গাজার খান ইউনিসের গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২টি লাশ উদ্ধার করেছে ফিলিস্তিনের জরুরি বাহিনী। আল নাসের হাসপাতাল প্রাঙ্গণের এই গণকবরে অন্তত ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবিত কবর দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মেডিকেল কমপ্লেক্সে কয়েক সপ্তাহব্যাপী অভিযান চালানোর পর আল নাসের হাসপাতালে তিনটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ইয়ামেন আবু সুলাইমান বলেন, গত ২০ এপ্রিল সন্ধান পাওয়ার পর থেকে গণকবরগুলো থেকে নারী ও শিশুসহ ৩৯২টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশেরই পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
আবু সুলাইমান বলেন, ‘আমাদের ধারণা, দখলদার বাহিনী নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে কমপক্ষে ২০ জনকে জীবিত কবর দিয়েছে।’ কিছু মৃতদেহে অঙ্গহানি ও নির্যাতনের চিহ্ন ছিল।
এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর দল জানায়, অস্ত্রোপচার চলাকালেই কিছু রোগীকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের গায়ে সার্জিক্যাল গাউন ছিল। আবু সুলাইমান বলেন, মৃতদেহগুলো প্লাস্টিক ব্যাগে মুড়ে মাটির অন্তত তিন মিটার গভীরে সমাধিস্থ করা হয়। এ কারণে এগুলো আরও জলদি বিকৃত হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘দখলদার বাহিনী নাসের কমপ্লেক্সে নিজের অপরাধ গোপন করার জন্য বারবার প্লাস্টিকের ব্যাগগুলো বদলেছে।’
ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য মোহাম্মদ মুঘিয়ের বলেন, মৃতদেহগুলোকে জীবিত কবর দেওয়া হয়েছিল কি না, তা যাচাই করতে ফরেনসিক পরীক্ষা করতে হবে। ১০টি লাশের সঙ্গে মেডিকেল টিউব যুক্ত ছিল।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী ঘটনাস্থলে মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত করতে একটি আন্তর্জাতিক কমিটি গঠনের জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এই গণকবরের দায় দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, সেখানে জিম্মিদের সমাহিত করা হয়েছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা হাসপাতালে তল্লাশি করেছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গণকবরগুলো খুঁড়েছে বলে ফিলিস্তিনি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে তা ‘ভুল’। তারা বলে, কয়েক মাস আগে গাজাবাসীই এই গণকবরগুলো খুঁড়েছিল। এর সঙ্গে তারা গত জানুয়ারিতে ফিলিস্তিনিরা কবর খুঁড়ছে এমন ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করে।
গত জানুয়ারিতে নাসের হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীরা সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে জানিয়েছিল, ইসরায়েলি অভিযানের মধ্যেই তারা হাসপাতালের চারপাশে গণকবর খুঁড়ে রাখছে। এর আগে চলতি সপ্তাহেই বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনী বলেছিল, যুদ্ধে নিহত অধিকাংশ ফিলিস্তিনির শেষ গন্তব্য হলো গণকবর।
শুধু আল নাসের হাসপাতালই নয়, গাজার সর্ববৃহৎ হাসপাতাল আল শিফায়ও গণকবরের সন্ধান মিলেছে। গত মাসে ইসরায়েলি বাহিনী এই হাসপাতাল পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। গাজার হাসপাতালগুলোতে গণকবর ও পচাগলা লাশের সন্ধান পাওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দলগুলো এই দৃশ্যকে ‘ভয়াবহ ও অকল্পনীয়’ বলে বর্ণনা করেছে।
গাজার খান ইউনিসের গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২টি লাশ উদ্ধার করেছে ফিলিস্তিনের জরুরি বাহিনী। আল নাসের হাসপাতাল প্রাঙ্গণের এই গণকবরে অন্তত ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবিত কবর দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মেডিকেল কমপ্লেক্সে কয়েক সপ্তাহব্যাপী অভিযান চালানোর পর আল নাসের হাসপাতালে তিনটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ইয়ামেন আবু সুলাইমান বলেন, গত ২০ এপ্রিল সন্ধান পাওয়ার পর থেকে গণকবরগুলো থেকে নারী ও শিশুসহ ৩৯২টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশেরই পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
আবু সুলাইমান বলেন, ‘আমাদের ধারণা, দখলদার বাহিনী নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে কমপক্ষে ২০ জনকে জীবিত কবর দিয়েছে।’ কিছু মৃতদেহে অঙ্গহানি ও নির্যাতনের চিহ্ন ছিল।
এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর দল জানায়, অস্ত্রোপচার চলাকালেই কিছু রোগীকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের গায়ে সার্জিক্যাল গাউন ছিল। আবু সুলাইমান বলেন, মৃতদেহগুলো প্লাস্টিক ব্যাগে মুড়ে মাটির অন্তত তিন মিটার গভীরে সমাধিস্থ করা হয়। এ কারণে এগুলো আরও জলদি বিকৃত হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘দখলদার বাহিনী নাসের কমপ্লেক্সে নিজের অপরাধ গোপন করার জন্য বারবার প্লাস্টিকের ব্যাগগুলো বদলেছে।’
ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য মোহাম্মদ মুঘিয়ের বলেন, মৃতদেহগুলোকে জীবিত কবর দেওয়া হয়েছিল কি না, তা যাচাই করতে ফরেনসিক পরীক্ষা করতে হবে। ১০টি লাশের সঙ্গে মেডিকেল টিউব যুক্ত ছিল।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী ঘটনাস্থলে মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত করতে একটি আন্তর্জাতিক কমিটি গঠনের জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এই গণকবরের দায় দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, সেখানে জিম্মিদের সমাহিত করা হয়েছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা হাসপাতালে তল্লাশি করেছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গণকবরগুলো খুঁড়েছে বলে ফিলিস্তিনি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে তা ‘ভুল’। তারা বলে, কয়েক মাস আগে গাজাবাসীই এই গণকবরগুলো খুঁড়েছিল। এর সঙ্গে তারা গত জানুয়ারিতে ফিলিস্তিনিরা কবর খুঁড়ছে এমন ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করে।
গত জানুয়ারিতে নাসের হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীরা সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে জানিয়েছিল, ইসরায়েলি অভিযানের মধ্যেই তারা হাসপাতালের চারপাশে গণকবর খুঁড়ে রাখছে। এর আগে চলতি সপ্তাহেই বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনী বলেছিল, যুদ্ধে নিহত অধিকাংশ ফিলিস্তিনির শেষ গন্তব্য হলো গণকবর।
শুধু আল নাসের হাসপাতালই নয়, গাজার সর্ববৃহৎ হাসপাতাল আল শিফায়ও গণকবরের সন্ধান মিলেছে। গত মাসে ইসরায়েলি বাহিনী এই হাসপাতাল পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। গাজার হাসপাতালগুলোতে গণকবর ও পচাগলা লাশের সন্ধান পাওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দলগুলো এই দৃশ্যকে ‘ভয়াবহ ও অকল্পনীয়’ বলে বর্ণনা করেছে।
পাকিস্তানে স্থল মাইন বিস্ফোরিত হয়ে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। আজ বুধবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কুররাম জেলায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে কুররামের একটি বনাঞ্চলে এক ব্যক্তি মাইনের ওপর পা দিলে বিস্ফোরণ ঘটে।
১৪ মিনিট আগেইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে আরও তিন ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান। আজ বুধবার ওই তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগের বার্তা সংস্থা মিজান নিউজ এজেন্সি। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য জানিয়েছে।
২৬ মিনিট আগেইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আজ যে আলোচনা ও সংঘাত, সেটার সূত্রপাতই হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরে। আবার সেই যুক্তরাষ্ট্রই এখন ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ঘোরতর বিরোধী। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সূত্রপাত ১৯৬০ এর দশকে। সে সময় মার্কিন বিজ্ঞানীরা তেহরানে পারমাণবিক চুল্লি (রিয়্যাক্টর) বসাতে সহায়তা...
৪২ মিনিট আগেবাংলাভাষী ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে যে বৈষম্য চলছে, তা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিধানসভায় সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, এই ধরনের আচরণ ভারতীয় সংবিধান ও বহুত্ববাদের মূল চেতনার বিরোধী, এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর...
১ ঘণ্টা আগে