Ajker Patrika

তিন সপ্তাহ ধরে ভারতে আটকা ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান, বাড়ছে রহস্য ও উদ্বেগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৩: ৪৪
গত ১৪ জুন থেকে কেরালার একটি বিমানবন্দরে আটকা পড়ে আছে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
গত ১৪ জুন থেকে কেরালার একটি বিমানবন্দরে আটকা পড়ে আছে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

ভারতের কেরালা রাজ্যের তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আটকা পড়ে আছে একটি অত্যাধুনিক ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান। এমন আধুনিক একটি বিমান কীভাবে দিনের পর দিন একটি বিদেশি মাটিতে আটকা পড়ে থাকতে পারে, তা নিয়ে কৌতূহল এবং নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে এটি নিয়ে নানা কথা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, যুদ্ধবিমানটির স্টিলথ প্রযুক্তি ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে ধরাশায়ী হয়েছে। স্যাটেলাইট জ্যামিং প্রযুক্তি এটিকে এত বাজেভাবে অকেজো করে দিয়েছে যে আর সারানো যাচ্ছে না। ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল, বিমানবাহী রণতরী থেকে উড্ডয়নের পর জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় এটি কেরালায় জরুরি অবতরণ করে। এমন নানা জল্পনার কারণে যুদ্ধবিমানটি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

এফ-৩৫বি মডেলের যুদ্ধবিমানটি গত ১৪ জুন থিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রয়্যাল নেভির ফ্ল্যাগশিপ ক্যারিয়ার এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলসে ফেরার সময় ভারত মহাসাগরে খারাপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে এটি দিক পরিবর্তন করে কেরালায় অবতরণ করে। বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করলেও, এরপর একটি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। আর ক্যারিয়ারে ফিরতে পারেনি।

বিমানটি অবতরণের পর থেকে এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলসের প্রকৌশলীরা এটি পরীক্ষা করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত মেরামতের কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতে ব্রিটিশ হাইকমিশন বিবিসিকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানটিকে বিমানবন্দরের মেইনটেন্যান্স রিপেয়ার অ্যান্ড ওভারহল (এমআরও) সুবিধায় সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব যুক্তরাজ্য গ্রহণ করেছে। ইউকে ইঞ্জিনিয়ারিং টিম বিশেষ সরঞ্জাম নিয়ে পৌঁছানোর পর এটি হ্যাঙ্গারে স্থানান্তর করা হবে, যার ফলে অন্যান্য বিমানের নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণে খুব একটা ব্যাঘাত ঘটবে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মেরামত ও নিরাপত্তা যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর বিমানটি সক্রিয় সেবায় ফিরে আসবে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গ্রাউন্ড টিম নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তিবিদেরা আগামীকাল শনিবার পৌঁছাবেন বলে তাঁরা আশা করছেন।

১১০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮০০ কোটি টাকা) মূল্যের এই যুদ্ধবিমানটি রয়্যাল এয়ার ফোর্সের (আরএএফ) ছয়জন কর্মকর্তা দিনরাত পাহারা দিচ্ছেন।

মুম্বাইয়ের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক ড. সমীর পাতিল বিবিসিকে বলেন, রয়্যাল নেভির সামনে দুটি পথ খোলা আছে: তারা হয় এটি মেরামত করে ওড়ার উপযোগী করতে পারে অথবা একটি বড় কার্গো বিমানে, যেমন সি-১৭ গ্লোবমাস্টার ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফটে করে এটি উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে।

আটকা পড়া এই জেট বিমানের বিষয়টি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সেও উত্থাপিত হয়েছে। গত সোমবার বিরোধী কনজারভেটিভ এমপি বেন ওবেসে-জেকটি সরকারকে প্রশ্ন করেন, এটি সুরক্ষিত রাখতে এবং পরিষেবাতে ফিরিয়ে আনতে কী করা হচ্ছে? ইউকে ডিফেন্স জার্নাল-এর খবর অনুযায়ী, তিনি বলেছেন, ‘বিমানটি পুনরুদ্ধারে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, এতে আর কত সময় লাগবে এবং হ্যাঙ্গারে থাকা অবস্থায় এর সুরক্ষিত প্রযুক্তির নিরাপত্তা সরকার কীভাবে নিশ্চিত করবে?’

ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনী মন্ত্রী লুক পোলার্ড নিশ্চিত করেছেন, বিমানটি যুক্তরাজ্যের কঠোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি, তারা এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান ক্যারিয়ারে ফিরতে না পারায় প্রথম শ্রেণির সহায়তা দিয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, রয়্যাল এয়ার ফোর্স ক্রু সব সময় এটির সঙ্গে থাকায় বিমানের নিরাপত্তা ভালো হাতে রয়েছে।’

এফ-৩৫বি অত্যন্ত উন্নত স্টিলথ জেট। এটি তৈরি করেছে মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিন। সংক্ষিপ্ত টেক-অফ ও উল্লম্ব অবতরণ সক্ষমতার জন্য এই যুদ্ধবিমান বেশ সুপরিচিত।

এদিকে কেরালার তিরুঅনন্তপুরমের রানওয়েতে মৌসুমি বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা এফ-৩৫ বি-এর ছবি সামাজিক মাধ্যমে মিম ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে।

একটি ভাইরাল পোস্টে মজা করে বলা হয়েছে, জেটটি একটি অনলাইন সাইটে মাত্র ৪ মিলিয়ন ডলারে (প্রায় ৪০ কোটি টাকা) বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে! বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে, এতে ‘স্বয়ংক্রিয় পার্কিং, একেবারে নতুন টায়ার, একটি নতুন ব্যাটারি এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের ধ্বংস করার জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় বন্দুক’-এর মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে!

এক্স-এর একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, জেটটি এত দিন ধরে ভারতে থাকায় এর ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রাপ্য। অন্য একজন পরামর্শ দিয়েছেন, ভারতের এখন ভাড়া নেওয়া শুরু করা উচিত। আর অর্থ পরিশোধের উপযুক্ত মাধ্যম হতে পারে কোহিনূর হিরা।

উল্লেখ্য, কোহিনূর হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কাটা হিরা, যার ওজন প্রায় ১০৮ দশমিক ৯৩ ক্যারেট। বর্তমানে এটি ব্রিটিশ রাজের মুকুটে শোভা পাচ্ছে। এটি বিভিন্ন রাজা বাদশাহ ও শাসকের হাত ঘুরে এখন স্থান পেয়েছে টাওয়ার অব লন্ডনে।

এর ইতিহাসের সূচনা ১৩০৪ সালে। ষোড়শ শতাব্দীতে কোহিনূর মালওয়ার রাজাদের অধিকারে ছিল এবং পরবর্তীকালে তা মোগল সম্রাটদের হাতে আসে এবং সম্রাট শাহজাহান নির্মিত ময়ূর সিংহাসনের শোভা বর্ধন করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন হাত ঘরে এটি ব্রিটিশদের দখলে চলে যায়।

গত বুধবার কেরালা সরকারের পর্যটন বিভাগও এক্স-এ একটি পোস্ট করে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলমান মিম ও কৌতুকে যোগ দিয়েছে। তারা লিখেছে, ‘কেরালা, এমন একটি গন্তব্য যা আপনি কখনো ছাড়তে চাইবেন না।’ পোস্টে এফ-৩৫ বি-এর একটি এআই-জেনারেটেড ছবি দেওয়া হয়েছে। ছবিতে রানওয়েতে পেছনে দিকে নারকেল গাছ দেখা যাচ্ছে। টেক্সটে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, মনোরম সৌন্দর্যের জন্য ‘ঈশ্বরের আপন দেশ’ হিসেবে পরিচিত কেরালায় অধিকাংশ পর্যটকের মতো, এই জেটটিরও চলে যেতে কষ্ট হচ্ছে!

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. পাতিল বলেন, যত দিন জেটটি আটকা থাকবে, তা এফ-৩৫বি এবং রয়্যাল নেভির ভাবমূর্তিকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করবে। তিনি আরও বলেন, ‘ঠাট্টা, মিম, গুজব এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রভাবিত করছে। যত দিন জেটটি আটকা থাকবে, তত বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়বে।’

প্রকৌশলগত সমস্যাগুলো ‘প্রকৃত ধারণার চেয়ে অনেক বেশি গুরুতর’ বলে মনে হচ্ছে, যোগ করেন ড. পাতিল। তবে অধিকাংশ সামরিক বাহিনী ‘সর্বোচ্চ খারাপ পরিস্থিতি’র জন্য প্রস্তুতি নেয়–এবং একটি জেট বিদেশি মাটিতে আটকা পড়া এমনই একটি পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ড. পাতিল মনে করেন, অধিকাংশ সামরিক বাহিনীর এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয় তার একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) থাকে। তাহলে রয়্যাল নেভির কি কোনো এসওপি নেই? এমন প্রশ্ন ওঠা তাদের জন্যই খুবই খারাপ ব্যাপার!

তিনি বলেন, যদি এমন কিছু শত্রুদের এলাকায় ঘটত, তাহলে কি তারা এত সময় নিত? এটি একটি পেশাদার নৌবাহিনীর জন্য খুব খারাপ পিআর (জনসংযোগ)।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে আফগানিস্তান-পাকিস্তান, এর মধ্যেই নতুন সংঘর্ষে নিহত ৩০

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সীমান্তের ওপার থেকে আক্রমণ দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছবি: এএফপি
সীমান্তের ওপার থেকে আক্রমণ দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছবি: এএফপি

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।

তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।

গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিবিসির সাক্ষাৎকার

আবারও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে চান কমলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিবিসির সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস। ছবি: বিবিসি
বিবিসির সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস। ছবি: বিবিসি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’

সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’

উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’

মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’

হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’

সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেসিয়াল রিকগনিশনে বিদেশিদের ওপর নজরদারি করবে যুক্তরাষ্ট্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।

নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।

এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।

তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।

২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।

২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।

বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।

নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ক্রিল শিকারে সীমা আরোপের দাবি তোলা ইউক্রেনীয় জীববিজ্ঞানীকে আটক করল রাশিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভ। ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভ। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।

রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত