Ajker Patrika

ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের দায়ে ১১ জনের কারাদণ্ড

আপডেট : ২১ মে ২০২২, ২১: ৫৮
ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের দায়ে ১১ জনের কারাদণ্ড

ভারতে এক বাংলাদেশি নারীকে পাচার ও দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৭ বাংলাদেশিসহ মোট ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর একটি বিশেষ আদালত এই দণ্ডাদেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে সাতজনকে যাবজ্জীবন, একজনকে ২০ বছর ও একজনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। 

দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন—সবুজ, হৃদয় বাবু, রাফসান মণ্ডল, রকিবুল ইসলাম সাগর, মোহাম্মদ বাবু, ডালিম ও আজিম। এঁদের প্রত্যেককেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তানিয়া নামে মামলার আরেক আসামিকে দেওয়া হয়েছে ২০ বছরের কারাদণ্ড। এ ছাড়া আরেক আসামি জামালকে দেওয়া হয়েছে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং অপর দুই আসামি নুসরাত ও কাজলকে ৯ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

২০২১ সালের মে মাসে ওই নারীর ওপর চালানো যৌন নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশ ও ভারতের আসামে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওর সূত্র ধরেই তদন্তে নামে পুলিশ। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ওই ভিডিওর উৎস খুঁজতে গিয়ে আসাম পুলিশ জানতে পারে, নির্যাতনে জড়িত ব্যক্তিরা বেঙ্গালুরুতে আছেন। তারপর সেই তথ্য কর্ণাটক পুলিশকে সরবরাহ করে তারা। পরে বেঙ্গালুরু পুলিশ ওই ভিডিওর সূত্র ধরে ছয়জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়। 

মামলার প্রধান অভিযুক্ত সবুজ ও হৃদয় বাবু বাংলাদেশি দরিদ্র নারীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে নিয়ে গিয়ে ভারতের বিভিন্ন পতিতালয়ে বিক্রি করে দিতেন। ওই তরুণীকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল একই কায়দায়। কিন্তু ওই নারী সেখান থেকে পালিয়ে যান এবং তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজনকে নিয়ে যান। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই চক্রটি। 

সে সময় ওই নারী এবং আরও একজন ভারতীয় পুলিশের সহায়তায় দেশে ফিরে আসেন। ওই নারী প্রতারক চক্রটির কাছে ৬ লাখ টাকাও পেতেন। পরে চক্রটি টাকার বিষয়টি ফয়সালা করার কথা বলে ডেকে নিয়ে তাঁকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। 

এই মামলায় ভারতের পুলিশ মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। এর মধ্যে ১১ জনই বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী এবং একজন স্থানীয় অভিবাসী। 

বেঙ্গালুরুর উপ-পুলিশ কমিশনার ভীমশঙ্কর গুলে বলেছেন, ‘দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে, আমরা জরুরিভিত্তিক তদন্ত তৎপরতা চালিয়েছি। এর মধ্যে ডিএনএ বিশ্লেষণ, ইলেকট্রনিক প্রমাণাদি যাচাই এবং মোবাইল ফরেনসিকসহ ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রমাণ সংগ্রহ করে আমরা মাত্র ২৮ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দিয়েছিলাম।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত