ইজাজুল হক, ঢাকা

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে মিছিলগুলো হচ্ছে, তাতে অনেককে সাদাকালো একটি রুমাল গায়ে জড়াতে দেখা যায়। একে কেফিয়েহ বলে। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের বড় বড় চাবি বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, শিশুদের পিঠে তুলে ঘোরানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তরমুজ এঁকেও নিয়ে আসেন। এসব মূলত ফিলিস্তিনের বিভিন্ন ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে, যা সময়ের ব্যবধানে ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রতীক হয়ে উঠেছে।১. কেফিয়েহ
কেফিয়েহকে কুফিয়াও বলা হয়। এটি আরব বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত বর্গাকারের বড় সুতি রুমাল। স্বতন্ত্র প্যাটার্নে নকশা করা এসব রুমাল ফিলিস্তিনি নারী–পুরুষ সবাই পরিধান করে। সাদা জমিনে কালো ডোরের এই কাপড় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রুমালে জয়তুন পাতার প্যাটার্ন উদ্যম, শক্তি ও স্থিতির প্রতীক। মাছ ধরার জালের প্যাটার্ন ফিলিস্তিনি জেলে ও জনগণের সঙ্গে ভূমধ্যসাগরের সম্পর্ক নির্দেশ করে। আর মোটা প্যাটার্নটি ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক রুটকে প্রতিনিধিত্ব করে।
মধ্যপ্রাচ্যে গরম থেকে বাঁচতেই মূলত রুমাল ব্যবহার করা হয়। গত শতকের তিরিশের দশকে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহের সময় মূলত এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কেফিয়েহ ফিলিস্তিনের প্রয়াত অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের ব্যক্তিগত স্টাইলও ছিল। তিনি একে ত্রিভুজ আকারে ভাঁজ করে কাঁধের ওপর দিয়ে মাথা ঢাকতেন।
এটি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ, মানবাধিকারকর্মী ও বিভিন্ন সংস্থা এটি ব্যবহার করে।
২. জয়তুনের ডাল
ফিলিস্তিনের সঙ্গে জয়তুন গাছের গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। জয়তুনের ডাল হাজার বছর ধরে শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা দিয়ে যাচ্ছে।
জয়তুন গাছের শক্ত কাণ্ড খরা, শূন্য ডিগ্রির নিচের তাপমাত্রা, তুষারপাত এমনকি আগুনও সহ্য করতে পারে। এটি ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের অবিচলতা এবং এখানকার মাটির সঙ্গে তাঁদের নাড়ির সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে।
তেল, সাবানসহ অনেক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে জয়তুন। ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ফিলিস্তিনি পরিবার জয়তুন চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিবছর অক্টোবর–নভেম্বরেই জয়তুন ফল সংগ্রহ করা হয়। এ সময়টি তাদের জন্য উৎসবের। তবে এ সময়ে বারবার ইসরায়েলি আগ্রাসনে উবে যায় সব আনন্দ।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, ২০২৩ সালের প্রথম ৫ মাসে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ৫ হাজারের বেশি জয়তুন গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৯৭৪ সালে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নেতা ইয়াসির আরাফাত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বলেছিলেন, ‘আজ আমি এক হাতে জয়তুনের ডাল এবং অন্য হাতে মুক্তিযোদ্ধার বন্দুক নিয়ে এসেছি। আমার হাত থেকে জয়তুনের ডাল যেন পড়ে না যায়। আমি আবার বলছি, আমার হাত থেকে জয়তুনের ডাল পড়ে যেতে দিয়ো না।’
৩. ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি
ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি শিল্পকে তাতরিজও বলা হয়। সুই–সুতার নান্দনিক এক শিল্প, ফিলিস্তিনি নারীদের হাত ধরে যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে আসছে।
ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের জীবনধারা ও অভিরুচির আলোকে তাতরিজের একাধিক স্বতন্ত্র শৈলী তৈরি হয়েছে। প্রতিটি শৈলীর পেছনে রয়েছে আলাদা গল্প। গাছের মতো প্রকৃতি অনুপ্রাণিত মোটিফ থেকে শুরু করে জ্যামিতিক আকৃতির মোটিফও এতে ব্যবহৃত হয়।
ফিলিস্তিনি নারীরা এমব্রয়ডারি করা ঢিলেঢালা একটি জামা পরিধান করে, যাকে আরবিতে সওব বলা হয়। এগুলো সাধারণত পাট, তুলা, পশম বা রেশমের তৈরি হয় এবং হাতে বোনা বা মেশিনে তৈরি হয়। লাল এমব্রয়ডারি প্রভাবশালী বর্ণ; যদিও তা অঞ্চল বা শিল্পী ভেদে ভিন্নও হয়।
২০২১ সালে ইউনেসকো ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারিকে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করেছে।
৪. ফিলিস্তিনি চাবি
১৯৪৮ সালে ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনী সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে, যা নাকাবা (নাকবা) বা বিপর্যয় নামে পরিচিত। মানুষ ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদের সময় ঘরের চাবিটি সঙ্গে নিয়ে যায়। কারণ তাদের বিশ্বাস, তারা একদিন নিশ্চিত ঘরে ফিরবে।
অনেক ফিলিস্তিনি এখনো তাদের আসল বাড়ির চাবি ধরে রেখেছে তাদের আশা ও সংকল্পের প্রতীক হিসেবে। এই চাবিগুলো কয়েক প্রজন্ম ধরে চলে আসছে এবং ফিলিস্তিনিদের ঘরে ফেরার অধিকারের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ আক্রমণে প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে, যা ১৯৪৮ সালের নাকবার সময়ের দ্বিগুণ। ফিলিস্তিনিদের জন্য নাকবা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা নয়; এটি তাদের বিরতিহীন বাস্তুচ্যুতির চলমান প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছে।
৫. ফিলিস্তিনের মানচিত্র
ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক মানচিত্রটি ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার আগে এই অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত ভৌগোলিক সীমানার প্রতিনিধিত্ব করে। মানচিত্রটি ফিলিস্তিনিদের ভূমি এবং স্বাধিকারের দাবির দৃশ্যমান প্রতীক।
১৯৪৮ সালে সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাড়িয়ে এই মানচিত্রের ৭৮ শতাংশ ভূমি দখল করে নেয় ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনী। অবশিষ্ট ২২ শতাংশ নামেই ফিলিস্তিনিদের ভাগে রাখা হয়েছে, যা বর্তমানে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা নামে পরিচিত।
বর্তমানে ৭০ লাখ নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি দেশটির ভেতরে ও আশপাশের দেশগুলোর শরণার্থীশিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থী সমস্যা বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর একটি।
নেকলেস, টিশার্ট, চাবির তোড়াসহ অনেক উপহারসামগ্রীতে ফিলিস্তিনি মানচিত্র ব্যবহার করা হয়, যা দেশটির স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।
৬. আল–আকসা প্রাঙ্গণ
ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের মূলে রয়েছে আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ, যা জেরুজালেমে অবস্থিত। ৩৫ একরের এই প্রাঙ্গণে রয়েছে আল–কিবলি মসজিদ ও ডোম অব দ্য রকসহ ফিলিস্তিনিদের গভীর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক তাৎপর্য।
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আল–আকসা থেকেই নবী মুহাম্মদ (সা.) মিরাজে গমন করেন। তাই ইসলামে মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববীর পরই এটিকে ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান বিবেচনা করা হয়। প্রাঙ্গণটি মুসলমানদের কাছে আল–হারাম আশ–শরিফ এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত।
এই প্রাঙ্গণ সব সময় আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী এখানে বারবার হামলা চালায় এবং মুসলমানদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে।
৭. হানযালা
হানযালা হলো ফিলিস্তিনি কার্টুনিস্ট নাজি আল–আলির আঁকা একটি কার্টুন চরিত্র। এর মাধ্যমে তিনি নিজের শৈশবের শরণার্থী জীবনের অভিজ্ঞতা এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। ১৯৬৯ সালে একটি কুয়েতি সংবাদপত্রে কার্টুনটি প্রথম ছাপা হয়।
১৯৭৩ সালে অক্টোবরের যুদ্ধের পর আল–আলি পুরো বিশ্ব কীভাবে ফিলিস্তিন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তা তুলে ধরতে পিঠ দেখানো হানযালা কার্টুন আঁকতে শুরু করেন। হানযালার মাধ্যমে শিল্পী ১০ বছর বয়সে ঘরবাড়ি ছেড়ে শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নেওয়া তালিযুক্ত পোশাক পরা ও খালি পায়ে হাঁটা নিজের শৈশবকে খুঁজে বেড়ান।
ফিলিস্তিনের শুষ্ক এলাকায় উৎপাদিত তিক্ত ফল ‘হানযাল’–এর নামানুসারে এর নামকরণ। এই গাছগুলো কেটে ফেললে আবার বেড়ে ওঠে। আর এর শিকড় থাকে অনেক গভীরে।
১৯৮৭ সালে লন্ডনে কার্টুনিস্ট নাজি আল–আলি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে খুন হন। এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে কাউকে অভিযুক্ত পর্যন্ত করা হয়নি।
৮. তরমুজ
তরমুজই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করে। জেনিন থেকে গাজা পর্যন্ত জন্মানো এই ফল দেখতে ফিলিস্তিনি পতাকার মতো। পতাকার মতো এই ফলে রয়েছে লাল, সবুজ, সাদা ও কালো অংশ। তাই এটিকে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের পতাকার প্রতীক হিসেবে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় ব্যবহার করে।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর, ইসরায়েল যখন পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করে, তখন দখলদারেরা অধিকৃত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি পতাকা নিষিদ্ধ করে। তবে আইন করে পতাকা নিষিদ্ধ করা যায়নি। মুক্তিকামী মানুষ প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে তরমুজ প্রদর্শন করতে শুরু করে। ফলে তরমুজ শিল্পমাধ্যম, টিশার্ট, গ্রাফিতি, পোস্টার এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার ইমোজি হিসেবেও ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হতে থাকে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুলিশকে জনসমাগম স্থল থেকে ফিলিস্তিনি পতাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরে জুনে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে পতাকা নিষিদ্ধ করার বিল আসে। এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা জাজিম তেল আবিবের ডজনখানেক ট্যাক্সিতে তরমুজের ছবি লাগিয়ে দেয়।
চলমান যুদ্ধে গাজার ঘটনা পোস্ট করার ক্ষেত্রে মানুষ তরমুজের ইমোজি ব্যবহার করছে। কারণ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিলিস্তিনি পতাকা ব্যবহার কার্যত নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আল–জাজিরা

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে মিছিলগুলো হচ্ছে, তাতে অনেককে সাদাকালো একটি রুমাল গায়ে জড়াতে দেখা যায়। একে কেফিয়েহ বলে। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের বড় বড় চাবি বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, শিশুদের পিঠে তুলে ঘোরানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তরমুজ এঁকেও নিয়ে আসেন। এসব মূলত ফিলিস্তিনের বিভিন্ন ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে, যা সময়ের ব্যবধানে ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রতীক হয়ে উঠেছে।১. কেফিয়েহ
কেফিয়েহকে কুফিয়াও বলা হয়। এটি আরব বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত বর্গাকারের বড় সুতি রুমাল। স্বতন্ত্র প্যাটার্নে নকশা করা এসব রুমাল ফিলিস্তিনি নারী–পুরুষ সবাই পরিধান করে। সাদা জমিনে কালো ডোরের এই কাপড় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রুমালে জয়তুন পাতার প্যাটার্ন উদ্যম, শক্তি ও স্থিতির প্রতীক। মাছ ধরার জালের প্যাটার্ন ফিলিস্তিনি জেলে ও জনগণের সঙ্গে ভূমধ্যসাগরের সম্পর্ক নির্দেশ করে। আর মোটা প্যাটার্নটি ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক রুটকে প্রতিনিধিত্ব করে।
মধ্যপ্রাচ্যে গরম থেকে বাঁচতেই মূলত রুমাল ব্যবহার করা হয়। গত শতকের তিরিশের দশকে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহের সময় মূলত এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কেফিয়েহ ফিলিস্তিনের প্রয়াত অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের ব্যক্তিগত স্টাইলও ছিল। তিনি একে ত্রিভুজ আকারে ভাঁজ করে কাঁধের ওপর দিয়ে মাথা ঢাকতেন।
এটি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ, মানবাধিকারকর্মী ও বিভিন্ন সংস্থা এটি ব্যবহার করে।
২. জয়তুনের ডাল
ফিলিস্তিনের সঙ্গে জয়তুন গাছের গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। জয়তুনের ডাল হাজার বছর ধরে শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা দিয়ে যাচ্ছে।
জয়তুন গাছের শক্ত কাণ্ড খরা, শূন্য ডিগ্রির নিচের তাপমাত্রা, তুষারপাত এমনকি আগুনও সহ্য করতে পারে। এটি ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের অবিচলতা এবং এখানকার মাটির সঙ্গে তাঁদের নাড়ির সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে।
তেল, সাবানসহ অনেক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে জয়তুন। ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ফিলিস্তিনি পরিবার জয়তুন চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিবছর অক্টোবর–নভেম্বরেই জয়তুন ফল সংগ্রহ করা হয়। এ সময়টি তাদের জন্য উৎসবের। তবে এ সময়ে বারবার ইসরায়েলি আগ্রাসনে উবে যায় সব আনন্দ।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, ২০২৩ সালের প্রথম ৫ মাসে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ৫ হাজারের বেশি জয়তুন গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৯৭৪ সালে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নেতা ইয়াসির আরাফাত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বলেছিলেন, ‘আজ আমি এক হাতে জয়তুনের ডাল এবং অন্য হাতে মুক্তিযোদ্ধার বন্দুক নিয়ে এসেছি। আমার হাত থেকে জয়তুনের ডাল যেন পড়ে না যায়। আমি আবার বলছি, আমার হাত থেকে জয়তুনের ডাল পড়ে যেতে দিয়ো না।’
৩. ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি
ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি শিল্পকে তাতরিজও বলা হয়। সুই–সুতার নান্দনিক এক শিল্প, ফিলিস্তিনি নারীদের হাত ধরে যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে আসছে।
ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের জীবনধারা ও অভিরুচির আলোকে তাতরিজের একাধিক স্বতন্ত্র শৈলী তৈরি হয়েছে। প্রতিটি শৈলীর পেছনে রয়েছে আলাদা গল্প। গাছের মতো প্রকৃতি অনুপ্রাণিত মোটিফ থেকে শুরু করে জ্যামিতিক আকৃতির মোটিফও এতে ব্যবহৃত হয়।
ফিলিস্তিনি নারীরা এমব্রয়ডারি করা ঢিলেঢালা একটি জামা পরিধান করে, যাকে আরবিতে সওব বলা হয়। এগুলো সাধারণত পাট, তুলা, পশম বা রেশমের তৈরি হয় এবং হাতে বোনা বা মেশিনে তৈরি হয়। লাল এমব্রয়ডারি প্রভাবশালী বর্ণ; যদিও তা অঞ্চল বা শিল্পী ভেদে ভিন্নও হয়।
২০২১ সালে ইউনেসকো ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারিকে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করেছে।
৪. ফিলিস্তিনি চাবি
১৯৪৮ সালে ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনী সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে, যা নাকাবা (নাকবা) বা বিপর্যয় নামে পরিচিত। মানুষ ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদের সময় ঘরের চাবিটি সঙ্গে নিয়ে যায়। কারণ তাদের বিশ্বাস, তারা একদিন নিশ্চিত ঘরে ফিরবে।
অনেক ফিলিস্তিনি এখনো তাদের আসল বাড়ির চাবি ধরে রেখেছে তাদের আশা ও সংকল্পের প্রতীক হিসেবে। এই চাবিগুলো কয়েক প্রজন্ম ধরে চলে আসছে এবং ফিলিস্তিনিদের ঘরে ফেরার অধিকারের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ আক্রমণে প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে, যা ১৯৪৮ সালের নাকবার সময়ের দ্বিগুণ। ফিলিস্তিনিদের জন্য নাকবা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা নয়; এটি তাদের বিরতিহীন বাস্তুচ্যুতির চলমান প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছে।
৫. ফিলিস্তিনের মানচিত্র
ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক মানচিত্রটি ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার আগে এই অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত ভৌগোলিক সীমানার প্রতিনিধিত্ব করে। মানচিত্রটি ফিলিস্তিনিদের ভূমি এবং স্বাধিকারের দাবির দৃশ্যমান প্রতীক।
১৯৪৮ সালে সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাড়িয়ে এই মানচিত্রের ৭৮ শতাংশ ভূমি দখল করে নেয় ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনী। অবশিষ্ট ২২ শতাংশ নামেই ফিলিস্তিনিদের ভাগে রাখা হয়েছে, যা বর্তমানে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা নামে পরিচিত।
বর্তমানে ৭০ লাখ নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি দেশটির ভেতরে ও আশপাশের দেশগুলোর শরণার্থীশিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থী সমস্যা বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর একটি।
নেকলেস, টিশার্ট, চাবির তোড়াসহ অনেক উপহারসামগ্রীতে ফিলিস্তিনি মানচিত্র ব্যবহার করা হয়, যা দেশটির স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।
৬. আল–আকসা প্রাঙ্গণ
ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের মূলে রয়েছে আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ, যা জেরুজালেমে অবস্থিত। ৩৫ একরের এই প্রাঙ্গণে রয়েছে আল–কিবলি মসজিদ ও ডোম অব দ্য রকসহ ফিলিস্তিনিদের গভীর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক তাৎপর্য।
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আল–আকসা থেকেই নবী মুহাম্মদ (সা.) মিরাজে গমন করেন। তাই ইসলামে মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববীর পরই এটিকে ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান বিবেচনা করা হয়। প্রাঙ্গণটি মুসলমানদের কাছে আল–হারাম আশ–শরিফ এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত।
এই প্রাঙ্গণ সব সময় আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী এখানে বারবার হামলা চালায় এবং মুসলমানদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে।
৭. হানযালা
হানযালা হলো ফিলিস্তিনি কার্টুনিস্ট নাজি আল–আলির আঁকা একটি কার্টুন চরিত্র। এর মাধ্যমে তিনি নিজের শৈশবের শরণার্থী জীবনের অভিজ্ঞতা এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। ১৯৬৯ সালে একটি কুয়েতি সংবাদপত্রে কার্টুনটি প্রথম ছাপা হয়।
১৯৭৩ সালে অক্টোবরের যুদ্ধের পর আল–আলি পুরো বিশ্ব কীভাবে ফিলিস্তিন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তা তুলে ধরতে পিঠ দেখানো হানযালা কার্টুন আঁকতে শুরু করেন। হানযালার মাধ্যমে শিল্পী ১০ বছর বয়সে ঘরবাড়ি ছেড়ে শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নেওয়া তালিযুক্ত পোশাক পরা ও খালি পায়ে হাঁটা নিজের শৈশবকে খুঁজে বেড়ান।
ফিলিস্তিনের শুষ্ক এলাকায় উৎপাদিত তিক্ত ফল ‘হানযাল’–এর নামানুসারে এর নামকরণ। এই গাছগুলো কেটে ফেললে আবার বেড়ে ওঠে। আর এর শিকড় থাকে অনেক গভীরে।
১৯৮৭ সালে লন্ডনে কার্টুনিস্ট নাজি আল–আলি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে খুন হন। এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে কাউকে অভিযুক্ত পর্যন্ত করা হয়নি।
৮. তরমুজ
তরমুজই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করে। জেনিন থেকে গাজা পর্যন্ত জন্মানো এই ফল দেখতে ফিলিস্তিনি পতাকার মতো। পতাকার মতো এই ফলে রয়েছে লাল, সবুজ, সাদা ও কালো অংশ। তাই এটিকে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের পতাকার প্রতীক হিসেবে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় ব্যবহার করে।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর, ইসরায়েল যখন পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করে, তখন দখলদারেরা অধিকৃত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি পতাকা নিষিদ্ধ করে। তবে আইন করে পতাকা নিষিদ্ধ করা যায়নি। মুক্তিকামী মানুষ প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে তরমুজ প্রদর্শন করতে শুরু করে। ফলে তরমুজ শিল্পমাধ্যম, টিশার্ট, গ্রাফিতি, পোস্টার এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার ইমোজি হিসেবেও ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হতে থাকে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুলিশকে জনসমাগম স্থল থেকে ফিলিস্তিনি পতাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরে জুনে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে পতাকা নিষিদ্ধ করার বিল আসে। এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা জাজিম তেল আবিবের ডজনখানেক ট্যাক্সিতে তরমুজের ছবি লাগিয়ে দেয়।
চলমান যুদ্ধে গাজার ঘটনা পোস্ট করার ক্ষেত্রে মানুষ তরমুজের ইমোজি ব্যবহার করছে। কারণ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিলিস্তিনি পতাকা ব্যবহার কার্যত নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আল–জাজিরা
ইজাজুল হক, ঢাকা

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে মিছিলগুলো হচ্ছে, তাতে অনেককে সাদাকালো একটি রুমাল গায়ে জড়াতে দেখা যায়। একে কেফিয়েহ বলে। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের বড় বড় চাবি বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, শিশুদের পিঠে তুলে ঘোরানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তরমুজ এঁকেও নিয়ে আসেন। এসব মূলত ফিলিস্তিনের বিভিন্ন ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে, যা সময়ের ব্যবধানে ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রতীক হয়ে উঠেছে।১. কেফিয়েহ
কেফিয়েহকে কুফিয়াও বলা হয়। এটি আরব বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত বর্গাকারের বড় সুতি রুমাল। স্বতন্ত্র প্যাটার্নে নকশা করা এসব রুমাল ফিলিস্তিনি নারী–পুরুষ সবাই পরিধান করে। সাদা জমিনে কালো ডোরের এই কাপড় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রুমালে জয়তুন পাতার প্যাটার্ন উদ্যম, শক্তি ও স্থিতির প্রতীক। মাছ ধরার জালের প্যাটার্ন ফিলিস্তিনি জেলে ও জনগণের সঙ্গে ভূমধ্যসাগরের সম্পর্ক নির্দেশ করে। আর মোটা প্যাটার্নটি ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক রুটকে প্রতিনিধিত্ব করে।
মধ্যপ্রাচ্যে গরম থেকে বাঁচতেই মূলত রুমাল ব্যবহার করা হয়। গত শতকের তিরিশের দশকে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহের সময় মূলত এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কেফিয়েহ ফিলিস্তিনের প্রয়াত অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের ব্যক্তিগত স্টাইলও ছিল। তিনি একে ত্রিভুজ আকারে ভাঁজ করে কাঁধের ওপর দিয়ে মাথা ঢাকতেন।
এটি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ, মানবাধিকারকর্মী ও বিভিন্ন সংস্থা এটি ব্যবহার করে।
২. জয়তুনের ডাল
ফিলিস্তিনের সঙ্গে জয়তুন গাছের গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। জয়তুনের ডাল হাজার বছর ধরে শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা দিয়ে যাচ্ছে।
জয়তুন গাছের শক্ত কাণ্ড খরা, শূন্য ডিগ্রির নিচের তাপমাত্রা, তুষারপাত এমনকি আগুনও সহ্য করতে পারে। এটি ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের অবিচলতা এবং এখানকার মাটির সঙ্গে তাঁদের নাড়ির সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে।
তেল, সাবানসহ অনেক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে জয়তুন। ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ফিলিস্তিনি পরিবার জয়তুন চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিবছর অক্টোবর–নভেম্বরেই জয়তুন ফল সংগ্রহ করা হয়। এ সময়টি তাদের জন্য উৎসবের। তবে এ সময়ে বারবার ইসরায়েলি আগ্রাসনে উবে যায় সব আনন্দ।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, ২০২৩ সালের প্রথম ৫ মাসে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ৫ হাজারের বেশি জয়তুন গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৯৭৪ সালে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নেতা ইয়াসির আরাফাত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বলেছিলেন, ‘আজ আমি এক হাতে জয়তুনের ডাল এবং অন্য হাতে মুক্তিযোদ্ধার বন্দুক নিয়ে এসেছি। আমার হাত থেকে জয়তুনের ডাল যেন পড়ে না যায়। আমি আবার বলছি, আমার হাত থেকে জয়তুনের ডাল পড়ে যেতে দিয়ো না।’
৩. ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি
ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি শিল্পকে তাতরিজও বলা হয়। সুই–সুতার নান্দনিক এক শিল্প, ফিলিস্তিনি নারীদের হাত ধরে যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে আসছে।
ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের জীবনধারা ও অভিরুচির আলোকে তাতরিজের একাধিক স্বতন্ত্র শৈলী তৈরি হয়েছে। প্রতিটি শৈলীর পেছনে রয়েছে আলাদা গল্প। গাছের মতো প্রকৃতি অনুপ্রাণিত মোটিফ থেকে শুরু করে জ্যামিতিক আকৃতির মোটিফও এতে ব্যবহৃত হয়।
ফিলিস্তিনি নারীরা এমব্রয়ডারি করা ঢিলেঢালা একটি জামা পরিধান করে, যাকে আরবিতে সওব বলা হয়। এগুলো সাধারণত পাট, তুলা, পশম বা রেশমের তৈরি হয় এবং হাতে বোনা বা মেশিনে তৈরি হয়। লাল এমব্রয়ডারি প্রভাবশালী বর্ণ; যদিও তা অঞ্চল বা শিল্পী ভেদে ভিন্নও হয়।
২০২১ সালে ইউনেসকো ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারিকে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করেছে।
৪. ফিলিস্তিনি চাবি
১৯৪৮ সালে ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনী সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে, যা নাকাবা (নাকবা) বা বিপর্যয় নামে পরিচিত। মানুষ ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদের সময় ঘরের চাবিটি সঙ্গে নিয়ে যায়। কারণ তাদের বিশ্বাস, তারা একদিন নিশ্চিত ঘরে ফিরবে।
অনেক ফিলিস্তিনি এখনো তাদের আসল বাড়ির চাবি ধরে রেখেছে তাদের আশা ও সংকল্পের প্রতীক হিসেবে। এই চাবিগুলো কয়েক প্রজন্ম ধরে চলে আসছে এবং ফিলিস্তিনিদের ঘরে ফেরার অধিকারের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ আক্রমণে প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে, যা ১৯৪৮ সালের নাকবার সময়ের দ্বিগুণ। ফিলিস্তিনিদের জন্য নাকবা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা নয়; এটি তাদের বিরতিহীন বাস্তুচ্যুতির চলমান প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছে।
৫. ফিলিস্তিনের মানচিত্র
ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক মানচিত্রটি ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার আগে এই অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত ভৌগোলিক সীমানার প্রতিনিধিত্ব করে। মানচিত্রটি ফিলিস্তিনিদের ভূমি এবং স্বাধিকারের দাবির দৃশ্যমান প্রতীক।
১৯৪৮ সালে সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাড়িয়ে এই মানচিত্রের ৭৮ শতাংশ ভূমি দখল করে নেয় ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনী। অবশিষ্ট ২২ শতাংশ নামেই ফিলিস্তিনিদের ভাগে রাখা হয়েছে, যা বর্তমানে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা নামে পরিচিত।
বর্তমানে ৭০ লাখ নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি দেশটির ভেতরে ও আশপাশের দেশগুলোর শরণার্থীশিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থী সমস্যা বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর একটি।
নেকলেস, টিশার্ট, চাবির তোড়াসহ অনেক উপহারসামগ্রীতে ফিলিস্তিনি মানচিত্র ব্যবহার করা হয়, যা দেশটির স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।
৬. আল–আকসা প্রাঙ্গণ
ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের মূলে রয়েছে আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ, যা জেরুজালেমে অবস্থিত। ৩৫ একরের এই প্রাঙ্গণে রয়েছে আল–কিবলি মসজিদ ও ডোম অব দ্য রকসহ ফিলিস্তিনিদের গভীর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক তাৎপর্য।
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আল–আকসা থেকেই নবী মুহাম্মদ (সা.) মিরাজে গমন করেন। তাই ইসলামে মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববীর পরই এটিকে ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান বিবেচনা করা হয়। প্রাঙ্গণটি মুসলমানদের কাছে আল–হারাম আশ–শরিফ এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত।
এই প্রাঙ্গণ সব সময় আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী এখানে বারবার হামলা চালায় এবং মুসলমানদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে।
৭. হানযালা
হানযালা হলো ফিলিস্তিনি কার্টুনিস্ট নাজি আল–আলির আঁকা একটি কার্টুন চরিত্র। এর মাধ্যমে তিনি নিজের শৈশবের শরণার্থী জীবনের অভিজ্ঞতা এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। ১৯৬৯ সালে একটি কুয়েতি সংবাদপত্রে কার্টুনটি প্রথম ছাপা হয়।
১৯৭৩ সালে অক্টোবরের যুদ্ধের পর আল–আলি পুরো বিশ্ব কীভাবে ফিলিস্তিন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তা তুলে ধরতে পিঠ দেখানো হানযালা কার্টুন আঁকতে শুরু করেন। হানযালার মাধ্যমে শিল্পী ১০ বছর বয়সে ঘরবাড়ি ছেড়ে শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নেওয়া তালিযুক্ত পোশাক পরা ও খালি পায়ে হাঁটা নিজের শৈশবকে খুঁজে বেড়ান।
ফিলিস্তিনের শুষ্ক এলাকায় উৎপাদিত তিক্ত ফল ‘হানযাল’–এর নামানুসারে এর নামকরণ। এই গাছগুলো কেটে ফেললে আবার বেড়ে ওঠে। আর এর শিকড় থাকে অনেক গভীরে।
১৯৮৭ সালে লন্ডনে কার্টুনিস্ট নাজি আল–আলি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে খুন হন। এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে কাউকে অভিযুক্ত পর্যন্ত করা হয়নি।
৮. তরমুজ
তরমুজই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করে। জেনিন থেকে গাজা পর্যন্ত জন্মানো এই ফল দেখতে ফিলিস্তিনি পতাকার মতো। পতাকার মতো এই ফলে রয়েছে লাল, সবুজ, সাদা ও কালো অংশ। তাই এটিকে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের পতাকার প্রতীক হিসেবে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় ব্যবহার করে।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর, ইসরায়েল যখন পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করে, তখন দখলদারেরা অধিকৃত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি পতাকা নিষিদ্ধ করে। তবে আইন করে পতাকা নিষিদ্ধ করা যায়নি। মুক্তিকামী মানুষ প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে তরমুজ প্রদর্শন করতে শুরু করে। ফলে তরমুজ শিল্পমাধ্যম, টিশার্ট, গ্রাফিতি, পোস্টার এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার ইমোজি হিসেবেও ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হতে থাকে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুলিশকে জনসমাগম স্থল থেকে ফিলিস্তিনি পতাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরে জুনে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে পতাকা নিষিদ্ধ করার বিল আসে। এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা জাজিম তেল আবিবের ডজনখানেক ট্যাক্সিতে তরমুজের ছবি লাগিয়ে দেয়।
চলমান যুদ্ধে গাজার ঘটনা পোস্ট করার ক্ষেত্রে মানুষ তরমুজের ইমোজি ব্যবহার করছে। কারণ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিলিস্তিনি পতাকা ব্যবহার কার্যত নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আল–জাজিরা

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে মিছিলগুলো হচ্ছে, তাতে অনেককে সাদাকালো একটি রুমাল গায়ে জড়াতে দেখা যায়। একে কেফিয়েহ বলে। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের বড় বড় চাবি বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, শিশুদের পিঠে তুলে ঘোরানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তরমুজ এঁকেও নিয়ে আসেন। এসব মূলত ফিলিস্তিনের বিভিন্ন ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে, যা সময়ের ব্যবধানে ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রতীক হয়ে উঠেছে।১. কেফিয়েহ
কেফিয়েহকে কুফিয়াও বলা হয়। এটি আরব বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত বর্গাকারের বড় সুতি রুমাল। স্বতন্ত্র প্যাটার্নে নকশা করা এসব রুমাল ফিলিস্তিনি নারী–পুরুষ সবাই পরিধান করে। সাদা জমিনে কালো ডোরের এই কাপড় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রুমালে জয়তুন পাতার প্যাটার্ন উদ্যম, শক্তি ও স্থিতির প্রতীক। মাছ ধরার জালের প্যাটার্ন ফিলিস্তিনি জেলে ও জনগণের সঙ্গে ভূমধ্যসাগরের সম্পর্ক নির্দেশ করে। আর মোটা প্যাটার্নটি ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক রুটকে প্রতিনিধিত্ব করে।
মধ্যপ্রাচ্যে গরম থেকে বাঁচতেই মূলত রুমাল ব্যবহার করা হয়। গত শতকের তিরিশের দশকে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহের সময় মূলত এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কেফিয়েহ ফিলিস্তিনের প্রয়াত অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের ব্যক্তিগত স্টাইলও ছিল। তিনি একে ত্রিভুজ আকারে ভাঁজ করে কাঁধের ওপর দিয়ে মাথা ঢাকতেন।
এটি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ, মানবাধিকারকর্মী ও বিভিন্ন সংস্থা এটি ব্যবহার করে।
২. জয়তুনের ডাল
ফিলিস্তিনের সঙ্গে জয়তুন গাছের গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। জয়তুনের ডাল হাজার বছর ধরে শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা দিয়ে যাচ্ছে।
জয়তুন গাছের শক্ত কাণ্ড খরা, শূন্য ডিগ্রির নিচের তাপমাত্রা, তুষারপাত এমনকি আগুনও সহ্য করতে পারে। এটি ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের অবিচলতা এবং এখানকার মাটির সঙ্গে তাঁদের নাড়ির সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে।
তেল, সাবানসহ অনেক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে জয়তুন। ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ফিলিস্তিনি পরিবার জয়তুন চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিবছর অক্টোবর–নভেম্বরেই জয়তুন ফল সংগ্রহ করা হয়। এ সময়টি তাদের জন্য উৎসবের। তবে এ সময়ে বারবার ইসরায়েলি আগ্রাসনে উবে যায় সব আনন্দ।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, ২০২৩ সালের প্রথম ৫ মাসে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ৫ হাজারের বেশি জয়তুন গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৯৭৪ সালে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নেতা ইয়াসির আরাফাত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বলেছিলেন, ‘আজ আমি এক হাতে জয়তুনের ডাল এবং অন্য হাতে মুক্তিযোদ্ধার বন্দুক নিয়ে এসেছি। আমার হাত থেকে জয়তুনের ডাল যেন পড়ে না যায়। আমি আবার বলছি, আমার হাত থেকে জয়তুনের ডাল পড়ে যেতে দিয়ো না।’
৩. ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি
ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি শিল্পকে তাতরিজও বলা হয়। সুই–সুতার নান্দনিক এক শিল্প, ফিলিস্তিনি নারীদের হাত ধরে যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে আসছে।
ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের জীবনধারা ও অভিরুচির আলোকে তাতরিজের একাধিক স্বতন্ত্র শৈলী তৈরি হয়েছে। প্রতিটি শৈলীর পেছনে রয়েছে আলাদা গল্প। গাছের মতো প্রকৃতি অনুপ্রাণিত মোটিফ থেকে শুরু করে জ্যামিতিক আকৃতির মোটিফও এতে ব্যবহৃত হয়।
ফিলিস্তিনি নারীরা এমব্রয়ডারি করা ঢিলেঢালা একটি জামা পরিধান করে, যাকে আরবিতে সওব বলা হয়। এগুলো সাধারণত পাট, তুলা, পশম বা রেশমের তৈরি হয় এবং হাতে বোনা বা মেশিনে তৈরি হয়। লাল এমব্রয়ডারি প্রভাবশালী বর্ণ; যদিও তা অঞ্চল বা শিল্পী ভেদে ভিন্নও হয়।
২০২১ সালে ইউনেসকো ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারিকে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করেছে।
৪. ফিলিস্তিনি চাবি
১৯৪৮ সালে ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনী সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে, যা নাকাবা (নাকবা) বা বিপর্যয় নামে পরিচিত। মানুষ ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদের সময় ঘরের চাবিটি সঙ্গে নিয়ে যায়। কারণ তাদের বিশ্বাস, তারা একদিন নিশ্চিত ঘরে ফিরবে।
অনেক ফিলিস্তিনি এখনো তাদের আসল বাড়ির চাবি ধরে রেখেছে তাদের আশা ও সংকল্পের প্রতীক হিসেবে। এই চাবিগুলো কয়েক প্রজন্ম ধরে চলে আসছে এবং ফিলিস্তিনিদের ঘরে ফেরার অধিকারের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ আক্রমণে প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে, যা ১৯৪৮ সালের নাকবার সময়ের দ্বিগুণ। ফিলিস্তিনিদের জন্য নাকবা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা নয়; এটি তাদের বিরতিহীন বাস্তুচ্যুতির চলমান প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছে।
৫. ফিলিস্তিনের মানচিত্র
ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক মানচিত্রটি ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার আগে এই অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত ভৌগোলিক সীমানার প্রতিনিধিত্ব করে। মানচিত্রটি ফিলিস্তিনিদের ভূমি এবং স্বাধিকারের দাবির দৃশ্যমান প্রতীক।
১৯৪৮ সালে সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাড়িয়ে এই মানচিত্রের ৭৮ শতাংশ ভূমি দখল করে নেয় ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনী। অবশিষ্ট ২২ শতাংশ নামেই ফিলিস্তিনিদের ভাগে রাখা হয়েছে, যা বর্তমানে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা নামে পরিচিত।
বর্তমানে ৭০ লাখ নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি দেশটির ভেতরে ও আশপাশের দেশগুলোর শরণার্থীশিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থী সমস্যা বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর একটি।
নেকলেস, টিশার্ট, চাবির তোড়াসহ অনেক উপহারসামগ্রীতে ফিলিস্তিনি মানচিত্র ব্যবহার করা হয়, যা দেশটির স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।
৬. আল–আকসা প্রাঙ্গণ
ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের মূলে রয়েছে আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ, যা জেরুজালেমে অবস্থিত। ৩৫ একরের এই প্রাঙ্গণে রয়েছে আল–কিবলি মসজিদ ও ডোম অব দ্য রকসহ ফিলিস্তিনিদের গভীর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক তাৎপর্য।
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আল–আকসা থেকেই নবী মুহাম্মদ (সা.) মিরাজে গমন করেন। তাই ইসলামে মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববীর পরই এটিকে ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান বিবেচনা করা হয়। প্রাঙ্গণটি মুসলমানদের কাছে আল–হারাম আশ–শরিফ এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত।
এই প্রাঙ্গণ সব সময় আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী এখানে বারবার হামলা চালায় এবং মুসলমানদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে।
৭. হানযালা
হানযালা হলো ফিলিস্তিনি কার্টুনিস্ট নাজি আল–আলির আঁকা একটি কার্টুন চরিত্র। এর মাধ্যমে তিনি নিজের শৈশবের শরণার্থী জীবনের অভিজ্ঞতা এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। ১৯৬৯ সালে একটি কুয়েতি সংবাদপত্রে কার্টুনটি প্রথম ছাপা হয়।
১৯৭৩ সালে অক্টোবরের যুদ্ধের পর আল–আলি পুরো বিশ্ব কীভাবে ফিলিস্তিন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তা তুলে ধরতে পিঠ দেখানো হানযালা কার্টুন আঁকতে শুরু করেন। হানযালার মাধ্যমে শিল্পী ১০ বছর বয়সে ঘরবাড়ি ছেড়ে শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নেওয়া তালিযুক্ত পোশাক পরা ও খালি পায়ে হাঁটা নিজের শৈশবকে খুঁজে বেড়ান।
ফিলিস্তিনের শুষ্ক এলাকায় উৎপাদিত তিক্ত ফল ‘হানযাল’–এর নামানুসারে এর নামকরণ। এই গাছগুলো কেটে ফেললে আবার বেড়ে ওঠে। আর এর শিকড় থাকে অনেক গভীরে।
১৯৮৭ সালে লন্ডনে কার্টুনিস্ট নাজি আল–আলি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে খুন হন। এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে কাউকে অভিযুক্ত পর্যন্ত করা হয়নি।
৮. তরমুজ
তরমুজই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করে। জেনিন থেকে গাজা পর্যন্ত জন্মানো এই ফল দেখতে ফিলিস্তিনি পতাকার মতো। পতাকার মতো এই ফলে রয়েছে লাল, সবুজ, সাদা ও কালো অংশ। তাই এটিকে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের পতাকার প্রতীক হিসেবে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় ব্যবহার করে।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর, ইসরায়েল যখন পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করে, তখন দখলদারেরা অধিকৃত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি পতাকা নিষিদ্ধ করে। তবে আইন করে পতাকা নিষিদ্ধ করা যায়নি। মুক্তিকামী মানুষ প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে তরমুজ প্রদর্শন করতে শুরু করে। ফলে তরমুজ শিল্পমাধ্যম, টিশার্ট, গ্রাফিতি, পোস্টার এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার ইমোজি হিসেবেও ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হতে থাকে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুলিশকে জনসমাগম স্থল থেকে ফিলিস্তিনি পতাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরে জুনে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে পতাকা নিষিদ্ধ করার বিল আসে। এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা জাজিম তেল আবিবের ডজনখানেক ট্যাক্সিতে তরমুজের ছবি লাগিয়ে দেয়।
চলমান যুদ্ধে গাজার ঘটনা পোস্ট করার ক্ষেত্রে মানুষ তরমুজের ইমোজি ব্যবহার করছে। কারণ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিলিস্তিনি পতাকা ব্যবহার কার্যত নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আল–জাজিরা

তিন দিনের বৈঠক শেষেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। জানা গেছে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আলোচনা শেষ হলেও সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে দুই দেশের। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র এবার জাপানের সঙ্গে বিরল খনিজ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। জাপান সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির লক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ‘রেয়ার আর্থ বা বিরল মৃত্তিকা খনিজ’ উপাদানের খনন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে দুই
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন সিনেটর রিক স্কট বলেছেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর এখনই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। কারণ, ভেনেজুয়েলায় তাঁর ক্ষমতার দিন শেষের পথে। তিনি বলেছেন, ভেনেজুয়েলায় ‘মাদুরোর দিন ফুরিয়ে আসছে’। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক তাঁর প্রতিষ্ঠান টেসলা ছেড়ে যেতে পারেন, যদি না তাঁকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেতন–ভাতা না দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছেন টেসলার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এই খবর জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তিন দিনের বৈঠক শেষেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। জানা গেছে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আলোচনা শেষ হলেও সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে দুই দেশের। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, অধিকাংশ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হলেও আফগান ভূখণ্ড থেকে সক্রিয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ গ্রহণের প্রক্রিয়াই প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তানের এক কূটনৈতিক বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম শিগগির আফগানিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারব। এরপর যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে। কিন্তু সেটি এখনো আমাদের নাগালের বাইরে।’
বৈঠকের প্রথম ভাগে পরিবেশ ছিল বেশ ইতিবাচক। অংশগ্রহণকারীরা তখন আলোচনা সম্পর্কে বেশ অগ্রগতির কথা বলেছিলেন। তবে দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশা কমতে থাকে। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী এক কূটনীতিক স্বীকার করেন, ‘এখন পরিস্থিতি কঠিন হচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে বৈঠক স্থবির হয়ে পড়ে এবং রাতেও আলোচনায় নতুন কোনো গতি দেখা যায়নি।’
কূটনৈতিক সূত্রটি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, আফগান তালেবান প্রতিনিধিদল এখনো কোনো লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে অনিচ্ছুক। বিশেষত পাকিস্তানবিরোধী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) সমর্থন বন্ধের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রশ্নে তালেবান প্রতিনিধিদল কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না। একজন পাকিস্তানি কূটনীতিক বলেন, ‘তুর্কি আয়োজকেরা আমাদের উদ্বেগ বুঝতে পারছেন, কিন্তু কাবুল ও কান্দাহার কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে চাইছে না।’
পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেন, ‘আমাদের অবস্থান শুরু থেকেই পরিষ্কার—টিটিপির সমর্থন বন্ধ করতে হবে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না।’
সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকেরা জানান, ‘বহিরাগত প্রভাব’ (ভারতের দিকে ইঙ্গিত) সত্ত্বেও পাকিস্তান ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো ‘সততা ও গুরুত্বের সঙ্গে’ আলোচনাকে ইতিবাচক দিকে নিতে চেষ্টা করছে। তাই রোববারের বৈঠকের পর যে হতাশা তৈরি হয়েছিল, সোমবার পরিবেশ কিছুটা ইতিবাচক ছিল। রোববার পাকিস্তানি কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইসলামাবাদ তাদের অবস্থান তুলে ধরেছে। আফগান প্রতিনিধিদলও তখন আশাবাদী ছিল। তারা জানিয়েছিল, ইস্তাম্বুলের আলোচনায় অগ্রগতি সম্ভব এবং বাকি মতপার্থক্যগুলো সীমিত কিন্তু সমাধানযোগ্য।
এ সময় তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরাও একই মনোভাব প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, আলোচনার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া জরুরি এবং সেটি যেন ভেঙে না পড়ে। কিন্তু শত চেষ্টা সত্ত্বেও সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে দুই দেশের সমঝোতার বিষয়টি অধরা রয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠক আরও এক দিন বাড়ানো হতে পারে।

তিন দিনের বৈঠক শেষেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। জানা গেছে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আলোচনা শেষ হলেও সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে দুই দেশের। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, অধিকাংশ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হলেও আফগান ভূখণ্ড থেকে সক্রিয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ গ্রহণের প্রক্রিয়াই প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তানের এক কূটনৈতিক বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম শিগগির আফগানিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারব। এরপর যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে। কিন্তু সেটি এখনো আমাদের নাগালের বাইরে।’
বৈঠকের প্রথম ভাগে পরিবেশ ছিল বেশ ইতিবাচক। অংশগ্রহণকারীরা তখন আলোচনা সম্পর্কে বেশ অগ্রগতির কথা বলেছিলেন। তবে দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশা কমতে থাকে। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী এক কূটনীতিক স্বীকার করেন, ‘এখন পরিস্থিতি কঠিন হচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে বৈঠক স্থবির হয়ে পড়ে এবং রাতেও আলোচনায় নতুন কোনো গতি দেখা যায়নি।’
কূটনৈতিক সূত্রটি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, আফগান তালেবান প্রতিনিধিদল এখনো কোনো লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে অনিচ্ছুক। বিশেষত পাকিস্তানবিরোধী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) সমর্থন বন্ধের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রশ্নে তালেবান প্রতিনিধিদল কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না। একজন পাকিস্তানি কূটনীতিক বলেন, ‘তুর্কি আয়োজকেরা আমাদের উদ্বেগ বুঝতে পারছেন, কিন্তু কাবুল ও কান্দাহার কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে চাইছে না।’
পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেন, ‘আমাদের অবস্থান শুরু থেকেই পরিষ্কার—টিটিপির সমর্থন বন্ধ করতে হবে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না।’
সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকেরা জানান, ‘বহিরাগত প্রভাব’ (ভারতের দিকে ইঙ্গিত) সত্ত্বেও পাকিস্তান ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো ‘সততা ও গুরুত্বের সঙ্গে’ আলোচনাকে ইতিবাচক দিকে নিতে চেষ্টা করছে। তাই রোববারের বৈঠকের পর যে হতাশা তৈরি হয়েছিল, সোমবার পরিবেশ কিছুটা ইতিবাচক ছিল। রোববার পাকিস্তানি কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইসলামাবাদ তাদের অবস্থান তুলে ধরেছে। আফগান প্রতিনিধিদলও তখন আশাবাদী ছিল। তারা জানিয়েছিল, ইস্তাম্বুলের আলোচনায় অগ্রগতি সম্ভব এবং বাকি মতপার্থক্যগুলো সীমিত কিন্তু সমাধানযোগ্য।
এ সময় তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরাও একই মনোভাব প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, আলোচনার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া জরুরি এবং সেটি যেন ভেঙে না পড়ে। কিন্তু শত চেষ্টা সত্ত্বেও সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে দুই দেশের সমঝোতার বিষয়টি অধরা রয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠক আরও এক দিন বাড়ানো হতে পারে।

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে মিছিলগুলো হচ্ছে, তাতে অনেককে সাদাকালো একটি রুমাল গায়ে জড়াতে দেখা যায়। একে কেফিয়েহ বলে। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের বড় বড় চাবি বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, শিশুদের পিঠে তুলে ঘোরানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তরমুজ এঁকেও নিয়ে আসেন।
২৭ নভেম্বর ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্র এবার জাপানের সঙ্গে বিরল খনিজ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। জাপান সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির লক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ‘রেয়ার আর্থ বা বিরল মৃত্তিকা খনিজ’ উপাদানের খনন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে দুই
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন সিনেটর রিক স্কট বলেছেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর এখনই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। কারণ, ভেনেজুয়েলায় তাঁর ক্ষমতার দিন শেষের পথে। তিনি বলেছেন, ভেনেজুয়েলায় ‘মাদুরোর দিন ফুরিয়ে আসছে’। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক তাঁর প্রতিষ্ঠান টেসলা ছেড়ে যেতে পারেন, যদি না তাঁকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেতন–ভাতা না দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছেন টেসলার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এই খবর জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র এবার জাপানের সঙ্গে বিরল খনিজ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। জাপান সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির লক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ‘রেয়ার আর্থ বা বিরল মৃত্তিকা খনিজ’ উপাদানের খনন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, টোকিওতে বৈঠকের শুরুতেই জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের এক ‘সুবর্ণ যুগ’ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন।
এশিয়া সফরের দ্বিতীয় ধাপে বর্তমানে জাপানে অবস্থান করছেন ট্রাম্প। বৈঠকের শুরুতেই তাকাইচি ও ট্রাম্প চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যার লক্ষ্য হলো—গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ‘রেয়ার আর্থ বা বিরল মৃত্তিকা খনিজের’ উপাদানের খনন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা।
সম্প্রতি চীন বিরল মৃত্তিকা খনিজের রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করার পর এই চুক্তির ঘোষণা এল। এই বিরল মৃত্তিকা খনিজ বৈশ্বিক প্রযুক্তি ও শিল্প উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য উপাদান। ট্রাম্প এ সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন—বাণিজ্যযুদ্ধের টানাপোড়েনের মধ্যেই এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
চুক্তির বিষয়ে হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুই দেশ অর্থনৈতিক নীতি ও যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এবং রেয়ার আর্থ উপাদানের জন্য বৈচিত্র্যময়, স্বচ্ছ ও ন্যায্য বাজার গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো ‘গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও রেয়ার আর্থ সরবরাহ শৃঙ্খলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই দেশকে সহায়তা করা।’
তাকাইচি বৈঠকের আগে বলেন, ‘আমি এমন এক নতুন সুবর্ণ যুগ দেখতে চাই, যেখানে জাপান-যুক্তরাষ্ট্র মিত্রতা আরও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ হবে।’ গোপন বৈঠকের বিষয়ে হোয়াইট হাউস জানায়, তাকাইচি ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেবেন। এই পুরস্কারের প্রতি ট্রাম্পের আগ্রহ বহুদিনের। ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি কয়েকটি সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছেন, যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ তাঁর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
গত সপ্তাহে জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন তাকাইচি। তিনি গাজা ও থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সীমান্ত সংঘাতের অস্ত্রবিরতি প্রচেষ্টায় ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করেন। পরে দুই নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে স্মরণ করেন।
তাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল বাণিজ্য ও নিরাপত্তা। কয়েক মাস আগেই তাকাইচির পূর্বসূরি শিগেরু ইশিবা যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল বিনিয়োগের বিনিময়ে হোয়াইট হাউস থেকে শুল্ক ছাড় পেয়েছিলেন। এবারও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও ছাড় পেতে জাপান আমেরিকান সয়াবিন, পিকআপ ট্রাক ও অন্যান্য পণ্য কেনার পরিকল্পনা করছে। আজ মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে দুই নেতা বলেন, ‘আমরা এই মহান চুক্তি বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’, যা ‘দুই দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা জোরদার করবে, প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে এবং বৈশ্বিক সমৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখবে।’
তাকাইচি যুক্তরাষ্ট্র-জাপান নিরাপত্তা সম্পর্ককে ‘বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জোট’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন, জাপান ‘বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে প্রস্তুত।’ টোকিও পৌঁছানোর পর সোমবার সন্ধ্যায় সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ট্রাম্প বলেন, জাপানের পক্ষ থেকে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম কেনা ‘অত্যন্ত ইতিবাচক সংকেত।’ তিনি যোগ করেন, ‘দুই অর্থনীতি এখন প্রচুর বাণিজ্য করবে।’
ট্রাম্প তাকাইচিকে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এটি সত্যিই বড় অর্জন।’ তিনি বলেন, ‘জাপানের জন্য আমি যা পারি, করব। তুমি অসাধারণ কাজ করবে, আর আমাদের সম্পর্কও হবে অসাধারণ।’
উল্লেখ্য, এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বিরল মৃত্তিকা খনিজ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া, ইউক্রেন ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে, কিংবা চুক্তি করার পথে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র এবার জাপানের সঙ্গে বিরল খনিজ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। জাপান সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির লক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ‘রেয়ার আর্থ বা বিরল মৃত্তিকা খনিজ’ উপাদানের খনন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, টোকিওতে বৈঠকের শুরুতেই জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের এক ‘সুবর্ণ যুগ’ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন।
এশিয়া সফরের দ্বিতীয় ধাপে বর্তমানে জাপানে অবস্থান করছেন ট্রাম্প। বৈঠকের শুরুতেই তাকাইচি ও ট্রাম্প চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যার লক্ষ্য হলো—গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ‘রেয়ার আর্থ বা বিরল মৃত্তিকা খনিজের’ উপাদানের খনন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা।
সম্প্রতি চীন বিরল মৃত্তিকা খনিজের রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করার পর এই চুক্তির ঘোষণা এল। এই বিরল মৃত্তিকা খনিজ বৈশ্বিক প্রযুক্তি ও শিল্প উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য উপাদান। ট্রাম্প এ সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন—বাণিজ্যযুদ্ধের টানাপোড়েনের মধ্যেই এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
চুক্তির বিষয়ে হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুই দেশ অর্থনৈতিক নীতি ও যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এবং রেয়ার আর্থ উপাদানের জন্য বৈচিত্র্যময়, স্বচ্ছ ও ন্যায্য বাজার গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো ‘গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও রেয়ার আর্থ সরবরাহ শৃঙ্খলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই দেশকে সহায়তা করা।’
তাকাইচি বৈঠকের আগে বলেন, ‘আমি এমন এক নতুন সুবর্ণ যুগ দেখতে চাই, যেখানে জাপান-যুক্তরাষ্ট্র মিত্রতা আরও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ হবে।’ গোপন বৈঠকের বিষয়ে হোয়াইট হাউস জানায়, তাকাইচি ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেবেন। এই পুরস্কারের প্রতি ট্রাম্পের আগ্রহ বহুদিনের। ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি কয়েকটি সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছেন, যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ তাঁর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
গত সপ্তাহে জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন তাকাইচি। তিনি গাজা ও থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সীমান্ত সংঘাতের অস্ত্রবিরতি প্রচেষ্টায় ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করেন। পরে দুই নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে স্মরণ করেন।
তাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল বাণিজ্য ও নিরাপত্তা। কয়েক মাস আগেই তাকাইচির পূর্বসূরি শিগেরু ইশিবা যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল বিনিয়োগের বিনিময়ে হোয়াইট হাউস থেকে শুল্ক ছাড় পেয়েছিলেন। এবারও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও ছাড় পেতে জাপান আমেরিকান সয়াবিন, পিকআপ ট্রাক ও অন্যান্য পণ্য কেনার পরিকল্পনা করছে। আজ মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে দুই নেতা বলেন, ‘আমরা এই মহান চুক্তি বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’, যা ‘দুই দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা জোরদার করবে, প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে এবং বৈশ্বিক সমৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখবে।’
তাকাইচি যুক্তরাষ্ট্র-জাপান নিরাপত্তা সম্পর্ককে ‘বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জোট’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন, জাপান ‘বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে প্রস্তুত।’ টোকিও পৌঁছানোর পর সোমবার সন্ধ্যায় সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ট্রাম্প বলেন, জাপানের পক্ষ থেকে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম কেনা ‘অত্যন্ত ইতিবাচক সংকেত।’ তিনি যোগ করেন, ‘দুই অর্থনীতি এখন প্রচুর বাণিজ্য করবে।’
ট্রাম্প তাকাইচিকে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এটি সত্যিই বড় অর্জন।’ তিনি বলেন, ‘জাপানের জন্য আমি যা পারি, করব। তুমি অসাধারণ কাজ করবে, আর আমাদের সম্পর্কও হবে অসাধারণ।’
উল্লেখ্য, এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বিরল মৃত্তিকা খনিজ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া, ইউক্রেন ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে, কিংবা চুক্তি করার পথে রয়েছে।

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে মিছিলগুলো হচ্ছে, তাতে অনেককে সাদাকালো একটি রুমাল গায়ে জড়াতে দেখা যায়। একে কেফিয়েহ বলে। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের বড় বড় চাবি বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, শিশুদের পিঠে তুলে ঘোরানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তরমুজ এঁকেও নিয়ে আসেন।
২৭ নভেম্বর ২০২৩
তিন দিনের বৈঠক শেষেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। জানা গেছে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আলোচনা শেষ হলেও সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে দুই দেশের। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন সিনেটর রিক স্কট বলেছেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর এখনই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। কারণ, ভেনেজুয়েলায় তাঁর ক্ষমতার দিন শেষের পথে। তিনি বলেছেন, ভেনেজুয়েলায় ‘মাদুরোর দিন ফুরিয়ে আসছে’। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক তাঁর প্রতিষ্ঠান টেসলা ছেড়ে যেতে পারেন, যদি না তাঁকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেতন–ভাতা না দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছেন টেসলার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এই খবর জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন সিনেটর রিক স্কট বলেছেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর এখনই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। কারণ, ভেনেজুয়েলায় তাঁর ক্ষমতার দিন শেষের পথে। তিনি বলেছেন, ভেনেজুয়েলায় ‘মাদুরোর দিন ফুরিয়ে আসছে।’ তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সিনেটর রিক স্কট বলেন, ‘আমি যদি মাদুরোর জায়গায় হতাম, এখনই রাশিয়া বা চীনে চলে যেতাম।’ স্কট সতর্ক করে বলেন, মাদুরোর ‘দিন গোনা শুরু হয়ে গেছে।’ তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন, ‘ভেতর থেকে হোক বা বাইরে থেকে কিছু একটা ঘটবেই।’
তাঁকে সরাসরি জিজ্ঞেস করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র কি ভেনেজুয়েলায় সামরিক অভিযান চালাতে যাচ্ছে? জবাবে স্কট বলেন, ‘আমি তা মনে করি না। যদি এমন হয়ও, তাহলে আমি বিস্মিত হব।’ তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন ওই অঞ্চলে সামরিক উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে পৌঁছেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার ওপর চাপ বাড়িয়েছে।
মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএর অভিযান পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছেন। স্কট আরও বলেন, মাদুরোকে সরিয়ে দেওয়া মানে ওই অঞ্চলে আমেরিকার প্রভাব দীর্ঘদিন প্রতিরোধকারী দেশ ‘কিউবার পতনের সূচনা’। তাঁর ভাষায়, ‘আমেরিকা এখন দক্ষিণ গোলার্ধের দেখভাল করবে।’
স্থলযুদ্ধের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে স্কট স্বীকার করেন, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ-ক্লান্ত জনগণকে নতুন করে সামরিক অভিযানে রাজি করানো ‘খুব কঠিন’। তবে তিনি ইঙ্গিত দেন, প্রয়োজনে ‘আন্তর্জাতিক বাহিনী হস্তক্ষেপ করতে পারে’। স্কটের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভেনেজুয়েলা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি।
এর আগে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক তৎপরতার নিন্দা জানিয়ে অভিযোগ করেন, ওয়াশিংটন ‘এক নতুন, অনন্ত যুদ্ধের আগুন জ্বালাতে চাইছে’। সম্প্রতি ভেনেজুয়েলা সারা দেশে ৫ হাজার রুশ নির্মিত ইগলা-এস অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে, আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদারের অংশ হিসেবে।

মার্কিন সিনেটর রিক স্কট বলেছেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর এখনই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। কারণ, ভেনেজুয়েলায় তাঁর ক্ষমতার দিন শেষের পথে। তিনি বলেছেন, ভেনেজুয়েলায় ‘মাদুরোর দিন ফুরিয়ে আসছে।’ তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সিনেটর রিক স্কট বলেন, ‘আমি যদি মাদুরোর জায়গায় হতাম, এখনই রাশিয়া বা চীনে চলে যেতাম।’ স্কট সতর্ক করে বলেন, মাদুরোর ‘দিন গোনা শুরু হয়ে গেছে।’ তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন, ‘ভেতর থেকে হোক বা বাইরে থেকে কিছু একটা ঘটবেই।’
তাঁকে সরাসরি জিজ্ঞেস করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র কি ভেনেজুয়েলায় সামরিক অভিযান চালাতে যাচ্ছে? জবাবে স্কট বলেন, ‘আমি তা মনে করি না। যদি এমন হয়ও, তাহলে আমি বিস্মিত হব।’ তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন ওই অঞ্চলে সামরিক উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে পৌঁছেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার ওপর চাপ বাড়িয়েছে।
মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএর অভিযান পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছেন। স্কট আরও বলেন, মাদুরোকে সরিয়ে দেওয়া মানে ওই অঞ্চলে আমেরিকার প্রভাব দীর্ঘদিন প্রতিরোধকারী দেশ ‘কিউবার পতনের সূচনা’। তাঁর ভাষায়, ‘আমেরিকা এখন দক্ষিণ গোলার্ধের দেখভাল করবে।’
স্থলযুদ্ধের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে স্কট স্বীকার করেন, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ-ক্লান্ত জনগণকে নতুন করে সামরিক অভিযানে রাজি করানো ‘খুব কঠিন’। তবে তিনি ইঙ্গিত দেন, প্রয়োজনে ‘আন্তর্জাতিক বাহিনী হস্তক্ষেপ করতে পারে’। স্কটের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভেনেজুয়েলা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি।
এর আগে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক তৎপরতার নিন্দা জানিয়ে অভিযোগ করেন, ওয়াশিংটন ‘এক নতুন, অনন্ত যুদ্ধের আগুন জ্বালাতে চাইছে’। সম্প্রতি ভেনেজুয়েলা সারা দেশে ৫ হাজার রুশ নির্মিত ইগলা-এস অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে, আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদারের অংশ হিসেবে।

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে মিছিলগুলো হচ্ছে, তাতে অনেককে সাদাকালো একটি রুমাল গায়ে জড়াতে দেখা যায়। একে কেফিয়েহ বলে। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের বড় বড় চাবি বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, শিশুদের পিঠে তুলে ঘোরানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তরমুজ এঁকেও নিয়ে আসেন।
২৭ নভেম্বর ২০২৩
তিন দিনের বৈঠক শেষেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। জানা গেছে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আলোচনা শেষ হলেও সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে দুই দেশের। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র এবার জাপানের সঙ্গে বিরল খনিজ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। জাপান সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির লক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ‘রেয়ার আর্থ বা বিরল মৃত্তিকা খনিজ’ উপাদানের খনন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে দুই
২ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক তাঁর প্রতিষ্ঠান টেসলা ছেড়ে যেতে পারেন, যদি না তাঁকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেতন–ভাতা না দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছেন টেসলার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এই খবর জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক তাঁর প্রতিষ্ঠান টেসলা ছেড়ে যেতে পারেন, যদি না তাঁকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেতন–ভাতা না দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছেন টেসলার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এই খবর জানিয়েছে।
ডেনহম টেসলার শেয়ারহোল্ডারদের আহ্বান জানিয়েছেন, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্কের প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো অনুমোদন করতে, নইলে তিনি কোম্পানি ছেড়ে যেতে পারেন। গত সপ্তাহে কোম্পানির ত্রৈমাসিক আয় সংক্রান্ত বৈঠকে মাস্ক ইঙ্গিত দেন, কোম্পানির ওপর তার পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা না হলে তিনি ‘বৃহৎ এক রোবট বাহিনী’ গড়ে তোলার কাজে সময় দিতে চান না।
গতকাল সোমবার এক্সে প্রকাশিত এক চিঠিতে টেসলার চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম আসন্ন শেয়ারহোল্ডার ভোটকে বিনিয়োগকারীদের জন্য এক ‘মৌলিক প্রশ্ন’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি লিখেন, ‘আপনারা কি ইলনকে টেসলার সিইও হিসেবে ধরে রাখতে চান এবং তাঁকে অনুপ্রাণিত করতে চান টেসলাকে বিশ্বের শীর্ষ স্বচালিত সমাধান প্রদানকারী ও সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানিতে পরিণত করার জন্য?’
সাধারণত প্রচারবিমুখ ডেনহম বলেন, ইলনের মাস্কের জন্য প্রেরণাদায়ক পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হলে, তিনি কোম্পানি ছেড়ে যেতে পারেন। তাঁর ভাষায়, ‘তাহলে টেসলা হারাতে পারে ইলনের সময়, মেধা ও দূরদর্শিতা—যা কোম্পানির অসাধারণ শেয়ারমূল্য বৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি ছিল।’
তবে শর্ত হলো, আগামী সাড়ে ৭ বছর টেলসা যে একাধিক উচ্চাভিলাষী প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে পূরণ করতে পারেন মাস্ক তবেই তাঁকে এই সুবিধা দেওয়া হবে। গত বুধবার বিশ্লেষকদের সঙ্গে আলোচনায় মাস্ক আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, টেসলার মানবাকৃতি রোবট প্রকল্পে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিপুল পরিশ্রম করার পরও ‘কোনো একসময় তাঁকে কোম্পানি থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।’
তিনি বলেন, এটাই আমার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা। এই তথাকথিত ‘বেতন কাঠামো’ আসলে সেটাই সমাধান করার চেষ্টা। তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোম্পানিতে আমার যথেষ্ট প্রভাব না থাকে, আমি সেই রোবট বাহিনী গড়তে স্বস্তি বোধ করব না।’
বর্তমানে মাস্কের হাতে টেসলার প্রায় ১৫ শতাংশ শেয়ার আছে। এরই মধ্যে শেয়ারহোল্ডার পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান আইএসএস ও গ্লাস লুইস শেয়ারহোল্ডারদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পরামর্শ দিয়েছে, কারণ তাদের মতে প্যাকেজটির অঙ্ক অতি বিশাল এবং তা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের অংশীদারত্বকে ক্ষীণ করবে।
কয়েকটি মার্কিন অঙ্গরাজ্যের কোষাধ্যক্ষসহ আরও কয়েকজন বিনিয়োগকারী, যেমন এসওসি ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ প্রস্তাবটির বিরোধিতা করেছে। তারা বলেছে, বোর্ডের ওপর তাদের আস্থা নেই যে, তারা ইলনের কর্মকাণ্ড যথাযথভাবে তদারকি করতে পারবে কিংবা দীর্ঘমেয়াদি টেকসই মুনাফা নিশ্চিত করতে পারবে।
উল্লেখ্য, শেয়ারহোল্ডারদের ভোট গ্রহণ শেষ হবে আগামী ৫ নভেম্বর, আর কোম্পানি ৬ নভেম্বর বার্ষিক সভায় প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করবে বলে জানানো হয়েছে।

বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক তাঁর প্রতিষ্ঠান টেসলা ছেড়ে যেতে পারেন, যদি না তাঁকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেতন–ভাতা না দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছেন টেসলার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এই খবর জানিয়েছে।
ডেনহম টেসলার শেয়ারহোল্ডারদের আহ্বান জানিয়েছেন, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্কের প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো অনুমোদন করতে, নইলে তিনি কোম্পানি ছেড়ে যেতে পারেন। গত সপ্তাহে কোম্পানির ত্রৈমাসিক আয় সংক্রান্ত বৈঠকে মাস্ক ইঙ্গিত দেন, কোম্পানির ওপর তার পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা না হলে তিনি ‘বৃহৎ এক রোবট বাহিনী’ গড়ে তোলার কাজে সময় দিতে চান না।
গতকাল সোমবার এক্সে প্রকাশিত এক চিঠিতে টেসলার চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম আসন্ন শেয়ারহোল্ডার ভোটকে বিনিয়োগকারীদের জন্য এক ‘মৌলিক প্রশ্ন’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি লিখেন, ‘আপনারা কি ইলনকে টেসলার সিইও হিসেবে ধরে রাখতে চান এবং তাঁকে অনুপ্রাণিত করতে চান টেসলাকে বিশ্বের শীর্ষ স্বচালিত সমাধান প্রদানকারী ও সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানিতে পরিণত করার জন্য?’
সাধারণত প্রচারবিমুখ ডেনহম বলেন, ইলনের মাস্কের জন্য প্রেরণাদায়ক পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হলে, তিনি কোম্পানি ছেড়ে যেতে পারেন। তাঁর ভাষায়, ‘তাহলে টেসলা হারাতে পারে ইলনের সময়, মেধা ও দূরদর্শিতা—যা কোম্পানির অসাধারণ শেয়ারমূল্য বৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি ছিল।’
তবে শর্ত হলো, আগামী সাড়ে ৭ বছর টেলসা যে একাধিক উচ্চাভিলাষী প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে পূরণ করতে পারেন মাস্ক তবেই তাঁকে এই সুবিধা দেওয়া হবে। গত বুধবার বিশ্লেষকদের সঙ্গে আলোচনায় মাস্ক আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, টেসলার মানবাকৃতি রোবট প্রকল্পে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিপুল পরিশ্রম করার পরও ‘কোনো একসময় তাঁকে কোম্পানি থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।’
তিনি বলেন, এটাই আমার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা। এই তথাকথিত ‘বেতন কাঠামো’ আসলে সেটাই সমাধান করার চেষ্টা। তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোম্পানিতে আমার যথেষ্ট প্রভাব না থাকে, আমি সেই রোবট বাহিনী গড়তে স্বস্তি বোধ করব না।’
বর্তমানে মাস্কের হাতে টেসলার প্রায় ১৫ শতাংশ শেয়ার আছে। এরই মধ্যে শেয়ারহোল্ডার পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান আইএসএস ও গ্লাস লুইস শেয়ারহোল্ডারদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পরামর্শ দিয়েছে, কারণ তাদের মতে প্যাকেজটির অঙ্ক অতি বিশাল এবং তা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের অংশীদারত্বকে ক্ষীণ করবে।
কয়েকটি মার্কিন অঙ্গরাজ্যের কোষাধ্যক্ষসহ আরও কয়েকজন বিনিয়োগকারী, যেমন এসওসি ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ প্রস্তাবটির বিরোধিতা করেছে। তারা বলেছে, বোর্ডের ওপর তাদের আস্থা নেই যে, তারা ইলনের কর্মকাণ্ড যথাযথভাবে তদারকি করতে পারবে কিংবা দীর্ঘমেয়াদি টেকসই মুনাফা নিশ্চিত করতে পারবে।
উল্লেখ্য, শেয়ারহোল্ডারদের ভোট গ্রহণ শেষ হবে আগামী ৫ নভেম্বর, আর কোম্পানি ৬ নভেম্বর বার্ষিক সভায় প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করবে বলে জানানো হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে মিছিলগুলো হচ্ছে, তাতে অনেককে সাদাকালো একটি রুমাল গায়ে জড়াতে দেখা যায়। একে কেফিয়েহ বলে। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের বড় বড় চাবি বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, শিশুদের পিঠে তুলে ঘোরানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তরমুজ এঁকেও নিয়ে আসেন।
২৭ নভেম্বর ২০২৩
তিন দিনের বৈঠক শেষেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। জানা গেছে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আলোচনা শেষ হলেও সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে দুই দেশের। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র এবার জাপানের সঙ্গে বিরল খনিজ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। জাপান সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির লক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ‘রেয়ার আর্থ বা বিরল মৃত্তিকা খনিজ’ উপাদানের খনন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে দুই
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন সিনেটর রিক স্কট বলেছেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর এখনই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। কারণ, ভেনেজুয়েলায় তাঁর ক্ষমতার দিন শেষের পথে। তিনি বলেছেন, ভেনেজুয়েলায় ‘মাদুরোর দিন ফুরিয়ে আসছে’। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে