রুশ দার্শনিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক আলেকজান্দর দুগিন লেবাননে ইসরায়েলি স্থল অভিযানের বেশ আগেই এ ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, লেবাননে এই অভিযান কেবল সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, এটি আরও সম্প্রসারিত হতে পারে, যাতে ইসরায়েলের বর্তমান শাসকশ্রেণি একটি ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ গঠন করতে পারে।
রুশ ভাষায় লেখা দুগিনের নিবন্ধের ভিত্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মায়েদিন। দুগিনের লেখা নিবন্ধটির শিরোনাম হলো, ‘নাসরুল্লাহর মৃত্যু ইসরায়েলের বিপর্যয়কর উত্থানের ইঙ্গিত’। এতে তিনি বলেছেন, ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ তৈরির লক্ষ্যে আঞ্চলিক সম্প্রসারণের উচ্চাকাঙ্ক্ষার অংশ হিসেবে ইসরায়েল লেবানন ও তার বাইরে স্থল আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
দুগিন বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ‘প্রতিরোধের অক্ষ’ বলে যে জোট আছে, সেটির প্রতি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সমর্থন ব্যাপক। হিজবুল্লাহর নেতা হিসেবে প্রয়াত হাসান নাসরুল্লাহ পুরো মুসলিম বিশ্বে ইসরায়েলবিরোধী প্রতিরোধের একজন অগ্রসেনানী ছিলেন। তিনি বলেন, ক্ষমতার ভারসাম্যের ক্ষেত্রে এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর হত্যাকাণ্ড কেবল লেবানিজ প্রতিরোধের জন্য নয় বরং প্রতিরোধের বৃহত্তর অক্ষের জন্য একটি বড় উসকানি হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি স্মরণ করে দুগিন বলেন, ইসরায়েল তার আঞ্চলিক প্রতিপক্ষগুলোকে যেভাবে আক্রমণ করছে, সেই চিত্র সাধারণ নয়। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল খুব কার্যকরভাবে, সুনির্দিষ্টভাবে এবং একটি সমন্বিত পদ্ধতিতে কাজ করে। তবে এ ক্ষেত্রে সামষ্টিকভাবে পশ্চিমা বিশ্বের যে সমর্থন ইসরায়েলের প্রতি আছে এবং তারা যেভাবে তাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত উপায়গুলো ইসরায়েলকে ব্যবহার করতে দেয়, তার জন্য তারা একটি ধন্যবাদ পেতেই পারে।’
দুগিন উল্লেখ করেন, যেহেতু তারা (পশ্চিমা বিশ্ব) প্রযুক্তিতে অগ্রগামী ছিল এবং রয়ে গেছে, ‘তাই কীভাবে এর (ইসরায়েলের) মোকাবিলা করা হবে তা ভাবাই অনেক কঠিন’। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত দেশগুলোর নাগরিকেরা যখন চাইলেই ইসরায়েলের নাগরিক হতে পারে, তখন তা মোকাবিলা করা আসলেই কঠিন।
রুশ এই দার্শনিক আরও বলেন, ‘অন্য কথায়, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ইহুদিবাদের আদর্শের সঙ্গে একমত সমর্থকদের এক বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক থেকে ইসরায়েল উপকৃত হয়। এটি ইসরায়েলকে কেবল একটি রাষ্ট্র হিসেবে নয়, একটি নেটওয়ার্ক কাঠামো হিসেবেও একটি বড় সুবিধা দেয়।’
এই রাজনীতি বিশ্লেষক বলেন, ইসরায়েলের পদক্ষেপগুলো মূলত তারা যেসব অঞ্চল দখল করেছে সেখানকার (ইহুদিবাদী) চরমপন্থী দলগুলোর সমর্থনে ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ তৈরির একটি ইহুদিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত। দুগিন ব্যাখ্যা করেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তাঁর মন্ত্রীরাসহ এই কট্টরপন্থী দলগুলো মসীহের আগমনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ কারণে তাদের একটি লক্ষ্য এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করা এবং ‘থার্ড টেম্পল’ বা তৃতীয় মন্দির তৈরির জন্য আল-আকসা মসজিদকে ধ্বংস করা।
দুগিন আরও বলেন, ইসরায়েল আঞ্চলিক সম্প্রসারণ এবং ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ তৈরি করার উচ্চাকাঙ্ক্ষার অংশ হিসেবে লেবানন এবং তার বাইরে স্থল আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত এখন লেবানন এবং তার বাইরে ইসরায়েলের স্থল আক্রমণ দেখা যাবে সি-টু-সি বা সমুদ্র থেকে সমুদ্রে ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ তৈরি করার জন্য। নেতানিয়াহু, তাঁর কট্টর ডানপন্থী মন্ত্রী স্মতরিচ এবং বেন গভিরের প্রকল্পগুলো যতই ইউটোপিয়ান চরমপন্থী হোক না কেন, এগুলো এখনই আমাদের চোখের সামনে বাস্তবায়িত হচ্ছে।’
রুশ দার্শনিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক আলেকজান্দর দুগিন লেবাননে ইসরায়েলি স্থল অভিযানের বেশ আগেই এ ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, লেবাননে এই অভিযান কেবল সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, এটি আরও সম্প্রসারিত হতে পারে, যাতে ইসরায়েলের বর্তমান শাসকশ্রেণি একটি ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ গঠন করতে পারে।
রুশ ভাষায় লেখা দুগিনের নিবন্ধের ভিত্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মায়েদিন। দুগিনের লেখা নিবন্ধটির শিরোনাম হলো, ‘নাসরুল্লাহর মৃত্যু ইসরায়েলের বিপর্যয়কর উত্থানের ইঙ্গিত’। এতে তিনি বলেছেন, ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ তৈরির লক্ষ্যে আঞ্চলিক সম্প্রসারণের উচ্চাকাঙ্ক্ষার অংশ হিসেবে ইসরায়েল লেবানন ও তার বাইরে স্থল আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
দুগিন বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ‘প্রতিরোধের অক্ষ’ বলে যে জোট আছে, সেটির প্রতি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সমর্থন ব্যাপক। হিজবুল্লাহর নেতা হিসেবে প্রয়াত হাসান নাসরুল্লাহ পুরো মুসলিম বিশ্বে ইসরায়েলবিরোধী প্রতিরোধের একজন অগ্রসেনানী ছিলেন। তিনি বলেন, ক্ষমতার ভারসাম্যের ক্ষেত্রে এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর হত্যাকাণ্ড কেবল লেবানিজ প্রতিরোধের জন্য নয় বরং প্রতিরোধের বৃহত্তর অক্ষের জন্য একটি বড় উসকানি হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি স্মরণ করে দুগিন বলেন, ইসরায়েল তার আঞ্চলিক প্রতিপক্ষগুলোকে যেভাবে আক্রমণ করছে, সেই চিত্র সাধারণ নয়। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল খুব কার্যকরভাবে, সুনির্দিষ্টভাবে এবং একটি সমন্বিত পদ্ধতিতে কাজ করে। তবে এ ক্ষেত্রে সামষ্টিকভাবে পশ্চিমা বিশ্বের যে সমর্থন ইসরায়েলের প্রতি আছে এবং তারা যেভাবে তাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত উপায়গুলো ইসরায়েলকে ব্যবহার করতে দেয়, তার জন্য তারা একটি ধন্যবাদ পেতেই পারে।’
দুগিন উল্লেখ করেন, যেহেতু তারা (পশ্চিমা বিশ্ব) প্রযুক্তিতে অগ্রগামী ছিল এবং রয়ে গেছে, ‘তাই কীভাবে এর (ইসরায়েলের) মোকাবিলা করা হবে তা ভাবাই অনেক কঠিন’। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত দেশগুলোর নাগরিকেরা যখন চাইলেই ইসরায়েলের নাগরিক হতে পারে, তখন তা মোকাবিলা করা আসলেই কঠিন।
রুশ এই দার্শনিক আরও বলেন, ‘অন্য কথায়, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ইহুদিবাদের আদর্শের সঙ্গে একমত সমর্থকদের এক বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক থেকে ইসরায়েল উপকৃত হয়। এটি ইসরায়েলকে কেবল একটি রাষ্ট্র হিসেবে নয়, একটি নেটওয়ার্ক কাঠামো হিসেবেও একটি বড় সুবিধা দেয়।’
এই রাজনীতি বিশ্লেষক বলেন, ইসরায়েলের পদক্ষেপগুলো মূলত তারা যেসব অঞ্চল দখল করেছে সেখানকার (ইহুদিবাদী) চরমপন্থী দলগুলোর সমর্থনে ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ তৈরির একটি ইহুদিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত। দুগিন ব্যাখ্যা করেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তাঁর মন্ত্রীরাসহ এই কট্টরপন্থী দলগুলো মসীহের আগমনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ কারণে তাদের একটি লক্ষ্য এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করা এবং ‘থার্ড টেম্পল’ বা তৃতীয় মন্দির তৈরির জন্য আল-আকসা মসজিদকে ধ্বংস করা।
দুগিন আরও বলেন, ইসরায়েল আঞ্চলিক সম্প্রসারণ এবং ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ তৈরি করার উচ্চাকাঙ্ক্ষার অংশ হিসেবে লেবানন এবং তার বাইরে স্থল আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত এখন লেবানন এবং তার বাইরে ইসরায়েলের স্থল আক্রমণ দেখা যাবে সি-টু-সি বা সমুদ্র থেকে সমুদ্রে ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ তৈরি করার জন্য। নেতানিয়াহু, তাঁর কট্টর ডানপন্থী মন্ত্রী স্মতরিচ এবং বেন গভিরের প্রকল্পগুলো যতই ইউটোপিয়ান চরমপন্থী হোক না কেন, এগুলো এখনই আমাদের চোখের সামনে বাস্তবায়িত হচ্ছে।’
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে ইসরায়েল ও ইরানের পারস্পরিক হুমকি। একদিকে কূটনৈতিক আলোচনা থমকে আছে, অন্যদিকে সেনা মহড়া ও প্রক্সি লড়াই—সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে।
১২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের রিপাবলিকান প্রতিনিধি মেরি মিলার শুক্রবার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে এক অতিথি ধর্মীয় নেতার প্রার্থনা নিয়ে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি ভুল করে শিখ ধর্মীয় ওই নেতাকে মুসলিম ভেবে এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘আজ সকালে হাউসে একজন মুসলমানকে প্রার্থনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছ
১৩ ঘণ্টা আগেমেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা উদ্যাপনে গিয়েছিলেন নবদম্পতি মধ্যপ্রদেশের রাজা রাজবংশী ও সোনম রাজবংশী। কিন্তু তাঁদের মধুচন্দ্রিমা পরিণত হয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনায়। স্ত্রী সোনম নিখোঁজ আর স্বামী রাজা খুন হয়েছেন। রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে একাধিক নিরাপত্তা ও উদ্ধারকারী সংস্থা।
১৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব রাশিয়ার ক্ষমতাসীন মহলে আলোচনা, ঠাট্টা ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কেউ শান্তি আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন, আবার কেউ মাস্ককে রাশিয়ায় ব্যবসা স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগে