Ajker Patrika

৭০০তম দিনে গড়াল ইসরায়েলে নেতানিয়াহু-বিরোধী বিক্ষোভ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৩
তেলআবিবের ‘হোস্টেস স্কয়ারে’ বিশাল আকৃতির একটি ‘এসওএস’ সাইন প্রদর্শন করে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম
তেলআবিবের ‘হোস্টেস স্কয়ারে’ বিশাল আকৃতির একটি ‘এসওএস’ সাইন প্রদর্শন করে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম

৭০০ দিন ধরে ইসরায়েলে চলছে নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ। আজ শুক্রবারও বিক্ষোভে উত্তাল তেল আবিব। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা বাকি ইসরায়েলিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে বলে সরকারকে আলটিমেটাম দিয়েছে তারা।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তেল আবিবের ‘হোস্টেস স্কয়ারে’ বিশাল আকৃতির একটি ‘এসওএস’ সাইন প্রদর্শন করে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। সঙ্গে রেখেছে বিশাল আকৃতির একটি আওয়ার গ্লাস বা বালির ঘড়ি। জিম্মিদের হাতে আর খুব বেশি সময় নেই এটা বোঝাতেই প্রতীক হিসেবে এগুলো প্রদর্শন করছে তারা।

উল্লেখ্য, ‘এসওএস’ হলো আন্তর্জাতিক সিগন্যাল বা সংকেত, যা সাধারণত জরুরি পরিস্থিতি বা বিপদে সাহায্য চাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। মূলত এটি ‘সেভ আওয়ার সোল’ ‘সেভ আওয়ার শিপ’-এর সংক্ষেপ হিসেবে প্রচলিত আছে, কিন্তু বাস্তবে এটা কোনো নির্দিষ্ট শব্দের সংক্ষেপ নয়—শুধু সহজে শনাক্তযোগ্য সিগন্যাল হিসেবে পরিচিত।

মাথা ঢেকে হলুদ রঙের টি-শার্ট পরে সমাবেশে জড়ো হয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এ ছাড়া, প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনেও জড়ো হয়েছে বহু ইসরায়েলি।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনজিও আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা—এসিএলইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলে গত মাসে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে তিন শতাধিক বিক্ষোভ হয়েছে। দেশটির ইতিহাসে এক মাসে এটিই সর্বোচ্চ। ঠিক এক মাস আগে জুলাইয়েও দেশটিতে বিক্ষোভের সংখ্যা ছিল আগস্টের অর্ধেকেরও কম।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার পর থেকেই বিরামহীনভাবে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে ইসরায়েলিরা। ওই দিন ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকায় নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় নিহত হয় ১ হাজার ২০০ মানুষ। সেই সঙ্গে ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় তারা। এর পর থেকেই জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছে সাধারণ ইসরায়েলিরা।

৭ অক্টোবর ২০২৩-এর পর থেকে কয়েক দফায় ২০২ জিম্মিকে ইসরায়েলে ফিরিয়ে নেওয়া হলেও এখনো আরও ৪৮ জন গাজায় রয়ে গেছেন। হামাস যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিনিময়ে তাদের ফিরিয়ে দিতে রাজি হলেও নেতানিয়াহু প্রশাসন তাতে রাজি নয়।

সাধারণ ইসরায়েলিদের অভিযোগ, নিজের রাজনৈতিক স্বার্থেই যুদ্ধ জিইয়ে রাখতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। জিম্মিদের জীবনের চেয়ে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধিই তাঁর কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে বলেও অভিযোগ ইসরায়েলিদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত