Ajker Patrika

গাজায় নিহত বেড়ে ৫৩, যুদ্ধের আশঙ্কা জাতিসংঘের

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

ঢাকা: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৪টি শিশু। চলমান এই হামলায় ৩২০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।

এছাড়া চলমান এই সংঘাতে ছয়জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া গাজা থেকে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব লক্ষ্য করে হামাস এক হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।

এদিকে গত সোমবারের পর থেকে পরিস্থিতি ক্রমেই যেভাবে সহিংসতার দিকে যাচ্ছে তাতে এই সংঘাত পুরোদমে যুদ্ধে গড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ।

সোমবার ভোর থেকে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। এতে বহু ফিলিস্তিনি আহত হয়। এসময় ফিলিস্তিনিদের ওপর রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি পুলিশ ও সেনারা। ওই দিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে গাজা উপত্যকায় সিরিজ বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের জন্য পূর্ব জেরুজালেমের বাড়িঘর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার আশঙ্কায় সেখানে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে।

জানা গেছে, গত সোমবার পশ্চিম তীরের শেখ জাররাহ গ্রাম থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদে ইসরায়েলের সুপ্রিমকোর্টে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির জন্য এই শুনানি স্থগিত করা হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন জানায়, যদি গ্রামটি থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তা বাস্তবায়ন করা হয়, তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ইসরায়েল তার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করবে।

১৯৫৬ সাল থেকে শেখ জাররাহ গ্রামের ২৭টি বাড়িতে ৩৭ ফিলিস্তিনি পরিবার বসবাস করে আসছেন। তাদের মধ্যে ২৮টি শরণার্থী পরিবার ১৯৪৮ সালে জাফা ও হাইফায় জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের মুখে এই গ্রামে এসে আশ্রয় নিয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত