Ajker Patrika

যুদ্ধবিরতি কার্যকর: ধ্বংসস্তূপে পরিণত নিজ গৃহে ফিরছে গাজাবাসী

ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজায় ফিরছেন অধিবাসারীরা। ছবি: এএফপি
ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজায় ফিরছেন অধিবাসারীরা। ছবি: এএফপি

কোনো একটি ভবনের অস্তিত্ব বোঝার উপায় নেই। দুই পাশে ধ্বংসস্তূপ। এর মাঝ দিয়ে হাঁটছে ফিলিস্তিনিরা। ফিরছে নিজ এলাকায়। এ দৃশ্য গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থীশিবির এলাকার। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গতকাল বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এই দৃশ্য দেখা যায়।

ইসরায়েলের হামলার মুখে যে শহর ছেড়ে ফিলিস্তিনিরা গিয়েছিল, তার আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। গতকাল বার্তা সংস্থা এএফপির প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেল, জাবালিয়া শরণার্থীশিবির এলাকায় শত শত মানুষ ফিরছে। দুই পাশে ধসে যাওয়া কংক্রিটের স্তূপ।

গতকাল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন চুক্তির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজিদ আল-আনসারি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথের মাত্র ১ দিন আগে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। এতে তাঁর বিশেষ ভূমিকার কথাও স্বীকার করেছে ইসরায়েল।

যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে গাজার রাফাহ এলাকা থেকে সামরিক উপস্থিতি সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইসরায়েল। তবে চুক্তির বিরোধিতা করে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গভির। তাঁর দল ওজামা ইয়েহুদিতের আরও দুই মন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন জাতীয় ঐতিহ্যবিষয়ক মন্ত্রী আমিচাই এলিয়াহু এবং স্থিতিশীলতাবিষয়ক মন্ত্রী ইতজাক ওয়াসেরলাউফ। এর মধ্য দিয়ে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোট সরকার থেকে বেরিয়ে গেছে কট্টর ডানপন্থী ওজামা ইয়েহুদিত। এর আগে শনিবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বক্তব্যে নেতানিয়াহু বলেন, প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় আবার যুদ্ধ শুরুর অধিকার তেল আবিবের রয়েছে।

এদিকে যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে তিন ইসরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। দলটির সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেন, ‘বন্দিবিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে আমরা রমি গোনেন (২৪), এমিলি দমারি (২৮) এবং দোরোন শতানবার খায়েরকে (৩১) মুক্তি দিয়েছি।’

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির প্রাক্কালে গতকাল ভোরে গাজায় হামলা চালিয়ে আটজনকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। এ নিয়ে গত বুধবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে অন্তত ১২২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। একই সময়ে আহত হয় কমপক্ষে আরও ২৭০ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অঞ্চলটিতে অন্তত ৪৬ হাজার ৮৯৯ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ)। একই সময়ে আহত হয়েছে কমপক্ষে ১ লাখ ১০ হাজার ৭২৫ জন। তবে মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটের তথ্য বলছে, গাজায় ইসরায়েলের চালানো গণহত্যায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় বুধবার গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল। কিন্তু সেদিন রাতেই গাজাজুড়ে নতুন করে শুরু হয় একের পর এক বিমান হামলা। গতকাল ভোর পর্যন্ত চালানো এসব হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে আইডিএফ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির কৌশল নিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি হয়তো ২০২২ সাল থেকে যে কট্টর ডানপন্থী জোটের ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছেন, তাদের এড়িয়ে ক্ষমতায় আসতে সক্ষম হবেন। এ ছাড়া এই চুক্তি সৌদি আরবের সঙ্গে বহুল প্রতীক্ষিত সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তির পথও প্রশস্ত করতে পারে। এ ধরনের চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসিবে আজ সোমবার শপথ নিচ্ছেন। তবে এর আগে থেকেই এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। ট্রাম্পের দুই কর্মকর্তা যুদ্ধবিরতির পর বন্দিবিনিময় নিয়ে কাজ করছেন। তাঁর দুই কর্মকর্তা ইসরায়েলি বন্দীদের পরিবারদের জানিয়েছেন, সব বন্দী মুক্তি নিশ্চিত করতে চান ট্রাম্প।

সিএনএন বলছে, হামাসের হাতে এখনো ৯৪ জন বন্দী আছেন। ইসরায়েল সরকারের তথ্য অনুসারে, এর মধ্যে ৩৪ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। এ সংখ্যা বেশিও হতে পারে। বন্দিবিনিময়ের এই শর্তে যুদ্ধবিরতিতে কাজ করছেন ট্রাম্পের সহযোগীরা।

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা’আর বলেন, এই যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ভূমিকা আছে। এতে ঘনিষ্ঠভাবে ট্রাম্প জড়িত। এই চুক্তি সম্পাদনে এক সপ্তাহ ধরে তিনি এতে খুবই প্রভাব বিস্তার করেছেন। তিনি এ-ও বলেন, ‘ট্রাম্প ইসরায়েলকে এ বিষয়ে চাপ দেননি। তবে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি, যাতে চুক্তিটি করা যায় এবং এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্য অর্জনে তিনি বেশ সহযোগিতা করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের নাগরিকত্ব বাতিল করল মাদাগাস্কার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ক্ষমতাচ্যুত মাদাগাস্কারের সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। ছবি: সংগৃহীত
ক্ষমতাচ্যুত মাদাগাস্কারের সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। ছবি: সংগৃহীত

গত সপ্তাহে মাদাগাস্কারে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। এবার তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে দায়িত্ব নেওয়া নতুন সরকার।

নতুন প্রধানমন্ত্রী হেরিনৎসালামা রাজাওনারিভেলো স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, স্থানীয় আইন অনুযায়ী, যারা বিদেশি নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন তাঁরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাদাগাস্কারের নাগরিকত্ব হারাবেন।

প্রায় এক দশক আগে ফরাসি নাগরিকত্ব লাভ করেন ৫১ বছর বয়সী রাজোয়েলিনা। এ কারণে ২০২৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক মাস আগে তিনি ফরাসি নাগরিকত্বের কথা প্রকাশ করেন। সন্তানদের ফ্রান্সে পড়াশোনার সুবিধার জন্য এই নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন বলে যুক্তি দেখান তিনি। সে সময় নির্বাচনে তাঁর প্রার্থিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে সেই দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি এবং জয়ী হন।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট নিয়ে ‘জেন জি মাদা’ নামে তরুণদের ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজোয়েলিনা প্রথমে তাঁর জ্বালানি মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন, পরে পুরো মন্ত্রিসভাকেই ভেঙে দেন। কিন্তু তাতেও তাঁর পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলন থামেনি।

বিক্ষোভকারীরা আশা করেছিলেন, রাজোয়েলিনা পদত্যাগ করবেন, যাতে দেশটি একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে এগোতে পারে।

কিন্তু তিনি ক্ষমতা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। শেষ পর্যন্ত কর্নেল মাইকেল রান্ড্রিয়ানিরিনার নেতৃত্বে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশটির ক্ষমতা দখল করা হয়। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান রাজোয়েলিনা।

গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজোয়েলিনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, তিনি একটি ‘নিরাপদ স্থানে’ আছেন এবং দেশের নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতেই আছে। তখন গুঞ্জন ওঠে, তিনি ফরাসি একটি বিমানে পালিয়ে গেছেন। বর্তমানে দেশটির অধিকাংশ নাগরিকের বিশ্বাস, রাজোয়েলিনা দুবাইয়ে আত্মগোপনে আছেন।

এই ভিডিওর ঘণ্টাকয়েক পরেই পার্লামেন্ট তাঁকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেয়। এরপর সেনারা প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে হামলা চালিয়ে সিনেট, সাংবিধানিক আদালত ও জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। কেবল জাতীয় সংসদকে রেখে অন্য সব প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত করা হয়।

বর্তমানে রান্ড্রিয়ানিরিনা শপথ গ্রহণ করেছেন এবং নতুন সরকার গঠন করেছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশে নির্বাচন আয়োজন করা হবে।

১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে মাদাগাস্কার অভ্যুত্থানের ইতিহাসে ভরা। ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্টবিরোধী আন্দোলনের পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় রাজোয়েলিনাকে ক্ষমতায় আনা হয়। তিনি তখন মাত্র ৩৩ বছর বয়সী এক সাবেক ডিজে। পরে সেনাবাহিনী গঠিত একটি ট্রানজিশনাল কাউন্সিল তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা করে। ২০১৮ সালে বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের বর্জিত এক ‘নির্বাচনে’ তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভেনেজুয়েলায় ‘অনন্ত যুদ্ধ শুরুর কৃত্রিম পরিস্থিতি’ তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ভেনেজুয়েলায় স্থল অভিযানের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ভেনেজুয়েলায় স্থল অভিযানের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাঁর এবং তাঁর দেশের বিরুদ্ধে এক ‘যুদ্ধ শুরুর কৃত্রিম পরিস্থিতি’ সাজাচ্ছে। তিনি এমন এক সময়ে এই কথা বললেন, যার আগে ওয়াশিংটন বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজটি পাঠিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের দিকে। একই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভেনেজুয়েলায় ‘স্থল অভিযানের’ ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর বিষয়টি লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতির বাড়ানোর মাধ্যমে বড় ধরনের উত্তেজনা উসকে দেওয়ার পরিস্থিতি নির্দেশ করছে। জল্পনা চলছে—ওয়াশিংটন হয়তো ভেনেজুয়েলার সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করছে।

স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে মাদুরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ‘এক নতুন চিরস্থায়ী যুদ্ধ তৈরি করছে।’ আর ঠিক তার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ভেনেজুয়েলা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এই রণতরী একসঙ্গে ৯০টি বিমান ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার বহন করতে পারে।

ট্রাম্প কোনো প্রমাণ না দিয়েই মাদুরোকে ভেনেজুয়েলাভিত্তিক অপরাধচক্র ত্রেন দে আরাগুয়ার নেতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। জবাবে মাদুরো বলেন, ‘তারা এক বিকৃত জাল গল্প বানাচ্ছে—একটি অশালীন, অপরাধপ্রবণ ও সম্পূর্ণ ভুয়া বর্ণনার গল্প। ভেনেজুয়েলা এমন একটি দেশ, যেখানে কোকা পাতা উৎপন্নই হয় না।’

ত্রেন দে আরাগুয়া মূলত ভেনেজুয়েলার একটি কারাগার থেকে গড়ে ওঠা অপরাধী চক্র। বৈশ্বিক মাদক পাচারে এই গ্যাংয়ের কোনো ভূমিকা নেই; বরং এটি খুন, চাঁদাবাজি ও মানবপাচারের মতো অপরাধে জড়িত।

গত বছর ভেনেজুয়েলায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে মাদুরোকে ব্যাপকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ তার পদত্যাগের দাবি তুলেছে। এদিকে, অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বাড়ছে। ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএ-এর অভিযান অনুমোদন করেছেন এবং দেশটিতে অবস্থিত কথিত মাদকচক্রের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান বিবেচনা করছেন।

গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী দশটি নৌকায় বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে আটটি হামলা হয়েছে ক্যারিবীয় সাগরে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এসব নৌকা দেশে মাদক পাচারে জড়িত ছিল। এসব হামলায় অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছে।

ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদরিনো লোপেজ শনিবার জানান, দেশটি উপকূল রক্ষার জন্য সামরিক মহড়া পরিচালনা করছে, যাতে কোনো ‘গোপন অভিযান’ প্রতিহত করা যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা ৭২ ঘণ্টা আগে শুরু করা উপকূল প্রতিরক্ষা মহড়া চালাচ্ছি—যাতে আমরা শুধু বড় সামরিক হুমকি নয়, মাদক পাচার, সন্ত্রাসবাদ ও অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা তৈরির গোপন অভিযান থেকেও নিজেদের রক্ষা করতে পারি।’

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ভেনেজুয়েলার সৈন্যরা নয়টি উপকূলীয় রাজ্যে মোতায়েন রয়েছে এবং মাদুরোর বেসামরিক মিলিশিয়ার এক সদস্যের হাতে রুশ তৈরি ইগলা-এস কাঁধে বহনযোগ্য বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। পাদরিনো বলেন, ‘সিআইএ শুধু ভেনেজুয়েলায় নয়, সারা বিশ্বেই সক্রিয়। তারা যেকোনো অঞ্চল থেকে অসংখ্য সিআইএ-সম্পৃক্ত ইউনিট পাঠাতে পারে, কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।’

গত আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র আটটি নৌযান, দশটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন মোতায়েন করেছে কথিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে। তবে কারাকাসের দাবি, এই কর্মকাণ্ড আসলে সরকার উৎখাতের ছদ্মবেশী পরিকল্পনা।

শনিবার মাদুরো জানান, তিনি বিরোধী রাজনীতিক লিওপোলদো লোপেজের নাগরিকত্ব বাতিল ও পাসপোর্ট জব্দের জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তাঁর অভিযোগ, লোপেজ দেশটিতে বিদেশি আগ্রাসনকে উৎসাহিত করছেন। ২০২০ সাল থেকে স্পেনে নির্বাসিত লোপেজ প্রকাশ্যে ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ পাঠানো এবং মাদকবাহী জাহাজে হামলার সমর্থন করেছেন।

২০১৪ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার পর লোপেজ তিন বছরের বেশি সময় কারাগারে ছিলেন। পরে তাকে ১৩ বছরেরও বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয় ‘ষড়যন্ত্র ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার’ অভিযোগে। পরে তাঁকে গৃহবন্দী করা হয়, এবং ২০২০ সালে সামরিক সহায়তায় মুক্তি পেয়ে দেশত্যাগ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আরও এক শান্তিচুক্তির সাফল্য ট্রাম্পের, এবার থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ট্রাম্পের উপস্থিতিতে বর্ধিত শান্তিচুক্তিতে সই করেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল (মাঝে) ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত  (বামে)। ছবি: এএফপি
ট্রাম্পের উপস্থিতিতে বর্ধিত শান্তিচুক্তিতে সই করেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল (মাঝে) ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত (বামে)। ছবি: এএফপি

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্প এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবতরণ করেন আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে এবং এর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বৈঠকও তত্ত্বাবধান করবেন তিনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ‘Delivering Peace’—লেখা একটি ব্যানারের সামনে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এটি তিন মাস আগে হওয়া এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নতুন এক সমঝোতা। এ সময় সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন।

হুন মানেত বলেন, ‘এই ঘোষণা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে এটি স্থায়ী শান্তির ভিত্তি তৈরি করবে। কিন্তু আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো—এটি দুই দেশের সম্পর্ক মেরামতের প্রক্রিয়া শুরু করবে। আমাদের সীমান্তের মানুষগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংঘাতে বিভক্ত, আর নিরীহ বেসামরিক নাগরিকেরা ভীষণ ক্ষতির মুখে পড়েছে।’

গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই দেশের তৎকালীন নেতাদের ফোন করে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং সতর্ক করেন—যুদ্ধ চলতে থাকলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত হতে পারে। ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও সহযোগিতা চালাবে, যতক্ষণ তারা শান্তিতে থাকে।’

দুই পক্ষই একে অপরকে অভিযুক্ত করছে রকেট ও ভারী গোলা বিনিময়ের দায়ে। এই সংঘাতে অন্তত ৪৮ জন নিহত ও প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন আরেকটু হলেই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত হতে যাচ্ছিলেন। কারণ, গত শুক্রবার দেশটির সাবেক রানি মা সিরিকিতের মৃত্যু হয়। তবে পরে তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অনুতিন বলেন, ‘দুই দেশই সীমান্ত এলাকা থেকে ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেবে, যাতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’ একই সঙ্গে থাইল্যান্ড ১৮ জন আটক কম্বোডিয়ার সেনাকে মুক্তি দেবে বলেও ঘোষণা দেন অনুতিন।

মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর ট্রাম্পকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী নৃত্যশিল্পীরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। ট্রাম্প লালগালিচায় তাঁদের সঙ্গে নাচেন, এক হাতে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা এবং অন্য হাতে মালয়েশিয়ার পতাকা তুলে ধরেন। এরপর আনোয়ারের সঙ্গে তিনি লিমুজিনে করে শহরে প্রবেশ করেন।

ট্রাম্প যখন অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা সমান্তরাল বৈঠকে বসেন চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমনে। গতকাল শনিবার শুরু হওয়া বৈঠকে ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্য আলোচক জেমিসন গ্রিয়ার বলেন, আলোচনায় বিস্তৃত বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার মধ্যে বাণিজ্য শুল্কে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রসঙ্গও ছিল। গ্রিয়ার বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে নেতাদের বৈঠকটি খুব ফলপ্রসূ হতে যাচ্ছে।’

বিশ্বজুড়ে ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজের ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ওয়াশিংটন সরবরাহ শৃঙ্খল বৈচিত্র্যময় করতে চায়। যুদ্ধবিরতি অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র খুব শিগগিরই থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ বিষয়ে চুক্তি করবে। পাশাপাশি কম্বোডিয়ার সঙ্গে একটি বৃহত্তর বাণিজ্য চুক্তির কথাও চলছে।

রোববার পরে তিনি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। লুলা যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ককে ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ বলে আখ্যা দিয়ে তা কমানোর অনুরোধ জানাবেন। তাঁর দাবি, গত ১৫ বছরে ব্রাজিলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ৪১০ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকটি বাতিল হয়েছে। ট্রাম্প শনিবার ঘোষণা দেন, কানাডার পণ্যের ওপর বিদ্যমান শুল্কের অতিরিক্ত আরও ১০ শতাংশ বাড়ানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আসিয়ানের এগারোতম সদস্য পূর্ব তিমুর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
কুয়ালালামপুরে পূর্ব তিমুরকে আনুষ্ঠানিকভাবে আসিয়ানের সদস্যের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ছবি: এএফপি
কুয়ালালামপুরে পূর্ব তিমুরকে আনুষ্ঠানিকভাবে আসিয়ানের সদস্যের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ছবি: এএফপি

এশিয়ার সবচেয়ে নবীন রাষ্ট্র পূর্ব তিমুর আজ রোববার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের ১১ তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যুক্ত হয়েছে। পর্তুগিজ শাসনের সময় প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট অর্থনৈতিক মুক্তি ও আঞ্চলিক জোটভুক্ত হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার পূর্ণতা মিলল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ১৪ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর পূর্ব তিমুরের আসিয়ানে অন্তর্ভুক্তি বাস্তবায়িত হলো। যদিও এই সদস্যপদকে কোনো বড় পরিবর্তনের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না, তবুও এটি দেশটির প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা এবং প্রধানমন্ত্রী জানানা গুসমাওয়ের জন্য এক প্রতীকী বিজয়। এই দুজনই যারা দেশটির স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক।

আজ রোববার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আয়োজিত আসিয়ানের বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে পূর্ব তিমুরের পতাকা মঞ্চে স্থাপন করা হলে করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো হল। এভাবেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় তাদের নতুন অধ্যায়।

প্রধানমন্ত্রী জানান গুসমাও এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে দেশের জন্য এক নতুন সূচনা হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই নতুন সূচনা দেশটিকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ‘অসীম সুযোগ’ এনে দেবে।

তিমুর-লেস্তে নামেও পরিচিত এই দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। এটি এশিয়ার দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি। প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশটি এখন আশা করছে, আসিয়ানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অন্তর্ভুক্ত অর্থনৈতিক কাঠামোর সুবিধা পাবে—যার মোট আকার ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার।

গুসমাও বলেন, ‘তিমুর-লেস্তের জনগণের জন্য এটি শুধু একটি স্বপ্নপূরণ নয়, বরং আমাদের দীর্ঘ যাত্রার এক শক্তিশালী স্বীকৃতি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যোগদান আমাদের জাতির মানসিকতার প্রমাণ—একটি নবীন গণতন্ত্র, যা জন্ম নিয়েছে সংগ্রামের ভেতর থেকে। এটি কোনো যাত্রার সমাপ্তি নয়।’

তিন শতাব্দী ধরে পর্তুগালের শাসনে থাকা পূর্ব তিমুর ১৯৭৫ সালে হঠাৎ করে স্বাধীন হয়, তবে পরে দেশটি প্রতিবেশী ইন্দোনেশিয়ার দখলে চলে যায়। দীর্ঘ ও রক্তাক্ত সংগ্রামের পর ২০০২ সালে দেশটি পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৯৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ৭৫ বছর বয়সী রামোস-হোর্তা ১৯৭০-এর দশকেই পূর্ব তিমুরকে আসিয়ানে যুক্ত করার ধারণা তোলেন, যেন আঞ্চলিক সংহতির মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা যায়।

গত সেপ্টেম্বর চ্যানেল নিউজ এশিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রামোস-হোর্তা বলেন, পূর্ব তিমুরকে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে এবং আসিয়ানের ওপর কোনো বোঝা হয়ে ওঠা চলবে না। বরং সীমান্তবিরোধ বা দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিরোধের মতো বিষয়গুলোয় নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে জোটকে সহায়তা করতে পারে দেশটি।

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা যদি আসিয়ানের সংঘাত-নিরসন প্রক্রিয়াগুলোকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখতে পারি, সেটাই হবে মূল বিষয়। আসিয়ানের প্রতিটি দেশেই আমরা আলোচনার সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিতে পারি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত