Ajker Patrika

‘মৃত্যুর মাঝে জীবন খুঁজছে গাজাবাসী’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রায়ই ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: এএফপি
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রায়ই ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: এএফপি

দক্ষিণ গাজার আল-নাসের হাসপাতালে নিজ ছেলে আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আসমাহান শাআত। শোকে, হতবাক হয়ে তাঁর গলা দিয়ে বেরিয়ে আসে হৃদয়বিদারক কান্না। চারপাশে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে তাঁর আর্তনাদ।

২৩ বছর বয়সী মৃত ছেলের মুখ, হাত আর পায়ে চুমু খেতে খেতে বিলাপ করতে থাকেন আসমাহান। তাঁর ৬ সন্তান আর আত্মীয়রা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করলেও তিনি কাউকে কাছে ভিড়তে দেননি। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে আমার কাছে থাকতে দাও। আহমেদ আবার কথা বলবে। সে আমাকে বলেছিল, “মা, আমি মরব না। আমি রাফার সাহায্য কেন্দ্র থেকে তোমার জন্য কিছু নিয়ে আসব”।’

আল-মাওয়াসিতে নিজেদের শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে খাবারের খোঁজে বেরিয়েছিল আহমেদ। সে আর ফিরে আসেনি। আহমেদের সঙ্গে ছিল তাঁর চাচাতো ভাই মাজেন শাআত। মাজেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত রাফার সাহায্য বিতরণকেন্দ্রের কাছে ভিড়ের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে আহমেদের পেটে গুলি লাগে। সেদিন আরও অনেকেই নিহত ও আহত হয়।

গাজার সরকারি জনসংযোগ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে জিএইচএফ-এর সাহায্য বিতরণকেন্দ্রের আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে। যে কেন্দ্রগুলো মানুষের জন্য জীবন রক্ষাকারী হওয়ার কথা ছিল, সেগুলোই এখন মৃত্যুকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলো জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে।

মানবাধিকার সংগঠন এবং জাতিসংঘ কর্মকর্তারা এই বিতরণ পদ্ধতিকে সামরিকীকৃত, বিপজ্জনক এবং বেআইনি বলে সমালোচনা করেছেন। শুক্রবার ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সেনারা বলেছেন, তাদের নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এমনকি কোনো ধরনের হুমকি না থাকলেও।

শোকাহত আসমাহানের ক্রোধে ফেটে পড়া স্বাভাবিক। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘খাবার আনতে গিয়ে কি কারও মরার কথা? এই বিশ্ব কোথায়, যারা নিজেদের মুক্ত বলে দাবি করে? আমাদের এই যন্ত্রণা আর কত দিন চলবে?’ ইসরায়েলের অবরোধ আর টানা ২১ মাসের বোমাবর্ষণ ও বাস্তুচ্যুতির ফলে গাজার ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মার্চের ২ তারিখ থেকে ইসরায়েল সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে, যার ফলে খুব অল্প পরিমাণ সাহায্যই ভেতরে প্রবেশ করতে পারছে।

আর-নাসের হাসপাতালের মর্গে যেখানে আহমেদের মরদেহ পড়ে ছিল, তার পাশেই স্বামী খলিল আল-খতিবের মরদেহ জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ২৫ বছরের শিরিন। দাঁড়ানোর শক্তিটুকুও নেই তাঁর। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলতে থাকেন, ‘খলিল, উঠো। তোমার ছেলে উবাইদা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমি সকালে বলেছিলাম, ‘‘তোমার বাবা, একটু পরেই ফিরে আসবে। ” আমাদের খাবার লাগবে না, আমরা তোমাকে চাই (খলিল)।’

খলিলও আল-মাওয়াসি থেকে খাবারের খোঁজে বেরিয়েছিলেন। তাঁর শ্বশুর ইউসুফ আল-রুমাইলাত বলেন, খলিল খুব সাবধানে চলাফেরা করত। তিনি কখনো ভাবেননি যে, তাঁকেও লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে। ইউসুফ বলেন, ‘সে খুব সহজ-সরল মানুষ ছিল। সবকিছুই যখন প্রাণঘাতী হয়ে গেছে, তখন সে নিরাপত্তার জন্য ভয় পেত। এই অবস্থায় সে তাঁর সন্তানদের জন্য কিছুই জোগাড় করতে পারত না। তার পাঁচ বছরের ছেলে উবাইদা যখন খাবার বা চাল চাইত, তখন সে কিছু দিতে পারত না। যুদ্ধ শুরুর কদিন পরই জন্ম নেওয়া ছোট সন্তানের জন্য দুধ জোগাড় করাও তার পক্ষে সম্ভব ছিল না।’

তীব্র ক্ষোভ নিয়ে ইউসুফ বলেন, ‘ওরা আমাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে। একজন পুরুষের জন্য সবচেয়ে কষ্টের হলো নিজের পরিবারের জন্য কিছু করতে না পারা। এখন এসব সাহায্য কেন্দ্র মৃত্যুকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এটা কোনো সাহায্য নয়, এটা গণহত্যা।’ তিনি বলেন, ‘নতুন এই মানবিক সহায়তার পদ্ধতির ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। আমরা এই রক্তমাখা সাহায্য চাই না। আমাদের আগের মতো জাতিসংঘের মাধ্যমে সাহায্য চাই। অন্তত সেসময় খাবার আনতে গিয়ে মরতে হতো না।’

ইসরায়েলের সমন্বয়ে চালু হওয়া জিএইচএফ প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ গাজায় খাবার পাঠানোর কথা থাকলেও এসব সহায়তা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর মাধ্যমে যায় না। ইসরায়েল বারবার ইউএনআরডব্লিউএর বিরুদ্ধে হামাসের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ তুললেও এর পক্ষে এখনো সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। সমালোচকদের মতে, এই পদ্ধতির কারণে পর্যাপ্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

ইসরায়েল বলছে, তারা শুধু ‘হুমকির’ জবাব দিচ্ছে ও সাহায্যের পথ উন্মুক্ত রেখেছে। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও বিভিন্ন প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র উঠে আসছে। রাফাহ থেকে বাস্তুচ্যুত মুস্তাফা নাবিল আবু ঈদ (৩১) ও তাঁর বন্ধু আবদুল্লাহ আবু ঘালি (৩৯) কিছু চাল, ডাল আর পাস্তা নিয়ে সাহায্য কেন্দ্র থেকে ফিরছিলেন।

মুস্তাফা পুরো বিষয়টিকে বর্ণনা করেন ‘মৃত্যুর যাত্রা’ বলে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয় ওই এলাকায়। তারপর অপেক্ষা করি—কখনো কখনো ঘণ্টার পর ঘণ্টা—কখন ট্যাংক সরবে। ট্যাংক সরলেই খোলা ময়দান পেরিয়ে দৌড় দিই। জানি না খাবার নিয়ে ফিরতে পারব, না গুলিতে মরব।’

তাঁকে সবাই জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে কেন যান? মুস্তাফার উত্তর, ‘আর কোনো উপায় নেই। তাঁবুতে থাকলে মারা যাব ক্ষুধায়, রোগে, বোমায়। বাইরে গেলে মরতে পারি, আবার হয়তো বাচ্চাদের জন্য কিছু নিয়ে ফিরতেও পারি।’ মুস্তাফার পাঁচ সন্তান। বড় মেয়ে সাবার বয়স ১০। সবচেয়ে ছোট, যমজ দুই মেয়ে হুর আর নূরের বয়স তিন বছর। তিনি বলেন, ‘তারা ক্ষুধায় কাঁদে। এটা সহ্য করতে পারি না। আমরা মৃত্যুর মাঝখানে জীবন খুঁজছি।’

সাহায্য সংস্থাগুলো আগেই সতর্ক করেছে, গাজার কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে। জুন মাসে প্রকাশিত আইপিসি-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরো গাজায় তীব্র খাদ্য সংকট চলছে এবং ১০ লাখেরও বেশি মানুষ অনাহারের মুখে। অনেক শিশু অপুষ্টি আর পানিশূন্যতায় মারা যাচ্ছে। ইউএনআরডব্লিউএর কার্যক্রম সীমিত হয়ে যাওয়া এবং জিএইচএফ-এর অনিরাপদ ও অপ্রতুল সহায়তা মানুষকে খাবারের জন্য জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

গত ২৭ মে থেকে চালু হওয়া মার্কিন-ইসরায়েলি উদ্যোগের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯ জন নিখোঁজ বা নিহত বলে জানিয়েছে গাজার সরকার। এদের কেউ কেউ হয়তো বেওয়ারিশ কবরে শুয়ে আছেন কিংবা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন।

মানবাধিকার আইনজীবী ও সংগঠনগুলোর মতে, সাহায্য বিতরণ কেন্দ্রে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এমন হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল। আন্তর্জাতিক মানবিক আইনে সংঘাতরত পক্ষগুলোর বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং নির্বিচারে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক কার্যালয় জুনে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিক, সাহায্যকর্মী বা সাহায্য বিতরণকেন্দ্রকে লক্ষ্য করে হামলা করা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’ কিন্তু শাআত বা খতিব পরিবারের মতো মানুষের জন্য এসব আইনি সংজ্ঞার খুব একটা মূল্য নেই। আসমাহান শুধু একটা আশা নিয়ে বেঁচে আছেন—তাঁর ছেলে আহমেদের নাম যেন হারিয়ে না যায়।

আসমাহান আরও বলেন, ‘ও শুধু আমাদের খাবার দিতে চেয়েছিল। ও কোনো ভুল করেনি। ওদের হাতে ওকে এমনভাবে মেরে ফেলা হলো যেন তার জীবনের কোনো মূল্যই নেই। দুনিয়াকে বলো, আমরা শুধু সংখ্যা নই। আমরা মানুষ, আর আমরা ক্ষুধায় মরছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে আফগানিস্তান-পাকিস্তান, এর মধ্যেই নতুন সংঘর্ষে নিহত ৩০

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সীমান্তের ওপার থেকে আক্রমণ দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছবি: এএফপি
সীমান্তের ওপার থেকে আক্রমণ দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছবি: এএফপি

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।

তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।

গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিবিসির সাক্ষাৎকার

আবারও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে চান কমলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিবিসির সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস। ছবি: বিবিসি
বিবিসির সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস। ছবি: বিবিসি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’

সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’

উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’

মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’

হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’

সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেসিয়াল রিকগনিশনে বিদেশিদের ওপর নজরদারি করবে যুক্তরাষ্ট্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।

নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।

এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।

তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।

২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।

২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।

বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।

নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ক্রিল শিকারে সীমা আরোপের দাবি তোলা ইউক্রেনীয় জীববিজ্ঞানীকে আটক করল রাশিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভ। ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভ। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।

রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত