দা টাইমসের প্রতিবেদন
অনলাইন ডেস্ক
সিরিয়ার বানিয়াস শহরে আলাওয়ি সম্প্রদায়ের ওপর ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছে অভ্যুত্থানের সুন্নি নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির নতুন সরকার কর্তৃক পরিচালিত একটি অভিযানে চার দিনে কমপক্ষে ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। এদের মধ্যে বেশির ভাগই সংখ্যালঘু আলাওয়ি সম্প্রদায়ের।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) লাতাকিয়া ও এর আশপাশের আসাদপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী জাবলেহে সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন। এরপরই নিরাপত্তা বাহিনী আসাদপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
উপকূলীয় অঞ্চল লাতাকিয়া-তার্তুস ঐতিহ্যগতভাবে আসাদ পরিবারের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আসাদের পরিবার লাতাকিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর আল-কুরদাহ থেকে এসেছে এবং তাঁর শাসনামলে এই সম্প্রদায়ের লোকেরাই প্রধান পদে ছিল।
তবে আসাদের স্থলাভিষিক্ত সুন্নি ইসলামপন্থী নেতৃত্বাধীন সরকারের অনুগত নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আলাওয়ি অধ্যুষিত এলাকায় প্রতিশোধমূলক গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, অভিযান শুরুর পরবর্তী চার দিনে এই অঞ্চলের নারী ও শিশুসহ অনেক পরিবারের সবাইকেই হত্যা করা হয়েছে।
বানিয়াসের একজন বাসিন্দা নূর। তিনি এই অভিযানের দিন বাড়িতেই ছিলেন। নূর জানান, তার পরিবার জানালার ফাঁক দিয়ে দেখছিল কিভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ছিল। নূর বলেন, ‘রাস্তায় নিরাপত্তা বাহিনীর সশস্ত্র সদস্য গিজগিজ করছিল। তারা পিঁপড়ার মতো আক্রমণ করে। আর বেছে বেছে শুধু আলাওয়ি সম্প্রদায়ের লোকদের হত্যা করছিল।’
নুর জানান, প্রথম হত্যাকাণ্ড ঘটে তাঁর একজন প্রতিবেশীর সঙ্গে। ওই ব্যক্তি আলাওয়ি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। ‘সে ঘর থেকে বের হয়, তারা তাকে জিজ্ঞাসা করল— তুমি আলাওয়ি নাকি সুন্নি?’ সে বলল, ‘আমি আলাওয়ি।’ সঙ্গে সঙ্গে তারা তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলে।
হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত হয় ৬ মার্চ রাতে। ওই দিন ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত কিছু আলাওয়ি বিদ্রোহী সামরিক পুলিশের সদর দফতরে গুলি চালায় এবং একটি ডাকঘরে অগ্নিসংযোগ করে। শুধু বানিয়াস নয়, কাছের জাবলেহ শহরেও নিরাপত্তা বাহিনীর ১৫ সদস্যকে হত্যা করে বিদ্রোহীরা। এছাড়া সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল লাতাকিয়া ও তার্তুসের বিভিন্ন চেকপোস্টে হামলা চালায়। হামলার পর তারা রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। কিন্তু প্রতিশোধের লক্ষ্যে পরিণত হয় শহরটি।
সশস্ত্র সুন্নি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা শহরে প্রবেশের পর থেকে এই হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়। বানিয়াসের আরেক বাসিন্দা বাশির জানান, তার বাবা, চাচা এবং ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। তারা কেবল একটাই প্রশ্ন করত— ‘তুমি কি আলাওয়ি?’
যারা ‘হ্যাঁ’ বলত, তাদের হত্যা করা হতো। যারা সুন্নি বলে দাবি করত, তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় (ইসলামী) প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হতো। বশির বলেন, ‘ঠিকভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায়, অনেক সুন্নিও মারা গেছে।’
তাঁর পরিবারের সদস্যদের ছাদে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে আরও একদল মিলিশিয়া এসে তাঁর বাবার বাড়িতে হামলা চালায়, যেখানে তাঁর ভাইও লুকিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার ভাই শিক্ষক ছিলেন, আর আমার বাবা ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত। তারা কাউকে কোনো ছাড় দেয়নি।’
এই গণহত্যার পর দেশটির নতুন সরকার ব্যাপক চাপে পড়েছে। বিদ্রোহী নেতা ও সাবেক আল-কায়েদা কমান্ডার আহমেদ আল-শারা ক্ষমতা গ্রহণের পর ঘোষণা দিয়েছিলেন, আসাদের বাহিনীর অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রমাণ হয়েছে, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা এখনো গভীরভাবে বিরাজমান।
আসাদ সরকারের পতনের পর অনেকে আশা করেছিলেন, দেশটি এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সহিংসতা সেই আশাকে ধূলিসাৎ করেছে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার যৌথ প্রস্তাবে এই সহিংসতার নিন্দা জানানো হয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, নতুন সরকার আসলে জিহাদিদের দ্বারা পরিচালিত।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করতে শুরু করেছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তাদের সেই নীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে।
ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির বিশেষজ্ঞ অ্যারন জেলিন বলেন, ‘আমি মনে করি, আহমেদ আল-শারা এই গণহত্যা চাননি, তবুও এটা ঘটেছে এবং তারা এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এটা স্পষ্ট যে এখনো দেশটিতে গৃহযুদ্ধের ছায়া রয়ে গেছে।’
সিরিয়ার বানিয়াস শহরে আলাওয়ি সম্প্রদায়ের ওপর ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছে অভ্যুত্থানের সুন্নি নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির নতুন সরকার কর্তৃক পরিচালিত একটি অভিযানে চার দিনে কমপক্ষে ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। এদের মধ্যে বেশির ভাগই সংখ্যালঘু আলাওয়ি সম্প্রদায়ের।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) লাতাকিয়া ও এর আশপাশের আসাদপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী জাবলেহে সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন। এরপরই নিরাপত্তা বাহিনী আসাদপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
উপকূলীয় অঞ্চল লাতাকিয়া-তার্তুস ঐতিহ্যগতভাবে আসাদ পরিবারের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আসাদের পরিবার লাতাকিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর আল-কুরদাহ থেকে এসেছে এবং তাঁর শাসনামলে এই সম্প্রদায়ের লোকেরাই প্রধান পদে ছিল।
তবে আসাদের স্থলাভিষিক্ত সুন্নি ইসলামপন্থী নেতৃত্বাধীন সরকারের অনুগত নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আলাওয়ি অধ্যুষিত এলাকায় প্রতিশোধমূলক গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, অভিযান শুরুর পরবর্তী চার দিনে এই অঞ্চলের নারী ও শিশুসহ অনেক পরিবারের সবাইকেই হত্যা করা হয়েছে।
বানিয়াসের একজন বাসিন্দা নূর। তিনি এই অভিযানের দিন বাড়িতেই ছিলেন। নূর জানান, তার পরিবার জানালার ফাঁক দিয়ে দেখছিল কিভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ছিল। নূর বলেন, ‘রাস্তায় নিরাপত্তা বাহিনীর সশস্ত্র সদস্য গিজগিজ করছিল। তারা পিঁপড়ার মতো আক্রমণ করে। আর বেছে বেছে শুধু আলাওয়ি সম্প্রদায়ের লোকদের হত্যা করছিল।’
নুর জানান, প্রথম হত্যাকাণ্ড ঘটে তাঁর একজন প্রতিবেশীর সঙ্গে। ওই ব্যক্তি আলাওয়ি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। ‘সে ঘর থেকে বের হয়, তারা তাকে জিজ্ঞাসা করল— তুমি আলাওয়ি নাকি সুন্নি?’ সে বলল, ‘আমি আলাওয়ি।’ সঙ্গে সঙ্গে তারা তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলে।
হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত হয় ৬ মার্চ রাতে। ওই দিন ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত কিছু আলাওয়ি বিদ্রোহী সামরিক পুলিশের সদর দফতরে গুলি চালায় এবং একটি ডাকঘরে অগ্নিসংযোগ করে। শুধু বানিয়াস নয়, কাছের জাবলেহ শহরেও নিরাপত্তা বাহিনীর ১৫ সদস্যকে হত্যা করে বিদ্রোহীরা। এছাড়া সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল লাতাকিয়া ও তার্তুসের বিভিন্ন চেকপোস্টে হামলা চালায়। হামলার পর তারা রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। কিন্তু প্রতিশোধের লক্ষ্যে পরিণত হয় শহরটি।
সশস্ত্র সুন্নি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা শহরে প্রবেশের পর থেকে এই হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়। বানিয়াসের আরেক বাসিন্দা বাশির জানান, তার বাবা, চাচা এবং ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। তারা কেবল একটাই প্রশ্ন করত— ‘তুমি কি আলাওয়ি?’
যারা ‘হ্যাঁ’ বলত, তাদের হত্যা করা হতো। যারা সুন্নি বলে দাবি করত, তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় (ইসলামী) প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হতো। বশির বলেন, ‘ঠিকভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায়, অনেক সুন্নিও মারা গেছে।’
তাঁর পরিবারের সদস্যদের ছাদে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে আরও একদল মিলিশিয়া এসে তাঁর বাবার বাড়িতে হামলা চালায়, যেখানে তাঁর ভাইও লুকিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার ভাই শিক্ষক ছিলেন, আর আমার বাবা ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত। তারা কাউকে কোনো ছাড় দেয়নি।’
এই গণহত্যার পর দেশটির নতুন সরকার ব্যাপক চাপে পড়েছে। বিদ্রোহী নেতা ও সাবেক আল-কায়েদা কমান্ডার আহমেদ আল-শারা ক্ষমতা গ্রহণের পর ঘোষণা দিয়েছিলেন, আসাদের বাহিনীর অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রমাণ হয়েছে, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা এখনো গভীরভাবে বিরাজমান।
আসাদ সরকারের পতনের পর অনেকে আশা করেছিলেন, দেশটি এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সহিংসতা সেই আশাকে ধূলিসাৎ করেছে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার যৌথ প্রস্তাবে এই সহিংসতার নিন্দা জানানো হয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, নতুন সরকার আসলে জিহাদিদের দ্বারা পরিচালিত।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করতে শুরু করেছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তাদের সেই নীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে।
ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির বিশেষজ্ঞ অ্যারন জেলিন বলেন, ‘আমি মনে করি, আহমেদ আল-শারা এই গণহত্যা চাননি, তবুও এটা ঘটেছে এবং তারা এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এটা স্পষ্ট যে এখনো দেশটিতে গৃহযুদ্ধের ছায়া রয়ে গেছে।’
ইরাকি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং আমেরিকার নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর অভিযানে আইএসের এক শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিহত আইএস নেতার নাম আব্দাল্লাহ মাক্কি মুসলিহ আল-রিফাই ওরফে আবু খাদিজাহ।
৬ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থাকে কিছু প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব প্রশ্নে তাদেরকে ‘মার্কিনবিরোধী’ বিশ্বাস বা সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা জানাতে বলা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট (ওএমবি) থেকে পাঠানো ৩৬টি প্রশ্নের একটি ফরম পেয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেসিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আল-হাসাকার বেশ কয়েকটি শহরে অন্তর্বর্তী সংবিধান নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে কুর্দি সম্প্রদায়ের লোকজন। গত বৃহস্পতিবার ইসলামি আইনকে প্রধান আইনি ভিত্তি করে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা একটি অস্থায়ী সংবিধানে...
৭ ঘণ্টা আগেপশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরের কিছু অংশে চার দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে রাজ্য সরকার।
১১ ঘণ্টা আগে