ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাসকে লক্ষ্যবস্তু করে এই অভিযান চালাচ্ছে তারা। আল-শিফাসহ গাজার হাসপাতালগুলোকে হামাস ব্যবহার করছে—এমন তথ্য আছে বলে হোয়াইট হাউস দাবি করার কয়েক ঘণ্টা পরই স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১টায় ইসরায়েলি বাহিনী আল-শিফা হাসপাতালে প্রবেশ করেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন এ তথ্য।
অসুস্থ রোগী ও মরদেহে পূর্ণ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি ট্যাংক ও বুলডোজার প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন আল-শিফার একজন চিকিৎসক। আল-শিফার চিকিৎসক মোখাল্লালাতি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী আল-শিফা কমপ্লেক্সের ভেতরে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের কেন্দ্রে ট্যাংক এবং বুলডোজার দেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের জরুরি কক্ষের ওপরে মূল ভবনটি পরিদর্শন করেছেন এবং ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে প্রবেশ করেছে বলে মনে হচ্ছে না। কিন্তু তিনি বলেছেন, তিনি অন্যান্য ভবনের অবস্থা জানেন না, যেগুলোতে রোগী ও বাস্তুচ্যুত লোকেরা অবস্থান করছে, সেই সব ভবনের অবস্থা তিনি জানেন না। মোখাল্লালাতি আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘এখনো ভারী গোলাগুলি হচ্ছে এবং আমরা সর্বত্র বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছি।’
রোগী, চিকিৎসাকর্মীসহ হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক হাসপাতালে ও এর আশপাশে আশ্রয় নিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, হামাস তার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হাসপাতাল ব্যবহার করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এ বিষয়ে কোনো আন্তর্জাতিক কমিটিকে এসে পরিদর্শনের আহ্বানও জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, গোয়েন্দা তথ্য ও অভিযানের প্রয়োজনে আল-শিফা হাসপাতালের বেশ কিছু অংশে হামাসের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযান চালাচ্ছে তারা। সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, চিকিৎসক দল ও আরবি ভাষাভাষীদের অন্তর্ভুক্ত করে গঠিত তাদের বাহিনী এই অভিযান চালাচ্ছে। জটিল ও সংবেদনশীল পরিবেশে অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে দলটি নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
আইডিএফ দাবি করছে, হাসপাতালের নিচে অবস্থিত একটি সুড়ঙ্গে হামাস তাদের অভিযানের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে। পরে হোয়াইট হাউসও দাবি করে, হাসপাতালের নিচে হামাসের কমান্ড সেন্টার রয়েছে বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। তবে হামাস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এটি অস্বীকার করেছে। ইসরায়েলের দাবি, হামাস মানব ঢাল হিসেবে যাদের ব্যবহার করছে, সেই সব বেসামরিক নাগরিকের কোনো ক্ষতি হবে না।
গত মঙ্গলবার জানান হয়েছিল, আল-শিফা হাসপাতালে শিশুসহ ১৭৯ জনকে গণকবর দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার জ্বালানি সরবরাহ শেষ হয়ে গেলে এই হাসপাতালেই ৩৪ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। গাজার ৩৪টি হাসপাতালের মধ্যে প্রায় ২৫ টিতে এখন আর কোনো পরিষেবা নেই। নেই কোনো অ্যাম্বুলেন্সও। কারণ অ্যাম্বুলেন্সগুলো ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তাদের ১৮টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে এখন অবশিষ্ট আছে মাত্র ৫টি।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই সাড়ে ৪ হাজারের বেশি।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাসকে লক্ষ্যবস্তু করে এই অভিযান চালাচ্ছে তারা। আল-শিফাসহ গাজার হাসপাতালগুলোকে হামাস ব্যবহার করছে—এমন তথ্য আছে বলে হোয়াইট হাউস দাবি করার কয়েক ঘণ্টা পরই স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১টায় ইসরায়েলি বাহিনী আল-শিফা হাসপাতালে প্রবেশ করেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন এ তথ্য।
অসুস্থ রোগী ও মরদেহে পূর্ণ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি ট্যাংক ও বুলডোজার প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন আল-শিফার একজন চিকিৎসক। আল-শিফার চিকিৎসক মোখাল্লালাতি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী আল-শিফা কমপ্লেক্সের ভেতরে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের কেন্দ্রে ট্যাংক এবং বুলডোজার দেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের জরুরি কক্ষের ওপরে মূল ভবনটি পরিদর্শন করেছেন এবং ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে প্রবেশ করেছে বলে মনে হচ্ছে না। কিন্তু তিনি বলেছেন, তিনি অন্যান্য ভবনের অবস্থা জানেন না, যেগুলোতে রোগী ও বাস্তুচ্যুত লোকেরা অবস্থান করছে, সেই সব ভবনের অবস্থা তিনি জানেন না। মোখাল্লালাতি আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘এখনো ভারী গোলাগুলি হচ্ছে এবং আমরা সর্বত্র বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছি।’
রোগী, চিকিৎসাকর্মীসহ হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক হাসপাতালে ও এর আশপাশে আশ্রয় নিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, হামাস তার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হাসপাতাল ব্যবহার করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এ বিষয়ে কোনো আন্তর্জাতিক কমিটিকে এসে পরিদর্শনের আহ্বানও জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, গোয়েন্দা তথ্য ও অভিযানের প্রয়োজনে আল-শিফা হাসপাতালের বেশ কিছু অংশে হামাসের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযান চালাচ্ছে তারা। সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, চিকিৎসক দল ও আরবি ভাষাভাষীদের অন্তর্ভুক্ত করে গঠিত তাদের বাহিনী এই অভিযান চালাচ্ছে। জটিল ও সংবেদনশীল পরিবেশে অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে দলটি নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
আইডিএফ দাবি করছে, হাসপাতালের নিচে অবস্থিত একটি সুড়ঙ্গে হামাস তাদের অভিযানের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে। পরে হোয়াইট হাউসও দাবি করে, হাসপাতালের নিচে হামাসের কমান্ড সেন্টার রয়েছে বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। তবে হামাস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এটি অস্বীকার করেছে। ইসরায়েলের দাবি, হামাস মানব ঢাল হিসেবে যাদের ব্যবহার করছে, সেই সব বেসামরিক নাগরিকের কোনো ক্ষতি হবে না।
গত মঙ্গলবার জানান হয়েছিল, আল-শিফা হাসপাতালে শিশুসহ ১৭৯ জনকে গণকবর দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার জ্বালানি সরবরাহ শেষ হয়ে গেলে এই হাসপাতালেই ৩৪ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। গাজার ৩৪টি হাসপাতালের মধ্যে প্রায় ২৫ টিতে এখন আর কোনো পরিষেবা নেই। নেই কোনো অ্যাম্বুলেন্সও। কারণ অ্যাম্বুলেন্সগুলো ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তাদের ১৮টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে এখন অবশিষ্ট আছে মাত্র ৫টি।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই সাড়ে ৪ হাজারের বেশি।
চার দিন ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘর্ষ অবসানে এবার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে হাঁটছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। আগামীকাল সোমবার (২৮ জুলাই) মালয়েশিয়ায় দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। থাই সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি
১ ঘণ্টা আগেগাজার নির্দিষ্ট কিছু অংশে দৈনিক ১০ ঘণ্টা সামরিক অভিযান বন্ধ রাখা ও নতুন ত্রাণ করিডর খোলার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। একই সময়ে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজায় আকাশপথে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ রোববার আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল এ ঘোষণা দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেএশিয়ার ধনকুবেরদের উত্থান-পতনের এক চমকপ্রদ প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠছে প্রাইভেট জেটের বাজারে। এক সময় যেখানকার আকাশ দাপিয়ে বেড়াতেন চীনের ধনীরা, এখন সেই স্থান দখল করছেন উদীয়মান ভারতীয়রা। ইকোনমিস্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—সম্প্রতি চীনে প্রাইভেট জেটের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেয়েছে, আর এই বাজারে ভারত চমকপ্রদ গতিতে
২ ঘণ্টা আগেপ্রকল্পের অধীনে নারীদের পরিবর্তে প্রায় ১৪ হাজারের বেশি পুরুষ প্রতারণামূলকভাবে এই আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। এতে রাজ্যের কোষাগারের প্রায় ১ হাজার ৬৪০ কোটি রুপির ক্ষতি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে