Ajker Patrika

আগামী বছরেই পানিতে নামবে চীনের তৈরি পাকিস্তানের ‘হাঙর’ সাবমেরিন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তান আশা করছে, আগামী বছরেই পানিতে নামবে তাদের হাঙর ক্লাস সাবমেরিন। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান আশা করছে, আগামী বছরেই পানিতে নামবে তাদের হাঙর ক্লাস সাবমেরিন। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান নৌবাহিনী আশা করছে, চীনের নকশায় তৈরি করা সাবমেরিন আগামী বছরে সক্রিয় কার্যক্রমে যুক্ত হবে। দেশটির শীর্ষ অ্যাডমিরাল চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব মোকাবিলায় এবং মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জোরদারে বেইজিং আরও এগিয়ে যাবে।

গত রোববার চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের নৌ–প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ বলেন, ২০২৮ সালের মধ্যে পাকিস্তান আটটি হাঙর ক্লাস সাবমেরিন পাবে চীনের কাছ থেকে। এ সময় তিনি জানান, এই বিষয়ে দেশটির সঙ্গে পাকিস্তানের চুক্তি ‘সফলভাবে এগোচ্ছে।’ তিনি বলেন, এসব সাবমেরিন পাকিস্তানের উত্তর আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরে টহল সক্ষমতা বাড়াবে।

চীনা সাবমেরিন নিয়ে এই অগ্রগতির খবর এমন এক সময়ে এল, যার কয়েক আগেই পাকিস্তান বিমানবাহিনী মে মাসে চীনা তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতের ফরাসি তৈরি রাফাল বিমান ভূপাতিত করে। পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর এই আকাশযুদ্ধ সামরিক বিশ্লেষকদের বিস্মিত করেছে। এতে চীনা প্রযুক্তির বিপরীতে পশ্চিমা অস্ত্র প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের সাবমেরিন চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম চারটি ডিজেলচালিত অ্যাটাক সাবমেরিন তৈরি হবে চীনে। বাকি চারটি তৈরি হবে পাকিস্তানে, যাতে দেশটির প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাকিস্তান এরই মধ্যে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের একটি জাহাজঘাঁটি থেকে ইয়াংসি নদীতে তিনটি সাবমেরিন নামিয়েছে।

অ্যাডমিরাল আশরাফ গ্লোবাল টাইমসকে বলেন, ‘চীনা উৎপাদিত প্ল্যাটফর্ম ও সরঞ্জাম নির্ভরযোগ্য, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এবং পাকিস্তান নৌবাহিনীর অপারেশনাল প্রয়োজনের সঙ্গে মানানসই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আধুনিক যুদ্ধের ধারা বদলাচ্ছে। এখন মানববিহীন ব্যবস্থা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উন্নত ইলেকট্রনিক যুদ্ধ প্রযুক্তি ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। পাকিস্তান নৌবাহিনী এসব প্রযুক্তির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে এবং চীনের সঙ্গে এ বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।’

চীনের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ইসলামাবাদ। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে চীনের মোট অস্ত্র রপ্তানির ৬০ শতাংশের বেশি গেছে পাকিস্তানে। অস্ত্র বিক্রির পাশাপাশি চীন পাকিস্তানে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে আরব সাগরে প্রবেশের নিজস্ব পথ গড়ে তুলতে। প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করা হয়েছে, যা চীনের শিনজিয়াং অঞ্চল থেকে শুরু হয়ে পাকিস্তানের গভীর সমুদ্রবন্দর গোয়াদর পর্যন্ত বিস্তৃত।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের নেতৃত্বে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অংশ এই চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর। এর লক্ষ্য হলো মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি আমদানির জন্য বিকল্প পথ নিশ্চিত করা, যাতে মালাক্কা প্রণালি—যা মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মাঝখানে অবস্থিত এবং যুদ্ধে সহজেই অবরুদ্ধ হতে পারে—এড়িয়ে চলা যায়।

এই উদ্যোগ চীনের প্রভাব বিস্তার করেছে আফগানিস্তান, ইরান এবং মধ্য এশিয়ার দিকে। একই সঙ্গে এটি কার্যত ভারতকে ঘিরে ফেলেছে—কারণ চীনের মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ রয়েছে। বর্তমানে ভারত দেশীয়ভাবে তৈরি পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন পরিচালনা করছে। এ ছাড়া ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি তিন শ্রেণির ডিজেলচালিত আক্রমণ সাবমেরিনও ভারতের হাতে রয়েছে।

অ্যাডমিরাল আশরাফ বলেন, ‘চীনের সঙ্গে এই সহযোগিতা কেবল সামরিক হার্ডওয়্যারের বিষয় নয়; এটি একটি অভিন্ন কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি, পারস্পরিক আস্থা এবং দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্বের প্রতিফলন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দশকে এই সম্পর্ক আরও গভীর হবে। শুধু জাহাজ নির্মাণ ও প্রশিক্ষণ নয়, বরং যৌথ কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, গবেষণা, প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং শিল্প সহযোগিতাও এতে যুক্ত হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাম্পের নেতৃত্বে ২ বছরের জন্য গাজার শাসনক্ষমতা চায় যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
যুক্তরাষ্ট্র চায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে একটি ‘শান্তি পরিষদ’ আগামী দুই বছর গাজা শাসন করুক। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র চায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে একটি ‘শান্তি পরিষদ’ আগামী দুই বছর গাজা শাসন করুক। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা অন্তত দুই বছরের জন্য গাজা শাসনের দায়িত্ব নিতে চায়। একই সঙ্গে গাজায় কোনো শান্তিরক্ষীবাহিনী নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিক বলপ্রয়োগকারী বাহিনী মোতায়েন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এই বিষয়ে দেশটি এরই মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকটি সদস্য দেশের কাছে একটি খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস মার্কিন প্রশাসনের এক ক্লাসিফায়েড বা গোপন নথির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র গতকাল সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রকে গাজায় অন্তত দুই বছরের জন্য একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

ওই খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে গাজা শাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত বিস্তৃত ম্যান্ডেট দেওয়া হবে। প্রয়োজনে এই সময়সীমা বাড়ানোও সম্ভব হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে জানিয়েছেন, এই খসড়ার ভিত্তিতে আগামী কয়েক দিনে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে আলোচনা চলবে। লক্ষ্য হলো—আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে প্রস্তাবটি গৃহীত করা এবং জানুয়ারির মধ্যে গাজায় প্রথম সেনা মোতায়েন করা।

মার্কিন ওই কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী বা আইএসএফ (International Security Force) একটি ‘বলপ্রয়োগকারী বাহিনী’, শান্তিরক্ষী বাহিনী নয়। এই বাহিনীতে বিভিন্ন দেশের সৈন্য থাকবে এবং তা গঠিত হবে গাজা ‘বোর্ড অব পিস বা শান্তি পরিষদের’ পরামর্শে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনিই দায়িত্ব নেবেন।

খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘বোর্ড অব পিস’ অন্তত ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। খসড়ার তথ্য অনুযায়ী, আইএসএফ-এর দায়িত্ব থাকবে ইসরায়েল ও মিসরের সঙ্গে গাজার সীমান্ত নিরাপদ রাখা, সাধারণ মানুষের সুরক্ষা ও মানবিক সহায়তার করিডর রক্ষা করা এবং নতুন ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া। এই নতুন পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে তারা কাজ করবে।

এ ছাড়া, আইএসএফ-এর দায়িত্ব থাকবে গাজার নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা। অর্থাৎ গাজা উপত্যকার নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা। এর মধ্যে সামরিক, সন্ত্রাসী ও আক্রমণাত্মক অবকাঠামো ধ্বংস এবং তা পুনর্গঠন রোধ করা এবং অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর অস্ত্র স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা।

এর মানে দাঁড়ায়, হামাস যদি স্বেচ্ছায় নিরস্ত্রীকরণে রাজি না হয়, তাহলে বাহিনী জোরপূর্বক তাদের নিরস্ত্রীকরণের দায়িত্ব নেবে। খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজন হলে গাজা চুক্তি বাস্তবায়নে আইএসএফ অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করবে। এই বাহিনী গাজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এমন এক অন্তর্বর্তী সময়ে, যখন ইসরায়েল ধীরে ধীরে গাজার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সরে আসবে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিজেদের সংস্কার সম্পন্ন করে দীর্ঘ মেয়াদে গাজার প্রশাসন গ্রহণের প্রস্তুতি নেবে।

অ্যাক্সিওসের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়া, আজারবাইজান, মিসর ও তুরস্ক এই বাহিনীতে সৈন্য পাঠাতে আগ্রহ দেখিয়েছে। খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আইএসএফ ‘বোর্ড অব পিসের’ কাছে গ্রহণযোগ্য একীভূত কমান্ড কাঠামোর অধীনে গাজায় মোতায়েন হবে। এতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, বাহিনী গঠন ও এর কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে ‘মিসর ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ পরামর্শ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে।’

বাহিনীকে ‘আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আওতায় তাদের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা’ দেওয়া হবে। খসড়া প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘বোর্ড অব পিসকে’ একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে ক্ষমতায়িত করা হবে। এই প্রশাসন গাজার পুনর্গঠনের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করবে এবং অর্থ সংগ্রহ করবে। এই দায়িত্ব তারা পালন করবে যতক্ষণ না ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিজেদের সংস্কার কর্মসূচি সন্তোষজনকভাবে শেষ করে এবং ‘বোর্ড অব পিস’ তার অনুমোদন দেয়।

প্রস্তাব অনুযায়ী, ‘বোর্ড অব পিস’ গাজার স্থানীয় যোগ্য, অরাজনৈতিক এবং টেকনোক্র্যাট ফিলিস্তিনি নাগরিকদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটি তদারক করবে ও সহায়তা দেবে। এই কমিটি গাজার বেসামরিক প্রশাসনের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই কমিটি গঠনের আগেই ‘বোর্ড অব পিস’ কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, মানবিক সহায়তা বিতরণ করবে সেই সব সংস্থা, যারা ‘বোর্ড অব পিসের’ সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। এসব সংস্থার মধ্যে আছে—জাতিসংঘ, রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট। কোনো সংস্থা যদি সাহায্য অপব্যবহার করে বা অন্যদিকে সরিয়ে নেয়, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
৬ মাস আগে বিয়ে করেন এই দম্পতি। ছবি: এনডিটিভি
৬ মাস আগে বিয়ে করেন এই দম্পতি। ছবি: এনডিটিভি

স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভারতের বেঙ্গালুরুর এক সার্জনের বিরুদ্ধে। ছয় মাস আগে ঘটা এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে সম্প্রতি তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত বছরের ২৬ মে বিয়ে করেন সার্জন ডা. মহেন্দ্র রেড্ডি ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কৃতিকা রেড্ডি। দুজনেই বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

মহেন্দ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কৃতিকা অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে ঘরেই অ্যানেস্থেটিক ওষুধ প্রোপোফল দেন মহেন্দ্র। যার মাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এরপর কৃতিকা আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দ্রুত নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সম্প্রতি এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করার সময় পুলিশ দেখতে পায়, অভিযুক্ত সার্জন এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। যেখানে লেখা, ‘তোমার জন্য আমি আমার স্ত্রীকে খুন করেছি।’

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত চিকিৎসক মহেন্দ্র রেড্ডি জেনারেল সার্জন হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি এক নারীর সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতেন। হত্যার পর সেই অ্যাপের মাধ্যমেই তিনি ওই নারীকে এই বার্তা পাঠান। তাঁর ফোনের ফরেনসিক বিশ্লেষণের সময় পুলিশ এই বার্তাটি খুঁজে পায়।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। ওই নারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।

পরে ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)-এর প্রতিবেদনে কৃতিকার দেহে প্রোপোফলের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। এতে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর চেয়ে হত্যার আশঙ্কা স্পষ্ট হয়। ঘটনার তদন্তে তাঁদের বাসা থেকে ক্যানোলা সেট, ইনজেকশন টিউবসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।

এই প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর কৃতিকার বাবা মহেন্দ্রর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ সন্দেহ করে, নিজের চিকিৎসা-জ্ঞান ব্যবহার করে মহেন্দ্র ঘটনাটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন।

অবশেষে ১৫ অক্টোবর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার সীমান্ত কুমার সিং বলেন, ‘এ পর্যন্ত সংগৃহীত প্রমাণগুলো স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে যে অপরাধে স্বামীর ভূমিকা ছিল। তিনিই প্রথম স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু তখন এমন কিছু উল্লেখ করেননি যা সন্দেহজনক হতে পারত।’

পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘মহেন্দ্র দাবি করেছিলেন, কৃতিকা অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এখন আমরা জেনেছি, তাঁকে সিডেটিভ ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল, যা থেকে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দেওয়ায় মেক্সিকোর সঙ্গে পেরুর সম্পর্কচ্ছেদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পেরুর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী বেৎসি শ্যাভেজ। ছবি: সংগৃহীত
পেরুর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী বেৎসি শ্যাভেজ। ছবি: সংগৃহীত

অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দেওয়ায় মেক্সিকোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে লাতিন আমেরিকার দেশ পেরু। দেশটির অভিযোগ—মেক্সিকো ২০২২ সালের অভ্যুত্থানচেষ্টার মামলায় বিচারাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেৎসি শ্যাভেজকে আশ্রয় দিয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত রোববার এই ঘোষণা দেয় পেরু সরকার। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্যাভেজ মেক্সিকোর দূতাবাসে পালিয়ে যান।

পেরুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুগো দে সেলা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আজ আমরা বিস্ময় ও গভীর দুঃখের সঙ্গে জেনেছি যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিয়োর কথিত অভ্যুত্থানচেষ্টার অন্যতম অপরাধী বেৎসি শ্যাভেজকে মেক্সিকোর দূতাবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপের কারণে এবং অতীতে ও বর্তমানে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ও সাবেক প্রেসিডেন্টদের বারবার পেরুর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে পেরু সরকার আজ থেকেই মেক্সিকোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ মেক্সিকো সরকার এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

শ্যাভেজের আইনজীবী রাউল নোব্লেসিয়া স্থানীয় রেডিও আরপিপিকে বলেন, তিনি কয়েক দিন ধরে তাঁর মক্কেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। শ্যাভেজ আশ্রয়ের আবেদন করেছেন কি না, সেটিও তিনি জানেন না। শ্যাভেজ প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিয়োর সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। তখন প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল।

কাস্তিয়ো ছিলেন একসময় গ্রামের স্কুলশিক্ষক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা। তাঁকে বলা হয় পেরুর ‘প্রথম দরিদ্র প্রেসিডেন্ট।’ কিন্তু তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করলে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তাঁকে অভিশংসন করা হয়। এরপর থেকেই লিমা ও মেক্সিকো সিটির সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে।

অভিশংসনের পর কাস্তিয়ো মেক্সিকোর লিমা দূতাবাসে আশ্রয়ের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু দূতাবাসে পৌঁছানোর আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়। একই মামলায় বেৎসি শ্যাভেজকেও অভিযুক্ত করা হয়।

এর আগে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরেই পেরু মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। কারণ, তখন মেক্সিকো কাস্তিয়োর স্ত্রী ও সন্তানদের আশ্রয় দিয়েছিল। এর পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে পেরুর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেস ওব্রাদরের বিরুদ্ধে কাস্তিয়োর পক্ষে কথা বলে পেরুর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন এবং মেক্সিকো সিটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নেন।

এই বছরের মার্চে সাবেক প্রেসিডেন্ট কাস্তিয়ো ও শ্যাভেজের বিরুদ্ধে মামলার বিচার শুরু হয়। কাস্তিয়ো অভিশংসনের পর থেকেই কারাগারে আছেন। শ্যাভেজ গত সেপ্টেম্বরে জামিনে মুক্তি পান।

প্রসিকিউটররা শ্যাভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তিনি কাস্তিয়োর সঙ্গে মিলে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। শ্যাভেজের বিরুদ্ধে ২৫ বছরের কারাদণ্ড এবং কাস্তিয়োর বিরুদ্ধে ৩৪ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেছে প্রসিকিউশন। তবে দুজনই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাম্পের পর এবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে জার্মানি সফরের আমন্ত্রণ চ্যান্সেলরের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে জার্মানি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎজ। ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে জার্মানি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎজ। ছবি: সংগৃহীত

জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎজ আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারাকে জার্মানি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আলোচনার বিষয় হবে—দেশটিতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত সিরিয়ার নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো। বার্লিন এখন সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগে, আহমদ আল–শারাকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল–মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ম্যার্ৎজ গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অবশ্যই অপরাধীদের সিরিয়ায় ফেরত পাঠাব। এটাই পরিকল্পনা। এখন আমরা সেটি খুব নির্দিষ্টভাবে বাস্তবায়ন করব।’

এই আমন্ত্রণ জার্মানির সিরিয়া সংক্রান্ত নীতির পরিবর্তনের বড় ইঙ্গিত। ম্যার্ৎজ বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে স্থিতিশীল করতে আল-শারার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা একসঙ্গে সমাধান করতে চাই।’

ম্যার্ৎজের এই কঠোর অবস্থান একেবারেই ভিন্ন সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের নীতি থেকে। ২০১৫ সালে মেরকেল ‘ওপেন-ডোর’ শরণার্থী নীতি চালু করেন, যাতে ১০ লাখেরও বেশি অভিবাসী—যাদের বেশির ভাগই সিরিয়ার—জার্মানিতে আশ্রয় পান। এরপর থেকে দেশটিতে ডানপন্থী দলগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। সেই চাপের মুখে ম্যার্ৎজের নেতৃত্বে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন দল দ্রুত প্রত্যাবাসন ও কড়াকড়ি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের পক্ষে অবস্থান নেয়। ম্যার্ৎজ বলেন, ‘আমি আবারও বলছি—সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শেষ। এখন জার্মানিতে আশ্রয়ের কোনো যৌক্তিকতা নেই।’

এদিকে, সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শায়বানি রোববার নিশ্চিত করেছেন, প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা নভেম্বরের শুরুর দিকে হোয়াইট হাউস সফর করবেন। আলোচনার মূল বিষয় হবে সিরিয়া পুনর্গঠন। মার্কিন বিশেষ দূত টম বারাক শনিবার প্রথম এ সফরের ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, সফরটি নভেম্বরের ১০ তারিখের কাছাকাছি সময় অনুষ্ঠিত হবে।

আল-শায়বানি বলেন, ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনায় থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরু করা। আমরা দুই দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে চাই।’

সিরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর এই প্রথম। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এর আগে কোনো সিরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াশিংটন সফর করেননি। এ সফরটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, গত সেপ্টেম্বরেই জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে নিউইয়র্কে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট আল-শারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত