মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাবের সমর্থন করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল বুধবার তিনি বলেন, এ পরিকল্পনায় কোনো ভুল নেই। ট্রাম্পের প্রস্তাবের মতো নেতানিয়াহুর মন্তব্যেরও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ এটি ফিলিস্তিনি জনগণের ভবিষ্যৎ এবং তাদের স্বদেশে থাকার অধিকারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
ফক্স নিউজের শন হ্যানিটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ‘যারা গাজা ছেড়ে যেতে চায়, তাদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার মধ্যে ভুল কী? তারা যেতে পারে, পরে ফিরে আসতে পারে, পুনর্বাসিত হতে পারে এবং ফের গাজায় ফিরে আসতে পারে। কিন্তু গাজা পুনর্নির্মাণ করতেই হবে।’
ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রশংসা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটি একটি চমৎকার ধারণা। আমি মনে করি এটি সত্যিই অনুসরণ করা উচিত। এটি পরীক্ষা করা, বাস্তবায়ন করা এবং সম্পন্ন করা উচিত। কারণ এটি সবার জন্য একটি ভিন্ন ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।’
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের ‘স্থায়ীভাবে’ পুনর্বাসিত করার আহ্বান জানান। গাজার পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেখানে মার্কিন সৈন্য মোতায়েনের পরামর্শ দেন তিনি। পরে বুধবার ট্রাম্পের শীর্ষ কূটনীতিক ও প্রধান মুখপাত্ররা ট্রাম্পের গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের প্রস্তাব নাকচ করে দেন। ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রকে গাজার ‘মালিকানা’ নেওয়ার প্রস্তাব আমেরিকার মিত্ররা এমনকি রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারাও প্রত্যাখ্যান করেন।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও ও হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট ট্রাম্পের সমর্থনে বলেন, ট্রাম্প শুধু ১৮ লাখ গাজাবাসীকে সাময়িকভাবে স্থানান্তর করতে চান, যাতে পুনর্নির্মাণের কাজ সম্ভব হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও এই প্রস্তাবকে ‘উদার’ বলে অভিহিত করেন। সমর্থনে তিনি বলেন, ‘স্পষ্টতই, মানুষকে কোথাও থাকতে হবে যতক্ষণ না আপনি পুনর্নির্মাণ করছেন।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘গাজা এখন একটি ধ্বংসস্তুপ। বর্তমানে এটি মানুষের বসবাসের অনুপযোগী স্থান। প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে বলেছেন, তাদের গাজা থেকে সাময়িকভাবে সরিয়ে নিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষকে বসবাস করার পরামর্শ দেওয়া খুবই খারাপ হবে।’
ট্রাম্পের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনিরা। অন্যান্য আরব দেশ, যাদের ট্রাম্প গাজাবাসীদের আশ্রয় দিতে আহ্বান করেছেন তারাও সমালোচনা করছেন।
মিশর, জর্দান এবং অন্যান্য মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন মিত্ররা ট্রাম্পকে সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়া মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করতে পারে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্পের প্রস্তাবের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছে তারা। সৌদি আরব বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে যাতে তারা ইসরায়েলকে কূটনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দেবে এবং তার বিনিময়ে নিরাপত্তা চুক্তি এবং অন্যান্য শর্ত বাস্তবায়ন করতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাবের সমর্থন করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল বুধবার তিনি বলেন, এ পরিকল্পনায় কোনো ভুল নেই। ট্রাম্পের প্রস্তাবের মতো নেতানিয়াহুর মন্তব্যেরও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ এটি ফিলিস্তিনি জনগণের ভবিষ্যৎ এবং তাদের স্বদেশে থাকার অধিকারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
ফক্স নিউজের শন হ্যানিটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ‘যারা গাজা ছেড়ে যেতে চায়, তাদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার মধ্যে ভুল কী? তারা যেতে পারে, পরে ফিরে আসতে পারে, পুনর্বাসিত হতে পারে এবং ফের গাজায় ফিরে আসতে পারে। কিন্তু গাজা পুনর্নির্মাণ করতেই হবে।’
ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রশংসা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটি একটি চমৎকার ধারণা। আমি মনে করি এটি সত্যিই অনুসরণ করা উচিত। এটি পরীক্ষা করা, বাস্তবায়ন করা এবং সম্পন্ন করা উচিত। কারণ এটি সবার জন্য একটি ভিন্ন ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।’
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের ‘স্থায়ীভাবে’ পুনর্বাসিত করার আহ্বান জানান। গাজার পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেখানে মার্কিন সৈন্য মোতায়েনের পরামর্শ দেন তিনি। পরে বুধবার ট্রাম্পের শীর্ষ কূটনীতিক ও প্রধান মুখপাত্ররা ট্রাম্পের গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের প্রস্তাব নাকচ করে দেন। ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রকে গাজার ‘মালিকানা’ নেওয়ার প্রস্তাব আমেরিকার মিত্ররা এমনকি রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারাও প্রত্যাখ্যান করেন।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও ও হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট ট্রাম্পের সমর্থনে বলেন, ট্রাম্প শুধু ১৮ লাখ গাজাবাসীকে সাময়িকভাবে স্থানান্তর করতে চান, যাতে পুনর্নির্মাণের কাজ সম্ভব হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও এই প্রস্তাবকে ‘উদার’ বলে অভিহিত করেন। সমর্থনে তিনি বলেন, ‘স্পষ্টতই, মানুষকে কোথাও থাকতে হবে যতক্ষণ না আপনি পুনর্নির্মাণ করছেন।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘গাজা এখন একটি ধ্বংসস্তুপ। বর্তমানে এটি মানুষের বসবাসের অনুপযোগী স্থান। প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে বলেছেন, তাদের গাজা থেকে সাময়িকভাবে সরিয়ে নিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষকে বসবাস করার পরামর্শ দেওয়া খুবই খারাপ হবে।’
ট্রাম্পের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনিরা। অন্যান্য আরব দেশ, যাদের ট্রাম্প গাজাবাসীদের আশ্রয় দিতে আহ্বান করেছেন তারাও সমালোচনা করছেন।
মিশর, জর্দান এবং অন্যান্য মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন মিত্ররা ট্রাম্পকে সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়া মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করতে পারে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্পের প্রস্তাবের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছে তারা। সৌদি আরব বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে যাতে তারা ইসরায়েলকে কূটনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দেবে এবং তার বিনিময়ে নিরাপত্তা চুক্তি এবং অন্যান্য শর্ত বাস্তবায়ন করতে হবে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রস্তাবে ভোট দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন এমপি রুশনারা আলী। তিনি আবার লেবার পার্টির সরকারের গৃহহীন বিষয়ক মন্ত্রীও। এবার উল্টো ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তীব্র সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেবিবৃতি অনুযায়ী, মূলনীতিগুলো হলো—হামাসকে নিরস্ত্র করা, জীবিত অথবা মৃত সব জিম্মিকে ইসরায়েলে ফিরিয়ে নেওয়া, গাজা উপত্যকার সামরিকীকরণ ঠেকানো, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ এবং হামাস অথবা প্যালেস্টাইন অথোরিটি বাদে অন্য একটি বিকল্প বেসামরিক প্রশাসন গঠন।
২ ঘণ্টা আগেকুয়েতি সেনাবাহিনীতে নারী সদস্য অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া জোরদার করতে নারী প্রশিক্ষক পাঠাবে বাংলাদেশ। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে বলছে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আশারক আল আওসাত।
৪ ঘণ্টা আগেখাবার আনতে কেন দেরি হলো, এই নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে এক নারীকে ছুরিকাঘাত করেছেন একটি ফুড ডেলিভারি এজেন্ট। ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগে