Ajker Patrika

ইরানের অস্ত্র কারখানায় ইসরায়েলের ড্রোন হামলা

ইরানের অস্ত্র কারখানায় ইসরায়েলের ড্রোন হামলা

ইরানের একটি প্রতিরক্ষা কম্পাউন্ড লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মার্কিন কর্মকর্তা এবং এই অপারেশনের সঙ্গে পরিচিত ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানের পারমাণবিক এবং সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার লাগাম টানতে নতুন উপায় খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল। এরই অংশ হিসেবে তেল আবিবের এই অপারেশন। 

ইরানের কর্মকর্তারা বলছেন, ইরানের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের অন্তর্গত একটি এলাকার পাশে ইসপাহান শহরের একটি যুদ্ধাস্ত্র কারখানা লক্ষ্য করে তিনটি ছোট কোয়াড কপ্টার দিয়ে হামলা করা হয়। ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী সেই আক্রমণ প্রতিহত করেছে। ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে কাজ করার কারণে এই কারখানার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। 

ইরানি কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিমান প্রতিরক্ষা ড্রোনগুলোর একটিকে ভূপাতিত করেছে। অন্য দুটি গুদামের ওপরে বিস্ফোরিত হয়েছে। এর ফলে ছাদের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। 

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে অভিহিত করেছেন। সরকারি সংবাদ সংস্থা প্যাডডোলাটে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক অগ্রগতির জন্য আমাদের বিশেষজ্ঞদের সংকল্প এবং অভিপ্রায়কে প্রভাবিত করতে পারবে না।’ 

তবে এ ব্যাপারে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। 

এই হামলাকে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন নতুন উগ্র ডানপন্থী জোট সরকারের অধীনে ইসরায়েলের প্রথম তবে পরিচিত আক্রমণ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। নেতানিয়াহু ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত শাসনকালে ইরানের অভ্যন্তরে কয়েকটি অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিলেন। 

এদিকে এই হামলাটি এমন সময় হলো যখন ইসরায়েলি এবং মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন উপায় নিয়ে আলোচনা করছেন। যেখানে বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে তেহরানের সামরিক সহযোগিতা আরও গভীর হচ্ছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস গত সপ্তাহে ইরান এবং অন্যান্য আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েলে অঘোষিত সফর করেন।

ইরান ও অন্যান্য আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে মার্কিন-ইসরায়েল আলোচনা চালিয়ে যেতে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ইসরায়েলে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। 

গত সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল তাদের সর্ববৃহৎ যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে। এতে উভয় দেশের সাড়ে ৭ হাজারের বেশি কর্মী জড়িত ছিল। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেওয়া এবং আকাশে জেট বিমানে জ্বালানি সরবরাহের সক্ষমতা যাচাই করার জন্য বেশ কয়েকটি মহড়া ছিল। এ ধরনের মহড়া ইরানে একটি বড় সামরিক হামলার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। 

ইসরায়েলের শীর্ষ জেনারেল গত সপ্তাহে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছিলেন, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

পারভেজ হত্যায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাং সদস্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত