ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় খাবারসহ বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে অনেক আগেই। এই অবস্থায় তীব্র হয়েছে অঞ্চলটির বাসিন্দাদের অনাহারে থাকা। খাবার ও সুপেয় পানির অভাবে এরই মধ্যে গাজায় আরও ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরার বরাত দিয়ে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার গাজায় আরও ৩ শিশু মারা গেছে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় ভুগে। তিনি জানিয়েছেন, এ নিয়ে গাজায় অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩ জনে।
আশরাফ আল-কুদরা জানিয়েছেন, এই তিন শিশুই গাজার আল-শিফা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় ভোগা বেশির ভাগ শিশুই মারা গেছে উত্তর গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে। তবে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাবার, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবের কারণে এসব শিশুকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়াও সম্ভব হয়নি।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল নিউট্রিশন ক্লাস্টার দুই সপ্তাহ আগে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, গাজার ৯০ শতাংশ ৬ থেকে ১৮ মাস শিশু খাবারের সংকটে রয়েছে। এ ছাড়া গর্ভবতী ও বুকের দুধ খাওয়ানো নারীরা ভুগছেন গুরুতর খাদ্যসংকটে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৫ বছর বয়সী শিশুদের ৯০ শতাংশই কোনো না কোনো ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত।
গাজায় পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তার ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে ইসরায়েলকে দুষছেন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি বলছে, গাজা নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাই ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা যাতে খাবার ও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম পায় সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ইসরায়েলের। যুদ্ধাঞ্চলে সেখানকার জনগণকে ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে ফেলা এবং খাদ্য সরবরাহে বাধা দেওয়া জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধ।
এ নিয়ে ভিন্ন কথা বলছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত। তিনিসহ ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনে খাদ্য, জ্বালানি ও পানি সরবরাহ সংঘাতের বাইরে রাখার কথা বলছেন। দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, ‘আমাদের যুদ্ধ হামাসের বিরুদ্ধে, গাজাবাসীর বিরুদ্ধে নয়।’
তবে বাস্তবতা ভিন্ন। জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের ত্রাণের বহর গাজার উত্তরাঞ্চলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ইসরায়েলে বসানো তল্লাশিচৌকি থেকে তাদের ত্রাণের ১৪টি ট্রাক ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি।
গাজার খাবার সংকট নিয়ে ভয়াবহ চিত্র গত সপ্তাহে সামনে আসে। গাজা শহরে সাহায্য সংস্থার ত্রাণের ট্রাক ঢুকলে ভিড় জমায় ফিলিস্তিনিরা। এই ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১০০ জনের বেশি মারা যায়।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় খাবারসহ বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে অনেক আগেই। এই অবস্থায় তীব্র হয়েছে অঞ্চলটির বাসিন্দাদের অনাহারে থাকা। খাবার ও সুপেয় পানির অভাবে এরই মধ্যে গাজায় আরও ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরার বরাত দিয়ে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার গাজায় আরও ৩ শিশু মারা গেছে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় ভুগে। তিনি জানিয়েছেন, এ নিয়ে গাজায় অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩ জনে।
আশরাফ আল-কুদরা জানিয়েছেন, এই তিন শিশুই গাজার আল-শিফা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় ভোগা বেশির ভাগ শিশুই মারা গেছে উত্তর গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে। তবে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাবার, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবের কারণে এসব শিশুকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়াও সম্ভব হয়নি।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল নিউট্রিশন ক্লাস্টার দুই সপ্তাহ আগে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, গাজার ৯০ শতাংশ ৬ থেকে ১৮ মাস শিশু খাবারের সংকটে রয়েছে। এ ছাড়া গর্ভবতী ও বুকের দুধ খাওয়ানো নারীরা ভুগছেন গুরুতর খাদ্যসংকটে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৫ বছর বয়সী শিশুদের ৯০ শতাংশই কোনো না কোনো ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত।
গাজায় পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তার ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে ইসরায়েলকে দুষছেন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি বলছে, গাজা নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাই ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা যাতে খাবার ও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম পায় সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ইসরায়েলের। যুদ্ধাঞ্চলে সেখানকার জনগণকে ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে ফেলা এবং খাদ্য সরবরাহে বাধা দেওয়া জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধ।
এ নিয়ে ভিন্ন কথা বলছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত। তিনিসহ ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনে খাদ্য, জ্বালানি ও পানি সরবরাহ সংঘাতের বাইরে রাখার কথা বলছেন। দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, ‘আমাদের যুদ্ধ হামাসের বিরুদ্ধে, গাজাবাসীর বিরুদ্ধে নয়।’
তবে বাস্তবতা ভিন্ন। জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের ত্রাণের বহর গাজার উত্তরাঞ্চলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ইসরায়েলে বসানো তল্লাশিচৌকি থেকে তাদের ত্রাণের ১৪টি ট্রাক ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি।
গাজার খাবার সংকট নিয়ে ভয়াবহ চিত্র গত সপ্তাহে সামনে আসে। গাজা শহরে সাহায্য সংস্থার ত্রাণের ট্রাক ঢুকলে ভিড় জমায় ফিলিস্তিনিরা। এই ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১০০ জনের বেশি মারা যায়।
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
২ ঘণ্টা আগেভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের পদ্ধতিগত নিপীড়নের অংশ। আগের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা শাস্তি ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
৫ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের কর্মকর্তারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো আলোচনায় তাদের ‘পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে।’ আর এ জন্য প্রয়োজনে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক সীমিত পরিসরে হামলাও চালাতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে