প্রেম কোনো সীমানা বা রাজনীতি মানে না! সেটিই দেখিয়েছেন ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকেরা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেখা গেছে, ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০০ জন বাংলাদেশি নারী ভারতীয় পুরুষের সঙ্গে বিয়ের জন্য আবেদন করেছেন। আর ১১ জন বাংলাদেশি পুরুষ ভারতীয় নারীকে বিয়ের জন্য আবেদন করেছেন। এটি গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশিদের করার বিয়ের আবেদনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। এই পরিসংখ্যান ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিয়ে নিবন্ধনের জন্য জমা দেওয়া ৪৮৬টি আবেদনের মধ্যে প্রায় ২৩ শতাংশ।
তবে এই বাংলাদেশিদের মধ্যে কতজন ভারতে বসবাস করবেন তা এখনই জানা যায়নি। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁদের ধারণা, এর মধ্যে বেশির ভাগই ভারতে থাকবেন। একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মোটামুটি নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারি যে, নাগরিকত্ব আইনের সুযোগ থাকায় তাঁদের অনেকেই ভারতে থাকার সিদ্ধান্ত নেবেন।’
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুসারে, কোনো ব্যক্তি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন যদি তিনি ‘ভারতের কোনো নাগরিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার আগে সাত বছর ধরে ভারতে বসবাস করেন’। এ ছাড়া, যেসব শিশুর বাবা–মার যেকোনো একজন ভারতীয়, তারা জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে পারেন।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৫ বছরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ৪৮৬ জন বাংলাদেশি ভারতীয় সঙ্গী বেছে নিয়েছেন।
একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি ২০২৪ সালে এই বৃদ্ধির একটি কারণ হতে পারে। কিন্তু গত বছরের আগস্টের এর আগে এবং পরে জমা দেওয়া আবেদনগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করার পরই আমরা এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলতে পারব।’
সাধারণত দেখা যায়, বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি নারী ভারতীয় পুরুষদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ভারতে বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন। গত পাঁচ বছরে, পশ্চিমবঙ্গে ৪১০ জন বাংলাদেশি নারী ভারতীয় পুরুষকে বিয়ে করেছেন। অন্যদিকে ৭৬ জন বাংলাদেশি পুরুষ ভারতীয় নারীকে বিয়ে করেছেন।
রাজ্যের বিয়ে নিবন্ধক জেনারেলের অফিসের তথ্য অনুসারে, এই বিয়ের আবেদনগুলো বেশির ভাগ করেছেন হিন্দুরা। ২০২৪ সালের ১১১টি আবেদনের মধ্যে, ৭৯ জন নারী ছিলেন বাংলাদেশি হিন্দু, ১৬ জন মুসলিম এবং ৫ জন খ্রিষ্টান। পশ্চিমবঙ্গে বিয়ে করা বাংলাদেশি পুরুষদের মধ্যে, ৯ জন হিন্দু এবং মাত্র ২ জন মুসলিম।
২০২৩ সালে বাংলাদেশি বর এবং কনে বেশির ভাগই হিন্দু ছিলেন। তবে বিয়ের আবেদনের মোট সংখ্যা ২০২৪ সালের অর্ধেকেরও কম ছিল, মাত্র ৫৪ টি। এর মধ্যে ৪৪ জন নারী এবং ১৩ জন পুরুষ ছিলেন।
রাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ থেকে বিয়ের আবেদন হঠাৎ বৃদ্ধির দুটি কারণ উল্লেখ করেছেন। প্রথমত, এই ধরনের বিয়েতে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা সহজ হয়। দ্বিতীয়ত, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ২০২৩ সালের অক্টোবর একটি নিয়ম পরিবর্তনের ফলে বিদেশিদের ভারতীয়কে বিয়ে করাও সহজ হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে পরিবর্তিত নিয়ম অনুসারে, বৈধ ভিসা থাকা বিদেশিরা, যারা ৩০ দিনের নোটিশ পিরিয়ডের মধ্যে রাজ্যে অবস্থান করেন, তাঁরা যদি একটি অ্যাফিডেভিট দেন যে তাঁরা অবিবাহিত, তাহলে ভারতীয় নাগরিককে বিয়ে করতে পারবেন।
প্রেম কোনো সীমানা বা রাজনীতি মানে না! সেটিই দেখিয়েছেন ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকেরা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেখা গেছে, ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০০ জন বাংলাদেশি নারী ভারতীয় পুরুষের সঙ্গে বিয়ের জন্য আবেদন করেছেন। আর ১১ জন বাংলাদেশি পুরুষ ভারতীয় নারীকে বিয়ের জন্য আবেদন করেছেন। এটি গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশিদের করার বিয়ের আবেদনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। এই পরিসংখ্যান ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিয়ে নিবন্ধনের জন্য জমা দেওয়া ৪৮৬টি আবেদনের মধ্যে প্রায় ২৩ শতাংশ।
তবে এই বাংলাদেশিদের মধ্যে কতজন ভারতে বসবাস করবেন তা এখনই জানা যায়নি। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁদের ধারণা, এর মধ্যে বেশির ভাগই ভারতে থাকবেন। একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মোটামুটি নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারি যে, নাগরিকত্ব আইনের সুযোগ থাকায় তাঁদের অনেকেই ভারতে থাকার সিদ্ধান্ত নেবেন।’
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুসারে, কোনো ব্যক্তি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন যদি তিনি ‘ভারতের কোনো নাগরিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার আগে সাত বছর ধরে ভারতে বসবাস করেন’। এ ছাড়া, যেসব শিশুর বাবা–মার যেকোনো একজন ভারতীয়, তারা জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে পারেন।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৫ বছরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ৪৮৬ জন বাংলাদেশি ভারতীয় সঙ্গী বেছে নিয়েছেন।
একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি ২০২৪ সালে এই বৃদ্ধির একটি কারণ হতে পারে। কিন্তু গত বছরের আগস্টের এর আগে এবং পরে জমা দেওয়া আবেদনগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করার পরই আমরা এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলতে পারব।’
সাধারণত দেখা যায়, বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি নারী ভারতীয় পুরুষদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ভারতে বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন। গত পাঁচ বছরে, পশ্চিমবঙ্গে ৪১০ জন বাংলাদেশি নারী ভারতীয় পুরুষকে বিয়ে করেছেন। অন্যদিকে ৭৬ জন বাংলাদেশি পুরুষ ভারতীয় নারীকে বিয়ে করেছেন।
রাজ্যের বিয়ে নিবন্ধক জেনারেলের অফিসের তথ্য অনুসারে, এই বিয়ের আবেদনগুলো বেশির ভাগ করেছেন হিন্দুরা। ২০২৪ সালের ১১১টি আবেদনের মধ্যে, ৭৯ জন নারী ছিলেন বাংলাদেশি হিন্দু, ১৬ জন মুসলিম এবং ৫ জন খ্রিষ্টান। পশ্চিমবঙ্গে বিয়ে করা বাংলাদেশি পুরুষদের মধ্যে, ৯ জন হিন্দু এবং মাত্র ২ জন মুসলিম।
২০২৩ সালে বাংলাদেশি বর এবং কনে বেশির ভাগই হিন্দু ছিলেন। তবে বিয়ের আবেদনের মোট সংখ্যা ২০২৪ সালের অর্ধেকেরও কম ছিল, মাত্র ৫৪ টি। এর মধ্যে ৪৪ জন নারী এবং ১৩ জন পুরুষ ছিলেন।
রাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ থেকে বিয়ের আবেদন হঠাৎ বৃদ্ধির দুটি কারণ উল্লেখ করেছেন। প্রথমত, এই ধরনের বিয়েতে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা সহজ হয়। দ্বিতীয়ত, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ২০২৩ সালের অক্টোবর একটি নিয়ম পরিবর্তনের ফলে বিদেশিদের ভারতীয়কে বিয়ে করাও সহজ হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে পরিবর্তিত নিয়ম অনুসারে, বৈধ ভিসা থাকা বিদেশিরা, যারা ৩০ দিনের নোটিশ পিরিয়ডের মধ্যে রাজ্যে অবস্থান করেন, তাঁরা যদি একটি অ্যাফিডেভিট দেন যে তাঁরা অবিবাহিত, তাহলে ভারতীয় নাগরিককে বিয়ে করতে পারবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে নির্ধারিত বৈঠকের পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা কিয়েভের কোনো ভূখণ্ড ছাড় না দিয়ে যুদ্ধবিরতির দাবিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে। ব্রিটিশ সংব
১৯ মিনিট আগেমধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গাজায় সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় চলমান নাজুক যুদ্ধবিরতির মধ্যেই তিনি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির বিরুদ্ধে নতুন করে হুমকি দিলেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন
৩৮ মিনিট আগেফ্রান্সের সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্যারিসের লা সান্তে কারাগারে তার পাঁচ বছরের সাজা ভোগ শুরু করেছেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় রক্ষণশীল এই রাজনীতিককে লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেমার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ইসরায়েল পৌঁছেছেন। সিএনএন জানিয়েছে, তিনি এমন এক সময়ে ইসরায়েল গেলেন, যখন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে নির্ধারিত বৈঠকের পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা কিয়েভের কোনো ভূখণ্ড ছাড় না দিয়ে যুদ্ধবিরতির দাবিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মধ্যে ‘অদূর ভবিষ্যতে’ কোনো বৈঠকের পরিকল্পনা নেই। গত সপ্তাহের শেষে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় যুদ্ধের অবসানেও কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যে ফোনালাপের পর এই বিষয়টি সামনে এল। ওই আলাপে লাভরভ জানান, রাশিয়ার আলোচনার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।
লাভরভ বলেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করছি—আলাস্কা সম্মেলনে যে সমঝোতা হয়েছিল, তার পর থেকে রাশিয়ার অবস্থান বদলায়নি।’ তিনি আরও জানান, রুবিওকেও তিনি আগের দিন একই কথা বলেছেন।
গত রাতে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তিনি ‘অকারণ বৈঠক’ চান না। তাঁর ভাষায়, ‘সময় নষ্ট করতে চাই না। দেখি কী হয়।’
বুদাপেস্ট সম্মেলন স্থগিত হওয়ার মানে হলো গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প–পুতিন ফোনালাপের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সংক্ষিপ্ত এক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সমাপ্তি।
ওই ফোনালাপে পুতিন নাকি প্রস্তাব দিয়েছিলেন—রুশ বাহিনীর দখলে থাকা খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া প্রদেশের কিছু অংশ ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে দোনেৎস্ক অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ মস্কোকে দিতে। এই দোনেৎস্ক অঞ্চলকে রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের লক্ষ্য হিসেবে দেখে আসছে, যদিও ইউক্রেনের কাছে এটি দেশটির মধ্যাঞ্চলে প্রবেশের প্রধান দ্বার।
পুতিনের প্রস্তাবে প্রথমে কিছুটা ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও রোববার ট্রাম্প সেই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, দোনেৎস্ক ‘যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকা উচিত।’ এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘তারা চাইলে পরে আলোচনা করতে পারে, কিন্তু আমি বলেছি, বর্তমান ফ্রন্টলাইনেই থামো। ঘরে ফিরে যাও। যুদ্ধ থামাও, মানুষ মারা বন্ধ করো।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তাঁর দেশ পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে ‘একই অবস্থানে’ আছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ট্রাম্প ইউক্রেনকে টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিলম্বিত করায় রাশিয়া ‘গুরুতর আলোচনায় আগ্রহ হারিয়েছে।’
গত শুক্রবার ট্রাম্প ও জেলেনস্কি ওয়াশিংটনে বৈঠক করেন—যা হয়েছিল ট্রাম্পের পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের এক দিন পর। ওই বৈঠক ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। হোয়াইট হাউস সেখানে ইউক্রেনের সম্ভাব্য ভূখণ্ড ছাড়ের বিষয়টি তুলেছিল, যা কিয়েভ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। একই সঙ্গে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র কেনার অনুরোধও স্থগিত হয়ে যায়।
কিয়েভের ধারণা, প্রায় এক হাজার মাইল পাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারলে তারা রাশিয়ার ওপর সামরিক চাপ বাড়াতে পারবে। ইউক্রেন এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার সামরিক শিল্পাঞ্চল ও তেলশোধনাগারে হামলার অনুমতি চায়। তবে ক্রেমলিন বলেছে, এমন কোনো পদক্ষেপকে তারা যুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত হিসেবে দেখবে।
এর আগে মঙ্গলবার জেলেনস্কি ও যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং আরও পাঁচটি ইউরোপীয় দেশের নেতারা বর্তমান যুদ্ধক্ষেত্রের সীমারেখা ধরে যুদ্ধবিরতির ট্রাম্পের আহ্বানকে সমর্থন করেন। যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘বর্তমান যোগাযোগের সীমারেখাই আলোচনার সূচনাবিন্দু হওয়া উচিত।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেরৎস, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক।
এছাড়া ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও ডেনমার্কের নেতারা, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লায়েন এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কোস্তাও ওই বিবৃতিতে সমর্থন জানান।
কিয়েভ বলেছে, রাশিয়ার দখলে থাকা কোনো ভূখণ্ডকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে না। তবে ইউক্রেন বিদ্যমান সীমারেখায় যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে রাজি আছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। এর অর্থ দাঁড়ায়—মস্কো বর্তমানে ইউক্রেনের যে প্রায় এক-পঞ্চমাংশ দখল করে রেখেছে, তা কার্যত তাদের নিয়ন্ত্রণেই থেকে যাবে, কারণ সামরিকভাবে ইউক্রেন এখনো দখলদার বাহিনীকে পুরোপুরি সরাতে পারেনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে নির্ধারিত বৈঠকের পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা কিয়েভের কোনো ভূখণ্ড ছাড় না দিয়ে যুদ্ধবিরতির দাবিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মধ্যে ‘অদূর ভবিষ্যতে’ কোনো বৈঠকের পরিকল্পনা নেই। গত সপ্তাহের শেষে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় যুদ্ধের অবসানেও কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যে ফোনালাপের পর এই বিষয়টি সামনে এল। ওই আলাপে লাভরভ জানান, রাশিয়ার আলোচনার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।
লাভরভ বলেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করছি—আলাস্কা সম্মেলনে যে সমঝোতা হয়েছিল, তার পর থেকে রাশিয়ার অবস্থান বদলায়নি।’ তিনি আরও জানান, রুবিওকেও তিনি আগের দিন একই কথা বলেছেন।
গত রাতে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তিনি ‘অকারণ বৈঠক’ চান না। তাঁর ভাষায়, ‘সময় নষ্ট করতে চাই না। দেখি কী হয়।’
বুদাপেস্ট সম্মেলন স্থগিত হওয়ার মানে হলো গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প–পুতিন ফোনালাপের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সংক্ষিপ্ত এক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সমাপ্তি।
ওই ফোনালাপে পুতিন নাকি প্রস্তাব দিয়েছিলেন—রুশ বাহিনীর দখলে থাকা খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া প্রদেশের কিছু অংশ ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে দোনেৎস্ক অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ মস্কোকে দিতে। এই দোনেৎস্ক অঞ্চলকে রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের লক্ষ্য হিসেবে দেখে আসছে, যদিও ইউক্রেনের কাছে এটি দেশটির মধ্যাঞ্চলে প্রবেশের প্রধান দ্বার।
পুতিনের প্রস্তাবে প্রথমে কিছুটা ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও রোববার ট্রাম্প সেই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, দোনেৎস্ক ‘যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকা উচিত।’ এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘তারা চাইলে পরে আলোচনা করতে পারে, কিন্তু আমি বলেছি, বর্তমান ফ্রন্টলাইনেই থামো। ঘরে ফিরে যাও। যুদ্ধ থামাও, মানুষ মারা বন্ধ করো।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তাঁর দেশ পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে ‘একই অবস্থানে’ আছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ট্রাম্প ইউক্রেনকে টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিলম্বিত করায় রাশিয়া ‘গুরুতর আলোচনায় আগ্রহ হারিয়েছে।’
গত শুক্রবার ট্রাম্প ও জেলেনস্কি ওয়াশিংটনে বৈঠক করেন—যা হয়েছিল ট্রাম্পের পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের এক দিন পর। ওই বৈঠক ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। হোয়াইট হাউস সেখানে ইউক্রেনের সম্ভাব্য ভূখণ্ড ছাড়ের বিষয়টি তুলেছিল, যা কিয়েভ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। একই সঙ্গে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র কেনার অনুরোধও স্থগিত হয়ে যায়।
কিয়েভের ধারণা, প্রায় এক হাজার মাইল পাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারলে তারা রাশিয়ার ওপর সামরিক চাপ বাড়াতে পারবে। ইউক্রেন এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার সামরিক শিল্পাঞ্চল ও তেলশোধনাগারে হামলার অনুমতি চায়। তবে ক্রেমলিন বলেছে, এমন কোনো পদক্ষেপকে তারা যুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত হিসেবে দেখবে।
এর আগে মঙ্গলবার জেলেনস্কি ও যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং আরও পাঁচটি ইউরোপীয় দেশের নেতারা বর্তমান যুদ্ধক্ষেত্রের সীমারেখা ধরে যুদ্ধবিরতির ট্রাম্পের আহ্বানকে সমর্থন করেন। যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘বর্তমান যোগাযোগের সীমারেখাই আলোচনার সূচনাবিন্দু হওয়া উচিত।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেরৎস, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক।
এছাড়া ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও ডেনমার্কের নেতারা, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লায়েন এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কোস্তাও ওই বিবৃতিতে সমর্থন জানান।
কিয়েভ বলেছে, রাশিয়ার দখলে থাকা কোনো ভূখণ্ডকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে না। তবে ইউক্রেন বিদ্যমান সীমারেখায় যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে রাজি আছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। এর অর্থ দাঁড়ায়—মস্কো বর্তমানে ইউক্রেনের যে প্রায় এক-পঞ্চমাংশ দখল করে রেখেছে, তা কার্যত তাদের নিয়ন্ত্রণেই থেকে যাবে, কারণ সামরিকভাবে ইউক্রেন এখনো দখলদার বাহিনীকে পুরোপুরি সরাতে পারেনি।
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুসারে, কোনো ব্যক্তি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন যদি তিনি ‘ভারতের কোনো নাগরিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার আগে সাত বছর ধরে ভারতে বসবাস করেন’। এ ছাড়া, যেসব শিশুর বাবা–মার যেকোনো একজন ভারতীয়, তারা জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে পারেন...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গাজায় সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় চলমান নাজুক যুদ্ধবিরতির মধ্যেই তিনি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির বিরুদ্ধে নতুন করে হুমকি দিলেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন
৩৮ মিনিট আগেফ্রান্সের সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্যারিসের লা সান্তে কারাগারে তার পাঁচ বছরের সাজা ভোগ শুরু করেছেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় রক্ষণশীল এই রাজনীতিককে লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেমার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ইসরায়েল পৌঁছেছেন। সিএনএন জানিয়েছে, তিনি এমন এক সময়ে ইসরায়েল গেলেন, যখন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গাজায় সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় চলমান নাজুক যুদ্ধবিরতির মধ্যেই তিনি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির বিরুদ্ধে নতুন করে হুমকি দিলেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্প তাঁর নিজ মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য এবং এর আশপাশের বহু দেশ, আমাদের এখনকার মহান মিত্ররা, আমাকে স্পষ্টভাবে ও উৎসাহের সঙ্গে জানিয়েছেন, আমার অনুরোধে তাঁরা গাজায় প্রবেশ করে বড় ধরনের বাহিনী নিয়ে হামাসকে সোজা পথে আনতে প্রস্তুত, যদি হামাস আমাদের সঙ্গে করা চুক্তি লঙ্ঘন করে খারাপ আচরণ চালিয়ে যায়।’
ট্রাম্প নির্দিষ্ট করে বলেননি কোন কোন দেশ গাজায় সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে তিনি ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মহান ও শক্তিশালী দেশ ইন্দোনেশিয়া এবং তার অসাধারণ নেতাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তারা যে সহায়তা দেখিয়েছে এবং দিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
জাকার্তা ও আরও কিছু দেশ গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো দেশ সরাসরি হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এমন ভালোবাসা ও ঐক্যের স্পিরিট গত এক হাজার বছরেও দেখা যায়নি! এটি সত্যিই দেখার মতো এক সুন্দর দৃশ্য! আমি এসব দেশ ও ইসরায়েলকে বলেছি, এখনো নয়! এখনো আশা আছে, হামাস সঠিক কাজটি করবে।’
ট্রাম্প সতর্ক করে দেন, ‘যদি তারা তা না করে, হামাসের শেষ হবে দ্রুত, কঠোর ও নির্মমভাবে!’
এদিকে ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
ট্রাম্প প্রায়ই হামাসকে এ ধরনের হুমকি দিয়ে থাকেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশ আসলে হামাসের বিরুদ্ধে এমন কিছু করতে পারবে কি না, যা ইসরায়েল এত দিনেও করতে পারেনি, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
গত দুই বছরে ইসরায়েল হামাসের রাজনৈতিক ও সামরিক শীর্ষ নেতাদের বেশির ভাগকেই হত্যা করেছে। পাশাপাশি তারা গাজা উপত্যকার প্রায় পুরো অংশ ধ্বংস করে দিয়েছে, ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং সেখানে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছে, যা জাতিসংঘের তদন্তকারীদের মতে এবং শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ভাষায় একপ্রকার গণহত্যা।
মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গাজায় সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় চলমান নাজুক যুদ্ধবিরতির মধ্যেই তিনি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির বিরুদ্ধে নতুন করে হুমকি দিলেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্প তাঁর নিজ মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য এবং এর আশপাশের বহু দেশ, আমাদের এখনকার মহান মিত্ররা, আমাকে স্পষ্টভাবে ও উৎসাহের সঙ্গে জানিয়েছেন, আমার অনুরোধে তাঁরা গাজায় প্রবেশ করে বড় ধরনের বাহিনী নিয়ে হামাসকে সোজা পথে আনতে প্রস্তুত, যদি হামাস আমাদের সঙ্গে করা চুক্তি লঙ্ঘন করে খারাপ আচরণ চালিয়ে যায়।’
ট্রাম্প নির্দিষ্ট করে বলেননি কোন কোন দেশ গাজায় সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে তিনি ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মহান ও শক্তিশালী দেশ ইন্দোনেশিয়া এবং তার অসাধারণ নেতাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তারা যে সহায়তা দেখিয়েছে এবং দিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
জাকার্তা ও আরও কিছু দেশ গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো দেশ সরাসরি হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এমন ভালোবাসা ও ঐক্যের স্পিরিট গত এক হাজার বছরেও দেখা যায়নি! এটি সত্যিই দেখার মতো এক সুন্দর দৃশ্য! আমি এসব দেশ ও ইসরায়েলকে বলেছি, এখনো নয়! এখনো আশা আছে, হামাস সঠিক কাজটি করবে।’
ট্রাম্প সতর্ক করে দেন, ‘যদি তারা তা না করে, হামাসের শেষ হবে দ্রুত, কঠোর ও নির্মমভাবে!’
এদিকে ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
ট্রাম্প প্রায়ই হামাসকে এ ধরনের হুমকি দিয়ে থাকেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশ আসলে হামাসের বিরুদ্ধে এমন কিছু করতে পারবে কি না, যা ইসরায়েল এত দিনেও করতে পারেনি, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
গত দুই বছরে ইসরায়েল হামাসের রাজনৈতিক ও সামরিক শীর্ষ নেতাদের বেশির ভাগকেই হত্যা করেছে। পাশাপাশি তারা গাজা উপত্যকার প্রায় পুরো অংশ ধ্বংস করে দিয়েছে, ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং সেখানে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছে, যা জাতিসংঘের তদন্তকারীদের মতে এবং শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ভাষায় একপ্রকার গণহত্যা।
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুসারে, কোনো ব্যক্তি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন যদি তিনি ‘ভারতের কোনো নাগরিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার আগে সাত বছর ধরে ভারতে বসবাস করেন’। এ ছাড়া, যেসব শিশুর বাবা–মার যেকোনো একজন ভারতীয়, তারা জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে পারেন...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে নির্ধারিত বৈঠকের পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা কিয়েভের কোনো ভূখণ্ড ছাড় না দিয়ে যুদ্ধবিরতির দাবিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে। ব্রিটিশ সংব
১৯ মিনিট আগেফ্রান্সের সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্যারিসের লা সান্তে কারাগারে তার পাঁচ বছরের সাজা ভোগ শুরু করেছেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় রক্ষণশীল এই রাজনীতিককে লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেমার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ইসরায়েল পৌঁছেছেন। সিএনএন জানিয়েছে, তিনি এমন এক সময়ে ইসরায়েল গেলেন, যখন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ফ্রান্সের সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্যারিসের লা সান্তে কারাগারে তার পাঁচ বছরের সাজা ভোগ শুরু করেছেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় রক্ষণশীল এই রাজনীতিককে লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ৭০ বছর বয়সী সারকোজি কারাগারে যাওয়ার আগে স্ত্রী কার্লা ব্রুনির হাত ধরে বাড়ি থেকে বের হন। পথে তাঁকে ঘিরে সমর্থকেরা ফরাসি জাতীয় সংগীত গেয়ে তাঁর সমর্থনে স্লোগান দেন।
লা সান্তে কারাগারের ফটকের সামনে পৌঁছানোর আগেই স্ত্রীর কাছ থেকে বিদায় নেন সারকোজি। মুখে কিছু না বললেও স্ত্রীর চোখের দিকে তাকিয়ে সামান্য মাথা নেড়ে তিনি বিদায় জানান। কার্লা তখন ঠোঁট চেপে কান্না আটকানোর চেষ্টা করছিলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসি সহযোগী মার্শাল ফিলিপ পেতাঁর পর সারকোজিই হলেন প্রথম ফরাসি প্রেসিডেন্ট যাকে কারাগারে পাঠানো হলো।
নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে সারকোজি সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘আজ একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট নয়, একজন নির্দোষ মানুষকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।’ তিনি দাবি করেন, এটি প্রতিশোধ ও ঘৃণার ফসল।
২০১১ সালের আরব বসন্তের সময় নিহত লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে ২০০৭ সালের নির্বাচনে কোটি কোটি ইউরো তহবিল নেওয়ার অভিযোগ বহু বছর ধরে সারকোজির পিছু ছাড়েনি। আদালত রায় দিয়েছেন, তিনি ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সঙ্গে এই তহবিল সংগ্রহের ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন, যদিও তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি অর্থ গ্রহণ বা ব্যবহার প্রমাণিত হয়নি।
জেলে গেলেও তাঁর আইনজীবীরা আগাম মুক্তির আবেদন করেছেন এবং আশা করছেন, বড়দিনের আগেই তিনি মুক্তি পেতে পারেন। আপিল বিচার পর্যন্ত সারকোজিকে কারাগারের বিচ্ছিন্ন একটি কক্ষে রাখা হবে। একজনের এই কক্ষে থাকবে টেলিফোন এবং টেলিভিশন ব্যবহারের সুযোগ।
জেলে নেওয়ার সময় সারকোজি জানিয়েছিলেন, তিনি তিনটি বই সঙ্গে নিচ্ছেন—এর একটি আলেক্সান্দ্রে দ্যুমার ‘দ্য কাউন্ট অব মন্টে ক্রিস্টো’, যেখানে এক নিরপরাধ মানুষের কারাগারে বন্দিত্ব ও প্রতিশোধের কাহিনি বলা হয়েছে।
এই রায় ফ্রান্সের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সারকোজির সমর্থকেরা বলছেন—তিনি অপরাধী নন, বরং বিচারব্যবস্থা রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সাজা প্রমাণ করে—ফ্রান্স এখন অভিজাতদের অপরাধেও কঠোর অবস্থান নিচ্ছে।
ফ্রান্সের সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্যারিসের লা সান্তে কারাগারে তার পাঁচ বছরের সাজা ভোগ শুরু করেছেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় রক্ষণশীল এই রাজনীতিককে লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ৭০ বছর বয়সী সারকোজি কারাগারে যাওয়ার আগে স্ত্রী কার্লা ব্রুনির হাত ধরে বাড়ি থেকে বের হন। পথে তাঁকে ঘিরে সমর্থকেরা ফরাসি জাতীয় সংগীত গেয়ে তাঁর সমর্থনে স্লোগান দেন।
লা সান্তে কারাগারের ফটকের সামনে পৌঁছানোর আগেই স্ত্রীর কাছ থেকে বিদায় নেন সারকোজি। মুখে কিছু না বললেও স্ত্রীর চোখের দিকে তাকিয়ে সামান্য মাথা নেড়ে তিনি বিদায় জানান। কার্লা তখন ঠোঁট চেপে কান্না আটকানোর চেষ্টা করছিলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসি সহযোগী মার্শাল ফিলিপ পেতাঁর পর সারকোজিই হলেন প্রথম ফরাসি প্রেসিডেন্ট যাকে কারাগারে পাঠানো হলো।
নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে সারকোজি সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘আজ একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট নয়, একজন নির্দোষ মানুষকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।’ তিনি দাবি করেন, এটি প্রতিশোধ ও ঘৃণার ফসল।
২০১১ সালের আরব বসন্তের সময় নিহত লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে ২০০৭ সালের নির্বাচনে কোটি কোটি ইউরো তহবিল নেওয়ার অভিযোগ বহু বছর ধরে সারকোজির পিছু ছাড়েনি। আদালত রায় দিয়েছেন, তিনি ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সঙ্গে এই তহবিল সংগ্রহের ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন, যদিও তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি অর্থ গ্রহণ বা ব্যবহার প্রমাণিত হয়নি।
জেলে গেলেও তাঁর আইনজীবীরা আগাম মুক্তির আবেদন করেছেন এবং আশা করছেন, বড়দিনের আগেই তিনি মুক্তি পেতে পারেন। আপিল বিচার পর্যন্ত সারকোজিকে কারাগারের বিচ্ছিন্ন একটি কক্ষে রাখা হবে। একজনের এই কক্ষে থাকবে টেলিফোন এবং টেলিভিশন ব্যবহারের সুযোগ।
জেলে নেওয়ার সময় সারকোজি জানিয়েছিলেন, তিনি তিনটি বই সঙ্গে নিচ্ছেন—এর একটি আলেক্সান্দ্রে দ্যুমার ‘দ্য কাউন্ট অব মন্টে ক্রিস্টো’, যেখানে এক নিরপরাধ মানুষের কারাগারে বন্দিত্ব ও প্রতিশোধের কাহিনি বলা হয়েছে।
এই রায় ফ্রান্সের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সারকোজির সমর্থকেরা বলছেন—তিনি অপরাধী নন, বরং বিচারব্যবস্থা রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সাজা প্রমাণ করে—ফ্রান্স এখন অভিজাতদের অপরাধেও কঠোর অবস্থান নিচ্ছে।
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুসারে, কোনো ব্যক্তি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন যদি তিনি ‘ভারতের কোনো নাগরিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার আগে সাত বছর ধরে ভারতে বসবাস করেন’। এ ছাড়া, যেসব শিশুর বাবা–মার যেকোনো একজন ভারতীয়, তারা জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে পারেন...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে নির্ধারিত বৈঠকের পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা কিয়েভের কোনো ভূখণ্ড ছাড় না দিয়ে যুদ্ধবিরতির দাবিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে। ব্রিটিশ সংব
১৯ মিনিট আগেমধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গাজায় সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় চলমান নাজুক যুদ্ধবিরতির মধ্যেই তিনি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির বিরুদ্ধে নতুন করে হুমকি দিলেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন
৩৮ মিনিট আগেমার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ইসরায়েল পৌঁছেছেন। সিএনএন জানিয়েছে, তিনি এমন এক সময়ে ইসরায়েল গেলেন, যখন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ইসরায়েল পৌঁছেছেন। সিএনএন জানিয়েছে, তিনি এমন এক সময়ে ইসরায়েল গেলেন, যখন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
সিএনএনকে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভ্যান্সের সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে মার্কিন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অটল রাখা। একজন মার্কিন কর্মকর্তা ভ্যান্সের সফরকে রসিকতার ছলে ‘বিবিসিটিং’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
অপর একজন বলেছেন, প্রেসিডেন্টের পর সবচেয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার উপস্থিতির মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসন শক্ত বার্তা দিতে চাইছে যে, যুদ্ধবিরতি অবশ্যই টেকসই হতে হবে, এমনকি সম্ভাব্য সংঘর্ষের মধ্যেও তা টিকিয়ে রাখতে হবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই মুহূর্তেই গাজার যুদ্ধবিরতি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছে। তাই ট্রাম্পের গত সপ্তাহের সফরের পরপরই ভ্যান্সের যাত্রা জরুরি হয়ে পড়ে। ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, যুদ্ধবিরতির পর গত ১৯ অক্টোবর হামাসের হামলায় দুই আইডিএফ (ইসরায়েলি সেনা) সদস্য নিহত হয়েছে। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় আবারও বিমান হামলা চালায় এবং এতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
এই হামলার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে মার্কিন কর্মকর্তারা দ্রুত হস্তক্ষেপ করেন এবং দুই পক্ষকেই যুদ্ধবিরতিতে অটল থাকতে অনুরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই চুক্তির প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এদিকে এক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেছেন, ওই হামলাটি হামাসের নেতৃত্বে ঘটেনি, বরং তাদের বিদ্রোহী সদস্যরা এই কাজটি করেছে। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা হবে।
ট্রাম্প আরও লিখেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের ‘মহান মিত্ররা’ গাজায় প্রবেশ করে হামাসকে সোজা পথে আনতে আগ্রহী। তবে তিনি তাদের আপাতত থামতে বলেছেন। কারণ তিনি এখনো আশা করছেন, হামাস সঠিক কাজটিই করবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনারও এখন ইসরায়েলে আছেন। তাঁরা প্রেসিডেন্টের ঘোষিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার দীর্ঘমেয়াদি দিকগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। ইসরায়েলি সূত্র জানিয়েছে, উইটকফ ইসরায়েলকে বলেছেন হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া অবশ্যই ‘আনুপাতিক’ হতে হবে এবং আগামী ৩০ দিন যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ইসরায়েল পৌঁছেছেন। সিএনএন জানিয়েছে, তিনি এমন এক সময়ে ইসরায়েল গেলেন, যখন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
সিএনএনকে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভ্যান্সের সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে মার্কিন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অটল রাখা। একজন মার্কিন কর্মকর্তা ভ্যান্সের সফরকে রসিকতার ছলে ‘বিবিসিটিং’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
অপর একজন বলেছেন, প্রেসিডেন্টের পর সবচেয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার উপস্থিতির মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসন শক্ত বার্তা দিতে চাইছে যে, যুদ্ধবিরতি অবশ্যই টেকসই হতে হবে, এমনকি সম্ভাব্য সংঘর্ষের মধ্যেও তা টিকিয়ে রাখতে হবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই মুহূর্তেই গাজার যুদ্ধবিরতি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছে। তাই ট্রাম্পের গত সপ্তাহের সফরের পরপরই ভ্যান্সের যাত্রা জরুরি হয়ে পড়ে। ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, যুদ্ধবিরতির পর গত ১৯ অক্টোবর হামাসের হামলায় দুই আইডিএফ (ইসরায়েলি সেনা) সদস্য নিহত হয়েছে। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় আবারও বিমান হামলা চালায় এবং এতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
এই হামলার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে মার্কিন কর্মকর্তারা দ্রুত হস্তক্ষেপ করেন এবং দুই পক্ষকেই যুদ্ধবিরতিতে অটল থাকতে অনুরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই চুক্তির প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এদিকে এক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেছেন, ওই হামলাটি হামাসের নেতৃত্বে ঘটেনি, বরং তাদের বিদ্রোহী সদস্যরা এই কাজটি করেছে। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা হবে।
ট্রাম্প আরও লিখেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের ‘মহান মিত্ররা’ গাজায় প্রবেশ করে হামাসকে সোজা পথে আনতে আগ্রহী। তবে তিনি তাদের আপাতত থামতে বলেছেন। কারণ তিনি এখনো আশা করছেন, হামাস সঠিক কাজটিই করবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনারও এখন ইসরায়েলে আছেন। তাঁরা প্রেসিডেন্টের ঘোষিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার দীর্ঘমেয়াদি দিকগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। ইসরায়েলি সূত্র জানিয়েছে, উইটকফ ইসরায়েলকে বলেছেন হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া অবশ্যই ‘আনুপাতিক’ হতে হবে এবং আগামী ৩০ দিন যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুসারে, কোনো ব্যক্তি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন যদি তিনি ‘ভারতের কোনো নাগরিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার আগে সাত বছর ধরে ভারতে বসবাস করেন’। এ ছাড়া, যেসব শিশুর বাবা–মার যেকোনো একজন ভারতীয়, তারা জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে পারেন...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে নির্ধারিত বৈঠকের পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা কিয়েভের কোনো ভূখণ্ড ছাড় না দিয়ে যুদ্ধবিরতির দাবিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে। ব্রিটিশ সংব
১৯ মিনিট আগেমধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গাজায় সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় চলমান নাজুক যুদ্ধবিরতির মধ্যেই তিনি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির বিরুদ্ধে নতুন করে হুমকি দিলেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন
৩৮ মিনিট আগেফ্রান্সের সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্যারিসের লা সান্তে কারাগারে তার পাঁচ বছরের সাজা ভোগ শুরু করেছেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় রক্ষণশীল এই রাজনীতিককে লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে