আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৫ দিনে নিহত হয়েছে মোট ৩ হাজার ৪৫০ শিশু। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গতকাল জাতিসংঘের প্রেস ব্রিফিংয়ে ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার বলেন, প্রতিদিন শিশু নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। হাজার হাজার শিশুর কবরস্থানে পরিণত হয়েছে গাজা। এটি এখন সবার জন্য জীবন্ত এক নরকে পরিণত হয়েছে।
ইউনিসেফের হিসাবে, গাজায় অন্তত ৯৪০ শিশু নিখোঁজ রয়েছে। এই শিশুরা ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জেমস এলডার বলেন, গাজার শিশুরা কেবল ইসরায়েলি বিমান হামলাতেই নিহত হচ্ছে তা নয়, তারা চিকিৎসাসেবা না পেয়েও মারা যাচ্ছে। শিশুদের বাঁচাতে গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান জেমস এলডার।
এদিকে গতকাল ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে গাজায় আরও অগ্রসর হয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। বোমা হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ভবনগুলোর মধ্য দিয়েই এগিয়ে চলে তারা। আগের রাতে ৩০০ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় বলে জানায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এ নিয়ে টানা চতুর্থ রাতের মতো হামাসের লক্ষ্যবস্তু ধরে ধরে হামলা চালাচ্ছে তারা।
এদিকে গতকাল গাজার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ৫০ জন নিহত এবং ১৫০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে স্থল অভিযানে থাকা ইসরায়েলের দুই সেনাকে হত্যা এবং ২২টি সাঁজোয়া যান ধ্বংসের দাবি করেছে হামাস।
আল জাজিরা আরবির এক প্রতিবেদক বলেন, ট্যাংক নিয়ে অগ্রসর হওয়ার পর গতকাল গাজার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং গাজা সিটির দক্ষিণাঞ্চলে হামাসসহ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনগুলোর যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ বাধে। আগের দিন গাজা সিটির উপকণ্ঠে দেখা গিয়েছিল ইসরায়েলের ট্যাংক। হামাস দাবি করেছিল, প্রচণ্ড সংঘর্ষের পর পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর ২৬ অক্টোবর ২১২ পাতার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ব্যক্তিদের নাম, পরিচয় ও বয়স প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত গাজায় প্রায় তিন হাজার শিশু নিহত হয়েছে। এর মধ্যে এক বছরের কম বয়সী শিশু ১৩৩টি। এক বছর বয়সী শিশু ১৫৩, দুই বছর বয়সী শিশু ১৫৮ এবং তিন বছর বয়সী শিশু ১৭১টি।
শিশুবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন গত রোববার জানায়, বিশ্বে সংঘাতের কারণে ২০১৯ সালের পর থেকে প্রতিবছর যত শিশু নিহত হয়েছে, তা গত তিন সপ্তাহে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ছাড়িয়ে গেছে।
‘আমরা মরতে চাই না’ ‘যখন ৮ বছর বয়সী মেয়ে বলে যে সে মরতে চায় না, তখন অসহায় না হয়ে কোনো উপায় থাকে না।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে— (সাবেক টুইটার) এই মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস। আগের দিন এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, বেপরোয়া বোমাবর্ষণে গাজার বাসিন্দারা খাদ্য, পানি ও আশ্রয়ের জন্য মরিয়া হয়ে গেছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল জানায়, চলমান বোমাবর্ষণে মোট ৮ হাজার ৫২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই শিশু।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসীবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজার হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অ্যাম্বুলেন্স ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ইসরায়েল ‘ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু’ বানাচ্ছে। এর কড়া নিন্দা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৫ দিনে নিহত হয়েছে মোট ৩ হাজার ৪৫০ শিশু। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গতকাল জাতিসংঘের প্রেস ব্রিফিংয়ে ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার বলেন, প্রতিদিন শিশু নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। হাজার হাজার শিশুর কবরস্থানে পরিণত হয়েছে গাজা। এটি এখন সবার জন্য জীবন্ত এক নরকে পরিণত হয়েছে।
ইউনিসেফের হিসাবে, গাজায় অন্তত ৯৪০ শিশু নিখোঁজ রয়েছে। এই শিশুরা ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জেমস এলডার বলেন, গাজার শিশুরা কেবল ইসরায়েলি বিমান হামলাতেই নিহত হচ্ছে তা নয়, তারা চিকিৎসাসেবা না পেয়েও মারা যাচ্ছে। শিশুদের বাঁচাতে গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান জেমস এলডার।
এদিকে গতকাল ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে গাজায় আরও অগ্রসর হয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। বোমা হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ভবনগুলোর মধ্য দিয়েই এগিয়ে চলে তারা। আগের রাতে ৩০০ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় বলে জানায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এ নিয়ে টানা চতুর্থ রাতের মতো হামাসের লক্ষ্যবস্তু ধরে ধরে হামলা চালাচ্ছে তারা।
এদিকে গতকাল গাজার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ৫০ জন নিহত এবং ১৫০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে স্থল অভিযানে থাকা ইসরায়েলের দুই সেনাকে হত্যা এবং ২২টি সাঁজোয়া যান ধ্বংসের দাবি করেছে হামাস।
আল জাজিরা আরবির এক প্রতিবেদক বলেন, ট্যাংক নিয়ে অগ্রসর হওয়ার পর গতকাল গাজার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং গাজা সিটির দক্ষিণাঞ্চলে হামাসসহ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনগুলোর যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ বাধে। আগের দিন গাজা সিটির উপকণ্ঠে দেখা গিয়েছিল ইসরায়েলের ট্যাংক। হামাস দাবি করেছিল, প্রচণ্ড সংঘর্ষের পর পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর ২৬ অক্টোবর ২১২ পাতার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ব্যক্তিদের নাম, পরিচয় ও বয়স প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত গাজায় প্রায় তিন হাজার শিশু নিহত হয়েছে। এর মধ্যে এক বছরের কম বয়সী শিশু ১৩৩টি। এক বছর বয়সী শিশু ১৫৩, দুই বছর বয়সী শিশু ১৫৮ এবং তিন বছর বয়সী শিশু ১৭১টি।
শিশুবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন গত রোববার জানায়, বিশ্বে সংঘাতের কারণে ২০১৯ সালের পর থেকে প্রতিবছর যত শিশু নিহত হয়েছে, তা গত তিন সপ্তাহে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ছাড়িয়ে গেছে।
‘আমরা মরতে চাই না’ ‘যখন ৮ বছর বয়সী মেয়ে বলে যে সে মরতে চায় না, তখন অসহায় না হয়ে কোনো উপায় থাকে না।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে— (সাবেক টুইটার) এই মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস। আগের দিন এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, বেপরোয়া বোমাবর্ষণে গাজার বাসিন্দারা খাদ্য, পানি ও আশ্রয়ের জন্য মরিয়া হয়ে গেছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল জানায়, চলমান বোমাবর্ষণে মোট ৮ হাজার ৫২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই শিশু।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসীবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজার হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অ্যাম্বুলেন্স ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ইসরায়েল ‘ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু’ বানাচ্ছে। এর কড়া নিন্দা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গাজায় দীর্ঘ কয়েক মাসের ইসরায়েলি অবরোধের পর যখন দুর্ভিক্ষে মানুষ প্রাণ হারানো শুরু করেছে ঠিক তখনই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অঞ্চলটিতে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি, আবারও আকাশপথে উড়োজাহাজ থেকেও ত্রাণ ফেলা শুরু হয়েছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের মনসা দেবীর মন্দিরে পদদলনের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭ জন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫৫ জন। মন্দিরে ওঠার সিঁড়িতেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেসব কাগজপত্র ছিল তাঁর কাছে—আধার, ভোটার কার্ড, এমনকি আত্মীয়দের পরিচয়পত্রও। তবু রাজস্থান পুলিশ বিশ্বাস করল না যে সে ভারতীয়। এরপর, এক সকালে চোখ খুলে দেখল, সে আছে অন্য এক দেশে, বাংলাদেশে। আর এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার আমির শেখ নামক ওই তরুণকে দেশে ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে‘আমার বাবা ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী। পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে প্রায়শই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। একবার তো পড়ে গিয়ে হাত ভেঙেছেন। দুধ-ডিমের মতো পুষ্টিকর খাবার ছাড়া তার সুস্থ হয়ে ওঠার কোনো উপায় নেই। কিন্তু পুষ্টিকর খাবার তো দূর কোনোমতে পেট ভরার মতো খাবারও নেই। বেশির ভাগ দিনই আমরা না খেয়ে থাকছি। মাঝে মাঝ
৪ ঘণ্টা আগে