Ajker Patrika

পশ্চিম তীরে ‘গোত্র আমিরাত’ গঠনের প্রস্তাব, ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাখ্যান

অনলাইন ডেস্ক
হেবরন শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যারিকেড। ছবি: আনাদোলু
হেবরন শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যারিকেড। ছবি: আনাদোলু

পশ্চিম তীরের হেবরনে ‘গোত্রভিত্তিক আমিরাত’ বা উপজাতীয় এলাকা গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ইসরায়েলি এক মন্ত্রীকে। তবে, এর বিনিময়ে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। কিন্তু ফিলিস্তিনি গোত্রগুলো এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি গোত্রপ্রধানেরা গতকাল রোববার হেবরন শহরে ‘ট্রাইবাল’ বা উপজাতীয় আমিরাত গঠনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওই প্রস্তাবের শর্ত ছিল, এর বিনিময়ে ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

এর আগে, মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দাবি করে, হেবরনের কয়েকজন গোত্র নেতা ইসরায়েলের অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী নির বারকাতকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে তারা হেবরন শহরে একটি উপজাতীয় আমিরাত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন। চিঠির বরাতে মার্কিন পত্রিকাটি জানায়, প্রস্তাবে বলা হয়েছে—ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলে, হেবরনের আরব বাসিন্দাদের প্রতিনিধিত্ব করার স্বীকৃতি পাবেন চিঠিতে স্বাক্ষরকারী নেতারা। পাশাপাশি, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে প্রচলিত আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানেরও সময়সূচি প্রস্তাব করা হয়েছে।

তবে হেবরনের ফিলিস্তিনি গোত্রগুলো জোরালোভাবে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নিজেদের জাতীয় মূল্যবোধে অবিচল থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। হেবরনের গোত্রগুলোর প্রতিনিধি নাফেজ আল-জাবারি গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা সচেতন জাতি। তারা কখনোই নিজেদের ন্যায়সংগত দাবির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা, আল-জাবারি গোত্র—সম্পূর্ণভাবে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি ও নিন্দা জানাই। কারণ, এটি আমাদের গোত্রের কোনো পরিচিত সদস্য করেনি। ওই ব্যক্তি (ওয়াদী আল-জাবারি) আমাদের গোত্রের কেউ নন এবং তিনি হেবরনের বাসিন্দাও নন।’

তিনি আরও বলেন, তাঁর গোত্র ইসলামি ও জাতীয় মূল্যবোধ, ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই রাষ্ট্রের রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম এবং তা গড়ে উঠবে ফিলিস্তিনের সম্পূর্ণ জাতীয় ভূখণ্ডের ওপর।

গোত্রপ্রধানদের এই বক্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে, যখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা দখলকৃত পশ্চিম তীরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনা ও বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় অন্তত ৯৮৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও সাত হাজারের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এর আগে, গত জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এক ঐতিহাসিক রায়ে ঘোষণা করে, ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলি দখল অবৈধ এবং পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম থেকে সব অবৈধ বসতি সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রুয়া নির্বাচন: বিএনপিপন্থীদের বর্জন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জামায়াতপন্থী ২৭ জন নির্বাচিত

‘পাপ কাহিনী’র হাত ধরে দেশের ওটিটিতে ফিরল অশ্লীলতা

আগের তিন ভোটের নির্বাচনী কর্মকর্তারা দায়িত্ব পাবেন না

সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় সমন্বয়ক পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, আটক ৫

মাখোঁ কেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চায়, রহস্য কী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত