ভারতে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’। দেশটির কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির ২০১৪ সালের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোর একটি ছিল এটি। এর মূল কথা হলো, সারা দেশে সব রাজ্যে একই দিনে লোকসভা, বিধানসভা এমনকি স্থানীয় নির্বাচনও আয়োজন করা। বিষয়টির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে বিজেপি সরকার। তবে বিষয়টি কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। রয়েছে রাজনৈতিক এবং আইনি জটিলতাও।
বিজেপি সরকার গঠিত কমিটির প্রধান ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এতে রয়েছেন কংগ্রেসের সাবেক নেতা গোলাম নবী আজাদ, বিজেপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, পঞ্চদশ অর্থ কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান এনকে সিং, লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ সি কাশ্যপ, জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট হারিস সালভে এবং প্রধান ভিজিল্যান্স কমিশনার সঞ্জয় কুঠারি।
এই কমিটির কাজ হলো, ভারতে আদৌ ‘এক জাতি, এক নির্বাচন’ তথা একই সময়ে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন সম্ভব কি না এবং সম্ভব হলে কী কী শর্তে বিশেষ করে সংবিধান, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনে কী ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে সে বিষয়গুলো প্রস্তাব করা। এ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের জন্য রাজ্যগুলোর অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে কি না তাও খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।
ভারতে এই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নতুন কোনো ধারণা নয়। এর আগেও ভারতে একাধিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এই পদ্ধতিতে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর দেশটিতে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে মোট চারটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এই পদ্ধতিতে। পরে ১৯৬৮-৬৯ সালে বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা মেয়াদ পূর্ণ করার আগে ভেঙে গেলে এই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই লোকসভা ভেঙে দেওয়া হয় ১৯৭০ সালে। পরের বছর দেশটিতে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময়ের রাজনীতির উত্তপ্ত পরিস্থিতির পর থেকে ভারতে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ পদ্ধতি বাতিল হয়ে যায়।
তবে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ভারতে। বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীরা কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগের পক্ষে ওকালতি করছেন জোরেশোরে। এই তালিকায় উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ এবং আসামের হিমন্ত বিশ্বশর্মা অন্যতম।
তবে কংগ্রেস দলীয়ভাবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তারা জানিয়েছে, তারা নতুন জোট ইন্ডিয়ার সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে এই বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করবে। তবে কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা শশী থারুর বলেছেন, ‘এমন কোনো বাস্তবিক উপায় নেই যা দিয়ে এ ধরনের একটি ব্যবস্থাকে বাস্তবায়ন করা যাবে। আমাদের দ্বিতীয় উদ্বেগের বিষয় হলো, বিগত বছরগুলোতে বিদ্যমান পদ্ধতি বা নির্বাচনী ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে ভারতের যে বৈচিত্র্য তা উপকৃত হয়েছে।’
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা এই উদ্যোগকে বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক চাল উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিজেপি এই “এক দেশ, এক নির্বাচন” নিয়ে মোহাবিষ্ট হয়ে পড়েছে এবং বিরোধীরা যখন থেকে ইন্ডিয়া জোটের ব্যানারে একত্র হয়েছে তখন থেকেই বিচলিত হয়ে এসব উদ্যোগ নিচ্ছে।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, দ্য টেলিগ্রাফ এবং দ্য হিন্দু
ভারতে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’। দেশটির কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির ২০১৪ সালের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোর একটি ছিল এটি। এর মূল কথা হলো, সারা দেশে সব রাজ্যে একই দিনে লোকসভা, বিধানসভা এমনকি স্থানীয় নির্বাচনও আয়োজন করা। বিষয়টির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে বিজেপি সরকার। তবে বিষয়টি কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। রয়েছে রাজনৈতিক এবং আইনি জটিলতাও।
বিজেপি সরকার গঠিত কমিটির প্রধান ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এতে রয়েছেন কংগ্রেসের সাবেক নেতা গোলাম নবী আজাদ, বিজেপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, পঞ্চদশ অর্থ কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান এনকে সিং, লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ সি কাশ্যপ, জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট হারিস সালভে এবং প্রধান ভিজিল্যান্স কমিশনার সঞ্জয় কুঠারি।
এই কমিটির কাজ হলো, ভারতে আদৌ ‘এক জাতি, এক নির্বাচন’ তথা একই সময়ে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন সম্ভব কি না এবং সম্ভব হলে কী কী শর্তে বিশেষ করে সংবিধান, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনে কী ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে সে বিষয়গুলো প্রস্তাব করা। এ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের জন্য রাজ্যগুলোর অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে কি না তাও খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।
ভারতে এই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নতুন কোনো ধারণা নয়। এর আগেও ভারতে একাধিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এই পদ্ধতিতে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর দেশটিতে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে মোট চারটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এই পদ্ধতিতে। পরে ১৯৬৮-৬৯ সালে বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা মেয়াদ পূর্ণ করার আগে ভেঙে গেলে এই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই লোকসভা ভেঙে দেওয়া হয় ১৯৭০ সালে। পরের বছর দেশটিতে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময়ের রাজনীতির উত্তপ্ত পরিস্থিতির পর থেকে ভারতে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ পদ্ধতি বাতিল হয়ে যায়।
তবে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ভারতে। বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীরা কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগের পক্ষে ওকালতি করছেন জোরেশোরে। এই তালিকায় উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ এবং আসামের হিমন্ত বিশ্বশর্মা অন্যতম।
তবে কংগ্রেস দলীয়ভাবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তারা জানিয়েছে, তারা নতুন জোট ইন্ডিয়ার সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে এই বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করবে। তবে কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা শশী থারুর বলেছেন, ‘এমন কোনো বাস্তবিক উপায় নেই যা দিয়ে এ ধরনের একটি ব্যবস্থাকে বাস্তবায়ন করা যাবে। আমাদের দ্বিতীয় উদ্বেগের বিষয় হলো, বিগত বছরগুলোতে বিদ্যমান পদ্ধতি বা নির্বাচনী ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে ভারতের যে বৈচিত্র্য তা উপকৃত হয়েছে।’
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা এই উদ্যোগকে বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক চাল উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিজেপি এই “এক দেশ, এক নির্বাচন” নিয়ে মোহাবিষ্ট হয়ে পড়েছে এবং বিরোধীরা যখন থেকে ইন্ডিয়া জোটের ব্যানারে একত্র হয়েছে তখন থেকেই বিচলিত হয়ে এসব উদ্যোগ নিচ্ছে।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, দ্য টেলিগ্রাফ এবং দ্য হিন্দু
সৌভাগ্য কাকে বলে, তারই যেন প্রমাণ পেলেন বাংলাদেশি তরুণ মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় লটারি বিগ টিকিটে প্রথমবার অংশ নিয়েই জিতে নিয়েছেন ৫০ হাজার দিরহাম, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ লাখ টাকারও বেশি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ মিনিট আগেমিশিগানের ট্র্যাভার্স সিটিতে একটি ওয়ালমার্ট স্টোরে ছুরিকাঘাতে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে শহরটির কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটক করা হয়েছে।
১৯ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই বিবদমান প্রতিবেশী কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতারা অবিলম্বে দেখা করে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়ে একমত হয়েছেন। ৩ দিন ধরে চলা সীমান্ত সংঘাতের পর শান্তি স্থাপনে মধ্যস্থতা করার চেষ্টার অংশ হি
১ ঘণ্টা আগেদখলদার ইসরায়েল চলতি বছরের মার্চ থেকে গাজায় আক্ষরিক অর্থেই ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। ইসরায়েলের এই অমানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে অঞ্চলটিতে ক্ষুধা-অনাহার থাকা মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহার-অপুষ্টিতে অন্তত আরও ৫ জন মারা গেছে। এই অবস্থায় গাজায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে প্রবেশের...
১ ঘণ্টা আগে