Ajker Patrika

কিমের সাক্ষাৎ চান জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৭
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি: সংগৃহীত
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি: সংগৃহীত

জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করতে চান তিনি।

গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে কোনো জাপানি নেতাকে এমনটা চাইতে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে সিএনএন।

আজ সোমবার এক সমাবেশে তাকাইচি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়াকে এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছি, আমরা শীর্ষ বৈঠক আয়োজন করতে চাই।’

উত্তর কোরিয়া কয়েক দশক আগে জাপানের যে নাগরিকদের অপহরণ করেছিল, তাদের ফেরানোর দাবিতে সমাবেশটি আয়োজন করা হয়।

অপহরণের এ ঘটনা বহুদিন ধরে এক অনিষ্পন্ন ক্ষত হিসেবে রয়ে গেছে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে, যাদের সম্পর্কের ইতিহাস উপনিবেশবাদ ও সংঘাতে পরিপূর্ণ।

তাকাইচি বলেন, ‘আমি চাই, দুই দেশের নেতা সরাসরি মুখোমুখি হোক এবং বাস্তবসম্মত ফলাফল অর্জন করুক। আমার দায়িত্বকালেই আমি অপহরণসংক্রান্ত এ সমস্যার সমাধান করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

জাপানের দাবি, ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে অন্তত ১৭ জন জাপানি নাগরিককে উত্তর কোরিয়ার এজেন্টরা অপহরণ করেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে ২০০২ সালে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। জাতিসংঘের ২০১৪ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব অপহরণ ছিল উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচরবৃত্তি কর্মসূচির অংশ।

তবে পিয়ংইয়ং এ সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত জানিয়ে দাবি করে, কয়েকজন দুর্ঘটনা, পানিতে ডুবে বা আত্মহত্যায় মারা গেছেন। তাদের মতে, বিষয়টি এরই মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার এই দাবি অবশ্য নিখোঁজ ব্যক্তিদের (যাঁদের কেউ কেউ কিশোর বয়সে অপহৃত হন) পরিবারগুলোকে স্বস্তি দিতে পারেনি। তারা বহু বছর ধরে জাপানের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে এই ইস্যুতে চাপ অব্যাহত রেখেছে। তবে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।

দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ শীর্ষ বৈঠক হয়েছিল ২০০২ সালে। সে বছর তৎকালীন জাপানি প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি পিয়ংইয়ং সফর করেন এবং কিম জং উনের বাবা কিম জং ইলের সঙ্গে দেখা করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেটিই ছিল প্রথম কোনো জাপানি প্রধানমন্ত্রীর উত্তর কোরিয়া সফর।

সে বৈঠকে দীর্ঘদিন ধরে অস্বীকারের পর প্রথম উত্তর কোরিয়া স্বীকার করেছিল, তারা অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিল। কিম জং ইল তখন ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং জানান, যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঠেকানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...