Ajker Patrika

পাঁচ থাই ও ৩ ইসরায়েলিকে মুক্তি দিল হামাস

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image
গাজার জাবালিয়া থেকে এক ইসরায়েলি নারীকে মুক্তি দেয় হামাস। ছবি: এএফপি

গাজায় জিম্মি থাইল্যান্ডের ৫ নাগরিক এবং ইসরায়েলের ৩ নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। আজ বৃহস্পতিবার তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গাজায় আটক আটজন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর মধ্যে তিনজন ইসরায়েলি ও পাঁচজন বিদেশি নাগরিক। এটি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তির প্রথম ধাপের তৃতীয় পর্যায়ের অংশ।

আজ বৃহস্পতিবার এই ৮ জনের মধ্যে প্রথম মুক্তি পান ২০ বছর বয়সী ইসরায়েলি সেনা আগাম বার্গার। তিনি গাজার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ধ্বংসস্তূপের নিচে কোথাও আটক ছিলেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী বারবার এই শরণার্থীশিবিরে হামলা চালিয়েছে।

পরে হামাস আরেক ইসরায়েলি নারী আরবেল ইয়াহুদকে গাজার খান ইউনিস শহর থেকে মুক্তি দেয়। এই এলাকাতেই হামাসের সাবেক রাজনৈতিক প্রধান ইয়াহইয়া সিনওয়ারের বাড়ি ছিল। এই বিষয়ে আইডিএফ এক টুইটে জানায়, আরও এক ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক ও পাঁচজন থাই নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তাদের রেড ক্রসে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর বিনিময়ে, ইসরায়েল ১১০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। এরা সবাই ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী ছিলেন। আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজযাম খান ইউনিস থেকে জানিয়েছেন, বন্দী মুক্তির এই ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করতে বহু মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছিলেন।

তারেক বলেন, ‘হাজারো বেসামরিক মানুষ এখানে উপস্থিত হয়েছিলেন এই দৃশ্য দেখার জন্য। একইসঙ্গে হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামি জিহাদের অসংখ্য যোদ্ধা এলাকায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা ইসরায়েলি বন্দীদের রেড ক্রসের মাধ্যমে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে এবং বিনিময় প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করছে।’

পরে ইসরায়েলের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বলেন, খান ইউনিসে বন্দী হস্তান্তরের চিত্র প্রমাণ করে যে ইসরায়েল গাজায় ‘সম্পূর্ণ বিজয়’ অর্জন করতে পারেনি। বার্তা আদান-প্রদান প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বেন-গভির বলেন, ‘আমরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। আমাদের প্রিয় আগাম, আরবেল ও গাদি ফিরে এসেছে। কিন্তু গাজার ভয়াবহ চিত্রগুলো পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে, এটি কোনো সম্পূর্ণ বিজয় নয়, এটি সম্পূর্ণ ব্যর্থতা, এক অভূতপূর্ব অবিবেচনাপ্রসূত চুক্তি।’

এর আগে, গত শনিবার হামাস গাজায় আটক চার নারী ইসরায়েলি সেনাকে মুক্তি দেয় এবং এর বিনিময়ে ইসরায়েল ২০০ জন ফিলিস্তিনিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। এই বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমেই ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত