Ajker Patrika

গাজায় যুদ্ধবিরতির শর্ত: ইসরায়েল ও হামাসের চাওয়া সম্পূর্ণ বিপরীত

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১১: ১৩
গাজায় যুদ্ধবিরতির শর্ত: ইসরায়েল ও হামাসের চাওয়া সম্পূর্ণ বিপরীত

ফিলিস্তিনের গাজায় অন্তত অস্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আলোচনা হয়েছে। এতে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি কয়েদিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ইসরায়েলিদের মুক্তির কথা বলা হয়েছে। যদিও ইসরায়েল ও হামাসের চাওয়া সম্পূর্ণ বিপরীত বলেই মত দিয়েছেন পশ্চিম তীরে অবস্থানরত আল জাজিরার প্রতিবেদক ররি চালান্দস। 

হামাসের পলিটব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া এ প্রসঙ্গে কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি। বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে যেমনটা তাঁরা আলোচনা করছেন, প্যারিস প্রস্তাব নিয়েও আলোচনায় তেমন আগ্রহী তাঁরা। 

যদি যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবে হামাসের কাছ থেকে অনুমোদন আসে, সে ক্ষেত্রে এটি অবশ্য পরিষ্কার হবে যে, এই গোষ্ঠী নির্মূল হয়নি। কারণ হামাসকে নির্মূলের কথা বলেই গত ৭ অক্টোবর গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনো চলছে। এতে যদিও বেসামরিক ফিলিস্তিনিরাই নিহত হচ্ছে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সরাসরি লড়াই করছেন হামাসের সদস্যরাও। অধিকৃত পশ্চিম তীরেও রয়েছেন হামাসের যোদ্ধারা। 

প্যারিস প্রস্তাব নিয়ে সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষের বিপরীত ধারণা প্রসঙ্গে আল জাজিরার এই প্রতিবেদক বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবে বলে আশা করছে হামাস। সেই সঙ্গে সামরিক সক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে বলেও প্রত্যাশা করছে তারা। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রত্যাশা পুরো উল্টো। দেশটি গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাইছে এবং হামাসকে পুরোপুরি নির্মল করতেও চাইছে। 

এর আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দিবিনিময় বিষয়ে চলমান আলোচনায় সন্তোষজনক উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি। গত সোমবার তিনি জানিয়েছেন, উভয় পক্ষ একটি সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছে। এই চুক্তিতে যুদ্ধবিরতি, নারী ও শিশু বন্দীদের বিনিময় এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। 

এদিকে, ফিলিস্তিনি চিকিৎসক ও বেসামরিক নাগরিকের বেশে অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের একটি হাসপাতালে ঢুকে তিন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে গত আট বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো গতকাল মঙ্গলবার এ ধরনের ছদ্মবেশী অভিযান পরিচালনা করেছে তারা। 

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, জেনিন শহর এবং এর আশপাশের শরণার্থীশিবিরের বাসিন্দাদের সেবাদানকারী প্রধান একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘হামাসের সন্ত্রাসী সেল’ রয়েছে। এই সেলকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালে প্রবেশ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত