
যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলছে। অন্তত সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে মার্কিন দূত রিচার্ড গ্রেনেলের সাক্ষাৎ এবং কারাকাস থেকে ৬ মার্কিন নাগরিককে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এই ইঙ্গিতই দেয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেল গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, তিনি কারাকাস থেকে ৬ মার্কিন নাগরিককে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছেন। বিশ্লেষকেরা এটিকে অপ্রত্যাশিত ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখছেন। কারণ, গ্রেনেল এর আগেও কারাকাসে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন, গ্রেনেলের সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল ভেনেজুয়েলায় আটক মার্কিন নাগরিকদের মুক্ত করা। এই উদ্যোগ এমন সময়ে নেওয়া হলো, যখন ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন ও অপরাধী চক্র দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
গ্রেনেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তাঁর অ্যাকাউন্টে বিমানের ভেতর থেকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাঁকে ৬ জন মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে দেখা যায়। ছবিতে দেখা যায়, তাঁরা ভেনেজুয়েলার কারাগারের হালকা নীল পোশাক পরে আছেন। তবে তিনি তাঁদের নাম প্রকাশ করেননি।
গ্রেনেল পোস্টে লেখেন, ‘আমরা এখন উড্ডয়ন করেছি এবং এই ৬ মার্কিন নাগরিককে নিয়ে দেশে ফিরছি। তাঁরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বারবার তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’ ট্রাম্প নিজেও এ ঘটনাকে স্বাগত জানিয়ে এক্সে শেয়ার করা পোস্টে লিখেন, ‘গ্রেনেল ছয় জিম্মিকে ভেনেজুয়েলা থেকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনছেন।’
ভেনেজুয়েলায় ঠিক কতজন মার্কিন নাগরিক আটক ছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে দেশটির কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে অন্তত ৯ জনের কথা বলেছেন। মাদুরোর প্রশাসন তাঁদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনেছে এবং কয়েকজনকে ‘ভাড়াটে সেনা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
মাদুরো সরকার প্রায়ই বিরোধী দল এবং বিদেশি বন্দীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করছেন এবং ভেনেজুয়েলায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছেন। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা সব সময় এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং দাবি করেছেন, তাঁদের নাগরিকদের আটক রাখা অবৈধ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের লাতিন আমেরিকার বিশেষ দূত মরিসিও ক্লেভার-ক্যারোন বলেছিলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় আটক মার্কিন জিম্মিদের...অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। গ্রেনেল ও মাদুরোর মধ্যে যে বৈঠক হয়েছে, সেটি কোনো বিনিময় চুক্তি নয়।’ বিশ্লেষকেরা এই বিষয়টিকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন।
এদিকে, ২০২৩ সালের শেষ দিকে ভেনেজুয়েলা সরকার কয়েক মাস আলোচনার পর বেশ ১০ মার্কিন বন্দীকে মুক্তি দেয়। তখন যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মাদুরোর ঘনিষ্ঠ এক সহযোগীকে মুক্তি দিয়েছিল।
শুক্রবার রাতে ভেনেজুয়েলার বিচার বিভাগের বার্ষিক ভাষণে মাদুরো বলেন, গ্রেনেলের সঙ্গে তাঁর বৈঠক ইতিবাচক এবং এটি দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘প্রথম ধাপ’। তিনি বলেন, ‘কিছু বিষয়ে আমরা প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছেছি এবং সেগুলো বাস্তবায়িত হলে আরও নতুন আলোচনা হতে পারে। আশা করি, এটি দুই দেশ ও অঞ্চলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে।’
মাদুরো আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমরা প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করি, এটি আরও এগিয়ে যাবে। আমরা চাই, আলোচনা চালিয়ে যেতে।’ এ ছাড়া, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে মাদুরো ও গ্রেনেল অভিবাসন ও নিষেধাজ্ঞা নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট শুক্রবার জানান, গ্রেনেলের অন্যতম লক্ষ্য ছিল ‘ট্রেন দে আরাগুয়া’ নামে পরিচিত ভেনেজুয়েলার এক কুখ্যাত অপরাধী চক্রের ৪০০ সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো। একই বিষয়ে মার্কিন বিশেষ দূত ক্লেভার-ক্যারোন বলেন, ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার গ্যাং সদস্যদের অবশ্যই (ভেনেজুয়েলা থেকে) বহিষ্কার করতে হবে, এটি কোনোভাবেই আলোচনার বিষয় নয়।’
ভেনেজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক সাব এক সপ্তাহ আগে বলেছিলেন, ২০২৩ সালে ভেনেজুয়েলায় এই গ্যাং পুরোপুরি নির্মূল করা হয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আইনি সহযোগিতা পুনরায় শুরু করতে রাজি আছেন।
২০ জানুয়ারি ট্রাম্প পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই তিনি কঠোর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়ন শুরু করেছেন এবং গণহারে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রায় ৬ লাখ ভেনেজুয়েলার অভিবাসী আগে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্বাসন থেকে রেহাই পেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম ঘোষণা করেছেন যে, এই সুরক্ষা ব্যবস্থা সংক্ষিপ্ত করা হবে।
গ্রেনেলের সফর মানে এই নয় যে যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বলে প্রেস সেক্রেটারি লেভিট স্পষ্ট করেছেন। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক দিন ধরেই উত্তপ্ত। দীর্ঘদিন ধরে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন রয়েছে, নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে আসছে।
তবে বেশ কিছু দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যু রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো—মার্কিন তেল কোম্পানি শেভরনকে ভেনেজুয়েলায় কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেওয়া। বাইডেন প্রশাসন এর আগে ঘোষণা করেছিল যে, মাদুরো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে পুনরায় তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং মাদুরোসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার বা দণ্ডিত করতে পুরস্কারের অঙ্ক বাড়ায়।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে মাদুরোর সরকার-সমর্থিত বিজয়কে বিরোধীরা, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে। ভেনেজুয়েলা সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং বলেছে যে এটি দেশটিকে দুর্বল করার জন্য পরিকল্পিত একটি পদক্ষেপ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস শুক্রবার জানিয়েছে, শেভরন মার্কিন সরকারের বিশেষ অনুমোদন বজায় রাখতে চেষ্টা করছে, যাতে তারা ভেনেজুয়েলায় কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। শেভরনের প্রধান নির্বাহী মাইক ওয়ার্থ সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, কোম্পানি এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ‘শেভরনের অনুমোদন পুনর্বিবেচনা করা উচিত (ভেনেজুয়েলার) ’। এ ছাড়া ট্রাম্প বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত ভেনেজুয়েলা থেকে তেল আমদানি বন্ধ করবে।’

যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলছে। অন্তত সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে মার্কিন দূত রিচার্ড গ্রেনেলের সাক্ষাৎ এবং কারাকাস থেকে ৬ মার্কিন নাগরিককে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এই ইঙ্গিতই দেয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেল গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, তিনি কারাকাস থেকে ৬ মার্কিন নাগরিককে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছেন। বিশ্লেষকেরা এটিকে অপ্রত্যাশিত ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখছেন। কারণ, গ্রেনেল এর আগেও কারাকাসে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন, গ্রেনেলের সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল ভেনেজুয়েলায় আটক মার্কিন নাগরিকদের মুক্ত করা। এই উদ্যোগ এমন সময়ে নেওয়া হলো, যখন ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন ও অপরাধী চক্র দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
গ্রেনেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তাঁর অ্যাকাউন্টে বিমানের ভেতর থেকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাঁকে ৬ জন মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে দেখা যায়। ছবিতে দেখা যায়, তাঁরা ভেনেজুয়েলার কারাগারের হালকা নীল পোশাক পরে আছেন। তবে তিনি তাঁদের নাম প্রকাশ করেননি।
গ্রেনেল পোস্টে লেখেন, ‘আমরা এখন উড্ডয়ন করেছি এবং এই ৬ মার্কিন নাগরিককে নিয়ে দেশে ফিরছি। তাঁরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বারবার তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’ ট্রাম্প নিজেও এ ঘটনাকে স্বাগত জানিয়ে এক্সে শেয়ার করা পোস্টে লিখেন, ‘গ্রেনেল ছয় জিম্মিকে ভেনেজুয়েলা থেকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনছেন।’
ভেনেজুয়েলায় ঠিক কতজন মার্কিন নাগরিক আটক ছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে দেশটির কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে অন্তত ৯ জনের কথা বলেছেন। মাদুরোর প্রশাসন তাঁদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনেছে এবং কয়েকজনকে ‘ভাড়াটে সেনা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
মাদুরো সরকার প্রায়ই বিরোধী দল এবং বিদেশি বন্দীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করছেন এবং ভেনেজুয়েলায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছেন। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা সব সময় এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং দাবি করেছেন, তাঁদের নাগরিকদের আটক রাখা অবৈধ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের লাতিন আমেরিকার বিশেষ দূত মরিসিও ক্লেভার-ক্যারোন বলেছিলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় আটক মার্কিন জিম্মিদের...অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। গ্রেনেল ও মাদুরোর মধ্যে যে বৈঠক হয়েছে, সেটি কোনো বিনিময় চুক্তি নয়।’ বিশ্লেষকেরা এই বিষয়টিকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন।
এদিকে, ২০২৩ সালের শেষ দিকে ভেনেজুয়েলা সরকার কয়েক মাস আলোচনার পর বেশ ১০ মার্কিন বন্দীকে মুক্তি দেয়। তখন যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মাদুরোর ঘনিষ্ঠ এক সহযোগীকে মুক্তি দিয়েছিল।
শুক্রবার রাতে ভেনেজুয়েলার বিচার বিভাগের বার্ষিক ভাষণে মাদুরো বলেন, গ্রেনেলের সঙ্গে তাঁর বৈঠক ইতিবাচক এবং এটি দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘প্রথম ধাপ’। তিনি বলেন, ‘কিছু বিষয়ে আমরা প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছেছি এবং সেগুলো বাস্তবায়িত হলে আরও নতুন আলোচনা হতে পারে। আশা করি, এটি দুই দেশ ও অঞ্চলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে।’
মাদুরো আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমরা প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করি, এটি আরও এগিয়ে যাবে। আমরা চাই, আলোচনা চালিয়ে যেতে।’ এ ছাড়া, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে মাদুরো ও গ্রেনেল অভিবাসন ও নিষেধাজ্ঞা নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট শুক্রবার জানান, গ্রেনেলের অন্যতম লক্ষ্য ছিল ‘ট্রেন দে আরাগুয়া’ নামে পরিচিত ভেনেজুয়েলার এক কুখ্যাত অপরাধী চক্রের ৪০০ সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো। একই বিষয়ে মার্কিন বিশেষ দূত ক্লেভার-ক্যারোন বলেন, ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার গ্যাং সদস্যদের অবশ্যই (ভেনেজুয়েলা থেকে) বহিষ্কার করতে হবে, এটি কোনোভাবেই আলোচনার বিষয় নয়।’
ভেনেজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক সাব এক সপ্তাহ আগে বলেছিলেন, ২০২৩ সালে ভেনেজুয়েলায় এই গ্যাং পুরোপুরি নির্মূল করা হয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আইনি সহযোগিতা পুনরায় শুরু করতে রাজি আছেন।
২০ জানুয়ারি ট্রাম্প পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই তিনি কঠোর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়ন শুরু করেছেন এবং গণহারে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রায় ৬ লাখ ভেনেজুয়েলার অভিবাসী আগে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্বাসন থেকে রেহাই পেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম ঘোষণা করেছেন যে, এই সুরক্ষা ব্যবস্থা সংক্ষিপ্ত করা হবে।
গ্রেনেলের সফর মানে এই নয় যে যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বলে প্রেস সেক্রেটারি লেভিট স্পষ্ট করেছেন। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক দিন ধরেই উত্তপ্ত। দীর্ঘদিন ধরে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন রয়েছে, নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে আসছে।
তবে বেশ কিছু দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যু রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো—মার্কিন তেল কোম্পানি শেভরনকে ভেনেজুয়েলায় কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেওয়া। বাইডেন প্রশাসন এর আগে ঘোষণা করেছিল যে, মাদুরো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে পুনরায় তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং মাদুরোসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার বা দণ্ডিত করতে পুরস্কারের অঙ্ক বাড়ায়।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে মাদুরোর সরকার-সমর্থিত বিজয়কে বিরোধীরা, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে। ভেনেজুয়েলা সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং বলেছে যে এটি দেশটিকে দুর্বল করার জন্য পরিকল্পিত একটি পদক্ষেপ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস শুক্রবার জানিয়েছে, শেভরন মার্কিন সরকারের বিশেষ অনুমোদন বজায় রাখতে চেষ্টা করছে, যাতে তারা ভেনেজুয়েলায় কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। শেভরনের প্রধান নির্বাহী মাইক ওয়ার্থ সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, কোম্পানি এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ‘শেভরনের অনুমোদন পুনর্বিবেচনা করা উচিত (ভেনেজুয়েলার) ’। এ ছাড়া ট্রাম্প বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত ভেনেজুয়েলা থেকে তেল আমদানি বন্ধ করবে।’

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে ৫ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
৪ মিনিট আগে
বিচারক একা বারবাকাদজে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছেন এবং তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জামিনের অর্থ পরিশোধের জন্য তিনি ৩০ দিন সময় পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ পোস্ট।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
২ ঘণ্টা আগে
শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে ৫ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত। গাজায় ব্যাপক পুনর্গঠন কাজ শুরু হলে একটি নিরাপত্তা শূন্যতা (security vacuum) তৈরি হওয়া রোধ করতে এই বাহিনী গঠন করা হচ্ছে।
এই বাহিনীতে তুরস্ক সৈন্য পাঠাতে আগ্রহী হলেও ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা তুর্কি সৈন্যদের এই বাহিনীতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিচ্ছে না।
ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্কে তিক্ততা আগেই বেড়ে গিয়েছিল সিরিয়া নিয়ে। আর ইসরায়েল মনে করে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ।
তবে গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনী থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ তুরস্ক ট্রাম্পের ২০ দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম ‘জামিনদার’ এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সক্ষম সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত।
এই বাহিনীর নেতৃত্ব মিশরের হাতে যেতে পারে।
এটি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী না হলেও ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ স্থিতিশীলতা বাহিনীর বেশিরভাগ দেশ চাচ্ছে বাহিনীটিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট দেওয়া হোক।
এর পরিবর্তে, এটি দক্ষিণ ইসরায়েলের শহর কিরিয়াত গাতে অবস্থিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক সেল সিভিল-মিলিটারি কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (সিএমসিসি)-এর সঙ্গে সমন্বয় করবে।
গত মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এই সেলের উদ্বোধন করেন। সেলটিতে কয়েকজন ব্রিটিশ, ফরাসি, জর্ডানীয় ও আমিরাতি উপদেষ্টা রয়েছেন। এই সেল গাজায় ত্রাণ সমন্বয়ের ভূমিকাও গ্রহণ করছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের প্রধান ক্রসিংগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।
এই বাহিনীর কাজ হবে হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিনি সরকারকে নিরাপত্তা দেওয়া, যে সরকার গঠন নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে গতকাল শুক্রবার প্রধান ফিলিস্তিনি দলগুলো একমত হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন কমিটি এই অঞ্চল পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার গাজায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মৃতদেহ খুঁজে বের করতে পাঠানো তুরস্কের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বিশেষজ্ঞদের ইসরায়েলের অনুমোদনের জন্য গাজা সীমান্তের কাছে মিশরের সীমানায় অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে যে উত্তেজনা বাড়ছে তারই লক্ষণ এটি।
জীবন সনাক্তকরণ ডিভাইস এবং প্রশিক্ষিত সার্চ ডগ নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ৮১ সদস্যের এই দলটি।
শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ইসরায়েলকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু করা উচিত, যার মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।
এদিকে হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিন কমিটির হাতে হস্তান্তর করা হবে, যা স্বাধীন ‘টেকনোক্রেট’দের সমন্বয়ে গঠিত। এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলিতভাবে জীবন ও মৌলিক সেবার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কায়রোর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে ৫ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত। গাজায় ব্যাপক পুনর্গঠন কাজ শুরু হলে একটি নিরাপত্তা শূন্যতা (security vacuum) তৈরি হওয়া রোধ করতে এই বাহিনী গঠন করা হচ্ছে।
এই বাহিনীতে তুরস্ক সৈন্য পাঠাতে আগ্রহী হলেও ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা তুর্কি সৈন্যদের এই বাহিনীতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিচ্ছে না।
ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্কে তিক্ততা আগেই বেড়ে গিয়েছিল সিরিয়া নিয়ে। আর ইসরায়েল মনে করে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ।
তবে গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনী থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ তুরস্ক ট্রাম্পের ২০ দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম ‘জামিনদার’ এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সক্ষম সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত।
এই বাহিনীর নেতৃত্ব মিশরের হাতে যেতে পারে।
এটি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী না হলেও ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ স্থিতিশীলতা বাহিনীর বেশিরভাগ দেশ চাচ্ছে বাহিনীটিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট দেওয়া হোক।
এর পরিবর্তে, এটি দক্ষিণ ইসরায়েলের শহর কিরিয়াত গাতে অবস্থিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক সেল সিভিল-মিলিটারি কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (সিএমসিসি)-এর সঙ্গে সমন্বয় করবে।
গত মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এই সেলের উদ্বোধন করেন। সেলটিতে কয়েকজন ব্রিটিশ, ফরাসি, জর্ডানীয় ও আমিরাতি উপদেষ্টা রয়েছেন। এই সেল গাজায় ত্রাণ সমন্বয়ের ভূমিকাও গ্রহণ করছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের প্রধান ক্রসিংগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।
এই বাহিনীর কাজ হবে হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিনি সরকারকে নিরাপত্তা দেওয়া, যে সরকার গঠন নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে গতকাল শুক্রবার প্রধান ফিলিস্তিনি দলগুলো একমত হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন কমিটি এই অঞ্চল পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার গাজায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মৃতদেহ খুঁজে বের করতে পাঠানো তুরস্কের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বিশেষজ্ঞদের ইসরায়েলের অনুমোদনের জন্য গাজা সীমান্তের কাছে মিশরের সীমানায় অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে যে উত্তেজনা বাড়ছে তারই লক্ষণ এটি।
জীবন সনাক্তকরণ ডিভাইস এবং প্রশিক্ষিত সার্চ ডগ নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ৮১ সদস্যের এই দলটি।
শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ইসরায়েলকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু করা উচিত, যার মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।
এদিকে হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিন কমিটির হাতে হস্তান্তর করা হবে, যা স্বাধীন ‘টেকনোক্রেট’দের সমন্বয়ে গঠিত। এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলিতভাবে জীবন ও মৌলিক সেবার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কায়রোর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলছে। অন্তত সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে মার্কিন দূত রিচার্ড গ্রেনেলের সাক্ষাৎ এবং কারাকাস থেকে ৬ মার্কিন নাগরিককে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এই ইঙ্গিতই দেয়
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিচারক একা বারবাকাদজে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছেন এবং তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জামিনের অর্থ পরিশোধের জন্য তিনি ৩০ দিন সময় পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ পোস্ট।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
২ ঘণ্টা আগে
শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জর্জিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি গারিবাশভিলির বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির রাজধানী তিবলিসির একটি আদালত প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪০০ ডলার জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বিচারক একা বারবাকাদজে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন এবং তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জামিনের অর্থ পরিশোধের জন্য তিনি ৩০ দিন সময় পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ পোস্ট।
শুনানির সময় আদালতে কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান গারিবাশভিলি। বিচারক তাঁকে কোনো বিবৃতি দিতে চান কি না জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছুই না।’
পরে তাঁর আইনজীবী আমিরান গিগুয়াশভিলি সাংবাদিকদের জানান, তাঁর মক্কেল কারও বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য দেননি।
প্রসিকিউটর জেনারেল জিওর্গি গভারামিদজের মতে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী উভয় পদে দায়িত্ব পালনের সময় ‘গোপন ও অবৈধ ব্যবসায়িক কার্যকলাপে’ যুক্ত ছিলেন গারিবাশভিলি।
তদন্তকারীদের অভিযোগ, জর্জিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘বিশেষভাবে বিপুল পরিমাণ অবৈধ আয়’ করেছেন এবং কোম্পানি ও মধ্যস্থতাকারীদের একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেই অর্থ পাচার করেছেন।
গতকাল প্রসিকিউটর জেনারেল গভারামিদজে বলেন, মন্ত্রী পদে থাকাকালে গারিবাশভিলি গোপনে এবং আড়ালে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন এবং অবৈধ উৎস থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি তাঁর আয় ও ব্যয় উভয়ই ঘোষণা করতে বাধ্য ছিলেন।
জর্জিয়ার দণ্ডবিধির ১৯৪ ধারার ৩(জি) উপধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ৯ থেকে ১২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে গারিবাশভিলির।

জর্জিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি গারিবাশভিলির বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির রাজধানী তিবলিসির একটি আদালত প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪০০ ডলার জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বিচারক একা বারবাকাদজে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন এবং তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জামিনের অর্থ পরিশোধের জন্য তিনি ৩০ দিন সময় পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ পোস্ট।
শুনানির সময় আদালতে কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান গারিবাশভিলি। বিচারক তাঁকে কোনো বিবৃতি দিতে চান কি না জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছুই না।’
পরে তাঁর আইনজীবী আমিরান গিগুয়াশভিলি সাংবাদিকদের জানান, তাঁর মক্কেল কারও বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য দেননি।
প্রসিকিউটর জেনারেল জিওর্গি গভারামিদজের মতে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী উভয় পদে দায়িত্ব পালনের সময় ‘গোপন ও অবৈধ ব্যবসায়িক কার্যকলাপে’ যুক্ত ছিলেন গারিবাশভিলি।
তদন্তকারীদের অভিযোগ, জর্জিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘বিশেষভাবে বিপুল পরিমাণ অবৈধ আয়’ করেছেন এবং কোম্পানি ও মধ্যস্থতাকারীদের একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেই অর্থ পাচার করেছেন।
গতকাল প্রসিকিউটর জেনারেল গভারামিদজে বলেন, মন্ত্রী পদে থাকাকালে গারিবাশভিলি গোপনে এবং আড়ালে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন এবং অবৈধ উৎস থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি তাঁর আয় ও ব্যয় উভয়ই ঘোষণা করতে বাধ্য ছিলেন।
জর্জিয়ার দণ্ডবিধির ১৯৪ ধারার ৩(জি) উপধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ৯ থেকে ১২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে গারিবাশভিলির।

যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলছে। অন্তত সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে মার্কিন দূত রিচার্ড গ্রেনেলের সাক্ষাৎ এবং কারাকাস থেকে ৬ মার্কিন নাগরিককে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এই ইঙ্গিতই দেয়
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে ৫ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
৪ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
২ ঘণ্টা আগে
শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ট্রাম্পকে সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে উত্তর কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তিনি মানতে প্রস্তুত কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেন: ‘আমি মনে করি তারা একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি। যখন আপনারা বলেন তাদের পারমাণবিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, আমি বলব—তাদের প্রচুর পারমাণবিক অস্ত্র আছে।’
ট্রাম্পের এ মন্তব্যটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, কিম জং-উন গত মাসেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের ‘বিভ্রান্তিকর’ দাবি ত্যাগ করে, তবে তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। উত্তর কোরিয়া এর আগে একাধিকবার নিজেদের একটি ‘পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ট্রাম্প আগামী বুধবার এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) ফোরামে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন অভ্যন্তরীণভাবে কিম জং-উনের সঙ্গে একটি বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করছে। ট্রাম্প নিজেও আশা প্রকাশ করেছেন, তিনি সম্ভবত এ বছরই কিমের সঙ্গে আবারও দেখা করবেন।
গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রকরণ মন্ত্রী চুং ডং-ইয়ং বলেন, আগামী সপ্তাহে কোরিয়া উপদ্বীপে সফরের সময় কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, এই সফরসূচিতে কোনো বৈঠক ‘তালিকায় নেই’।
দুই নেতার বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাতিসংঘ কমান্ড জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়ায় (জেএসএ) চলতি অক্টোবরের শেষ নাগাদ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।
মন্ত্রী চুং জানিয়েছেন, গত বছর প্রথমবার জেএসএ-এর কাছাকাছি এলাকায় উত্তর কোরিয়ার কর্মীদের ‘সাজসজ্জা’ করতে দেখা গেছে। তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আগাছা পরিষ্কার করা এবং ফুলের টব গোছানোর কাজ করেছে। এটি সাধারণত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আগে দেখা যায়।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে কিমের সঙ্গে তিনবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন। তাঁদের শেষ বৈঠকটি ২০১৯ সালে দুই কোরিয়ার সীমান্ত বিভাজনকারী পানমুনজমে (জেএসএ) হয়েছিল। সেই সময় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার মাটিতে কয়েক কদম হেঁটেছিলেন। উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি।
তবে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রাগারের কতটা ত্যাগ করতে ইচ্ছুক এবং বিনিময়ে কী পাবে—এ বিষয় নিয়ে মতানৈক্যের কারণে সেই আলোচনা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ট্রাম্পকে সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে উত্তর কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তিনি মানতে প্রস্তুত কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেন: ‘আমি মনে করি তারা একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি। যখন আপনারা বলেন তাদের পারমাণবিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, আমি বলব—তাদের প্রচুর পারমাণবিক অস্ত্র আছে।’
ট্রাম্পের এ মন্তব্যটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, কিম জং-উন গত মাসেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের ‘বিভ্রান্তিকর’ দাবি ত্যাগ করে, তবে তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। উত্তর কোরিয়া এর আগে একাধিকবার নিজেদের একটি ‘পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ট্রাম্প আগামী বুধবার এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) ফোরামে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন অভ্যন্তরীণভাবে কিম জং-উনের সঙ্গে একটি বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করছে। ট্রাম্প নিজেও আশা প্রকাশ করেছেন, তিনি সম্ভবত এ বছরই কিমের সঙ্গে আবারও দেখা করবেন।
গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রকরণ মন্ত্রী চুং ডং-ইয়ং বলেন, আগামী সপ্তাহে কোরিয়া উপদ্বীপে সফরের সময় কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, এই সফরসূচিতে কোনো বৈঠক ‘তালিকায় নেই’।
দুই নেতার বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাতিসংঘ কমান্ড জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়ায় (জেএসএ) চলতি অক্টোবরের শেষ নাগাদ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।
মন্ত্রী চুং জানিয়েছেন, গত বছর প্রথমবার জেএসএ-এর কাছাকাছি এলাকায় উত্তর কোরিয়ার কর্মীদের ‘সাজসজ্জা’ করতে দেখা গেছে। তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আগাছা পরিষ্কার করা এবং ফুলের টব গোছানোর কাজ করেছে। এটি সাধারণত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আগে দেখা যায়।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে কিমের সঙ্গে তিনবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন। তাঁদের শেষ বৈঠকটি ২০১৯ সালে দুই কোরিয়ার সীমান্ত বিভাজনকারী পানমুনজমে (জেএসএ) হয়েছিল। সেই সময় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার মাটিতে কয়েক কদম হেঁটেছিলেন। উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি।
তবে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রাগারের কতটা ত্যাগ করতে ইচ্ছুক এবং বিনিময়ে কী পাবে—এ বিষয় নিয়ে মতানৈক্যের কারণে সেই আলোচনা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলছে। অন্তত সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে মার্কিন দূত রিচার্ড গ্রেনেলের সাক্ষাৎ এবং কারাকাস থেকে ৬ মার্কিন নাগরিককে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এই ইঙ্গিতই দেয়
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে ৫ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
৪ মিনিট আগে
বিচারক একা বারবাকাদজে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছেন এবং তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জামিনের অর্থ পরিশোধের জন্য তিনি ৩০ দিন সময় পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ পোস্ট।
১ ঘণ্টা আগে
শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, তাঁর ওই বন্ধু প্রচার বা পরিচয় প্রকাশ হোক চান না। সেনাবাহিনীর প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি এই অনুদান দিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘একেই বলে দেশপ্রেম।’
গতকাল শুক্রবার বিজনেস ইনসাইডারকে দেওয়া এক বিবৃতিতে পেন্টাগন অনুদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক বিভাগ ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের ক্ষমতা’ (general gift acceptance authority) অনুযায়ী এক নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দাতার কাছ থেকে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান পেয়েছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানান, সেনাসদস্যদের বেতন ও সুবিধার পেছনে ব্যয় করার শর্তে এই অনুদান দেওয়া হয়েছে।
এই অনুদান নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই পেন্টাগনের এই অর্থ রাখা এবং ব্যয় করা আইনত বৈধ কি না।
কর্নেল ল’ স্কুলের তথ্যানুযায়ী, কোনো সংস্থা বা দপ্তর যদি কোনো উৎস থেকে এ ধরনের অনুদান পায়, তবে ‘যত দ্রুত সম্ভব কোনো কর্তন বা দাবি ছাড়া সেই অর্থ কোষাগারে জমা দিতে হবে।’
মার্কিন সংবিধানের অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন ক্লজ (Appropriations Clause)-এও বলা আছে, ‘আইন অনুযায়ী বরাদ্দ করা না হলে কোনো অর্থ কোষাগার থেকে তোলা যাবে না।’ অর্থাৎ, পেন্টাগনকে এই ১৩০ মিলিয়ন ডলার কোষাগারে জমা দিতে হবে এবং অর্থ ব্যবহারের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন বা বরাদ্দ প্রয়োজন হবে।
সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা আইন (Affordable Care Act)-এর জন্য ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে কিনা, এই বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে কংগ্রেস একটি অর্থায়ন বিল পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১ অক্টোবর সরকার শাটডাউন হয়ে যায়। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ট্রাম্প চলতি অর্থবছরের অবশিষ্ট তহবিল ব্যবহারের অনুমোদন দিলে সেনাসদস্যরা বেতন পেতে শুরু করেন।

শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, তাঁর ওই বন্ধু প্রচার বা পরিচয় প্রকাশ হোক চান না। সেনাবাহিনীর প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি এই অনুদান দিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘একেই বলে দেশপ্রেম।’
গতকাল শুক্রবার বিজনেস ইনসাইডারকে দেওয়া এক বিবৃতিতে পেন্টাগন অনুদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক বিভাগ ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের ক্ষমতা’ (general gift acceptance authority) অনুযায়ী এক নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দাতার কাছ থেকে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান পেয়েছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানান, সেনাসদস্যদের বেতন ও সুবিধার পেছনে ব্যয় করার শর্তে এই অনুদান দেওয়া হয়েছে।
এই অনুদান নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই পেন্টাগনের এই অর্থ রাখা এবং ব্যয় করা আইনত বৈধ কি না।
কর্নেল ল’ স্কুলের তথ্যানুযায়ী, কোনো সংস্থা বা দপ্তর যদি কোনো উৎস থেকে এ ধরনের অনুদান পায়, তবে ‘যত দ্রুত সম্ভব কোনো কর্তন বা দাবি ছাড়া সেই অর্থ কোষাগারে জমা দিতে হবে।’
মার্কিন সংবিধানের অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন ক্লজ (Appropriations Clause)-এও বলা আছে, ‘আইন অনুযায়ী বরাদ্দ করা না হলে কোনো অর্থ কোষাগার থেকে তোলা যাবে না।’ অর্থাৎ, পেন্টাগনকে এই ১৩০ মিলিয়ন ডলার কোষাগারে জমা দিতে হবে এবং অর্থ ব্যবহারের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন বা বরাদ্দ প্রয়োজন হবে।
সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা আইন (Affordable Care Act)-এর জন্য ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে কিনা, এই বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে কংগ্রেস একটি অর্থায়ন বিল পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১ অক্টোবর সরকার শাটডাউন হয়ে যায়। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ট্রাম্প চলতি অর্থবছরের অবশিষ্ট তহবিল ব্যবহারের অনুমোদন দিলে সেনাসদস্যরা বেতন পেতে শুরু করেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলছে। অন্তত সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে মার্কিন দূত রিচার্ড গ্রেনেলের সাক্ষাৎ এবং কারাকাস থেকে ৬ মার্কিন নাগরিককে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এই ইঙ্গিতই দেয়
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে ৫ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
৪ মিনিট আগে
বিচারক একা বারবাকাদজে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছেন এবং তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জামিনের অর্থ পরিশোধের জন্য তিনি ৩০ দিন সময় পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ পোস্ট।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
২ ঘণ্টা আগে