Ajker Patrika

তবু ঈদ এসেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীর জীবনে 

আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৪, ১১: ৩৫
তবু ঈদ এসেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীর জীবনে 

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। নির্বিচার ও বর্বর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত আরও অন্তত ৭৬ হাজার। উত্তর ও মধ্য গাজার অধিকাংশ এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঈদের জামাত আয়োজন সম্ভব হবে—এমন পরিচ্ছন্ন-পরিসর জায়গার দেখা মেলা ভার। তবু ঈদ এসেছে গাজাবাসীর জীবনে। 

দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চলটির রাস্তায় রাস্তায় ছোটখাটো মেলা বসেছে খাবার-দাবার, কাপড়চোপড়সহ বিভিন্ন পণ্যের। ত্রাণসহায়তাও ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যদিও পর্যাপ্ততার অভাব, তবু আনন্দের কমতি নেই। স্বজন-প্রিয়জনের বিয়োগব্যথায় মুখের হাসি হারিয়ে গেলেও ঈদের দিনে গাজাবাসীর মুখে তবু দেখা মিলছে মলিন হাসির। 

ঈদের দিন আগেও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে গাজায়। হামাস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটির সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ঈদের দিন মধ্যরাতে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। তবে ইসরায়েলি বর্বরতা গাজাবাসীকে দমাতে পারেনি। 

ভাঙাচোরা ঘর, রিক্ত হৃদয় আর শূন্য ভাড়ার নিয়েও ঈদ উদ্‌যাপনে প্রস্তুত তারা। ঈদকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন যেন ফিলিস্তিনি সংগীতশিল্পী মুসআব আল গামরি। বর্তমানে রাফাহে অবস্থান করা এই তরুণ সংগীতশিল্পী প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন সেখানকার শিশুদের ঈদ আনন্দ খানিকটা ফিরিয়ে দিতে। 

জীবন মলিন হয়ে গেছে, তবু রঙিন কাপড় জড়িয়ে ঈদকে সাজানোর চেষ্টায় এক শিশুকাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের গান ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমরা তাদের (শিশুদের) হাসি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ঈদ এমন একটা দিন, যেটাকে কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।’ 

ঈদের আনন্দ বাড়াতে বিধ্বস্ত অঞ্চলে রঙিন ও বাহারি পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন অনেকে। ছবি: সংগৃহীতএদিকে গাজাবাসীর দুর্দশাগ্রস্ত জীবনে ঈদের আনন্দ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, তাঁর হৃদয় ভেঙে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা টুইটে গুতেরেস বলেছেন, ‘গাজা, সুদানসহ বিশ্বের অনেক জায়গায় সংঘাত ও ক্ষুধার কারণে অনেক মুসলমান ঠিকমতো ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারবেন না জেনে আমার হৃদয় ভেঙে গেছে।’ 
 
ফিলিস্তিনি শিশুদের জীবনে ঈদের আনন্দ খানিকটা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন মুসআব আল গামরির মতো তরুণ সংগীতশিল্পীরাযুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বর্তমান সংকটগুলোর একটি হলো খাবার। গাজায় এই খাবার সরবরাহ করা নিয়ে শুরু থেকেই তৎপরতা দেখিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। সংস্থাটি এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেছে, ‘গাজা, পশ্চিম তীর ও এই অঞ্চলে যারা সংঘাত, বাস্তুচ্যুতি ও ভয়ের সম্মুখীন, তাদের জীবনে যা ঘটছে, তার জন্য আমরা দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে ঈদুল ফিতরকে স্বাগত জানাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত