ইরান থেকে বিদ্যুৎ কেনার ছাড়পত্র নবায়নে ইরাককে আর অনুমতি দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শনিবার ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতির’ অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ইরানকে কোনো ধরনের অর্থনৈতিক সুবিধা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন দেবে না। আর সে লক্ষ্যেই ইরাকের ইরান থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের ছাড়পত্র নবায়ন করা হবে না। ইরাকি প্রশাসনকে যত দ্রুত সম্ভব ইরানি বিদ্যুৎ উৎসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনার আহ্বান জানাই।
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমে লাগাম টানাই এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য। এ ছাড়া, তারা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে একগুচ্ছ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে যেভাবে ঢালাও সমর্থন দিয়ে আসছে তাও বন্ধ হওয়া জরুরি।’
ইরানের বিদ্যুৎ শিল্পের সঙ্গে লেনদেনকারী সব দেশের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্সের তথ্যমতে, ইরাক তাদের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাত্র ৪ শতাংশ ইরান থেকে আমদানি করে। যেকারণে ট্রাম্পের ছাড়পত্র নবায়ন না করার সিদ্ধান্তে খুব একটা প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না।
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী হবে তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল। যদিও শুরুতে আলোচনার ব্যাপারে অনীহা দেখাচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তবে, গত শুক্রবার নিজেই জানান, ইরানের পরমাণু কার্যসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। তবে, যথারীতি নিজের একগুঁয়েমি বজায় রেখেছেন। চিঠিতে আলোচনার আহ্বানের পাশাপাশি সামরিক পদক্ষেপের হুমকিও দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আশা করি, আমরা একটি শান্তিচুক্তিতে পৌঁছাতে পারব। আমি শান্তি চাই, তবে কেউ সমাধান না চাইলে অন্য বিকল্পও ভাবা হচ্ছে।’
ফক্স বিজনেসকে এ ইস্যুতে এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি খামেনিকে বলেছি যে, আশা করি আপনি আলোচনায় আসবেন, কারণ যদি আমাদের সামরিক পদক্ষেপ নিতে হয়, তাহলে সেটি ইরানের জন্য ভয়ানক হবে।’
তবে আলোচনায় না বসারই ইঙ্গিত দিয়েছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, যতদিন যুক্তরাষ্ট্র ‘বাড়াবাড়ি চাপ’ প্রয়োগের নীতি বজায় রাখবে, তত দিন ইরান কোনো আলোচনায় অংশ নেবে না। তবে তিনি ট্রাম্পের চিঠির ব্যাপারে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।
বারাক ওবামার শাসনামলে ২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের একটি চুক্তি হয়। কিন্তু ট্রাম্প ২০১৮ সালে তাঁর প্রথম মেয়াদে এ চুক্তি প্রত্যাহার করেন এবং ইরানের জ্বালানি তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেন।
ইরান শুরুতে চুক্তি মেনে চললেও ট্রাম্পের উসকানিমূলক আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তারাও চুক্তির শর্ত উপেক্ষা করে পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করে। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, বর্তমানে খুব অল্প সময়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে ইরান।
ইরান থেকে বিদ্যুৎ কেনার ছাড়পত্র নবায়নে ইরাককে আর অনুমতি দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শনিবার ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতির’ অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ইরানকে কোনো ধরনের অর্থনৈতিক সুবিধা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন দেবে না। আর সে লক্ষ্যেই ইরাকের ইরান থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের ছাড়পত্র নবায়ন করা হবে না। ইরাকি প্রশাসনকে যত দ্রুত সম্ভব ইরানি বিদ্যুৎ উৎসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনার আহ্বান জানাই।
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমে লাগাম টানাই এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য। এ ছাড়া, তারা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে একগুচ্ছ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে যেভাবে ঢালাও সমর্থন দিয়ে আসছে তাও বন্ধ হওয়া জরুরি।’
ইরানের বিদ্যুৎ শিল্পের সঙ্গে লেনদেনকারী সব দেশের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্সের তথ্যমতে, ইরাক তাদের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাত্র ৪ শতাংশ ইরান থেকে আমদানি করে। যেকারণে ট্রাম্পের ছাড়পত্র নবায়ন না করার সিদ্ধান্তে খুব একটা প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না।
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী হবে তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল। যদিও শুরুতে আলোচনার ব্যাপারে অনীহা দেখাচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তবে, গত শুক্রবার নিজেই জানান, ইরানের পরমাণু কার্যসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। তবে, যথারীতি নিজের একগুঁয়েমি বজায় রেখেছেন। চিঠিতে আলোচনার আহ্বানের পাশাপাশি সামরিক পদক্ষেপের হুমকিও দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আশা করি, আমরা একটি শান্তিচুক্তিতে পৌঁছাতে পারব। আমি শান্তি চাই, তবে কেউ সমাধান না চাইলে অন্য বিকল্পও ভাবা হচ্ছে।’
ফক্স বিজনেসকে এ ইস্যুতে এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি খামেনিকে বলেছি যে, আশা করি আপনি আলোচনায় আসবেন, কারণ যদি আমাদের সামরিক পদক্ষেপ নিতে হয়, তাহলে সেটি ইরানের জন্য ভয়ানক হবে।’
তবে আলোচনায় না বসারই ইঙ্গিত দিয়েছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, যতদিন যুক্তরাষ্ট্র ‘বাড়াবাড়ি চাপ’ প্রয়োগের নীতি বজায় রাখবে, তত দিন ইরান কোনো আলোচনায় অংশ নেবে না। তবে তিনি ট্রাম্পের চিঠির ব্যাপারে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।
বারাক ওবামার শাসনামলে ২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের একটি চুক্তি হয়। কিন্তু ট্রাম্প ২০১৮ সালে তাঁর প্রথম মেয়াদে এ চুক্তি প্রত্যাহার করেন এবং ইরানের জ্বালানি তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেন।
ইরান শুরুতে চুক্তি মেনে চললেও ট্রাম্পের উসকানিমূলক আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তারাও চুক্তির শর্ত উপেক্ষা করে পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করে। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, বর্তমানে খুব অল্প সময়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে ইরান।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ভারত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে— এমন বক্তব্য নাকচ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতকে সঙ্গ না দিয়ে পাকিস্তান ভুল করেছে। তারা উল্টো ভারতের স্কুল, হাসপাতাল, সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি, উপাসনালয়ে হামলা চালিয়েছে, সেখানেও ব্যর্থ তারা।
৬ ঘণ্টা আগেএকটি ভিডিও ও ছবি ঘিরে অভিযোগ উঠেছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ তাঁর সামনে রাখা কোকেন লুকানোর চেষ্টা করছেন। তবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও ভুয়া সংবাদ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ফ্রান্স। একটি ট্রেনের কামরায় মাখোঁর পাশে সেই সময়টিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং জার্মান রাজনীতিক
৭ ঘণ্টা আগেহামাস জানিয়েছে, তারা আজ সোমবার গাজায় এক ইসরায়েলি-আমেরিকান জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। তবে বৃহত্তর যুদ্ধবিরতি বা জিম্মি মুক্তি নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। আন্তর্জাতিক রেডক্রস সোসাইটি এদান আলেকজান্ডারের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেবেলজিয়ামে খুঁজে পাওয়া একটি কঙ্কালের ডিএনএ পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত ব্রিটিশ সেনা প্রাইভেট জন টেইম। সোমবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, মৃত্যুর প্রায় ১০৮ বছর পর গত ৮ মে টেইমকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে