অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলছে। অন্তত সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে মার্কিন দূত রিচার্ড গ্রেনেলের সাক্ষাৎ এবং কারাকাস থেকে ৬ মার্কিন নাগরিককে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এই ইঙ্গিতই দেয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেল গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, তিনি কারাকাস থেকে ৬ মার্কিন নাগরিককে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছেন। বিশ্লেষকেরা এটিকে অপ্রত্যাশিত ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখছেন। কারণ, গ্রেনেল এর আগেও কারাকাসে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন, গ্রেনেলের সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল ভেনেজুয়েলায় আটক মার্কিন নাগরিকদের মুক্ত করা। এই উদ্যোগ এমন সময়ে নেওয়া হলো, যখন ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন ও অপরাধী চক্র দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
গ্রেনেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তাঁর অ্যাকাউন্টে বিমানের ভেতর থেকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাঁকে ৬ জন মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে দেখা যায়। ছবিতে দেখা যায়, তাঁরা ভেনেজুয়েলার কারাগারের হালকা নীল পোশাক পরে আছেন। তবে তিনি তাঁদের নাম প্রকাশ করেননি।
গ্রেনেল পোস্টে লেখেন, ‘আমরা এখন উড্ডয়ন করেছি এবং এই ৬ মার্কিন নাগরিককে নিয়ে দেশে ফিরছি। তাঁরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বারবার তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’ ট্রাম্প নিজেও এ ঘটনাকে স্বাগত জানিয়ে এক্সে শেয়ার করা পোস্টে লিখেন, ‘গ্রেনেল ছয় জিম্মিকে ভেনেজুয়েলা থেকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনছেন।’
ভেনেজুয়েলায় ঠিক কতজন মার্কিন নাগরিক আটক ছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে দেশটির কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে অন্তত ৯ জনের কথা বলেছেন। মাদুরোর প্রশাসন তাঁদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনেছে এবং কয়েকজনকে ‘ভাড়াটে সেনা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
মাদুরো সরকার প্রায়ই বিরোধী দল এবং বিদেশি বন্দীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করছেন এবং ভেনেজুয়েলায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছেন। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা সব সময় এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং দাবি করেছেন, তাঁদের নাগরিকদের আটক রাখা অবৈধ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের লাতিন আমেরিকার বিশেষ দূত মরিসিও ক্লেভার-ক্যারোন বলেছিলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় আটক মার্কিন জিম্মিদের...অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। গ্রেনেল ও মাদুরোর মধ্যে যে বৈঠক হয়েছে, সেটি কোনো বিনিময় চুক্তি নয়।’ বিশ্লেষকেরা এই বিষয়টিকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন।
এদিকে, ২০২৩ সালের শেষ দিকে ভেনেজুয়েলা সরকার কয়েক মাস আলোচনার পর বেশ ১০ মার্কিন বন্দীকে মুক্তি দেয়। তখন যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মাদুরোর ঘনিষ্ঠ এক সহযোগীকে মুক্তি দিয়েছিল।
শুক্রবার রাতে ভেনেজুয়েলার বিচার বিভাগের বার্ষিক ভাষণে মাদুরো বলেন, গ্রেনেলের সঙ্গে তাঁর বৈঠক ইতিবাচক এবং এটি দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘প্রথম ধাপ’। তিনি বলেন, ‘কিছু বিষয়ে আমরা প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছেছি এবং সেগুলো বাস্তবায়িত হলে আরও নতুন আলোচনা হতে পারে। আশা করি, এটি দুই দেশ ও অঞ্চলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে।’
মাদুরো আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমরা প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করি, এটি আরও এগিয়ে যাবে। আমরা চাই, আলোচনা চালিয়ে যেতে।’ এ ছাড়া, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে মাদুরো ও গ্রেনেল অভিবাসন ও নিষেধাজ্ঞা নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট শুক্রবার জানান, গ্রেনেলের অন্যতম লক্ষ্য ছিল ‘ট্রেন দে আরাগুয়া’ নামে পরিচিত ভেনেজুয়েলার এক কুখ্যাত অপরাধী চক্রের ৪০০ সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো। একই বিষয়ে মার্কিন বিশেষ দূত ক্লেভার-ক্যারোন বলেন, ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার গ্যাং সদস্যদের অবশ্যই (ভেনেজুয়েলা থেকে) বহিষ্কার করতে হবে, এটি কোনোভাবেই আলোচনার বিষয় নয়।’
ভেনেজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক সাব এক সপ্তাহ আগে বলেছিলেন, ২০২৩ সালে ভেনেজুয়েলায় এই গ্যাং পুরোপুরি নির্মূল করা হয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আইনি সহযোগিতা পুনরায় শুরু করতে রাজি আছেন।
২০ জানুয়ারি ট্রাম্প পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই তিনি কঠোর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়ন শুরু করেছেন এবং গণহারে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রায় ৬ লাখ ভেনেজুয়েলার অভিবাসী আগে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্বাসন থেকে রেহাই পেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম ঘোষণা করেছেন যে, এই সুরক্ষা ব্যবস্থা সংক্ষিপ্ত করা হবে।
গ্রেনেলের সফর মানে এই নয় যে যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বলে প্রেস সেক্রেটারি লেভিট স্পষ্ট করেছেন। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক দিন ধরেই উত্তপ্ত। দীর্ঘদিন ধরে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন রয়েছে, নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে আসছে।
তবে বেশ কিছু দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যু রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো—মার্কিন তেল কোম্পানি শেভরনকে ভেনেজুয়েলায় কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেওয়া। বাইডেন প্রশাসন এর আগে ঘোষণা করেছিল যে, মাদুরো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে পুনরায় তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং মাদুরোসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার বা দণ্ডিত করতে পুরস্কারের অঙ্ক বাড়ায়।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে মাদুরোর সরকার-সমর্থিত বিজয়কে বিরোধীরা, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে। ভেনেজুয়েলা সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং বলেছে যে এটি দেশটিকে দুর্বল করার জন্য পরিকল্পিত একটি পদক্ষেপ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস শুক্রবার জানিয়েছে, শেভরন মার্কিন সরকারের বিশেষ অনুমোদন বজায় রাখতে চেষ্টা করছে, যাতে তারা ভেনেজুয়েলায় কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। শেভরনের প্রধান নির্বাহী মাইক ওয়ার্থ সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, কোম্পানি এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ‘শেভরনের অনুমোদন পুনর্বিবেচনা করা উচিত (ভেনেজুয়েলার) ’। এ ছাড়া ট্রাম্প বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত ভেনেজুয়েলা থেকে তেল আমদানি বন্ধ করবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলছে। অন্তত সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে মার্কিন দূত রিচার্ড গ্রেনেলের সাক্ষাৎ এবং কারাকাস থেকে ৬ মার্কিন নাগরিককে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এই ইঙ্গিতই দেয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেল গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, তিনি কারাকাস থেকে ৬ মার্কিন নাগরিককে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছেন। বিশ্লেষকেরা এটিকে অপ্রত্যাশিত ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখছেন। কারণ, গ্রেনেল এর আগেও কারাকাসে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন, গ্রেনেলের সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল ভেনেজুয়েলায় আটক মার্কিন নাগরিকদের মুক্ত করা। এই উদ্যোগ এমন সময়ে নেওয়া হলো, যখন ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন ও অপরাধী চক্র দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
গ্রেনেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তাঁর অ্যাকাউন্টে বিমানের ভেতর থেকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাঁকে ৬ জন মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে দেখা যায়। ছবিতে দেখা যায়, তাঁরা ভেনেজুয়েলার কারাগারের হালকা নীল পোশাক পরে আছেন। তবে তিনি তাঁদের নাম প্রকাশ করেননি।
গ্রেনেল পোস্টে লেখেন, ‘আমরা এখন উড্ডয়ন করেছি এবং এই ৬ মার্কিন নাগরিককে নিয়ে দেশে ফিরছি। তাঁরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বারবার তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’ ট্রাম্প নিজেও এ ঘটনাকে স্বাগত জানিয়ে এক্সে শেয়ার করা পোস্টে লিখেন, ‘গ্রেনেল ছয় জিম্মিকে ভেনেজুয়েলা থেকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনছেন।’
ভেনেজুয়েলায় ঠিক কতজন মার্কিন নাগরিক আটক ছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে দেশটির কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে অন্তত ৯ জনের কথা বলেছেন। মাদুরোর প্রশাসন তাঁদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনেছে এবং কয়েকজনকে ‘ভাড়াটে সেনা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
মাদুরো সরকার প্রায়ই বিরোধী দল এবং বিদেশি বন্দীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করছেন এবং ভেনেজুয়েলায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছেন। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা সব সময় এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং দাবি করেছেন, তাঁদের নাগরিকদের আটক রাখা অবৈধ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের লাতিন আমেরিকার বিশেষ দূত মরিসিও ক্লেভার-ক্যারোন বলেছিলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় আটক মার্কিন জিম্মিদের...অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। গ্রেনেল ও মাদুরোর মধ্যে যে বৈঠক হয়েছে, সেটি কোনো বিনিময় চুক্তি নয়।’ বিশ্লেষকেরা এই বিষয়টিকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন।
এদিকে, ২০২৩ সালের শেষ দিকে ভেনেজুয়েলা সরকার কয়েক মাস আলোচনার পর বেশ ১০ মার্কিন বন্দীকে মুক্তি দেয়। তখন যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মাদুরোর ঘনিষ্ঠ এক সহযোগীকে মুক্তি দিয়েছিল।
শুক্রবার রাতে ভেনেজুয়েলার বিচার বিভাগের বার্ষিক ভাষণে মাদুরো বলেন, গ্রেনেলের সঙ্গে তাঁর বৈঠক ইতিবাচক এবং এটি দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘প্রথম ধাপ’। তিনি বলেন, ‘কিছু বিষয়ে আমরা প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছেছি এবং সেগুলো বাস্তবায়িত হলে আরও নতুন আলোচনা হতে পারে। আশা করি, এটি দুই দেশ ও অঞ্চলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে।’
মাদুরো আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমরা প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করি, এটি আরও এগিয়ে যাবে। আমরা চাই, আলোচনা চালিয়ে যেতে।’ এ ছাড়া, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে মাদুরো ও গ্রেনেল অভিবাসন ও নিষেধাজ্ঞা নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট শুক্রবার জানান, গ্রেনেলের অন্যতম লক্ষ্য ছিল ‘ট্রেন দে আরাগুয়া’ নামে পরিচিত ভেনেজুয়েলার এক কুখ্যাত অপরাধী চক্রের ৪০০ সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো। একই বিষয়ে মার্কিন বিশেষ দূত ক্লেভার-ক্যারোন বলেন, ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার গ্যাং সদস্যদের অবশ্যই (ভেনেজুয়েলা থেকে) বহিষ্কার করতে হবে, এটি কোনোভাবেই আলোচনার বিষয় নয়।’
ভেনেজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক সাব এক সপ্তাহ আগে বলেছিলেন, ২০২৩ সালে ভেনেজুয়েলায় এই গ্যাং পুরোপুরি নির্মূল করা হয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আইনি সহযোগিতা পুনরায় শুরু করতে রাজি আছেন।
২০ জানুয়ারি ট্রাম্প পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই তিনি কঠোর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়ন শুরু করেছেন এবং গণহারে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রায় ৬ লাখ ভেনেজুয়েলার অভিবাসী আগে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্বাসন থেকে রেহাই পেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম ঘোষণা করেছেন যে, এই সুরক্ষা ব্যবস্থা সংক্ষিপ্ত করা হবে।
গ্রেনেলের সফর মানে এই নয় যে যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বলে প্রেস সেক্রেটারি লেভিট স্পষ্ট করেছেন। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক দিন ধরেই উত্তপ্ত। দীর্ঘদিন ধরে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন রয়েছে, নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে আসছে।
তবে বেশ কিছু দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যু রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো—মার্কিন তেল কোম্পানি শেভরনকে ভেনেজুয়েলায় কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেওয়া। বাইডেন প্রশাসন এর আগে ঘোষণা করেছিল যে, মাদুরো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে পুনরায় তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং মাদুরোসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার বা দণ্ডিত করতে পুরস্কারের অঙ্ক বাড়ায়।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে মাদুরোর সরকার-সমর্থিত বিজয়কে বিরোধীরা, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে। ভেনেজুয়েলা সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং বলেছে যে এটি দেশটিকে দুর্বল করার জন্য পরিকল্পিত একটি পদক্ষেপ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস শুক্রবার জানিয়েছে, শেভরন মার্কিন সরকারের বিশেষ অনুমোদন বজায় রাখতে চেষ্টা করছে, যাতে তারা ভেনেজুয়েলায় কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। শেভরনের প্রধান নির্বাহী মাইক ওয়ার্থ সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, কোম্পানি এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ‘শেভরনের অনুমোদন পুনর্বিবেচনা করা উচিত (ভেনেজুয়েলার) ’। এ ছাড়া ট্রাম্প বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত ভেনেজুয়েলা থেকে তেল আমদানি বন্ধ করবে।’
আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে তীব্র লড়াইয়ের কারণে গত রোববার থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ৫ দিনে ৭ শতাধিক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় বৃহত্তম শহর গোমাতে তীব্র লড়াইয়ের কারণে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া, আরও ২ হাজার ৮০০ জন...
২ ঘণ্টা আগেমহারাষ্ট্র রাজ্যের থানে জেলার ভিবান্ডির একটি অর্কেস্ট্রা বার থেকে নয় নারীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ। পুলিশ বলছে, গত বৃহস্পতিবার অভিযানে গ্রেপ্তার নারীরা বাংলাদেশি। তাঁরা অবৈধভাবে বারে নাচের পেশায় যুক্ত ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগেআফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানের একটি পশুর খামারে সশস্ত্র লুটেরাদের হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১ জন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সকালে পূর্ব ইকুয়াতোরিয়া রাজ্যের মাগুই কাউন্টির নিয়োলো বোমায় দিনকা বোর এলাকায় পশুপালকদের তিনটি ক্যাম্পে লুটেরারা হামলা চালালে...
৩ ঘণ্টা আগেভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (ডিজিএফটি) ওষুধ রপ্তানির জন্য নির্ধারিত ‘ট্র্যাক অ্যান্ড ট্রেস’ ব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এই ব্যবস্থা প্রত্যাহারের মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের ওষুধ রপ্তানিকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা...
৩ ঘণ্টা আগে