Ajker Patrika

গাজায় যুদ্ধবিরতি অর্জনে একমাত্র বাধা ফিলাডেলফি করিডর 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১: ২৯
Thumbnail image

দিন কয়েক আগেই যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আছে সামান্যই। এবার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী ও গাজার নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, এখন যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-বন্দী বিনিময়ের চুক্তি অর্জনের ক্ষেত্রে একমাত্র বাধা ফিলাডেলফি করিডর। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের এক শীর্ষ নেতা আল-মায়েদিনকে জানিয়েছেন, দখলদার ইসরায়েল চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ফিলাডেলফি করিডর থেকে সেনা প্রত্যাহার না করার বিষয়ে অনড়। দেশটি দ্বিতীয় পর্যায়ে সেনা প্রত্যাহার করার ইচ্ছা পোষণ করছে। তিনি বলেন, হামাস চুক্তি অনুসারে প্রথম পর্যায়ের ৪২ দিনের দখলদার বাহিনীকে গাজায় থাকার অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। 

হামাসের ওই নেতা আরও জানান, মধ্যস্থতাকারীরা চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ফিলাডেলফি করিডর থেকে ধীরে ধীরে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করার জন্য ইসরায়েলের কাছে প্রস্তাব পেশ করেছিল। কিন্তু, ইসরায়েল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান বজায় রেখেছে। 

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলাডেলফি করিডরে ইসরায়েলি বাহিনী রাখার বিষয়ে তাঁর জেদে অটল থাকলেও জনমত বলছে ভিন্ন কথা। এক জনমত জরিপে প্রকাশিত হয়েছে, ৪৮ শতাংশ ইসরায়েলি হামাসের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তির সুবিধার্থে ফিলাডেলফি থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি সমর্থন করেন। 

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার হামাসের উপপ্রধান খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, হামাস মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাব ও গাজা উপত্যকা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের পর চুক্তির যে খসড়া হয়েছে তার প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। তিনি বলেন, ‘হামাসের জন্য কোনো দলের কাছ থেকে কোনো নতুন নথি বা প্রস্তাবের প্রয়োজন নেই। তবে ইসরায়েলকে অবশ্যই তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে বাধ্য করতে হবে।’ 

খলিল আল-হাইয়া আরও বলেন, যেকোনো চুক্তিতে অবশ্যই আগ্রাসন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে এবং ফিলাডেলফি করিডর ও রাফাহ ক্রসিংসহ গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া মানবিক সহায়তার নিশ্চয়তাসহ ‘কোনো পরিদর্শন’ ছাড়াই বাস্তুচ্যুত লোকদের নিজ বাড়িতে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে হবে এবং বন্দী বিনিময় চুক্তির দিকে অগ্রসর ও গাজা উপত্যকার পুনর্গঠন নিশ্চিত করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত