আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ছবিতে যে স্থানটি দেখতে পাচ্ছেন স্থানীয়ভাবে এটি পরিচিত জাবালে মুসা নামে। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই নবী মুসা (আ.)-এর সঙ্গে কথা বলেছিলেন আল্লাহ। পবিত্র কোরআন আর বাইবেলে বর্ণনা এমনি। এ ছাড়া, ষষ্ঠ শতকের সেন্ট ক্যাথেরিন মঠও এখানে অবস্থিত। এটি পরিচালনা করে গ্রিক অর্থোডক্স চার্চ।
বাংলাদেশে অনেকের কাছে তুর পাহাড় নামে পরিচিত হলেও এর প্রকৃত নাম সিনাই পর্বত। আরবিতে যেটিকে বলা হয় তুরে সিনাই। আরবিতে তুরের অর্থ পাহাড়। বিশেষ ধর্মীয় গুরুত্বের কারণে এই স্থানের আলাদা আবেদন রয়েছে মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদীদের কাছে। যে কারণে, সারা বছরই এখানে এই তিন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের আনাগোনা থাকে।
তবে, সম্প্রতি তিন ধর্মের অন্যতম এই তীর্থস্থানে একটি বৃহৎ পর্যটন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মিসর। এ নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থানটিতে এখন গড়ে উঠছে বিলাসবহুল হোটেল, ভিলা এবং মার্কেট।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্থানে জেবেলিয়া নামক এক বেদুইন সম্পদায়ের বসবাস। বিলাসবহুল হোটেল ও মার্কেট নির্মাণের লক্ষ্যে এরই মধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে তাদের অনেকের বাড়ি-ঘর। অভিযোগ রয়েছে, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা বা কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। আরও গুরুতর অভিযোগ হলো—সমাধিস্থল থেকে স্বজনদের মরদেহও তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে।

সিনাইয়ের আদি বাসিন্দাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ব্রিটিশ লেখক বেন হফলার। তাঁর মতে, এই প্রকল্পকে দেশের জন্য একটি প্রয়োজনীয় ও টেকসই উন্নয়ন হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তবে, এই প্রকল্পের জন্য উচ্ছেদ হতে হচ্ছে স্থানীয়দের। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় জেবেলিয়া গোষ্ঠীর কাছে এটি উন্নয়ন নয়। তাঁরা কখোনো এটা চাননি। এটা তাঁদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিকল্পনায় স্থানীয়দের চেয়ে বহিরাগতদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এতে স্থানীয়দের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, সিনাইয়ে প্রায় ৪ হাজার জেবেলিয়া বেদুইনের বসবাস। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে যা হচ্ছে তা নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে সরাসরি মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা।
এখন পর্যন্ত মিসরের এই পরিকল্পনা নিয়ে সবচেয়ে সরব অবস্থান নিয়েছে গ্রিস। সেন্ট ক্যাথরিন মঠের সঙ্গে দেশটির ঐতিহাসিক সম্পর্কই এর মূল কারণ।
চলতি বছরের মে মাসে একটি মিসরীয় আদালত রায় দেয়, বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সক্রিয় খ্রিস্টান মঠ সেন্ট ক্যাথরিন রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে অবস্থিত। কয়েক দশক ধরে চলা বিরোধের পর বিচারকেরা বলেন, মঠটির জমি ও আশপাশে ছড়িয়ে থাকা ধর্মীয়-পুরাতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলো ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও সেগুলোর মালিকানা মঠের নয়।
এ রায়ের পর থেকেই কায়রো ও এথেন্সের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। গ্রিসের চার্চ প্রধান আর্চবিশপ দ্বিতীয় ইয়েরোনিমোস এ রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘মঠের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও দখল করা হচ্ছে। অর্থোডক্স খ্রিস্টান ধর্ম ও হেলেনিজমের (গ্রিক ধর্ম) এই আধ্যাত্মিক বাতিঘরের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে।’
এক বিরল সাক্ষাৎকারে সেন্ট ক্যাথরিনের দীর্ঘদিনের আর্চবিশপ দামিয়ানোস গ্রিক একটি সংবাদপত্রকে বলেন, এই রায় তাঁদের জন্য ‘ভয়াবহ আঘাত এবং লজ্জার বিষয়’। এই ইস্যুতে তাঁর অবস্থান মঠের সন্ন্যাসীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে। এ কারণে, সম্প্রতি তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স প্যাট্রিয়ার্কেট জানিয়েছে, পবিত্র এই স্থানের ধর্মীয় এখতিয়ার তাঁদের হাতে এবং এর জন্য নবী মুহাম্মদ (সা.) নিজেই একটি সুরক্ষা চিঠি দিয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, বাইজেন্টাইন আমলের এই মঠের মধ্যে ফাতেমি যুগে নির্মিত একটি ছোট মসজিদও রয়েছে। এটি খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে সম্প্রীতি ও শান্তির প্রতীক। এটি যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবীর জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল।’
যদিও আদালতের বিতর্কিত রায় এখনো বহাল আছে। তবে, কূটনৈতিক তৎপরতার পর শেষ পর্যন্ত গ্রিস ও মিশর যৌথভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে সেন্ট ক্যাথরিন মঠের গ্রিক অর্থোডক্স পরিচয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষিত রাখা হবে।

পর্যটন খাতকে ঘিরে বড় ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা হিসেবে মিশর ২০২১ সালে শুরু করে গ্রেট ট্রান্সফিগারেশন প্রকল্প। এ পরিকল্পনায় নতুন হোটেল, ইকো-লজ, একটি বড় ভিজিটর সেন্টার, নিকটবর্তী ছোট বিমানবন্দর সম্প্রসারণ এবং সিনাই পর্বতে উঠতে ক্যাবল কার নির্মাণের কথা বলা হয়েছে।
সরকার এই প্রকল্পকে প্রচার করছে ‘পুরো বিশ্ব ও সব ধর্মের জন্য মিশরের উপহার’ হিসেবে।
তবে অর্থসংকটের কারণে কাজ আপাতত কিছুটা থেমে আছে বলে ধারণা করা হলেও সেন্ট ক্যাথরিন মঠের সামনে আল-রাহা সমভূমি ইতিমধ্যেই পাল্টে গেছে। সেখানে নতুন রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। বলা হয়ে থাকে, আল্লাহর ডাকে নবী মুসা (আ.) যখন সিনাই পর্বতে ৪০ দিন অবস্থান করেছিলেন, তখন ইসরায়েলিরা এই স্থানেই তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। সমালোচকদের মতে, এই নির্মাণকাজে এলাকার বিশেষ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যাচ্ছে।
ইউনেসকো বলেছে, দুর্গম পাহাড়ি প্রাকৃতিক দৃশ্যপট মঠের জন্য এক অনন্য পটভূমি তৈরি করেছে। এখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য ও নিঃসঙ্গতার সঙ্গে মানুষের আধ্যাত্মিকতার এক গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ২০২৩ সালেই ইউনেসকো মিশরকে উন্নয়নকাজ থামানোর, প্রকল্পের প্রভাব যাচাই করার এবং সংরক্ষণ পরিকল্পনা করার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু এখনো তা কার্যকর হয়নি।
গত জুলাইয়ে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ওয়াচ একটি খোলা চিঠি দিয়ে ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটিকে অনুরোধ করে, সেন্ট ক্যাথেরিন এলাকাকে যেন বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ব্রিটেনের রাজা চার্লসের কাছেও আবেদন গেছে। তিনি সেন্ট ক্যাথেরিন ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষক।
মিশরে বিশাল উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা নতুন নয়। অনেক সময়ই অভিযোগ ওঠে—এসব পরিকল্পনায় দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি যথেষ্ট সংবেদনশীলতা দেখানো হয় না। তবে সরকারের দাবি, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে হলে এমন প্রকল্পই সবচেয়ে জরুরি।
কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে যখন মিশরের পর্যটন খাত ধীরে ধীরে পুনরুজ্জীবিত হচ্ছিল, তখন গাজার যুদ্ধ আর নতুন করে তৈরি হওয়া আঞ্চলিক অস্থিরতা আবারও বড় আঘাত হানে। তবুও সরকার ২০২৮ সালের মধ্যে ৩ কোটি পর্যটক টানার লক্ষ্য ঘোষণা করেছে।
সিনাই উপদ্বীপে বছরের পর বছর ধরে স্থানীয় বেদুইনদের মতামত না নিয়েই নানা উন্নয়ন কাজ চালানো হয়েছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে অঞ্চলটি ইসরায়েলের দখলে গিয়েছিল। ১৯৭৯ সালে শান্তিচুক্তির পর তা ফের মিশরের হাতে এলেও বেদুইনদের অভিযোগ—তাদের এখনও দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বলে মনে করে সরকার।
১৯৮০-এর দশকেই স্থানীয়দের উচ্ছেদ করে লোহিত সাগরের তীরে শার্ম আল-শেখসহ নানা রিসোর্ট শহর গড়ে ওঠে।
হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে টিকে আছে সেন্ট ক্যাথেরিন মঠ। শুরুর দিকে নির্জন স্থান থাকলেও লোহিত সাগরজুড়ে পর্যটন জমে উঠেছে। কেউ আসে মুসা (আ.) নবীর সঙ্গে আল্লাহর কথোপকথনের নিদর্শন সেই ‘জ্বলন্ত ঝোপ’-এর ধ্বংসাবশেষ দেখতে, কেউ দেখতে চায় কোডেক্স সিনাইটিকাস, যেটি নিউ টেস্টামেন্টের (খ্রিষ্টান বাইবেল) সর্বপ্রাচীন হাতে লেখা কপি।

ছবিতে যে স্থানটি দেখতে পাচ্ছেন স্থানীয়ভাবে এটি পরিচিত জাবালে মুসা নামে। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই নবী মুসা (আ.)-এর সঙ্গে কথা বলেছিলেন আল্লাহ। পবিত্র কোরআন আর বাইবেলে বর্ণনা এমনি। এ ছাড়া, ষষ্ঠ শতকের সেন্ট ক্যাথেরিন মঠও এখানে অবস্থিত। এটি পরিচালনা করে গ্রিক অর্থোডক্স চার্চ।
বাংলাদেশে অনেকের কাছে তুর পাহাড় নামে পরিচিত হলেও এর প্রকৃত নাম সিনাই পর্বত। আরবিতে যেটিকে বলা হয় তুরে সিনাই। আরবিতে তুরের অর্থ পাহাড়। বিশেষ ধর্মীয় গুরুত্বের কারণে এই স্থানের আলাদা আবেদন রয়েছে মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদীদের কাছে। যে কারণে, সারা বছরই এখানে এই তিন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের আনাগোনা থাকে।
তবে, সম্প্রতি তিন ধর্মের অন্যতম এই তীর্থস্থানে একটি বৃহৎ পর্যটন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মিসর। এ নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থানটিতে এখন গড়ে উঠছে বিলাসবহুল হোটেল, ভিলা এবং মার্কেট।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্থানে জেবেলিয়া নামক এক বেদুইন সম্পদায়ের বসবাস। বিলাসবহুল হোটেল ও মার্কেট নির্মাণের লক্ষ্যে এরই মধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে তাদের অনেকের বাড়ি-ঘর। অভিযোগ রয়েছে, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা বা কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। আরও গুরুতর অভিযোগ হলো—সমাধিস্থল থেকে স্বজনদের মরদেহও তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে।

সিনাইয়ের আদি বাসিন্দাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ব্রিটিশ লেখক বেন হফলার। তাঁর মতে, এই প্রকল্পকে দেশের জন্য একটি প্রয়োজনীয় ও টেকসই উন্নয়ন হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তবে, এই প্রকল্পের জন্য উচ্ছেদ হতে হচ্ছে স্থানীয়দের। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় জেবেলিয়া গোষ্ঠীর কাছে এটি উন্নয়ন নয়। তাঁরা কখোনো এটা চাননি। এটা তাঁদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিকল্পনায় স্থানীয়দের চেয়ে বহিরাগতদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এতে স্থানীয়দের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, সিনাইয়ে প্রায় ৪ হাজার জেবেলিয়া বেদুইনের বসবাস। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে যা হচ্ছে তা নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে সরাসরি মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা।
এখন পর্যন্ত মিসরের এই পরিকল্পনা নিয়ে সবচেয়ে সরব অবস্থান নিয়েছে গ্রিস। সেন্ট ক্যাথরিন মঠের সঙ্গে দেশটির ঐতিহাসিক সম্পর্কই এর মূল কারণ।
চলতি বছরের মে মাসে একটি মিসরীয় আদালত রায় দেয়, বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সক্রিয় খ্রিস্টান মঠ সেন্ট ক্যাথরিন রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে অবস্থিত। কয়েক দশক ধরে চলা বিরোধের পর বিচারকেরা বলেন, মঠটির জমি ও আশপাশে ছড়িয়ে থাকা ধর্মীয়-পুরাতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলো ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও সেগুলোর মালিকানা মঠের নয়।
এ রায়ের পর থেকেই কায়রো ও এথেন্সের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। গ্রিসের চার্চ প্রধান আর্চবিশপ দ্বিতীয় ইয়েরোনিমোস এ রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘মঠের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও দখল করা হচ্ছে। অর্থোডক্স খ্রিস্টান ধর্ম ও হেলেনিজমের (গ্রিক ধর্ম) এই আধ্যাত্মিক বাতিঘরের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে।’
এক বিরল সাক্ষাৎকারে সেন্ট ক্যাথরিনের দীর্ঘদিনের আর্চবিশপ দামিয়ানোস গ্রিক একটি সংবাদপত্রকে বলেন, এই রায় তাঁদের জন্য ‘ভয়াবহ আঘাত এবং লজ্জার বিষয়’। এই ইস্যুতে তাঁর অবস্থান মঠের সন্ন্যাসীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে। এ কারণে, সম্প্রতি তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স প্যাট্রিয়ার্কেট জানিয়েছে, পবিত্র এই স্থানের ধর্মীয় এখতিয়ার তাঁদের হাতে এবং এর জন্য নবী মুহাম্মদ (সা.) নিজেই একটি সুরক্ষা চিঠি দিয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, বাইজেন্টাইন আমলের এই মঠের মধ্যে ফাতেমি যুগে নির্মিত একটি ছোট মসজিদও রয়েছে। এটি খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে সম্প্রীতি ও শান্তির প্রতীক। এটি যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবীর জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল।’
যদিও আদালতের বিতর্কিত রায় এখনো বহাল আছে। তবে, কূটনৈতিক তৎপরতার পর শেষ পর্যন্ত গ্রিস ও মিশর যৌথভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে সেন্ট ক্যাথরিন মঠের গ্রিক অর্থোডক্স পরিচয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষিত রাখা হবে।

পর্যটন খাতকে ঘিরে বড় ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা হিসেবে মিশর ২০২১ সালে শুরু করে গ্রেট ট্রান্সফিগারেশন প্রকল্প। এ পরিকল্পনায় নতুন হোটেল, ইকো-লজ, একটি বড় ভিজিটর সেন্টার, নিকটবর্তী ছোট বিমানবন্দর সম্প্রসারণ এবং সিনাই পর্বতে উঠতে ক্যাবল কার নির্মাণের কথা বলা হয়েছে।
সরকার এই প্রকল্পকে প্রচার করছে ‘পুরো বিশ্ব ও সব ধর্মের জন্য মিশরের উপহার’ হিসেবে।
তবে অর্থসংকটের কারণে কাজ আপাতত কিছুটা থেমে আছে বলে ধারণা করা হলেও সেন্ট ক্যাথরিন মঠের সামনে আল-রাহা সমভূমি ইতিমধ্যেই পাল্টে গেছে। সেখানে নতুন রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। বলা হয়ে থাকে, আল্লাহর ডাকে নবী মুসা (আ.) যখন সিনাই পর্বতে ৪০ দিন অবস্থান করেছিলেন, তখন ইসরায়েলিরা এই স্থানেই তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। সমালোচকদের মতে, এই নির্মাণকাজে এলাকার বিশেষ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যাচ্ছে।
ইউনেসকো বলেছে, দুর্গম পাহাড়ি প্রাকৃতিক দৃশ্যপট মঠের জন্য এক অনন্য পটভূমি তৈরি করেছে। এখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য ও নিঃসঙ্গতার সঙ্গে মানুষের আধ্যাত্মিকতার এক গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ২০২৩ সালেই ইউনেসকো মিশরকে উন্নয়নকাজ থামানোর, প্রকল্পের প্রভাব যাচাই করার এবং সংরক্ষণ পরিকল্পনা করার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু এখনো তা কার্যকর হয়নি।
গত জুলাইয়ে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ওয়াচ একটি খোলা চিঠি দিয়ে ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটিকে অনুরোধ করে, সেন্ট ক্যাথেরিন এলাকাকে যেন বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ব্রিটেনের রাজা চার্লসের কাছেও আবেদন গেছে। তিনি সেন্ট ক্যাথেরিন ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষক।
মিশরে বিশাল উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা নতুন নয়। অনেক সময়ই অভিযোগ ওঠে—এসব পরিকল্পনায় দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি যথেষ্ট সংবেদনশীলতা দেখানো হয় না। তবে সরকারের দাবি, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে হলে এমন প্রকল্পই সবচেয়ে জরুরি।
কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে যখন মিশরের পর্যটন খাত ধীরে ধীরে পুনরুজ্জীবিত হচ্ছিল, তখন গাজার যুদ্ধ আর নতুন করে তৈরি হওয়া আঞ্চলিক অস্থিরতা আবারও বড় আঘাত হানে। তবুও সরকার ২০২৮ সালের মধ্যে ৩ কোটি পর্যটক টানার লক্ষ্য ঘোষণা করেছে।
সিনাই উপদ্বীপে বছরের পর বছর ধরে স্থানীয় বেদুইনদের মতামত না নিয়েই নানা উন্নয়ন কাজ চালানো হয়েছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে অঞ্চলটি ইসরায়েলের দখলে গিয়েছিল। ১৯৭৯ সালে শান্তিচুক্তির পর তা ফের মিশরের হাতে এলেও বেদুইনদের অভিযোগ—তাদের এখনও দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বলে মনে করে সরকার।
১৯৮০-এর দশকেই স্থানীয়দের উচ্ছেদ করে লোহিত সাগরের তীরে শার্ম আল-শেখসহ নানা রিসোর্ট শহর গড়ে ওঠে।
হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে টিকে আছে সেন্ট ক্যাথেরিন মঠ। শুরুর দিকে নির্জন স্থান থাকলেও লোহিত সাগরজুড়ে পর্যটন জমে উঠেছে। কেউ আসে মুসা (আ.) নবীর সঙ্গে আল্লাহর কথোপকথনের নিদর্শন সেই ‘জ্বলন্ত ঝোপ’-এর ধ্বংসাবশেষ দেখতে, কেউ দেখতে চায় কোডেক্স সিনাইটিকাস, যেটি নিউ টেস্টামেন্টের (খ্রিষ্টান বাইবেল) সর্বপ্রাচীন হাতে লেখা কপি।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ছবিতে যে স্থানটি দেখতে পাচ্ছেন স্থানীয়ভাবে এটি পরিচিত জাবালে মুসা নামে। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই নবী মুসা (আ.)-এর সঙ্গে কথা বলেছিলেন আল্লাহ। পবিত্র কোরআন আর বাইবেলে বর্ণনা এমনি। এ ছাড়া, ষষ্ঠ শতকের সেন্ট ক্যাথেরিন মঠও এখানে অবস্থিত। এটি পরিচালনা করে গ্রিক অর্থোডক্স চার্চ।
বাংলাদেশে অনেকের কাছে তুর পাহাড় নামে পরিচিত হলেও এর প্রকৃত নাম সিনাই পর্বত। আরবিতে যেটিকে বলা হয় তুরে সিনাই। আরবিতে তুরের অর্থ পাহাড়। বিশেষ ধর্মীয় গুরুত্বের কারণে এই স্থানের আলাদা আবেদন রয়েছে মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদীদের কাছে। যে কারণে, সারা বছরই এখানে এই তিন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের আনাগোনা থাকে।
তবে, সম্প্রতি তিন ধর্মের অন্যতম এই তীর্থস্থানে একটি বৃহৎ পর্যটন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মিসর। এ নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থানটিতে এখন গড়ে উঠছে বিলাসবহুল হোটেল, ভিলা এবং মার্কেট।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্থানে জেবেলিয়া নামক এক বেদুইন সম্পদায়ের বসবাস। বিলাসবহুল হোটেল ও মার্কেট নির্মাণের লক্ষ্যে এরই মধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে তাদের অনেকের বাড়ি-ঘর। অভিযোগ রয়েছে, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা বা কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। আরও গুরুতর অভিযোগ হলো—সমাধিস্থল থেকে স্বজনদের মরদেহও তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে।

সিনাইয়ের আদি বাসিন্দাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ব্রিটিশ লেখক বেন হফলার। তাঁর মতে, এই প্রকল্পকে দেশের জন্য একটি প্রয়োজনীয় ও টেকসই উন্নয়ন হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তবে, এই প্রকল্পের জন্য উচ্ছেদ হতে হচ্ছে স্থানীয়দের। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় জেবেলিয়া গোষ্ঠীর কাছে এটি উন্নয়ন নয়। তাঁরা কখোনো এটা চাননি। এটা তাঁদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিকল্পনায় স্থানীয়দের চেয়ে বহিরাগতদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এতে স্থানীয়দের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, সিনাইয়ে প্রায় ৪ হাজার জেবেলিয়া বেদুইনের বসবাস। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে যা হচ্ছে তা নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে সরাসরি মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা।
এখন পর্যন্ত মিসরের এই পরিকল্পনা নিয়ে সবচেয়ে সরব অবস্থান নিয়েছে গ্রিস। সেন্ট ক্যাথরিন মঠের সঙ্গে দেশটির ঐতিহাসিক সম্পর্কই এর মূল কারণ।
চলতি বছরের মে মাসে একটি মিসরীয় আদালত রায় দেয়, বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সক্রিয় খ্রিস্টান মঠ সেন্ট ক্যাথরিন রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে অবস্থিত। কয়েক দশক ধরে চলা বিরোধের পর বিচারকেরা বলেন, মঠটির জমি ও আশপাশে ছড়িয়ে থাকা ধর্মীয়-পুরাতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলো ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও সেগুলোর মালিকানা মঠের নয়।
এ রায়ের পর থেকেই কায়রো ও এথেন্সের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। গ্রিসের চার্চ প্রধান আর্চবিশপ দ্বিতীয় ইয়েরোনিমোস এ রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘মঠের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও দখল করা হচ্ছে। অর্থোডক্স খ্রিস্টান ধর্ম ও হেলেনিজমের (গ্রিক ধর্ম) এই আধ্যাত্মিক বাতিঘরের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে।’
এক বিরল সাক্ষাৎকারে সেন্ট ক্যাথরিনের দীর্ঘদিনের আর্চবিশপ দামিয়ানোস গ্রিক একটি সংবাদপত্রকে বলেন, এই রায় তাঁদের জন্য ‘ভয়াবহ আঘাত এবং লজ্জার বিষয়’। এই ইস্যুতে তাঁর অবস্থান মঠের সন্ন্যাসীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে। এ কারণে, সম্প্রতি তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স প্যাট্রিয়ার্কেট জানিয়েছে, পবিত্র এই স্থানের ধর্মীয় এখতিয়ার তাঁদের হাতে এবং এর জন্য নবী মুহাম্মদ (সা.) নিজেই একটি সুরক্ষা চিঠি দিয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, বাইজেন্টাইন আমলের এই মঠের মধ্যে ফাতেমি যুগে নির্মিত একটি ছোট মসজিদও রয়েছে। এটি খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে সম্প্রীতি ও শান্তির প্রতীক। এটি যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবীর জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল।’
যদিও আদালতের বিতর্কিত রায় এখনো বহাল আছে। তবে, কূটনৈতিক তৎপরতার পর শেষ পর্যন্ত গ্রিস ও মিশর যৌথভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে সেন্ট ক্যাথরিন মঠের গ্রিক অর্থোডক্স পরিচয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষিত রাখা হবে।

পর্যটন খাতকে ঘিরে বড় ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা হিসেবে মিশর ২০২১ সালে শুরু করে গ্রেট ট্রান্সফিগারেশন প্রকল্প। এ পরিকল্পনায় নতুন হোটেল, ইকো-লজ, একটি বড় ভিজিটর সেন্টার, নিকটবর্তী ছোট বিমানবন্দর সম্প্রসারণ এবং সিনাই পর্বতে উঠতে ক্যাবল কার নির্মাণের কথা বলা হয়েছে।
সরকার এই প্রকল্পকে প্রচার করছে ‘পুরো বিশ্ব ও সব ধর্মের জন্য মিশরের উপহার’ হিসেবে।
তবে অর্থসংকটের কারণে কাজ আপাতত কিছুটা থেমে আছে বলে ধারণা করা হলেও সেন্ট ক্যাথরিন মঠের সামনে আল-রাহা সমভূমি ইতিমধ্যেই পাল্টে গেছে। সেখানে নতুন রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। বলা হয়ে থাকে, আল্লাহর ডাকে নবী মুসা (আ.) যখন সিনাই পর্বতে ৪০ দিন অবস্থান করেছিলেন, তখন ইসরায়েলিরা এই স্থানেই তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। সমালোচকদের মতে, এই নির্মাণকাজে এলাকার বিশেষ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যাচ্ছে।
ইউনেসকো বলেছে, দুর্গম পাহাড়ি প্রাকৃতিক দৃশ্যপট মঠের জন্য এক অনন্য পটভূমি তৈরি করেছে। এখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য ও নিঃসঙ্গতার সঙ্গে মানুষের আধ্যাত্মিকতার এক গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ২০২৩ সালেই ইউনেসকো মিশরকে উন্নয়নকাজ থামানোর, প্রকল্পের প্রভাব যাচাই করার এবং সংরক্ষণ পরিকল্পনা করার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু এখনো তা কার্যকর হয়নি।
গত জুলাইয়ে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ওয়াচ একটি খোলা চিঠি দিয়ে ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটিকে অনুরোধ করে, সেন্ট ক্যাথেরিন এলাকাকে যেন বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ব্রিটেনের রাজা চার্লসের কাছেও আবেদন গেছে। তিনি সেন্ট ক্যাথেরিন ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষক।
মিশরে বিশাল উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা নতুন নয়। অনেক সময়ই অভিযোগ ওঠে—এসব পরিকল্পনায় দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি যথেষ্ট সংবেদনশীলতা দেখানো হয় না। তবে সরকারের দাবি, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে হলে এমন প্রকল্পই সবচেয়ে জরুরি।
কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে যখন মিশরের পর্যটন খাত ধীরে ধীরে পুনরুজ্জীবিত হচ্ছিল, তখন গাজার যুদ্ধ আর নতুন করে তৈরি হওয়া আঞ্চলিক অস্থিরতা আবারও বড় আঘাত হানে। তবুও সরকার ২০২৮ সালের মধ্যে ৩ কোটি পর্যটক টানার লক্ষ্য ঘোষণা করেছে।
সিনাই উপদ্বীপে বছরের পর বছর ধরে স্থানীয় বেদুইনদের মতামত না নিয়েই নানা উন্নয়ন কাজ চালানো হয়েছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে অঞ্চলটি ইসরায়েলের দখলে গিয়েছিল। ১৯৭৯ সালে শান্তিচুক্তির পর তা ফের মিশরের হাতে এলেও বেদুইনদের অভিযোগ—তাদের এখনও দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বলে মনে করে সরকার।
১৯৮০-এর দশকেই স্থানীয়দের উচ্ছেদ করে লোহিত সাগরের তীরে শার্ম আল-শেখসহ নানা রিসোর্ট শহর গড়ে ওঠে।
হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে টিকে আছে সেন্ট ক্যাথেরিন মঠ। শুরুর দিকে নির্জন স্থান থাকলেও লোহিত সাগরজুড়ে পর্যটন জমে উঠেছে। কেউ আসে মুসা (আ.) নবীর সঙ্গে আল্লাহর কথোপকথনের নিদর্শন সেই ‘জ্বলন্ত ঝোপ’-এর ধ্বংসাবশেষ দেখতে, কেউ দেখতে চায় কোডেক্স সিনাইটিকাস, যেটি নিউ টেস্টামেন্টের (খ্রিষ্টান বাইবেল) সর্বপ্রাচীন হাতে লেখা কপি।

ছবিতে যে স্থানটি দেখতে পাচ্ছেন স্থানীয়ভাবে এটি পরিচিত জাবালে মুসা নামে। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই নবী মুসা (আ.)-এর সঙ্গে কথা বলেছিলেন আল্লাহ। পবিত্র কোরআন আর বাইবেলে বর্ণনা এমনি। এ ছাড়া, ষষ্ঠ শতকের সেন্ট ক্যাথেরিন মঠও এখানে অবস্থিত। এটি পরিচালনা করে গ্রিক অর্থোডক্স চার্চ।
বাংলাদেশে অনেকের কাছে তুর পাহাড় নামে পরিচিত হলেও এর প্রকৃত নাম সিনাই পর্বত। আরবিতে যেটিকে বলা হয় তুরে সিনাই। আরবিতে তুরের অর্থ পাহাড়। বিশেষ ধর্মীয় গুরুত্বের কারণে এই স্থানের আলাদা আবেদন রয়েছে মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদীদের কাছে। যে কারণে, সারা বছরই এখানে এই তিন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের আনাগোনা থাকে।
তবে, সম্প্রতি তিন ধর্মের অন্যতম এই তীর্থস্থানে একটি বৃহৎ পর্যটন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মিসর। এ নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থানটিতে এখন গড়ে উঠছে বিলাসবহুল হোটেল, ভিলা এবং মার্কেট।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্থানে জেবেলিয়া নামক এক বেদুইন সম্পদায়ের বসবাস। বিলাসবহুল হোটেল ও মার্কেট নির্মাণের লক্ষ্যে এরই মধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে তাদের অনেকের বাড়ি-ঘর। অভিযোগ রয়েছে, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা বা কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। আরও গুরুতর অভিযোগ হলো—সমাধিস্থল থেকে স্বজনদের মরদেহও তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে।

সিনাইয়ের আদি বাসিন্দাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ব্রিটিশ লেখক বেন হফলার। তাঁর মতে, এই প্রকল্পকে দেশের জন্য একটি প্রয়োজনীয় ও টেকসই উন্নয়ন হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তবে, এই প্রকল্পের জন্য উচ্ছেদ হতে হচ্ছে স্থানীয়দের। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় জেবেলিয়া গোষ্ঠীর কাছে এটি উন্নয়ন নয়। তাঁরা কখোনো এটা চাননি। এটা তাঁদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিকল্পনায় স্থানীয়দের চেয়ে বহিরাগতদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এতে স্থানীয়দের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, সিনাইয়ে প্রায় ৪ হাজার জেবেলিয়া বেদুইনের বসবাস। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে যা হচ্ছে তা নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে সরাসরি মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা।
এখন পর্যন্ত মিসরের এই পরিকল্পনা নিয়ে সবচেয়ে সরব অবস্থান নিয়েছে গ্রিস। সেন্ট ক্যাথরিন মঠের সঙ্গে দেশটির ঐতিহাসিক সম্পর্কই এর মূল কারণ।
চলতি বছরের মে মাসে একটি মিসরীয় আদালত রায় দেয়, বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সক্রিয় খ্রিস্টান মঠ সেন্ট ক্যাথরিন রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে অবস্থিত। কয়েক দশক ধরে চলা বিরোধের পর বিচারকেরা বলেন, মঠটির জমি ও আশপাশে ছড়িয়ে থাকা ধর্মীয়-পুরাতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলো ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও সেগুলোর মালিকানা মঠের নয়।
এ রায়ের পর থেকেই কায়রো ও এথেন্সের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। গ্রিসের চার্চ প্রধান আর্চবিশপ দ্বিতীয় ইয়েরোনিমোস এ রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘মঠের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও দখল করা হচ্ছে। অর্থোডক্স খ্রিস্টান ধর্ম ও হেলেনিজমের (গ্রিক ধর্ম) এই আধ্যাত্মিক বাতিঘরের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে।’
এক বিরল সাক্ষাৎকারে সেন্ট ক্যাথরিনের দীর্ঘদিনের আর্চবিশপ দামিয়ানোস গ্রিক একটি সংবাদপত্রকে বলেন, এই রায় তাঁদের জন্য ‘ভয়াবহ আঘাত এবং লজ্জার বিষয়’। এই ইস্যুতে তাঁর অবস্থান মঠের সন্ন্যাসীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে। এ কারণে, সম্প্রতি তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স প্যাট্রিয়ার্কেট জানিয়েছে, পবিত্র এই স্থানের ধর্মীয় এখতিয়ার তাঁদের হাতে এবং এর জন্য নবী মুহাম্মদ (সা.) নিজেই একটি সুরক্ষা চিঠি দিয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, বাইজেন্টাইন আমলের এই মঠের মধ্যে ফাতেমি যুগে নির্মিত একটি ছোট মসজিদও রয়েছে। এটি খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে সম্প্রীতি ও শান্তির প্রতীক। এটি যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবীর জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল।’
যদিও আদালতের বিতর্কিত রায় এখনো বহাল আছে। তবে, কূটনৈতিক তৎপরতার পর শেষ পর্যন্ত গ্রিস ও মিশর যৌথভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে সেন্ট ক্যাথরিন মঠের গ্রিক অর্থোডক্স পরিচয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষিত রাখা হবে।

পর্যটন খাতকে ঘিরে বড় ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা হিসেবে মিশর ২০২১ সালে শুরু করে গ্রেট ট্রান্সফিগারেশন প্রকল্প। এ পরিকল্পনায় নতুন হোটেল, ইকো-লজ, একটি বড় ভিজিটর সেন্টার, নিকটবর্তী ছোট বিমানবন্দর সম্প্রসারণ এবং সিনাই পর্বতে উঠতে ক্যাবল কার নির্মাণের কথা বলা হয়েছে।
সরকার এই প্রকল্পকে প্রচার করছে ‘পুরো বিশ্ব ও সব ধর্মের জন্য মিশরের উপহার’ হিসেবে।
তবে অর্থসংকটের কারণে কাজ আপাতত কিছুটা থেমে আছে বলে ধারণা করা হলেও সেন্ট ক্যাথরিন মঠের সামনে আল-রাহা সমভূমি ইতিমধ্যেই পাল্টে গেছে। সেখানে নতুন রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। বলা হয়ে থাকে, আল্লাহর ডাকে নবী মুসা (আ.) যখন সিনাই পর্বতে ৪০ দিন অবস্থান করেছিলেন, তখন ইসরায়েলিরা এই স্থানেই তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। সমালোচকদের মতে, এই নির্মাণকাজে এলাকার বিশেষ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যাচ্ছে।
ইউনেসকো বলেছে, দুর্গম পাহাড়ি প্রাকৃতিক দৃশ্যপট মঠের জন্য এক অনন্য পটভূমি তৈরি করেছে। এখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য ও নিঃসঙ্গতার সঙ্গে মানুষের আধ্যাত্মিকতার এক গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ২০২৩ সালেই ইউনেসকো মিশরকে উন্নয়নকাজ থামানোর, প্রকল্পের প্রভাব যাচাই করার এবং সংরক্ষণ পরিকল্পনা করার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু এখনো তা কার্যকর হয়নি।
গত জুলাইয়ে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ওয়াচ একটি খোলা চিঠি দিয়ে ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটিকে অনুরোধ করে, সেন্ট ক্যাথেরিন এলাকাকে যেন বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ব্রিটেনের রাজা চার্লসের কাছেও আবেদন গেছে। তিনি সেন্ট ক্যাথেরিন ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষক।
মিশরে বিশাল উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা নতুন নয়। অনেক সময়ই অভিযোগ ওঠে—এসব পরিকল্পনায় দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি যথেষ্ট সংবেদনশীলতা দেখানো হয় না। তবে সরকারের দাবি, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে হলে এমন প্রকল্পই সবচেয়ে জরুরি।
কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে যখন মিশরের পর্যটন খাত ধীরে ধীরে পুনরুজ্জীবিত হচ্ছিল, তখন গাজার যুদ্ধ আর নতুন করে তৈরি হওয়া আঞ্চলিক অস্থিরতা আবারও বড় আঘাত হানে। তবুও সরকার ২০২৮ সালের মধ্যে ৩ কোটি পর্যটক টানার লক্ষ্য ঘোষণা করেছে।
সিনাই উপদ্বীপে বছরের পর বছর ধরে স্থানীয় বেদুইনদের মতামত না নিয়েই নানা উন্নয়ন কাজ চালানো হয়েছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে অঞ্চলটি ইসরায়েলের দখলে গিয়েছিল। ১৯৭৯ সালে শান্তিচুক্তির পর তা ফের মিশরের হাতে এলেও বেদুইনদের অভিযোগ—তাদের এখনও দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বলে মনে করে সরকার।
১৯৮০-এর দশকেই স্থানীয়দের উচ্ছেদ করে লোহিত সাগরের তীরে শার্ম আল-শেখসহ নানা রিসোর্ট শহর গড়ে ওঠে।
হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে টিকে আছে সেন্ট ক্যাথেরিন মঠ। শুরুর দিকে নির্জন স্থান থাকলেও লোহিত সাগরজুড়ে পর্যটন জমে উঠেছে। কেউ আসে মুসা (আ.) নবীর সঙ্গে আল্লাহর কথোপকথনের নিদর্শন সেই ‘জ্বলন্ত ঝোপ’-এর ধ্বংসাবশেষ দেখতে, কেউ দেখতে চায় কোডেক্স সিনাইটিকাস, যেটি নিউ টেস্টামেন্টের (খ্রিষ্টান বাইবেল) সর্বপ্রাচীন হাতে লেখা কপি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৭ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৭ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৮ ঘণ্টা আগেএএফপি, কায়রো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

বিলাসবহুল হোটেল ও মার্কেট নির্মাণের লক্ষ্যে এরই মধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে স্থানীয় বেদুইনদের বাড়ি-ঘর। অভিযোগ রয়েছে, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা বা কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। আরও গুরুতর অভিযোগ হলো—সমাধিস্থল থেকে স্বজনদের মরদেহও তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৭ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৭ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

বিলাসবহুল হোটেল ও মার্কেট নির্মাণের লক্ষ্যে এরই মধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে স্থানীয় বেদুইনদের বাড়ি-ঘর। অভিযোগ রয়েছে, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা বা কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। আরও গুরুতর অভিযোগ হলো—সমাধিস্থল থেকে স্বজনদের মরদেহও তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৭ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

বিলাসবহুল হোটেল ও মার্কেট নির্মাণের লক্ষ্যে এরই মধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে স্থানীয় বেদুইনদের বাড়ি-ঘর। অভিযোগ রয়েছে, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা বা কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। আরও গুরুতর অভিযোগ হলো—সমাধিস্থল থেকে স্বজনদের মরদেহও তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৭ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

বিলাসবহুল হোটেল ও মার্কেট নির্মাণের লক্ষ্যে এরই মধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে স্থানীয় বেদুইনদের বাড়ি-ঘর। অভিযোগ রয়েছে, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা বা কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। আরও গুরুতর অভিযোগ হলো—সমাধিস্থল থেকে স্বজনদের মরদেহও তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৭ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৭ ঘণ্টা আগে