আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের ইসরায়েলি অবশিষ্ট জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়ার জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। সেই সময়ের মধ্যে হামাস কারিগরি অক্ষমতা দেখিয়ে মরদেহ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করেছে। তবে জানিয়েছে, তারা মরদেহ ফেরত দিতে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ কিন্তু বিষয়টিকে অজুহাত হিসেবে নিয়ে ইসরায়েল ক্রমাগত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেই যাচ্ছে।
গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়াসহ অঞ্চলটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনী সাধারণ ফিলিস্তিনিদের গুলি করে মারছে। গত শুক্রবার গাজায় এক ফিলিস্তিনি পরিবারের ১১ সদস্যকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আট দিন পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় আবু শাবান পরিবারকে বহনকারী একটি বেসামরিক গাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংক থেকে গোলা ছুড়ে এই হামলা চালায় বলে জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ। সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, নিহতদের মধ্যে সাত শিশু ও তিনজন নারী। তিনি জানান, পরিবারটি নিজেদের বাড়ির অবস্থা দেখতে ফিরছিল, তখনই গাড়িটিতে ইসরায়েলি সেনারা হামলা চালায়।
বাসাল বলেন, ‘তাদের সতর্ক করা যেত বা অন্যভাবে পরিস্থিতি সামলানো যেত। কিন্তু যা ঘটেছে, তা প্রমাণ করে দখলদার বাহিনী এখনো রক্তপিপাসু এবং নিরীহ নাগরিকদের ওপর অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।’ এক পৃথক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয় ওসিএইচএ—এর সহায়তায় এখন পর্যন্ত নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা গেছে। তবে এখনো দুই শিশুর মরদেহ নিখোঁজ রয়েছে। সিভিল ডিফেন্স জানায়, প্রচণ্ড বিস্ফোরণের কারণে তাদের দেহাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে।
অন্যদিকে, হামাস এ ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। সংগঠনটি বলেছে, কোনো ধরনের কারণ ছাড়াই এই পরিবারকে টার্গেট করা হয়েছে। হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে চলতে চাপ প্রয়োগ করেন।
এদিকে, গাজা থেকে আরও দুই ইসরায়েলি বন্দীর মরদেহ ফেরত দিয়েছে হামাস। আজ রোববার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এদিকে ফিলিস্তিনি সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে এবং শান্তি মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া অঙ্গীকার ভঙ্গ করছে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, ‘রেড ক্রসের মাধ্যমে দুই বন্দীর মরদেহ গ্রহণ করেছে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করা হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর আরও জানায়, নিহত দুই ইসরায়েলির পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে তাদের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
মরদেহ দুটি ইসরায়েলের ন্যাশনাল সেন্টার অব ফরেনসিক মেডিসিনে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় কার্যালয়টি। সেখানে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শেষ হলে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবারগুলোকেও জানানো হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের বন্দীদের ফেরানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। শেষ ব্যক্তি ফিরে না আসা পর্যন্ত এই প্রচেষ্টা বন্ধ হবে না।’
শনিবার রাতে মরদেহ দুটি হস্তান্তরের মাধ্যমে হামাস এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত ২৮ বন্দীর মধ্যে ১২ জনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে। এটি চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ, যেখানে ইসরায়েল নিহত বন্দীদের মরদেহ ফেরত পাওয়াকে অন্যতম প্রধান দাবি হিসেবে উত্থাপন করেছিল।
অপরদিকে, জিম্মি ফেরত পাওয়ার পরও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় জানিয়েছে, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নির্দেশ দিয়েছেন রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং ‘পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত’ বন্ধ রাখতে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে ‘হামাস কীভাবে নিহত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া ও চুক্তির শর্ত বাস্তবায়নে তাদের অংশ পালন করছে তার ওপর।’
এর আগে কায়রোতে অবস্থিত ফিলিস্তিনি দূতাবাস জানিয়েছিল, মিশরে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের আগামী সোমবার থেকে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের ইসরায়েলি অবশিষ্ট জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়ার জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। সেই সময়ের মধ্যে হামাস কারিগরি অক্ষমতা দেখিয়ে মরদেহ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করেছে। তবে জানিয়েছে, তারা মরদেহ ফেরত দিতে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ কিন্তু বিষয়টিকে অজুহাত হিসেবে নিয়ে ইসরায়েল ক্রমাগত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেই যাচ্ছে।
গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়াসহ অঞ্চলটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনী সাধারণ ফিলিস্তিনিদের গুলি করে মারছে। গত শুক্রবার গাজায় এক ফিলিস্তিনি পরিবারের ১১ সদস্যকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আট দিন পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় আবু শাবান পরিবারকে বহনকারী একটি বেসামরিক গাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংক থেকে গোলা ছুড়ে এই হামলা চালায় বলে জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ। সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, নিহতদের মধ্যে সাত শিশু ও তিনজন নারী। তিনি জানান, পরিবারটি নিজেদের বাড়ির অবস্থা দেখতে ফিরছিল, তখনই গাড়িটিতে ইসরায়েলি সেনারা হামলা চালায়।
বাসাল বলেন, ‘তাদের সতর্ক করা যেত বা অন্যভাবে পরিস্থিতি সামলানো যেত। কিন্তু যা ঘটেছে, তা প্রমাণ করে দখলদার বাহিনী এখনো রক্তপিপাসু এবং নিরীহ নাগরিকদের ওপর অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।’ এক পৃথক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয় ওসিএইচএ—এর সহায়তায় এখন পর্যন্ত নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা গেছে। তবে এখনো দুই শিশুর মরদেহ নিখোঁজ রয়েছে। সিভিল ডিফেন্স জানায়, প্রচণ্ড বিস্ফোরণের কারণে তাদের দেহাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে।
অন্যদিকে, হামাস এ ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। সংগঠনটি বলেছে, কোনো ধরনের কারণ ছাড়াই এই পরিবারকে টার্গেট করা হয়েছে। হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে চলতে চাপ প্রয়োগ করেন।
এদিকে, গাজা থেকে আরও দুই ইসরায়েলি বন্দীর মরদেহ ফেরত দিয়েছে হামাস। আজ রোববার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এদিকে ফিলিস্তিনি সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে এবং শান্তি মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া অঙ্গীকার ভঙ্গ করছে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, ‘রেড ক্রসের মাধ্যমে দুই বন্দীর মরদেহ গ্রহণ করেছে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করা হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর আরও জানায়, নিহত দুই ইসরায়েলির পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে তাদের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
মরদেহ দুটি ইসরায়েলের ন্যাশনাল সেন্টার অব ফরেনসিক মেডিসিনে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় কার্যালয়টি। সেখানে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শেষ হলে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবারগুলোকেও জানানো হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের বন্দীদের ফেরানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। শেষ ব্যক্তি ফিরে না আসা পর্যন্ত এই প্রচেষ্টা বন্ধ হবে না।’
শনিবার রাতে মরদেহ দুটি হস্তান্তরের মাধ্যমে হামাস এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত ২৮ বন্দীর মধ্যে ১২ জনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে। এটি চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ, যেখানে ইসরায়েল নিহত বন্দীদের মরদেহ ফেরত পাওয়াকে অন্যতম প্রধান দাবি হিসেবে উত্থাপন করেছিল।
অপরদিকে, জিম্মি ফেরত পাওয়ার পরও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় জানিয়েছে, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নির্দেশ দিয়েছেন রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং ‘পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত’ বন্ধ রাখতে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে ‘হামাস কীভাবে নিহত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া ও চুক্তির শর্ত বাস্তবায়নে তাদের অংশ পালন করছে তার ওপর।’
এর আগে কায়রোতে অবস্থিত ফিলিস্তিনি দূতাবাস জানিয়েছিল, মিশরে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের আগামী সোমবার থেকে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে।
ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ জেতা সম্ভব নয়, বরং তাদের এখন শান্তিচুক্তির পথে এগোনো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ফিল্ড মার্শাল লর্ড রিচার্ডস। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের পডকাস্ট ‘ওয়ার্ল্ড অব ট্রাবল’-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিচার্ডস বলেছেন, ইউক্রেনকে লড়াই করতে
১ ঘণ্টা আগেফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে মাত্র সাত মিনিটে। অবিশ্বাস্য এই অভিযানে চোরেরা ব্যবহার করেছে ‘চেরি পিকার’ (ট্রাকের ওপর বসানো একধরনের হাইড্রোলিক মই) ও ‘অ্যাঙ্গেল গ্রাইন্ডার’।
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। চলতি বছরের মে মাসে ইসরায়েল আইসিসির কাছে পরোয়ানা বাতিলের আবেদন করেছিল। একই সময়ে আদালতের এখতিয়ার
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে অন্যায়ের শিকার হয়ে টানা ৪৩ বছর কারাভোগের পর অবশেষে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন সুব্রহ্মণ্যম সুবু বেদাম। কিন্তু মুক্তির আনন্দ উপভোগ করার আগেই নতুন এক সংকটে পড়েছেন তিনি। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) এখন বেদামকে ভারতে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে