আজকের পত্রিকা ডেস্ক
চলতি বছরের প্রথম দিকে চীনের মধ্যস্থতায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। এর মধ্য দিয়ে দেশ দুটির সাত বছরের কূটনৈতিক বিরোধের অবসান ঘটে এবং তাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর বড় অর্থনৈতিক সহযোগী এবং সৌদি-ইরানি জ্বালানি তেলের ক্রেতা হিসেবে সংঘাত বা বিরোধ মেটাতে বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক সুবিধা ও বেশ সুনাম রয়েছে।
এমনকি শান্তি আলোচনার জন্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকেও মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। এ জন্য গত মে মাসে তারা ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আলাদা আলাদা সময়ে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানায়। মধ্যপ্রাচ্যে বেইজিং নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পাল্টা পক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। এতে এ অঞ্চলে শান্তির প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে একপক্ষীয়ভাবে ইসরায়েলের পক্ষ নেওয়া পরাশক্তিটির ঐতিহাসিক ভূমিকায় বাধা তৈরি হবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, ছয় মাসের কম সময়ের মধ্যে হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধ। এতে মধ্যপ্রাচ্যে একটা প্রধান খেলোয়াড় হিসেবে বেইজিংয়ের আকাঙ্ক্ষা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
বিশ্লেষকদের ভাষ্য, সংঘাতের উভয় দিকে আসলে বেইজিংয়ের স্বার্থ রয়েছে। দেশটি দীর্ঘদিন ধরে দুই রাষ্ট্রের সমাধানের পক্ষে বলে আসছে। এমনকি গত শতকের ষাট ও সত্তরের দশকে প্যালেস্টাইনিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে (পিএলও) অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে। তা সত্ত্বে বর্তমানে বেইজিং ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার, যা বেশ বিস্ময়ের এদিকে যুদ্ধের শুরুর পর থেকে চীন একটা নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে এবং সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাইছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের অতর্কিত হামলার পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাড়াবাড়ি থামানো এবং ‘সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে শান্ত থাকা, বেসামরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত এবং অবস্থার অধিকতর অবনতি এড়ানোর’ আহ্বান জানিয়েছে।
কেন বেইজিংয়ের এই নিরপেক্ষ অবস্থান তা জানতে চাইলে ওয়াশিংটনভিত্তিক স্টিমসন সেন্টারের চায়না প্রোগ্রামের পরিচালক ইয়ুন সান বলেন, ‘চীন যদি ওই অঞ্চলে ভিন্ন একটি পরাশক্তি হিসেবে নিজের অবস্থান সংহত করতে চায়, তাহলে তারা একটি পক্ষের বিরুদ্ধে অন্য পক্ষকে বেছে নিতে পারে না। এ জন্য চীন বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সব হামলার বিরুদ্ধে।’
সংঘাত প্রলম্বিত হলে চীনের ভয়ের কারণ দেশটির অর্থনীতি। দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে চীনের গভীর অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। তাদের শঙ্কা, চলমান যুদ্ধ যদি অন্য শক্তিগুলোকে এ অঞ্চলের দিকে মনোযোগ বাড়ায়, তাহলে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সোয়াসের চায়না ইনস্টিটিউটের স্টিভ চ্যাং বলেন, এ যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক পর্যায়েও চীনের অবস্থান হুমকিতে পড়তে পারে। এটিই আসলে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্ষুণ্ন হওয়ার ভয় সত্ত্বেও চীনকে নিরপেক্ষ থাকতে প্রণোদিত করছে।’
চলতি বছরের প্রথম দিকে চীনের মধ্যস্থতায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। এর মধ্য দিয়ে দেশ দুটির সাত বছরের কূটনৈতিক বিরোধের অবসান ঘটে এবং তাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর বড় অর্থনৈতিক সহযোগী এবং সৌদি-ইরানি জ্বালানি তেলের ক্রেতা হিসেবে সংঘাত বা বিরোধ মেটাতে বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক সুবিধা ও বেশ সুনাম রয়েছে।
এমনকি শান্তি আলোচনার জন্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকেও মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। এ জন্য গত মে মাসে তারা ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আলাদা আলাদা সময়ে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানায়। মধ্যপ্রাচ্যে বেইজিং নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পাল্টা পক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। এতে এ অঞ্চলে শান্তির প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে একপক্ষীয়ভাবে ইসরায়েলের পক্ষ নেওয়া পরাশক্তিটির ঐতিহাসিক ভূমিকায় বাধা তৈরি হবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, ছয় মাসের কম সময়ের মধ্যে হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধ। এতে মধ্যপ্রাচ্যে একটা প্রধান খেলোয়াড় হিসেবে বেইজিংয়ের আকাঙ্ক্ষা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
বিশ্লেষকদের ভাষ্য, সংঘাতের উভয় দিকে আসলে বেইজিংয়ের স্বার্থ রয়েছে। দেশটি দীর্ঘদিন ধরে দুই রাষ্ট্রের সমাধানের পক্ষে বলে আসছে। এমনকি গত শতকের ষাট ও সত্তরের দশকে প্যালেস্টাইনিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে (পিএলও) অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে। তা সত্ত্বে বর্তমানে বেইজিং ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার, যা বেশ বিস্ময়ের এদিকে যুদ্ধের শুরুর পর থেকে চীন একটা নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে এবং সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাইছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের অতর্কিত হামলার পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাড়াবাড়ি থামানো এবং ‘সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে শান্ত থাকা, বেসামরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত এবং অবস্থার অধিকতর অবনতি এড়ানোর’ আহ্বান জানিয়েছে।
কেন বেইজিংয়ের এই নিরপেক্ষ অবস্থান তা জানতে চাইলে ওয়াশিংটনভিত্তিক স্টিমসন সেন্টারের চায়না প্রোগ্রামের পরিচালক ইয়ুন সান বলেন, ‘চীন যদি ওই অঞ্চলে ভিন্ন একটি পরাশক্তি হিসেবে নিজের অবস্থান সংহত করতে চায়, তাহলে তারা একটি পক্ষের বিরুদ্ধে অন্য পক্ষকে বেছে নিতে পারে না। এ জন্য চীন বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সব হামলার বিরুদ্ধে।’
সংঘাত প্রলম্বিত হলে চীনের ভয়ের কারণ দেশটির অর্থনীতি। দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে চীনের গভীর অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। তাদের শঙ্কা, চলমান যুদ্ধ যদি অন্য শক্তিগুলোকে এ অঞ্চলের দিকে মনোযোগ বাড়ায়, তাহলে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সোয়াসের চায়না ইনস্টিটিউটের স্টিভ চ্যাং বলেন, এ যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক পর্যায়েও চীনের অবস্থান হুমকিতে পড়তে পারে। এটিই আসলে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্ষুণ্ন হওয়ার ভয় সত্ত্বেও চীনকে নিরপেক্ষ থাকতে প্রণোদিত করছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে ‘অপরাধী সংস্থা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধান ধনকুবের ইলন মাস্ক।
৭ মিনিট আগেমালয়েশিয়ার ‘গ্লোবাল ইখওয়ান সার্ভিসেস অ্যান্ড বিজনেস হোল্ডিংস’ (জিআইএসবিএইচ) বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ ব্যবসা পরিচালনা করে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা গোপনে শত শত শিশুকে নিপীড়ন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৫ ঘণ্টা আগেবিবিসি জানিয়েছে, নিহত আর্মেন সারগসিয়ান ছিলেন ‘আরবাত’ ব্যাটালিয়নের নেতা। সোমবার সকালে মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে একটি আবাসিক ভবনের প্রবেশদ্বারে বিস্ফোরণ ঘটলে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। ঘটনার স্থানটি রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে।
৬ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ইরানে পুলিশের গাড়ির ওপর নগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন এক নারী। এটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের কঠোর পোশাকবিধির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদের সর্বশেষ ঘটনা।
৮ ঘণ্টা আগে