Ajker Patrika

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের আলোচনা ফলশূন্য

অনলাইন ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো ধরনের অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হলো ইসরায়েল-হামাস পরোক্ষ আলোচনার প্রথম ধাপ। সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, কাতারের রাজধানী দোহায় দুটি পৃথক ভবনে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়েছে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে। দুপক্ষের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করেছে মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসর। তবে, আলাপে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো কার্যকর অগ্রগতি হয়নি।

ফিলিস্তিনি ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন আগামী সোমবার আবার আলোচনায় বসবে উভয় পক্ষ । এর সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে যে বিষয়গুলো বাধা দিচ্ছে সেগুলো নিয়ে একটি সমাধানে পৌঁছাতে দুপক্ষের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করবেন মধ্যস্থতাকারীরা।

এই কর্মকর্তার অভিযোগ—আলোচনায় ইসরায়েলের পক্ষে যারা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো যথেষ্ট ক্ষমতাবান ছিলেন না। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী কাউকে পাঠায়নি বলেই জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

হামাস-ইসরায়েল এই পরোক্ষ বৈঠক এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য—ট্রাম্পের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ শিগগিরই একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন তিনি। যে সব শর্তে ইসরায়েল রাজি হয়েছে সেগুলো ঠিক থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে আলোচকদের সব ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে নেতানিয়াহু।

এদিকে, হামাস বলছে, তারা এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে। তবে, দুপক্ষের মধ্যে যে এখনো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে তা বেশ স্পষ্টই। আপাতত, হামাস এখনো আগের মতোই তাদের পূর্বশর্তে অটল রয়েছে—যার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিরতির শেষে সব ধরনের শত্রুতার স্থায়ী অবসানের নিশ্চয়তা এবং ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। তবে, নেতানিয়াহুর সরকার বরাবরই হামাসের এই শর্তগুলো প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।

ইসরায়েল যে এখনো এসব ইস্যুতে খুব বেশি নমনীয় হবে না তা একপ্রকার নিশ্চিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও সাফ জানিয়েছেন, তিনটি মূল লক্ষ্যে অটল থাকবে ইসরায়েল—‘সব জিম্মিকে জীবিত কিংবা নিহত ফিরিয়ে আনা, হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করা এবং গাজা যেন আর কখনো ইসরায়েলের জন্য হুমকি না হয় তা নিশ্চিত করা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত