Ajker Patrika

তিউনিসিয়ার বন্দরে ড্রোন হামলার শিকার গাজামুখী গ্রেটা থুনবার্গের ফ্লোটিলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ১০
গাজামুখী নৌবহরে সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ছবি: সিএনএন
গাজামুখী নৌবহরে সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ছবি: সিএনএন

ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলার (জিএসএফ) একটি নৌযান তিউনিসিয়ার বন্দরে ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। গতকাল সোমবার রাতে তিউনিসিয়ার সিদি বু সাইদ বন্দরে এ ঘটনা ঘটে। তবে নৌকায় থাকা ছয়জন যাত্রী ও ক্রু সবাই নিরাপদে রয়েছেন।

তিউনিসিয়ার ন্যাশনাল গার্ড অবশ্য এ দাবি নাকচ করে জানিয়েছে, হামলার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, সিগারেটের আগুন বা হালকা জ্বালানির কারণে নৌকায় আগুন ধরে যায়। তবে ফ্লোটিলা কর্তৃপক্ষ প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আকাশ থেকে একটি জ্বলন্ত বস্তু নৌকায় পড়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।

জিএসএফ জানিয়েছে, আক্রান্ত নৌকাটির নাম ‘ফ্যামিলি বোট’, যা আগে থেকেই সংগঠনটির অন্যতম প্রধান বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। পর্তুগিজ পতাকাবাহী এ জাহাজের মূল ডেক ও নিচতলার গুদাম অংশ আগুনে ক্ষতি হয়েছে।

ফ্লোটিলার প্রায় ৫০টি জাহাজের মধ্যে এই নৌকা অন্যতম। এগুলোর লক্ষ্য হলো ইসরায়েলের নৌ অবরোধ ভেঙে গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। বহরটি গত সপ্তাহে বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করেছে এবং ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে গাজার দিকে যাচ্ছে। এই অভিযানে সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, আইরিশ অভিনেতা লিয়াম কানিংহ্যামসহ বহু আন্তর্জাতিক কর্মী যুক্ত হয়েছেন।

ঘটনার সময় থুনবার্গ নৌকায় ছিলেন না। তবে সেখানে থাকা পর্তুগিজ কর্মী মিগুয়েল দুয়ার্তে সাংবাদিকদের জানান, গতকাল রাতে তিনি মাথার ওপরে ড্রোনের গুনগুন শব্দ শুনতে পান। কিছুক্ষণের মধ্যে ড্রোনটি নৌকার সামনের অংশে চলে যায় এবং একটি বিস্ফোরক বস্তু ফেলে দেয়। এতে আগুন ধরে যায়। দুয়ার্তে বলেন, ‘এটি লজ্জাজনক আক্রমণ। তবে আমাদের পথ আটকানো যাবে না।’

এ নিয়ে এই ফ্লোটিলায় একাধিকবার এমন হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত মে মাসে মাল্টার উপকূলে একটি ত্রাণবাহী জাহাজে আগুন ধরে যায়। তখন সংগঠকেরা ইসরায়েলি ড্রোন হামলার অভিযোগ করেন। জুন মাসে আবার গাজার উপকূলে ১২ কর্মীসহ একটি ইয়ট আটক করে ইসরায়েল। সেটিকে তেল আবিব কর্তৃপক্ষ তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে ‘সেলফি ইয়ট’ হিসেবে উল্লেখ করেছিল।

গতকালের ঘটনায় এখনো ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি। তবে জিএসএফ স্পষ্ট জানিয়েছে, ভয়ভীতি ও হামলার মাধ্যমে তাদের মানবিক মিশন ব্যাহত করা যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত