Ajker Patrika

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘চরম ক্ষতিগ্রস্ত’

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৫ জুন ২০২৫, ২১: ০৪
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘চরম ক্ষতিগ্রস্ত’

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাঈ পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানান।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে এসমাইল বাঘাঈ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা নিশ্চিত, কারণ এগুলোর ওপর একের পর এক হামলা হয়েছে।

বাঘাঈ বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই, কারণ এটি একটি প্রযুক্তিগত বিষয়।’ তিনি জানান, ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি দেখছে।

বিবিসি ভেরিফাই এক প্রতিবেদনে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলায় ইরানের ইস্পাহান পারমাণবিক প্রযুক্তি কেন্দ্রে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির চিত্র স্যাটেলাইটে ধরা পড়েছে।

ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ইস্পাহান শহরের কাছে অবস্থিত এই কেন্দ্র দেশের মূল পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে রয়েছে একটি ইউরেনিয়াম কনভারসন ফ্যাসিলিটি, যেখানে প্রাকৃতিক ইউরেনিয়াম রূপান্তরিত হয়ে নাতাঞ্জ ও ফোরদোর মতো স্থানে সমৃদ্ধকরণের উপযোগী হয়ে ওঠে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল অন্তত দুবার কমপ্লেক্সটিতে আঘাত হানে, এরপর ২২ জুন মার্কিন বাহিনীর একযোগে হামলায় পুরো স্থাপনায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি হয়। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, কনভারসন স্থাপনার চারপাশে বহু ভবন পুড়ে গেছে, ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে রয়েছে চারদিকে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ‘আপনি পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চাইলে কনভারসন ফ্যাসিলিটি দরকার হয়। আর সেটা এখন কোথায় ছিল, আমরা মানচিত্রে পর্যন্ত খুঁজে পাচ্ছি না—সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোনো নাম-নিশানাই নাই।’

তবে মাক্সার টেকনোলজিসের প্রকাশিত সর্বশেষ ছবিতে পুরো কমপ্লেক্স এখনো দৃশ্যমান। এর মধ্যে অনেক ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে বা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে বিশ্লেষণে উঠে এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত