতাম না যে এখন আমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকব। কারণ, ঠিক পাশেই নির্মাণকাজ চলছে—আপনারা হয়তো মাঝেমধ্যে শব্দ শুনতে পাবেন।’
হোয়াইট হাউসে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারের বিশাল বলরুম তৈরির পরিকল্পনা গত জুলাইয়ে সামনে। এটি হবে শতাব্দীর মধ্যে হোয়াইট হাউসের অন্যতম বৃহৎ প্রকল্প। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছিলেন, ৯০ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই বলরুমে একসঙ্গে ৬৫০ জন অতিথি বসতে পারবেন। কর্মকর্তারা বলেন, প্রকল্পটির অর্থায়ন করবেন ট্রাম্প ও কিছু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দাতা।
তখন ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘গত ১৫০ বছর ধরে হোয়াইট হাউসে বলরুম চাওয়া হয়েছে। কোনো প্রেসিডেন্টই বলরুম তৈরিতে ভালো ছিলেন না। আমি নির্মাণে পারদর্শী। সুন্দর, সময়মতো ও মানসম্মতভাবে কাজটি শেষ করব।’
ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, ট্রাম্প দাবি করেছেন, নতুন কাঠামোটি বর্তমান ভবনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে না। তিনি বলেন, ‘এটি কাছেই থাকবে, কিন্তু ছুঁয়ে যাবে না। বর্তমান ভবনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই নির্মাণ করা হবে। এটি আমার প্রিয় জায়গা, সবচেয়ে ভালো লাগে হোয়াইট হাউসকেই।’ ২০২৯ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কাজটি শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে নতুন বলরুমের দাতাদের জন্য এক ডিনার আয়োজন করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি অতিথিদের জানান, নতুন বলরুমে থাকবে বুলেটপ্রুফ কাচ, ১ হাজার অতিথির ধারণক্ষমতা এবং প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠান আয়োজনের উপযোগী অবকাঠামো। সেই ডিনারে আমাজন, অ্যাপল, মেটা, গুগল, মাইক্রোসফট, প্যালান্টির ও লকহিড মার্টিনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ট্রাম্পের এই উদ্যোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং রাজনৈতিক মহলে সমালোচনা চলছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান মার্ক তাকানো একটি বিল প্রস্তাব করেছেন, যাতে বলা হয়েছে—সরকারি কার্যক্রম বন্ধ থাকলে (শাটডাউন পরিস্থিতিতে) হোয়াইট হাউসে কোনো নির্মাণ বা সংস্কারকাজে ফেডারেল তহবিল ব্যবহার করা যাবে না, যদি না তা স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত হয়। সোমবার ছিল সরকার শাটডাউনে থাকার ২০তম দিন।
সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান জো ওয়ালশ এক্সে লিখেছেন, ‘এটি জনগণের বাড়ির এক ভয়াবহ বিকৃতি। আমি যদি ২০২৮ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হই, প্রথম প্রতিশ্রুতিই হবে ওই বলরুম বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমেরিকানদের আমন্ত্রণ জানাব, যেন তারা সাপ্তাহিক ছুটিতে নিজ নিজ হাতুড়ি আর ক্রোবার নিয়ে এসে এই বিকৃত স্থাপনাটি ভেঙে ফেলেন।’
মানবাধিকার আইনজীবী কাসিম রশিদ এক্সে লিখেছেন, ‘আমেরিকায় আয় ও সম্পদের বৈষম্য এখন রেকর্ড পর্যায়ে, কিন্তু আমরা ২৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ করছি একটি অহংকারমূলক প্রকল্পে।’
গাজায় থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই সেই মিছিলে বাড়ছে মানুষের সংখ্যা। গতকাল সোমবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় গাজাজুড়ে নিহত হয়েছে আরও প্রায় এক শ ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ইসরায়েলের হামলায় গাজাজুড়ে নিহত হয়েছে অন্তত ৯৫ জন।
০১ জুলাই ২০২৫কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩০ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরিতে। বৈঠকের আয়োজক হাঙ্গেরির রুশপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার...
৪১ মিনিট আগেবিরল মৃত্তিকা ধাতু ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ বাড়াতে নতুন এক চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। বিরল খনিজের বাজারে চীনের একক নিয়ন্ত্রণ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তাদের কৌশলের অংশ হিসেবেই এই চুক্তি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিরল মৃত্তিকা ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ বাড়াতে নতুন এক চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। বিরল খনিজের বাজারে চীনের একক নিয়ন্ত্রণ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তাদের কৌশলের অংশ হিসেবেই এই চুক্তি করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে—অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানিয়েছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ‘রেডি-টু-গো’ প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগের পথ খুলবে, যা অস্ট্রেলিয়ার খনন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সক্ষমতা আরও বাড়াবে।
চুক্তির আওতায় আগামী ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে ফ্রেমওয়ার্কে উল্লেখ করা হয়েছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ থেকেই দেশ দুটি এই খনিজ সহযোগিতা নিয়ে কাজ করে আসছে। তবে আলবানিজ বলেছেন, এই নতুন চুক্তি সম্পর্ক ‘আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত রোববার ‘অকাস’ নামে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার যৌথ সাবমেরিন প্রকল্প নিয়েও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এটা পুরো গতিতেই এগোচ্ছে।’ এর আগে চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন এই প্রকল্প পর্যালোচনার ঘোষণা দিয়েছিল, যাতে দেখা হয় যে—এটি ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না। এতে আশঙ্কা দেখা দেয়, অস্ট্রেলিয়া হয়তো পুরোনো সাবমেরিন বহর প্রতিস্থাপনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন পাবে না। তবে ট্রাম্প বলেছেন, ‘না, তারা সাবমেরিনগুলো পাচ্ছে।’
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বিরল ধাতু আহরণের ৭০ শতাংশ এবং এসব ধাতুর প্রক্রিয়াজাতকরণের ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে চীন। এই ধাতুগুলো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম থেকে শুরু করে কম্পিউটার চিপ ও গাড়িতেও ব্যবহৃত হয়। চীনের এই প্রভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো অনেকাংশে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এদিকে চীন যখন নতুন মার্কিন শুল্কের জবাবে সরবরাহ সীমিত করার পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন এই নির্ভরতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই ঘোষণার পর মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার বিরল ধাতু খনন কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্য বেড়ে যায়। পার্থভিত্তিক আরাফুরা রেয়ার আর্থসের শেয়ার প্রায় ৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। অপর একটি বড় প্রতিষ্ঠান ইলুকা রিসোর্সেসের শেয়ার বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
আলবানিজ বলেছেন, চুক্তির লক্ষ্য তিন ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগ দ্রুত করা, যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগও থাকবে। দুটি দেশ মূল্য নির্ধারণ, অনুমোদন প্রক্রিয়া এবং খনিজ খাতে কোম্পানি ও প্রকল্প বিক্রির ক্ষেত্রে সরকারি পর্যালোচনার নিয়ম নিয়েও একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র আলাদাভাবে জানিয়েছে, তারা পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় বছরে ১০০ টন ক্ষমতার উন্নত গ্যালিয়াম রিফাইনারি নির্মাণে বিনিয়োগ করবে এবং এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ প্রকল্পগুলোতে।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের এমপি ম্যাটেরিয়ালস, কানাডার ট্রিলজি মেটালস ও লিথিয়াম আমেরিকাসের মতো কোম্পানিতে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে, যেগুলোর প্রকল্প যুক্তরাষ্ট্রেই চলছে। এই বিনিয়োগের বিনিময়ে প্রশাসন ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশীদারত্বও অর্জন করেছে।
এই বৈঠকের আগেই অস্ট্রেলিয়ার লাইনাস রেয়ার আর্থসসহ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারমূল্য বেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর কয়েক বছর আগে লাইনাসকে একটি চুক্তি দিয়েছিল, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি টেক্সাসে একটি প্রকল্পে কাজ করছে।
হোয়াইট হাউস প্রকাশিত ফ্রেমওয়ার্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি, যা ইঙ্গিত দেয় আলোচনাটি বেশ সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে। অস্ট্রেলিয়া গুরুত্বপূর্ণ খনিজের বড় উৎস হলেও দেশটি এখনো চীনের ওপর নির্ভরশীল, কারণ প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো মূলত চীনের হাতেই রয়েছে—যেমনটা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও দেখা যায়।
বিরল মৃত্তিকা ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ বাড়াতে নতুন এক চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। বিরল খনিজের বাজারে চীনের একক নিয়ন্ত্রণ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তাদের কৌশলের অংশ হিসেবেই এই চুক্তি করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে—অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানিয়েছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ‘রেডি-টু-গো’ প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগের পথ খুলবে, যা অস্ট্রেলিয়ার খনন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সক্ষমতা আরও বাড়াবে।
চুক্তির আওতায় আগামী ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে ফ্রেমওয়ার্কে উল্লেখ করা হয়েছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ থেকেই দেশ দুটি এই খনিজ সহযোগিতা নিয়ে কাজ করে আসছে। তবে আলবানিজ বলেছেন, এই নতুন চুক্তি সম্পর্ক ‘আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত রোববার ‘অকাস’ নামে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার যৌথ সাবমেরিন প্রকল্প নিয়েও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এটা পুরো গতিতেই এগোচ্ছে।’ এর আগে চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন এই প্রকল্প পর্যালোচনার ঘোষণা দিয়েছিল, যাতে দেখা হয় যে—এটি ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না। এতে আশঙ্কা দেখা দেয়, অস্ট্রেলিয়া হয়তো পুরোনো সাবমেরিন বহর প্রতিস্থাপনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন পাবে না। তবে ট্রাম্প বলেছেন, ‘না, তারা সাবমেরিনগুলো পাচ্ছে।’
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বিরল ধাতু আহরণের ৭০ শতাংশ এবং এসব ধাতুর প্রক্রিয়াজাতকরণের ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে চীন। এই ধাতুগুলো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম থেকে শুরু করে কম্পিউটার চিপ ও গাড়িতেও ব্যবহৃত হয়। চীনের এই প্রভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো অনেকাংশে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এদিকে চীন যখন নতুন মার্কিন শুল্কের জবাবে সরবরাহ সীমিত করার পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন এই নির্ভরতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই ঘোষণার পর মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার বিরল ধাতু খনন কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্য বেড়ে যায়। পার্থভিত্তিক আরাফুরা রেয়ার আর্থসের শেয়ার প্রায় ৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। অপর একটি বড় প্রতিষ্ঠান ইলুকা রিসোর্সেসের শেয়ার বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
আলবানিজ বলেছেন, চুক্তির লক্ষ্য তিন ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগ দ্রুত করা, যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগও থাকবে। দুটি দেশ মূল্য নির্ধারণ, অনুমোদন প্রক্রিয়া এবং খনিজ খাতে কোম্পানি ও প্রকল্প বিক্রির ক্ষেত্রে সরকারি পর্যালোচনার নিয়ম নিয়েও একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র আলাদাভাবে জানিয়েছে, তারা পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় বছরে ১০০ টন ক্ষমতার উন্নত গ্যালিয়াম রিফাইনারি নির্মাণে বিনিয়োগ করবে এবং এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ প্রকল্পগুলোতে।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের এমপি ম্যাটেরিয়ালস, কানাডার ট্রিলজি মেটালস ও লিথিয়াম আমেরিকাসের মতো কোম্পানিতে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে, যেগুলোর প্রকল্প যুক্তরাষ্ট্রেই চলছে। এই বিনিয়োগের বিনিময়ে প্রশাসন ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশীদারত্বও অর্জন করেছে।
এই বৈঠকের আগেই অস্ট্রেলিয়ার লাইনাস রেয়ার আর্থসসহ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারমূল্য বেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর কয়েক বছর আগে লাইনাসকে একটি চুক্তি দিয়েছিল, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি টেক্সাসে একটি প্রকল্পে কাজ করছে।
হোয়াইট হাউস প্রকাশিত ফ্রেমওয়ার্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি, যা ইঙ্গিত দেয় আলোচনাটি বেশ সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে। অস্ট্রেলিয়া গুরুত্বপূর্ণ খনিজের বড় উৎস হলেও দেশটি এখনো চীনের ওপর নির্ভরশীল, কারণ প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো মূলত চীনের হাতেই রয়েছে—যেমনটা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও দেখা যায়।
গাজায় থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই সেই মিছিলে বাড়ছে মানুষের সংখ্যা। গতকাল সোমবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় গাজাজুড়ে নিহত হয়েছে আরও প্রায় এক শ ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ইসরায়েলের হামলায় গাজাজুড়ে নিহত হয়েছে অন্তত ৯৫ জন।
০১ জুলাই ২০২৫কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩০ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরিতে। বৈঠকের আয়োজক হাঙ্গেরির রুশপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার...
৪১ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনায় নতুন বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব দিকের অংশ (ইস্ট উইং) ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাবেক এক মার্কিন আইনপ্রণেতা তো এটিকে ‘স্রেফ ধ্বংসযজ্ঞ’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে