অনলাইন ডেস্ক
সিরিয়ায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হয়ে সংখ্যালঘু আলাওয়ি সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ রাশিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। গত সপ্তাহে আসাদপন্থীদের দমন করতে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল লাতাকিয়া ও তার্তুসে অভিযান পরিচালনা করে নিরাপত্তা বাহিনী। এই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ অনুগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যকার ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়।
৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ চলে ৯ মার্চ পর্যন্ত। যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি দল জানিয়েছে, চার দিনের সংঘর্ষে নিহত হয় প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ। যাদের বেশির ভাগই সংখ্যালঘু আলাওয়ি সম্প্রদায়ের। তবে বিবিসির একটি অনুসন্ধানী দল প্রমাণ পেয়েছে, সংঘর্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান বন্ধ হলেও এখনো শত শত মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আছে। এদের মধ্যে কয়েক শ নারী, শিশু ও বৃদ্ধ লাতাকিয়ার রুশ সামরিক ঘাঁটি হেমেইমিমে আশ্রয় নিয়েছে।
এই রুশ ঘাঁটিতেই বিবিসি আলাওয়ি সম্প্রদায়ের একজন নারীর সঙ্গে কথা বলে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে দালাল মাহনা নামের ওই নারী বিবিসিকে বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলেকে তারা ধরে নিয়ে যায়। তারা বলে, তোমার ছেলেকে আমরা হত্যা করব এবং তোমাকে সেই কষ্ট সহ্য করতে হবে।’
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) লাতাকিয়া ও এর আশপাশের আসাদপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী জাবলেহে সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন। এরপরই নিরাপত্তা বাহিনী আসাদপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
উপকূলীয় অঞ্চল লাতাকিয়া-তার্তুস ঐতিহ্যগতভাবে আসাদ পরিবারের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আসাদের পরিবার লাতাকিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর আল-কুরদাহ থেকে এসেছে এবং তাঁর শাসনামলে এই সম্প্রদায়ের লোকেরাই প্রধান পদে ছিল।
তবে আসাদের স্থলাভিষিক্ত সুন্নি ইসলামপন্থী নেতৃত্বাধীন সরকারের অনুগত নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আলাওয়ি অধ্যুষিত এলাকায় প্রতিশোধমূলক গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, অভিযান শুরুর পরবর্তী চার দিনে এই অঞ্চলের নারী ও শিশুসহ অনেক পরিবারের সবাইকেই হত্যা করা হয়েছে।
গত বুধবার জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, এ পর্যন্ত ১১১ জন বেসামরিক নাগরিকের হত্যার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘নিহতদের অনেকের ক্ষেত্রেই বিনা বিচারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।’
বিবিসির অনুসন্ধানী দল লাতাকিয়া ও তার্তুসের রাস্তায় গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যাওয়া একটি গাড়ি খুঁজে পেয়েছে। গাড়িতে কতজন মারা গেছে বা তাদের পরিচয় কী, তা জানা যায়নি। কিন্তু গাড়ির ভেতরের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে, এই হামলার পর কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এ ছাড়া, বিবিসির অনুসন্ধানী দল সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যোদ্ধাদের সঙ্গে লাতাকিয়া ও তার্তুস অঞ্চল পরিদর্শনের সময় ঝোপঝাড়ের মধ্যে এবং গণকবরে কয়েক ডজন মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র বিবিসিকে জানায়, ৬ মার্চ জাবলেহের হামলার পেছনে থাকা আসাদ অনুগতদের সবাই নিহত হয়নি। বরং, নিরাপত্তা বাহিনী দেশজুড়ে সেনা মোতায়েন করলে তারা কাছাকাছি পাহাড়ে পিছু হটতে সক্ষম হয়।
নতুন সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সৈনিক মাহমুদ আল-হাইক লাতাকিয়ার গ্রামীণ এলাকা বানিয়াসে কর্মরত। তিনি জানান, যারা মারা গেছে বা পালিয়েছে ওরা সবাই এই গ্রামের। যা কিছু ঘটেছে তাতে জড়িত সবাই—তারা সবাই এই আলাওয়ি সম্প্রদায়েরই ছিল। কিন্তু এখন, তারা সবাই এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।
তিনি বলেন, ‘এলাকাটি সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল ছিল। কিন্তু, আল্লাহর রহমতে, আমরা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সক্ষম হয়েছি। লোকেরা তাদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে।’
তবে বিবিসির অনুসন্ধানী দল এসব এলাকা ঘুরে দেখেছে, বেশির ভাগ গ্রাম এখনো জনশূন্য। জাতিগত হত্যার ভয়ে এসব এলাকার বাসিন্দারা পাহাড়ে পালিয়ে গেছে এবং তারা এক সপ্তাহ ধরে খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছে।
বানিয়াসের উপকণ্ঠে একটি গ্রামে বিবিসির অনুসন্ধানী দল কয়েকজন পুরুষের দেখা পায়। এরা সবাই লুকিয়ে তাদের বাড়িঘর এবং দোকানপাট দেখতে এসেছিলেন। তারা সবাই আলাওয়ি সম্প্রদায়ের ছিলেন। এদের মধ্যে ওয়াফিক ইসমাইল নামে এক ব্যক্তি জানান, হামলার সময় তিনি সেখানে ছিলেন, তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।
তিনি শুধু বলেন, ‘ভাই, আমি সত্যিই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। আমি জানি না। এইটুকুই... আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।’
লাতাকিয়ার শেষ প্রান্তে সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সীমান্ত। এরপরেই রুশ সামরিক বাহিনীর বিমানঘাঁটির সীমানা শুরু হয়। লাতাকিয়া, তার্তুস, হামা ও হোমস অঞ্চলের আলাওয়ি সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ নিজেদের বাঁচাতে এই ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে বসবাস করছে।
অধিকাংশ পরিবারই তাদের কোনো না কোনো স্বজনকে হারিয়েছেন—হয় ছেলে, নয় আত্মীয়, অথবা প্রতিবেশী।
তবে ভয়ে কেউ কোনো কথা বলতে চাচ্ছিলেন না। অনেক বোঝানোর পর একজন কথা বলতে রাজি হন। আলাওয়ি সম্প্রদায়ের এই নারী বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সুরক্ষা চাই। আমাদের ওপর যা হচ্ছে, তা ভয়াবহ। আমরা সবকিছু ছেড়ে এখানে এসেছি।’
সিরিয়ার মোট জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশ আলাওয়ি সম্প্রদায়ভুক্ত। গত ডিসেম্বরে আসাদের পতনের পর অনেকে অস্ত্র সমর্পণ করলেও এখনো বহু আলাওয়ি গোষ্ঠী অস্ত্র ছাড়তে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। অন্যদিকে, দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সুন্নি মুসলমান। সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র দেশটির সানা নিউজ এজেন্সিকে জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতক হামলার’ পর সরকার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে।
এদিকে, সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সম্প্রতি সংঘটিত সহিংসতার পর জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। দামেস্কের একটি মসজিদে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতীয় ঐক্য ও বেসামরিক শান্তি বজায় রাখতে হবে। ইনশা আল্লাহ, আমরা এই দেশে একসঙ্গে বসবাস করতে পারব।’ এই ভাষণের একটি ভিডিওতে তাঁকে বলতে দেখা গেছে, আসাদ পতনের পর এই ঘটনাগুলো আমাদের ‘প্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের’ অংশ।
সিরিয়ায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হয়ে সংখ্যালঘু আলাওয়ি সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ রাশিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। গত সপ্তাহে আসাদপন্থীদের দমন করতে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল লাতাকিয়া ও তার্তুসে অভিযান পরিচালনা করে নিরাপত্তা বাহিনী। এই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ অনুগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যকার ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়।
৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ চলে ৯ মার্চ পর্যন্ত। যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি দল জানিয়েছে, চার দিনের সংঘর্ষে নিহত হয় প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ। যাদের বেশির ভাগই সংখ্যালঘু আলাওয়ি সম্প্রদায়ের। তবে বিবিসির একটি অনুসন্ধানী দল প্রমাণ পেয়েছে, সংঘর্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান বন্ধ হলেও এখনো শত শত মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আছে। এদের মধ্যে কয়েক শ নারী, শিশু ও বৃদ্ধ লাতাকিয়ার রুশ সামরিক ঘাঁটি হেমেইমিমে আশ্রয় নিয়েছে।
এই রুশ ঘাঁটিতেই বিবিসি আলাওয়ি সম্প্রদায়ের একজন নারীর সঙ্গে কথা বলে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে দালাল মাহনা নামের ওই নারী বিবিসিকে বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলেকে তারা ধরে নিয়ে যায়। তারা বলে, তোমার ছেলেকে আমরা হত্যা করব এবং তোমাকে সেই কষ্ট সহ্য করতে হবে।’
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) লাতাকিয়া ও এর আশপাশের আসাদপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী জাবলেহে সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন। এরপরই নিরাপত্তা বাহিনী আসাদপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
উপকূলীয় অঞ্চল লাতাকিয়া-তার্তুস ঐতিহ্যগতভাবে আসাদ পরিবারের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আসাদের পরিবার লাতাকিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর আল-কুরদাহ থেকে এসেছে এবং তাঁর শাসনামলে এই সম্প্রদায়ের লোকেরাই প্রধান পদে ছিল।
তবে আসাদের স্থলাভিষিক্ত সুন্নি ইসলামপন্থী নেতৃত্বাধীন সরকারের অনুগত নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আলাওয়ি অধ্যুষিত এলাকায় প্রতিশোধমূলক গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, অভিযান শুরুর পরবর্তী চার দিনে এই অঞ্চলের নারী ও শিশুসহ অনেক পরিবারের সবাইকেই হত্যা করা হয়েছে।
গত বুধবার জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, এ পর্যন্ত ১১১ জন বেসামরিক নাগরিকের হত্যার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘নিহতদের অনেকের ক্ষেত্রেই বিনা বিচারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।’
বিবিসির অনুসন্ধানী দল লাতাকিয়া ও তার্তুসের রাস্তায় গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যাওয়া একটি গাড়ি খুঁজে পেয়েছে। গাড়িতে কতজন মারা গেছে বা তাদের পরিচয় কী, তা জানা যায়নি। কিন্তু গাড়ির ভেতরের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে, এই হামলার পর কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এ ছাড়া, বিবিসির অনুসন্ধানী দল সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যোদ্ধাদের সঙ্গে লাতাকিয়া ও তার্তুস অঞ্চল পরিদর্শনের সময় ঝোপঝাড়ের মধ্যে এবং গণকবরে কয়েক ডজন মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র বিবিসিকে জানায়, ৬ মার্চ জাবলেহের হামলার পেছনে থাকা আসাদ অনুগতদের সবাই নিহত হয়নি। বরং, নিরাপত্তা বাহিনী দেশজুড়ে সেনা মোতায়েন করলে তারা কাছাকাছি পাহাড়ে পিছু হটতে সক্ষম হয়।
নতুন সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সৈনিক মাহমুদ আল-হাইক লাতাকিয়ার গ্রামীণ এলাকা বানিয়াসে কর্মরত। তিনি জানান, যারা মারা গেছে বা পালিয়েছে ওরা সবাই এই গ্রামের। যা কিছু ঘটেছে তাতে জড়িত সবাই—তারা সবাই এই আলাওয়ি সম্প্রদায়েরই ছিল। কিন্তু এখন, তারা সবাই এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।
তিনি বলেন, ‘এলাকাটি সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল ছিল। কিন্তু, আল্লাহর রহমতে, আমরা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সক্ষম হয়েছি। লোকেরা তাদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে।’
তবে বিবিসির অনুসন্ধানী দল এসব এলাকা ঘুরে দেখেছে, বেশির ভাগ গ্রাম এখনো জনশূন্য। জাতিগত হত্যার ভয়ে এসব এলাকার বাসিন্দারা পাহাড়ে পালিয়ে গেছে এবং তারা এক সপ্তাহ ধরে খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছে।
বানিয়াসের উপকণ্ঠে একটি গ্রামে বিবিসির অনুসন্ধানী দল কয়েকজন পুরুষের দেখা পায়। এরা সবাই লুকিয়ে তাদের বাড়িঘর এবং দোকানপাট দেখতে এসেছিলেন। তারা সবাই আলাওয়ি সম্প্রদায়ের ছিলেন। এদের মধ্যে ওয়াফিক ইসমাইল নামে এক ব্যক্তি জানান, হামলার সময় তিনি সেখানে ছিলেন, তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।
তিনি শুধু বলেন, ‘ভাই, আমি সত্যিই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। আমি জানি না। এইটুকুই... আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।’
লাতাকিয়ার শেষ প্রান্তে সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সীমান্ত। এরপরেই রুশ সামরিক বাহিনীর বিমানঘাঁটির সীমানা শুরু হয়। লাতাকিয়া, তার্তুস, হামা ও হোমস অঞ্চলের আলাওয়ি সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ নিজেদের বাঁচাতে এই ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে বসবাস করছে।
অধিকাংশ পরিবারই তাদের কোনো না কোনো স্বজনকে হারিয়েছেন—হয় ছেলে, নয় আত্মীয়, অথবা প্রতিবেশী।
তবে ভয়ে কেউ কোনো কথা বলতে চাচ্ছিলেন না। অনেক বোঝানোর পর একজন কথা বলতে রাজি হন। আলাওয়ি সম্প্রদায়ের এই নারী বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সুরক্ষা চাই। আমাদের ওপর যা হচ্ছে, তা ভয়াবহ। আমরা সবকিছু ছেড়ে এখানে এসেছি।’
সিরিয়ার মোট জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশ আলাওয়ি সম্প্রদায়ভুক্ত। গত ডিসেম্বরে আসাদের পতনের পর অনেকে অস্ত্র সমর্পণ করলেও এখনো বহু আলাওয়ি গোষ্ঠী অস্ত্র ছাড়তে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। অন্যদিকে, দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সুন্নি মুসলমান। সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র দেশটির সানা নিউজ এজেন্সিকে জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতক হামলার’ পর সরকার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে।
এদিকে, সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সম্প্রতি সংঘটিত সহিংসতার পর জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। দামেস্কের একটি মসজিদে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতীয় ঐক্য ও বেসামরিক শান্তি বজায় রাখতে হবে। ইনশা আল্লাহ, আমরা এই দেশে একসঙ্গে বসবাস করতে পারব।’ এই ভাষণের একটি ভিডিওতে তাঁকে বলতে দেখা গেছে, আসাদ পতনের পর এই ঘটনাগুলো আমাদের ‘প্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের’ অংশ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনার’ জীবন বাঁচানোর অনুরোধ করেছেন। ট্রাম্পের এই অনুরোধের পর রুশ প্রেসিডেন্ট শুক্রবার রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে থাকা ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন...
৩৫ মিনিট আগেজাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ড্রোন ও আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিরোধীদের দমন করছে। বিশেষ করে, এই প্রযুক্তি সেই সব নারীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে, যারা ইসলামি প্রজাতন্ত্রের কঠোর পোশাক বিধি মানতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।
৩৮ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের খাদ্য সহায়তা কমানোর ফলে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ অনাহারের মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, ইউএসএআইডির ৮৩ তহবিল বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষেরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে...
১ ঘণ্টা আগেওমব্যাট হলো—ছোট পা-ওয়ালা, পেশিবহুল চতুর্মুখী থলেধারী একটি প্রাণী, যা সাধারণত অস্ট্রেলিয়ায় বিচরণ করে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে গিয়ে ওমব্যাটের একটি ছানাকে তাঁর মায়ের কাছ থেকে কিছু সময়ের জন্য আলাদা করে ফেলায় ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়েন সাম জোনস নামে এক মার্কিন নারী ইনফ্লুয়েন্সার।
২ ঘণ্টা আগে