Ajker Patrika

ইউক্রেনে বাঁধ ভাঙল, কিয়েভ ও মস্কো একে অপরকে দুষছে

ডয়চে ভেলে
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩, ১৫: ০৮
ইউক্রেনে বাঁধ ভাঙল, কিয়েভ ও মস্কো একে অপরকে দুষছে

ইউক্রেনের রাষ্ট্রায়ত্ত জলবিদ্যুৎ সংস্থা জানিয়েছে, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণের ফলে পুরো কেন্দ্রটি ধ্বংস হয়ে গেছে। বাঁধটি আংশিকভাবে ভেঙে গেছে। এর ফলে বহু এলাকা জলের তলায় চলে গেছে।

মস্কো ও কিয়েভ একে অপরকে এর জন্য দায়ী করেছে। ইউক্রেন বলেছে, তাদের সেনা যাতে দক্ষিণ ইউক্রেন যেতে না পারে, সে জন্যই রাশিয়া এই কাজ করেছে। আর মস্কোর অভিযোগ, ইউক্রেনের বাহিনী গোলা মেরে এই কাজ করেছে।

এই বাঁধ তৈরি হয়েছিল সোভিয়েত জমানায়। এখান থেকে জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে জল সরবরাহ করা হতো। একই সঙ্গে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলেও জল যেত। এই অঞ্চল ২০১৪ সালে রাশিয়া দখল করে নিয়েছে। এই বাঁধের পাশের এলাকাও রাশিয়ার দখলে।

বাঁধ ভাঙার ফলে প্রচুর দ্বীপ প্লাবিত হতে পারে। ইউক্রেন ও রাশিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৮০টি জনবসতি এলাকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, গত কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপে এটাই সবচেয়ে বড় পরিবেশগত বিপর্যয় এবং যার পেছনে মানুষই দায়ী। তার যুক্তি, এই শক্তপোক্ত বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সাধারণ কারণে ভেঙে পড়া সম্ভব নয়। রাশিয়াই তা ভেঙেছে।

আমেরিকা খতিয়ে দেখছে
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা বাঁধ ভাঙা নিয়ে রিপোর্ট খতিয়ে দেখছে। মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, ‘এই আক্রমণের পেছনে মস্কো আছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে বাঁধ ভাঙার ফলে প্রচুর মানুষ মারা গেছেন।’

কিরবি বলেছেন, ‘আমরা এই রিপোর্ট দেখেছি যে, বাঁধে বিস্ফোরণের জন্য রাশিয়া দায়ী। আমরা সব রিপোর্ট খতিয়ে দেখছি। ইউক্রেন যাতে আরও তথ্য দেয়, তার জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। কী হয়েছিল, তা আমরা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।’

এই বিস্ফোরণ ইচ্ছে করে করা হয়েছে কি না, তাও জানাতে পারেননি কিরবি। 

পশুর মৃত্যু
নোভা কাখোভকা এলাকার এক চিড়িয়াখানার মালিক জানিয়েছেন, তার আশঙ্কা, অন্ততপক্ষে ৩০০ পশু মারা গেছে। এই এলাকা রাশিয়ার সেনার অধিকারে আছে। 

এফ ১৬ নিয়ে বিরোধ
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অনুরোধ মেনে আমেরিকা যদি ইউক্রেনকে এফ ১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

লাভরভ বলেছেন, এফ ১৬-এর কিছু বিমান পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারে। যদি তারা এটা বুঝতে না পারে, তাহলে তাদের সামরিক কৌশল খুবই খারাপ। 

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ''ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান দেওয়ার উদ্দেশ্য, তারা যাতে ঠিকভাবে আত্মরক্ষা করতে পারে, তাদের বায়ু সীমা রক্ষা করতে পারে এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতে পারে।' ' কিরবির বক্তব্য, ''যদি ইউক্রেনের সামরিক শক্তি নিয়ে রাশিয়া চিন্তিত, তাহলে তারা অবিলম্বে সেখান থেকে সেনা সরাক।'

ইউক্রেনের পাইলটদের এফ ১৬ চালাবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তবে ইউক্রেনকে এখনো এই যুদ্ধবিমান দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

পারভেজ হত্যায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাং সদস্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত