Ajker Patrika

বন্দী ইসরায়েলি তরুণীকে হামাস যোদ্ধার বিয়ের প্রস্তাব

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯: ৫৭
Thumbnail image

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের কিবুতজে অবস্থিত নিজ বাড়ি থেকে নোগা ওয়েইসকে অপহরণ করেছিল হামাস যোদ্ধারা। ১৮ বছর বয়সী এই তরুণী পরে ৫০ দিন বন্দী ছিলেন হামাসের গোপন আস্তানায়। গত বছরের ২৫ নভেম্বর এই বন্দীদশা থেকে তিনি মুক্তি পান। 

বন্দীদশার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নোগা জানিয়েছেন, হামাসের এক যোদ্ধা তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন এবং তাঁর গর্ভে সন্তানের জন্ম দিতে চেয়েছিলেন। 

টাইমস অব ইসরায়েলকে নোগা জানিয়েছেন, বন্দীদশার ১৪তম দিনে প্রেমে পড়া ওই হামাস যোদ্ধা তাঁকে একটি আংটি দিয়েছিলেন। এই আংটি মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গেই ছিল। 

হামাসের ওই যোদ্ধা সম্পর্কে নোগা বলেন, ‘তিনি আমাকে বলেছিলেন—সবাইকে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু তুমি এখানে আমার সঙ্গে থাকবে এবং আমার সন্তানদের জন্ম দেবে।’ 

হামাস যোদ্ধার এমন প্রস্তাবের কী প্রতিক্রিয়া ছিল? নোগা বলেন, ‘আমি হাসির ভান করেছি। যাতে সে আমার মাথায় গুলি না করে।’ 

গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা যখন ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালায়, নোগা ওয়েইস তখন কিবুতজে নিজের বাড়িতেই ছিলেন। সেদিন তাঁর বাবা ইলান ওয়েইস কিবুতজের জরুরি দলে যোগ দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আর ফিরে আসেননি। পরে জানা যায়, হামাস যোদ্ধারা তাঁকে হত্যা করেছিল এবং তাঁর লাশটি গাজায় নিয়ে গিয়েছিল। 

নোগা জানান, সেদিন হামাস যোদ্ধারা তাঁদের বাড়ির দরজায় প্রায় ৪০টি গুলি ছোড়ে। পরে দরজাটি ভেদ করে যোদ্ধারা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। বাড়িতে থাকা নোগা ও তাঁর মা অবশ্য ততক্ষণে জেনে গিয়েছিলেন শহরে কী ঘটছে! 

এ অবস্থায় নোগার মা শিরি ওয়েইস মেয়েকে বিছানার নিচে গিয়ে লুকানোর কথা বলেন। তিনি ভেবেছিলেন যোদ্ধারা তাঁকে দেখে হত্যা করবে আর নোগা বেঁচে যাবেন। 

শেষ পর্যন্ত মা-মেয়ে দুজনকেই অপহরণ করে গাজায় গিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। যদিও তাঁরা একে অপরের পরিণতি নিয়ে কিছুই জানতেন না। বন্দীদশার বেশ কয়েক দিন পর মা-মেয়ের দেখা হয়েছিল। নোগা জানান, তাঁর মাকে তাঁর কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল, কারণ অপহরণকারীদের একজন তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। বিয়েতে সম্মতি দিতেই নোগার কাছে তাঁর মাকে নিয়ে আসা হয়। তবে তাঁর মা বিনয়ের সঙ্গে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। 

গত বছরের ২৫ নভেম্বর মা-মেয়ে দুজন একসঙ্গেই হামাসের বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত