অনলাইন ডেস্ক
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সম্প্রতি দেশটির শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় আলভীদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, এ ধরনের সহিংসতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসকে (এসডিএফ) দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো কোনো বৈশ্বিক সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আল-শারা রয়টার্সকে জানান, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজনে মিত্রদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শারা বলেন, ‘সিরিয়া আইনের শাসনের দেশ। আইন সবার ক্ষেত্রে সমভাবে প্রয়োগ হবে।’
দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা নিপীড়িতদের রক্ষার জন্য লড়াই করেছি, তাই আমরা কোনো রক্ত অন্যায়ভাবে ঝরতে দেব না, বরং দোষীদের অবশ্যই শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে—তারা আমাদের ঘনিষ্ঠ হলেও।’
আল-শারা জানান, সাম্প্রতিক সংঘাতে নিরাপত্তা বাহিনীর ২০০ সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে তিনি মোট মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, একটি স্বাধীন কমিটি তদন্ত করে আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাবে। সংকট মোকাবিলায় আল-শারা একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন, যা ৩০ দিনের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি, দ্বিতীয় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে নাগরিক শান্তি ও পুনর্মিলন প্রচারের জন্য।
তবে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সংখ্যালঘু আলভী সম্প্রদায়ের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের ফলে বৃহস্পতিবার থেকে চলা সহিংসতায় মোট নিহত ১ হাজার ১৮ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে ১২৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বলে দাবি করা ১৪৮ জন যোদ্ধা রয়েছেন।
আল-শারা স্বীকার করেন, সাম্প্রতিক রক্তপাত জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের পথকে প্রভাবিত করবে।’ তবে পরিস্থিতি যতটা সম্ভব সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘রক্তপাত কেবলই আরও রক্তপাতের জন্ম দেয়।’ এ সময় তিনি সাম্প্রদায়িক বিভাজন রোধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এই হত্যাকাণ্ডে বিদেশি যোদ্ধারা বা তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী জড়িত ছিল কি না—জানতে চাইলে শারা বলেন, তদন্তেই এসব প্রশ্নের উত্তর আসবে। তবে তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত গোষ্ঠী এবং বিদেশি হস্তক্ষেপকে এই সহিংসতার জন্য দায়ী করেন।
আল-শারা অভিযোগ করেন, আসাদপন্থী চতুর্থ ডিভিশনের সদস্যরাই গত বৃহস্পতিবার সংঘাতকে ইচ্ছাকৃতভাবে উসকে দিয়েছে। এই চতুর্থ ডিভিশন সাবেক প্রেসিডেন্টের ভাই মাহের আল-আসাদের নেতৃত্বে ছিল। তিনি আরও দাবি করেন, এক অজ্ঞাত বিদেশি শক্তি পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করেছে। তিনি কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করেই বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য ছিল অস্থিরতা তৈরি করা ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ উসকে দেওয়া।’
সাক্ষাৎকারে আল-শারা সিরিয়ার অস্থিতিশীলতার জন্য বিদেশি নিষেধাজ্ঞাকেও দায়ী করেন। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হবে। এ ছাড়া, কূটনৈতিক আলোচনা জরুরি হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ হয়নি বলে নিশ্চিত করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সিরিয়ার বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারের তালিকায় নেই। এটি তাদের কাছে জানতে চান। সিরিয়ার দরজা খোলা।
এদিকে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় গতকাল সোমবার রাতে ঘোষণা করেছে, বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসকে (এসডিএফ) দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত করার বিষয়ে একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাহী কমিটিগুলো বছরের শেষ নাগাদ এই চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হলো সকল সিরিয়ার নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা এবং দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখা।
চুক্তির প্রধান দফাগুলো হলো—সিরিয়ার ভূখণ্ড জুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা, ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে সকল সিরিয়ার নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা, কুর্দি সম্প্রদায়কে সিরিয়ার রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান, তাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
এ ছাড়া, সব সিরিয়ার নাগরিকের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করা, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার সব বেসামরিক ও সামরিক প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের অধীনে আনা, যার মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকা, বিমানবন্দর এবং তেল ও গ্যাসক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং সব বাস্তুচ্যুত সিরিয়ার নাগরিকের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা এবং রাষ্ট্রের মাধ্যমে তাদের সুরক্ষা বিধান করা।
আগের শাসনব্যবস্থার অবশিষ্টাংশ ও জাতীয় নিরাপত্তা ও সংহতির বিরুদ্ধে যেকোনো হুমকির মোকাবিলায় সিরিয়ার রাষ্ট্রকে সমর্থন দেওয়া এবং বিভক্তিকরণের আহ্বান, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং সিরিয়ার বহুজাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির সকল প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করার মতো ধারাগুলোও যুক্ত করা হয়েছে এই চুক্তিতে।
এর আগে, গত মাসে তুরস্কের কুর্দি বিদ্রোহী সংগঠন পার্তিয়া কারকেরেন কুর্দিস্তানে কা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) কারাবন্দী নেতা আবদুল্লাহ ওজালান তাঁর সংগঠনকে বিলুপ্ত করার এবং তুরস্কের বিরুদ্ধে চার দশকের সশস্ত্র লড়াই সমাপ্ত করার আহ্বান জানান। তবে আঙ্কারা দাবি করে, শুধু তুরস্কে নয়, বিশ্বের যেকোনো স্থানে থাকা পিকেকে যোদ্ধাদের নিরস্ত্র হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসও মূলত কুর্দি অধ্যুষিত। এই বাহিনীর মূল কাঠামো গঠিত হয়েছে কুর্দি পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটসের (ওয়াইপিজি) মাধ্যমে।
এসডিএফ নেতৃত্ব ২৭ ফেব্রুয়ারি ওজালানের পিকেকে বিলুপ্তির আহ্বানকে স্বাগত জানালেও তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, এই ঘোষণা তাদের বাহিনীর জন্য প্রযোজ্য নয়। এরপর, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিরিয়ার আল-হাসাকায় এসডিএফের অবস্থানে তুরস্কের ড্রোন হামলা চালালে তুরস্ক ও এসডিএফ-এর মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে।
আঙ্কারা জানিয়েছে, তারা সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে। কারণ তুরস্ক এসডিএফকে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বর্ধিতাংশ হিসেবে বিবেচনা করে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া ১৮ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে জানান, দেশটির পুলিশ টানা পাঁচ দিনের অভিযানে ২৮২ জন পিকেকে সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। আঙ্কারা নির্বাচিত প্রো-কুর্দি মেয়রদের অপসারণ এবং কুর্দি রাজনৈতিক দল দমনের মাধ্যমে চার দশকের সংঘাতের অবসান ঘটানোর প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সম্প্রতি দেশটির শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় আলভীদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, এ ধরনের সহিংসতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসকে (এসডিএফ) দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো কোনো বৈশ্বিক সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আল-শারা রয়টার্সকে জানান, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজনে মিত্রদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শারা বলেন, ‘সিরিয়া আইনের শাসনের দেশ। আইন সবার ক্ষেত্রে সমভাবে প্রয়োগ হবে।’
দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা নিপীড়িতদের রক্ষার জন্য লড়াই করেছি, তাই আমরা কোনো রক্ত অন্যায়ভাবে ঝরতে দেব না, বরং দোষীদের অবশ্যই শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে—তারা আমাদের ঘনিষ্ঠ হলেও।’
আল-শারা জানান, সাম্প্রতিক সংঘাতে নিরাপত্তা বাহিনীর ২০০ সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে তিনি মোট মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, একটি স্বাধীন কমিটি তদন্ত করে আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাবে। সংকট মোকাবিলায় আল-শারা একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন, যা ৩০ দিনের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি, দ্বিতীয় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে নাগরিক শান্তি ও পুনর্মিলন প্রচারের জন্য।
তবে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সংখ্যালঘু আলভী সম্প্রদায়ের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের ফলে বৃহস্পতিবার থেকে চলা সহিংসতায় মোট নিহত ১ হাজার ১৮ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে ১২৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বলে দাবি করা ১৪৮ জন যোদ্ধা রয়েছেন।
আল-শারা স্বীকার করেন, সাম্প্রতিক রক্তপাত জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের পথকে প্রভাবিত করবে।’ তবে পরিস্থিতি যতটা সম্ভব সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘রক্তপাত কেবলই আরও রক্তপাতের জন্ম দেয়।’ এ সময় তিনি সাম্প্রদায়িক বিভাজন রোধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এই হত্যাকাণ্ডে বিদেশি যোদ্ধারা বা তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী জড়িত ছিল কি না—জানতে চাইলে শারা বলেন, তদন্তেই এসব প্রশ্নের উত্তর আসবে। তবে তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত গোষ্ঠী এবং বিদেশি হস্তক্ষেপকে এই সহিংসতার জন্য দায়ী করেন।
আল-শারা অভিযোগ করেন, আসাদপন্থী চতুর্থ ডিভিশনের সদস্যরাই গত বৃহস্পতিবার সংঘাতকে ইচ্ছাকৃতভাবে উসকে দিয়েছে। এই চতুর্থ ডিভিশন সাবেক প্রেসিডেন্টের ভাই মাহের আল-আসাদের নেতৃত্বে ছিল। তিনি আরও দাবি করেন, এক অজ্ঞাত বিদেশি শক্তি পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করেছে। তিনি কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করেই বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য ছিল অস্থিরতা তৈরি করা ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ উসকে দেওয়া।’
সাক্ষাৎকারে আল-শারা সিরিয়ার অস্থিতিশীলতার জন্য বিদেশি নিষেধাজ্ঞাকেও দায়ী করেন। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হবে। এ ছাড়া, কূটনৈতিক আলোচনা জরুরি হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ হয়নি বলে নিশ্চিত করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সিরিয়ার বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারের তালিকায় নেই। এটি তাদের কাছে জানতে চান। সিরিয়ার দরজা খোলা।
এদিকে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় গতকাল সোমবার রাতে ঘোষণা করেছে, বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসকে (এসডিএফ) দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত করার বিষয়ে একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাহী কমিটিগুলো বছরের শেষ নাগাদ এই চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হলো সকল সিরিয়ার নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা এবং দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখা।
চুক্তির প্রধান দফাগুলো হলো—সিরিয়ার ভূখণ্ড জুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা, ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে সকল সিরিয়ার নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা, কুর্দি সম্প্রদায়কে সিরিয়ার রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান, তাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
এ ছাড়া, সব সিরিয়ার নাগরিকের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করা, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার সব বেসামরিক ও সামরিক প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের অধীনে আনা, যার মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকা, বিমানবন্দর এবং তেল ও গ্যাসক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং সব বাস্তুচ্যুত সিরিয়ার নাগরিকের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা এবং রাষ্ট্রের মাধ্যমে তাদের সুরক্ষা বিধান করা।
আগের শাসনব্যবস্থার অবশিষ্টাংশ ও জাতীয় নিরাপত্তা ও সংহতির বিরুদ্ধে যেকোনো হুমকির মোকাবিলায় সিরিয়ার রাষ্ট্রকে সমর্থন দেওয়া এবং বিভক্তিকরণের আহ্বান, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং সিরিয়ার বহুজাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির সকল প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করার মতো ধারাগুলোও যুক্ত করা হয়েছে এই চুক্তিতে।
এর আগে, গত মাসে তুরস্কের কুর্দি বিদ্রোহী সংগঠন পার্তিয়া কারকেরেন কুর্দিস্তানে কা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) কারাবন্দী নেতা আবদুল্লাহ ওজালান তাঁর সংগঠনকে বিলুপ্ত করার এবং তুরস্কের বিরুদ্ধে চার দশকের সশস্ত্র লড়াই সমাপ্ত করার আহ্বান জানান। তবে আঙ্কারা দাবি করে, শুধু তুরস্কে নয়, বিশ্বের যেকোনো স্থানে থাকা পিকেকে যোদ্ধাদের নিরস্ত্র হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসও মূলত কুর্দি অধ্যুষিত। এই বাহিনীর মূল কাঠামো গঠিত হয়েছে কুর্দি পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটসের (ওয়াইপিজি) মাধ্যমে।
এসডিএফ নেতৃত্ব ২৭ ফেব্রুয়ারি ওজালানের পিকেকে বিলুপ্তির আহ্বানকে স্বাগত জানালেও তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, এই ঘোষণা তাদের বাহিনীর জন্য প্রযোজ্য নয়। এরপর, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিরিয়ার আল-হাসাকায় এসডিএফের অবস্থানে তুরস্কের ড্রোন হামলা চালালে তুরস্ক ও এসডিএফ-এর মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে।
আঙ্কারা জানিয়েছে, তারা সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে। কারণ তুরস্ক এসডিএফকে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বর্ধিতাংশ হিসেবে বিবেচনা করে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া ১৮ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে জানান, দেশটির পুলিশ টানা পাঁচ দিনের অভিযানে ২৮২ জন পিকেকে সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। আঙ্কারা নির্বাচিত প্রো-কুর্দি মেয়রদের অপসারণ এবং কুর্দি রাজনৈতিক দল দমনের মাধ্যমে চার দশকের সংঘাতের অবসান ঘটানোর প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
টেসলা এবং স্পেসএক্স কর্তা ইলন মাস্কের স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা এবার চালু হতে চলেছে ভারতে। এয়ারটেলের সঙ্গে স্পেসএক্সের এ বিষয়ে একটি চুক্তিও হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে।
৪৪ মিনিট আগেগ্রেপ্তারের পর ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে নেদারল্যান্ডসের হেগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেই (আইসিসি) তাঁর বিচার হবে। তাঁকে বহনকারী একটি বিমান ম্যানিলা ছেড়ে গেছে। এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে আজ মঙ্গলবার ম্যানিলা বিমান
৩ ঘণ্টা আগেগত ২৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যের সান্তা ফে শহরে অবস্থিত নিজ বাড়ি থেকে অভিনেতা জিন হ্যাকম্যান ও তাঁর স্ত্রী বেটসি আরাকাওয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এই মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে জড়িত বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি মরদেহ পাওয়া গেলেও হ্যাকম্যান মারা গিয়েছিলেন সম্ভবত গত ১৮ ফেব্রুয়ারি
৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন যাত্রীকে জিম্মি করেছে। সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার বিবিসি জানিয়েছে, জাফর এক্সপ্রেস নামের ওই ট্রেনটি পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যাওয়ার পথে হামলার শিকার হয়।
৫ ঘণ্টা আগে