Ajker Patrika

রোজা শুরুর আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের চেষ্টা

আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৪, ১০: ০৯
রোজা শুরুর আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের চেষ্টা

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতিতে মতৈক্যে পৌঁছাতে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ছে। আসন্ন রমজানের আগেই যাতে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়, সেই লক্ষ্যে মিসরের রাজধানী কায়রোয় দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। তবে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে মতপার্থক্যের অভিযোগ তুলে এই বৈঠকে অংশ নেয়নি। 

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সম্প্রতি। এ ছাড়া সর্বশেষ গাজা শহরে ত্রাণ নিতে আসা মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলির ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে পড়েছে ইসরায়েল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বেশ কয়েকটি দেশ এ ঘটনার তদন্ত চাইছে। 

এ পরিস্থিতিতে কায়রোয় হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এর আগে দুই দিন আলোচনা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কায়রোয় আবারও বৈঠকে বসার কথা এই প্রতিনিধিদের। মূলত আগামী সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র রমজান শুরু হবে। ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি ও গাজায় ত্রাণ তৎপরতা বৃদ্ধির বিনিময়ে হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলে জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়ার শর্তে এই আলোচনা চলছে। 

ইসরায়েল এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছে না। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো অবশ্য এর একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে। তারা বলছে, হামাস জিম্মিদের তালিকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের প্রতিনিধিরা আলোচনা বয়কট করছেন। তবে বার্তা সংস্থা এএফপির সঙ্গে আলোচনায় হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা বাসেম নাঈম আলোচনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করেন। 

এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক মহল থেকে সতর্কবার্তা আসছে। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় আশু পদক্ষেপ নেওয়া না হলে গাজায় ব্যাপক দুর্ভিক্ষ ‘প্রায় অনিবার্য’। 

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস গত সোমবার ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজের সঙ্গে আলোচনায় গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, উত্তর গাজার দুটি হাসপাতালে একটি সহায়তা মিশনে খাবার, জ্বালানি ও ওষুধের মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে। 

যৌন সহিংসতা ও নিপীড়ন

এদিকে ইসরায়েল ও হামাস দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলল জাতিসংঘ। সোমবার সংস্থাটির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে নারীরা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন। তবে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

এদিকে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ ল্যাজারিনি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক গাজাবাসীরা মুক্তি পাওয়ার পর বন্দী অবস্থায় তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। আটক ব্যক্তিরা নগ্ন ছবি তোলা, কুকুরের ভয় দেখানোসহ নানা ধরনের অসুস্থ আচরণের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত